অংশগ্রহণ
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক মেশিনারি মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
৩৫তম মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক মেশিনারি মেলায় প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
ই এস ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আয়োজনে মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে ১১ থেকে ১৩ জুলাই তিন দিনব্যাপী এই মেলায় বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের ৭৮০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে এই মেলায় অংশ নেয় বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
এছাড়া মেলায় অংশ নেওয়া অন্য দেশগুলো হলো- চীন, জার্মানি, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, ইরান, জাপান, ভারত, হংকং ও সিংগাপুর।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) মেলার উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়া এক্সটারনাল ট্রেড ডেভলপমেন্ট করপোরেশনের উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বকর ইউসুফ।
এসময় আরও ছিলেন সংসদ সদস্য (চেরাস) ও প্রধানমন্ত্রীর চীনবিষয়ক সাবেক দূত ওয়াইবি তান কোক ওয়েই এবং ই এস ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও মালয়েশিয়া-চায়না ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড লিংক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট দাতো চং চং তিক।
মেলার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার মেলা ও বাংলাদেশের স্টল পরিদর্শন করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
এ সময় বাংলাদেশ হাইকমিশনের স্টলে আগত ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এছাড়াও বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনা করেন।
হাইকমিশনার উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষাপটে প্রথমবারের মতো এ
ধরণের গুরুত্বপূর্ণ মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নতুন পণ্যের বাজার সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা যায়।
রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য বেশি করে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসৃত ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’ অনুসরনের ধারাবাহিকতায় কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন এর স্টলে প্লাস্টিক পণ্য, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাটপণ্য, খাদ্যপণ্য এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকাশনা প্রদর্শিত হচ্ছে। এছাড়াও, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, প্যাকেজিং শিল্প, বাংলাদেশে ব্যবসা-বিনিয়োগ সংক্রান্ত নানা ধরনের প্রকাশনা, পর্যটন ও বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঢাকাস্থ এলিয়েন্ট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় আমান প্লাস্টিক , এক্সক্লুসিভ ক্যান লিমিটেড , কিউ পেইল, এসিআই প্রিমিও প্লাস্টিক, প্রিমিয়াফ্লেক্স প্লাস্টিক লিমিটেড, আরএফএল কোম্পানির প্লাস্টিকপণ্য, নওগাঁ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, মাফিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, রাজা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ, ফেয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, মেশিন ঘর ওয়ার্কস, বায়োনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস, সুইস বায়োহাইজেনিক ইকুইপমেন্টসের তথ্যবহুল প্রকাশনা, ড্যানিশ, তীর , প্রাণ কোম্পানির খাদ্যসামগ্রী এবং কেএডব্লিউ এপারেলস, জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড, স্কয়ার টেক্সটাইল, এনজেড টেক্স গ্রুপ, আরবিডি ফাইবারস লিমিটেডের তৈরি পোশাক সামগ্রীর সংশ্লিষ্ট শিল্পসমূহ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য বাংলাদেশ হাইকমিশনের স্টলে আগত দর্শনার্থীদের মাঝে তুলে ধরা হচ্ছে।
মেলা উদ্বোধনের দিন থেকেই বাংলাদেশি স্টলে বিদেরি ব্যবসায়ীসহ দর্শনার্থীরা ভিড় করছে। বাংলাদেশি পণ্য বিশেষত প্লাস্টিক পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, তৈরি পোশাক ও পাটজাত পণ্য সম্পর্কে আগ্রহ বেশি দর্শনার্থীদের।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া, মালয়েশিয়া বাংলাদেশে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ।
৪ মাস আগে
১৪তম গিফটস ফেয়ার: দ্বিতীয়বারের মতো অংশগ্রহণ বাংলাদেশের
মালয়েশিয়া গিফটস অ্যান্ড প্রিমিয়াম অ্যাসোসিয়েশন (এমজিপিএ) আয়োজিত ১৪তম মালয়েশিয়া গিফটস ফেয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ।
কুয়ালালামপুর কনভেনশন সেন্টারে চলমান ১৮ জুন থেকে ২০ জুন এ মেলায় মালয়েশিয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশসহ সাতটি দেশের ২৮৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
এবারের মেলার প্রতিপাদ্য ‘গিফ্ট ফর সার্কুলার ফিউচার’।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) উদ্যোগে ও বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুরের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের ছয়টি প্রতিষ্ঠান এই মেলায় অংশ অংশ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ভিটামিন এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন সফল করতে জনগণের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
গিফটস ফেয়ারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য, অপ্রচলিত পণ্যের তথা পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, গৃহস্থালি ও কিচেনওয়ার, ননওভেন ব্যাগ এবং হস্তশিল্প পণ্যসামগ্রী ইত্যাদি বাজার মালয়েশিয়ায় অন্বেষণ ও রপ্তানির সুযোগ তৈরি করা।
মেলায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানসমূহ হচ্ছে, কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মদিনা নন উভেন ফেব্রিকস, কে.এম.আর ক্রাফট, সওদা ইন্টারন্যাশনাল, তরঙ্গ, উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন, বাংলাদেশ এবং যৌথভাবে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো।
মেলা উদ্বোধনের দিন থেকেই বাংলাদেশি স্টল সমূহে বিদেশি ব্যবসায়ীসহ দর্শনার্থীদের ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে।
বাংলাদেশি পণ্য বিশেষত পাটজাত পণ্যের প্রশংসা করেছেন অনেক দর্শনাথী।
বাংলাদেশ হাইকমিশন ও এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর স্টলে ব্যবসা ও বিনিয়োগ-সংক্রান্ত নানা ধরনের প্রকাশনা ছাড়াও বাংলাদেশি বিনিয়োগ সম্ভাবনা বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বুধবার (১৯ জুন) বাংলাদেশ স্টলসমূহ পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন ও মালয়েশিয়ায় তাদের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এসময় হাইকমিশনার উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষাপটে হাইকমিশন বাংলাদেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণসহ অন্যান্য পরিকল্পনা নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য বেশি করে রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসৃত ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’অনুসরণের ধারাবাহিকতায় কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এ ধরনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে।
পরিদর্শনের সময় মালয়েশিয়া গিফ্ট অ্যান্ড প্রিমিয়াম অ্যাসোসিয়েশনের (এমজিপিএ) প্রেসিডেন্ট ইভান লু, মেলার অর্গানাইসিং চেয়ারম্যান আলবার্ট চুং ও অপারেশন ম্যানেজার সুজানা, বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মো. খোরশেদ আলম খাস্তগীরসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও প্রবাসী সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশি স্টলে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) হাইকমিশনে একটি মতবিনিময় কর্মসূচি রয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এছাড়া, মালয়েশিয়া বাংলাদেশে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে ৪০ প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে চাকরি মেলা
পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে যুব সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: পরিবেশমন্ত্রী
৫ মাস আগে
বাকৃবিতে ৪০ প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে চাকরি মেলা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব (বাউসিসি) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ন্যাশনাল ক্যারিয়ার কার্নিভালের দ্বিতীয় ও শেষ দিনের আয়োজন হিসেবে চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এবারের চাকরি মেলায় ৪০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে।
শনিবার (৮ জুন) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রশিক্ষণ বিভাগের জিমনেসিয়ামে ওই মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মেলায় ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটরা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই সরাসরি ও অনলাইনে জীবন বৃত্তান্ত জমা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), এসিআই, প্রাণ, স্কয়ার, সি.পি বাংলাদেশ, নাবিল গ্রুপ, প্যারাগন গ্রুপ, ব্র্যাক, ড্যানিশ, আফতাব, নাহার এগ্রো, সিনজেনটা, প্রভিটা গ্রুপ, কাজী ফার্মসসহ আরো অনেক দেশীয় ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান।
বিভিন্ন স্টল ঘুরে জানা যায়, অংশগ্রহণকারী প্রতিটি প্রতিষ্ঠান কৃষির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। কিছু প্রতিষ্ঠানে কৃষি অনুষদের স্নাতকধারী, কিছু প্রতিষ্ঠানে ভেটেরিনারি এবং পশুপালন স্নাতকধারী আবার কিছু প্রতিষ্ঠানে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের স্নাতকধারীরা প্রাধান্য পেয়েছে। কিছু প্রতিষ্ঠানের সেলস ম্যানেজার, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এবং অ্যাকাউন্টেনস ম্যানেজমেন্ট পদগুলোতে সবাই জীবন বৃত্তান্ত জমা দেয়ার সুযোগ পেয়েছে।
চাকরি মেলা শেষে বিকাল ৫টায় বাউসিসির পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: নিরাপদ ও টেকসই পোল্ট্রি উৎপাদনে সবধরনের সহায়তা দেবে সরকার -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
৫ মাস আগে
কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়: জবি ভিসি
কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও নারীর ক্ষমতায়ন বা সামাজিক মর্যাদা বাড়েনি বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস সামনে রেখে ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন সাদেকা হালিম।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিতে নারীদের কথা বলার জায়গাটা তৈরি করে দিতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গাগুলোতে নারীদের নিয়ে আসতে হবে।’
জেন্ডার ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নারী পরিচয়ের আগে আমার বড় পরিচয় হলো আমি একজন মানুষ। নারী-পুরুষের মধ্যে যে ভেদাভেদ তৈরি, নারীকে হেয় করা, শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরুষের থেকে দুর্বল মনে করা হচ্ছে এবং এ কারণে নারীকে অধস্তন করে রাখতে হবে, এটা সম্পূর্ণ অমূলক।’
আরও পড়ুন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি অধ্যাপক সাদেকা হালিম
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের মূল্যায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এমন হয়েছে, যে সমাজে নারীকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেখা হয়। যদিও বাংলাদেশের সংবিধানের নারী ও পুরুষ সমান। কিন্তু বাস্তবে কোনো দেশই খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে নারীকে পুরুষের সমান ভাবা হয়।’
এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, ‘সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্রেই নারীত্ব নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। সেটা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাঙ্গন, ভাগ-বাটোয়ারার ক্ষেত্র, এমনকি ধর্মীয়ভাবেও। পৃথিবীতে এমন কোনো ধর্ম খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে প্রতিটা ক্ষেত্রে নারীকে সমান অধিকার দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমনকি নারীর সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয় নিয়েও রাজনীতি করা হয়। সন্তান জন্মের পর পরই সন্তানের অধিকার কীভাবে হবে সেটা আমরা ধর্মীয়ভাবে নির্ধারণ করি। বাবা ও মায়ের অধিকার কতটুকু, আমাদের সিভিল ল’তে কতটুকু, শরিয়া ল’তে কতটুকু, এসব বিষয় অনেকটাই পুরুষকেন্দ্রিক। পুরুষকে সব সময় প্রাধান্য দেওয়া হয়। পুরুষরাই এ সমাজের নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে।’
এ উপমহাদেশে নারীদের ভূমিকা সম্পর্কে ড. সাদেকা উল্লেখ করেন, ‘ভারত উপমহাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন যে এখন হয়েছে, তা নয়। অবিভক্ত ভারত উপমহাদেশে নারীরা কিন্তু ইউরোপের নারীদের আগেই ভোটাধিকার পেয়েছিল। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় নারীরা যুদ্ধে অংশ নিয়েছে, রানি হয়েছে, ট্যাক্স সংগ্রহ করেছে। আধুনিক রাষ্ট্রে পুঁজিবাদের বিস্তার ঘটার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের কাজের পরিধি বেড়েছে, কিন্তু নারীদের পণ্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তার কাজ কে কাজ হিসেবে আমরা দেখিনি। নারীরা স্ত্রী, মা বা মেয়ে হিসেবে যে ভূমিকা পালন করে সেটিকেও অবমূল্যায়ন করা হয়।’
আরও পড়ুন: রাইড-শেয়ারিংয়ে বাড়ছে ঢাকার কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো নারী চাকরি করলেও তাকে আমরা প্রশ্ন করি তার স্বামী কী করে। সে যদি স্বামীর থেকে বেশি বেতন পায়, তাহলে পুরুষও হীনমন্যতায় ভুগে।’
সমাজের সাধারণ নারীদের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন তো নারীদের অনেকেরই হয়েছে। গার্মেন্টস সেক্টর, চিংড়ি মাছের ঘের, কল-কারখানায় নারীরা কাজ করছে। এটি ভারত বা পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু নারীর সামাজিক মর্যাদা কি বেড়েছে? এটা খুবই জটিল একটা বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘চরম দারিদ্র্যের শিকার নারীরা কোনো কিছু ভাবে না। তারা জানে তাদেরই কাজ করতে হবে, ক্ষুধা মেটাতে হবে, তারাই শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে। সাধারণ নারীরা অনেক পরিশ্রমী, সামাজিক সমালোচনা গ্রাহ্য না করে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় তাদের বাদ দেওয়া হচ্ছে।’
নারীর সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নারীর নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে পারিনি। বাংলাদেশে বা প্রবাসে যে পরিমাণ নারী কাজ করে সেখানেও আমরা দেখি যে নারীরা নিরাপদ না। খুব নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার হয়।’
তবে নারী সমাজের পরিবর্তনের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী, এবং এবারকার কেবিনেটে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নারী মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হয়ে আসছেন। এটা ইতিবাচক দিক। সংখ্যার দিক থেকে নারীর অংশ গ্রহণ অনেক বেশি, কিন্তু নারীর ক্ষমতায়ন বা সামাজিক মর্যাদার জায়গায় গুণগত মানের দিক থেকে কতটা বদলেছে সেটি বড় বিষয়। যখন নারীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণে আসবে, নেতৃত্ব দেবে, সমাজ কিন্তু তখনই বদলাবে।’
আরও পড়ুন: দুর্যোগের সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদ বোধ করেন না প্রায় ৬৭ শতাংশ নারী
৮ মাস আগে
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২৪ অংশগ্রহণ নিয়ে ব্রিফ করছেন প্রধানমন্ত্রী
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২৪ এ যোগদানের জন্য তার সাম্প্রতিক জার্মানি সফরের ফলাফল সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে সংবাদ সম্মেলন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ যুদ্ধের বিপক্ষে, রক্ষা করা হবে সার্বভৌমত্ব: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ২০২৪ যোগ দিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখে যান এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরেছেন।
মিউনিখে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেন এবং সম্মেলনের ফাঁকে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: ত্যাগের মহিমায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
৮ মাস আগে
জনগণের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, কয়েকটি বিরোধী দলের এক দফা অসাংবিধানিক দাবি সত্ত্বেও সরকার সংবিধান অনুযায়ী জনগণের অংশগ্রহণে 'অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ' নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আস্থা ও প্রস্তুতি অনুযায়ী আসন্ন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে বলে আমরা আশা করছি।’
আরও পড়ুন: এ অঞ্চলে যেকোনো দ্বন্দ্ব-যুদ্ধ বাংলাদেশকে উন্নয়ন লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারে: পররাষ্ট্র সচিব
ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, গণমাধ্যমের সম্পাদকসহ বাংলাদেশি সাংবাদিকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মাসুদ বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে এবং আসন্ন নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
অতীতে সামরিক, আধা-সামরিক এবং ছদ্ম-সামরিক শাসনামলে নির্বাচনী জালিয়াতির সম্ভাবনা নির্মূল করার ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক ভোটার আইডি এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এই উপমহাদেশের জনগণ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে অভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উভয় ইস্যুতে রাজনৈতিকভাবে অধিকতর সচেতন ও সম্পৃক্ত। এ কারণেই উপমহাদেশের জরিপে ফলাফল বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, 'ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থকরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত।’ এর ফলে নির্বাচনে তীব্র প্রতিযোগিতা হয় যা প্রায়ই সহিংস হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: ভোট দিতে কোনো চাপ নেই, তবে 'একটি দলের' লিফলেটে না দিতে বলা হয়েছে: সিইসিকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্র সচিব
তিনি বলেন, 'বিশ্বের এই অংশে হতাহতের ঘটনা, এমনকি মৃত্যুও একটি সাধারণ ঘটনা। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে হতাহতের ঘটনা বেশি ঘটে, যেখানে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতা হয়।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ একটি তরুণ জাতি এবং পশ্চিমা গণতন্ত্র এখনো এখানে পূর্ণরূপ ধারণ করতে পারেনি।
তিনি বলেন, 'সম্প্রতি পরিপক্ক পশ্চিমা গণতন্ত্রেও ফাটল দেখা যাচ্ছে। সুতরাং, এটি ক্রমবর্ধমানভাবে অনুভূত হচ্ছে যেকোনো রাজনৈতিক ব্যবস্থাই নিখুঁত নয় এবং সেই অর্থে কোনো গণতন্ত্র পরিপূর্ণ নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে জাতি হিসেবে আমরা গণতান্ত্রিক চর্চায় বৈশ্বিক মানদণ্ড অর্জনের চেষ্টা করছি। আমরা আমাদের প্রচেষ্টায় বিশ্বজুড়ে আমাদের বন্ধুদের কাছ থেকে সমর্থন চাই।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে হবে: সিইসি
তিনি আশা প্রকাশ করেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে সফল হবে, যা নিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গর্ববোধ করবে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সরকার বিশ্বাস করে যে, সাংবিধানিক বিধানের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করা মানবাধিকারের রীতিনীতি ও চর্চা প্রতিষ্ঠার মূল চাবিকাঠি।
সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: ৬৯ দেশের অনারারি কনসাল ও কনসাল জেনারেলদের পররাষ্ট্র সচিবের সংবর্ধনা
১০ মাস আগে
নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে কোনো বিশেষ দলের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক নয়: শাহরিয়ার
নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে কোনো নির্দিষ্ট দলের অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
তবে তিনি বলেন, এটি একটি চিরন্তন সত্য যে রাজনৈতিক দল হিসাবে টিকে থাকার জন্য দলগুলোকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শাহরিয়ার বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা শেষ না হওয়া পর্যন্ত যে কোনো দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও সরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, যেকোনো নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
বিরোধী দল বিএনপিকে ইঙ্গিত করে শাহরিয়ার বলেন, যে সন্ত্রাসী দল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সংবিধানে বিশ্বাস করে না, তাদের অংশগ্রহণের চেষ্টা করা বাধ্যতামূলক নয়।
আরও পড়ুন: যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, পেছানো হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে, বাংলাদেশে একটি 'শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য' জাতীয় নির্বাচন দেখতে চায় জাতিসংঘ।
সোমবার (২০ নভেম্বর) নিউইয়র্কে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, 'একটি শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমরা সব অংশীজন, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে।
বিরোধী দল বিএনপি এখনও নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলোর সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশে মামলা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
রাজনৈতিক দলের চেয়ে ভোটারদের অংশগ্রহণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ: তথ্যমন্ত্রী
যেকোনো রাজনৈতিক দলের চেয়ে নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ না নিলেও সেখানে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছে এবং নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
রবিবার (৮ অক্টোবর) বিকালে সচিবালয়ে পাকিস্তান সরকারের ১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট প্রকাশিত ‘পূর্ব পাকিস্তানের সংকট সম্পর্কিত শ্বেতপত্র’ এর পুনঃমুদ্রণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি এলে আমরা তাদের স্বাগত জানাই। আমরা চাই তারা অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু তারা যোগ না দিলেও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ হবে এবং নির্বাচন অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম গোলাম কিবরিয়া, পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আলী সরকার, তথ্য অধিদপ্তরের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা নাসরিন জাহান।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য প্রমাণ করে যে, এত দিন পর তারা উপলব্ধি করেছে যে, কেউ তাদের হাতে ধরে ক্ষমতায় বসাবে না। এটি একটি ভালো উপলব্ধি।
হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুলের উৎফুল্লতা এখন ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসছে। কারণ তারা বুঝেছে সময়মতো নির্বাচন হবে এবং তাদের কেউ ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপি থেকেও অনেকে অংশ নেবেন। বিএনপির কয়েকজন নেতা ইতোমধ্যে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তাই নির্বাচন প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার পথ পরিহার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আমি তাদের অনুরোধ করব এবং বাস্তবতা মেনে নিয়ে নির্বাচনের পথ অনুসরণ করার অনুরোধ জানাব।
নির্বাচনের সময় সরকারের আকার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেখুন, এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের সময় সরকারকে সঙ্কুচিত করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। প্রধানমন্ত্রী যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে কোনো নির্বাচনী সরকারের পতন হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, এটা ভালো। কারণ বিদেশিরা আমাদের নির্বাচনে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের বহুমুখী সম্পর্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আমাদের উন্নয়নে সর্বত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রয়েছে। তারা যে প্রতিনিধি দল এসেছে, আমি মনে করি এটা ভালো।
এর আগে পুনর্মুদ্রিত শ্বেতপত্র উন্মোচনের সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে কারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল, কারা মুক্তিযুদ্ধকে ঘিরে ছিল তা বোঝা যাবে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকার ‘পূর্ব পাকিস্তান সংকট’ শিরোনামে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে। এই শ্বেতপত্রে জিয়াউর রহমানের কোনো উল্লেখ নেই। যাইহোক, এই দেশে অপরাধীদের বীরত্বের মর্যাদায় উন্নীত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পত্রিকায় ছোটদের পাতা প্রকাশ অব্যাহত রাখুন: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির রোডমার্চে বাবার ছবি দেখে বিষপান করা ছাত্রলীগ নেতার পাশে তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে: প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে ‘সফল’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: আপনার অর্জন খুবই আকর্ষনীয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বাইডেন
তিনি বলেন, ‘বহুপাক্ষিক ফোরামে আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। আন্তর্জাতিক ইস্যু সম্পর্কে, আমি আশা করি এটি সহযোগিতার পরিধি প্রসারিত করবে। সামগ্রিক বিবেচনায়, আমি মনে করি এই অধিবেশনে (ইউএনজিএ) বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অত্যন্ত সফল হয়েছে।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগদান ও সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এ বছরের অধিবেশনে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে উদারতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তার ভাষণ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে মানবতার অভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলো সম্মিলিতভাবে মোকাবিলায় বিভক্তি, বিচ্ছিন্নতা ও বিচ্ছিন্নতার ওপর ঐক্য, সংহতি ও বহুপাক্ষিকতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে উল্লেখ করেছেন যে, সরকার দেশের সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে ও এটি অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন, ইউক্রেন যুদ্ধ, মহামারি ও রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব নিয়ে সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এ অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সন্ত্রাসী হুমকি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অপব্যবহার, সহিংসতা উস্কে দেওয়া, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও উস্কানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন। তিনি বলেন, তার সরকার সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি অনুসরণ করে।
একই সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য মানবাধিকার ইস্যুকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করার দাবি জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে জরুরি পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক 'ফুড ব্যাংক' প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জলবায়ু সহনশীল ফসলের গবেষণা ও উন্নয়নে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
পাশাপাশি তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা পুনর্বাসন, মহামারি, এসডিজি অর্জনে খাদ্য সহযোগিতা এবং অন্যান্য ইস্যুতে অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশনে যোগ দেন।
কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পর্কিত একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যয় হ্রাস, ডিজিটাল ও আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদান এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ পাঁচটি সুনির্দিষ্ট অগ্রাধিকার উপস্থাপন করেন।
এ ছাড়া তিনি নিউইয়র্কে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে 'এসডিজি সামিট-লিডার্স ডায়ালগ-৪ (এসডিজি অর্জনে সমন্বিত নীতি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ) শীর্ষক আরেকটি সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাইড ইভেন্টে ভবিষ্যতে যেকোনো মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার একটি কাঠামো প্রণয়নের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি আয়োজিত কমিউনিটি সংবর্ধনায় যোগ দেন এবং বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
নিউইয়র্কে অবস্থানকালে গভীর সমুদ্র থেকে বৃহৎ আকারে মাছ আহরণ রোধ এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় 'গভীর সাগর সম্পর্কিত জাতিসংঘের চুক্তি' সই করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ ছাড়া হাঙ্গেরির সঙ্গে তিনটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক এবং কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতির বিষয়ে কাজাখস্তানের সঙ্গে আরেকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন এবং অন্যান্য কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ ছাড়া ভয়েস অব আমেরিকাকে সাক্ষাৎকার দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গাবিষয়ক এপিপিজি'র সভাপতি রুশনারা আলীর নেতৃত্বে সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দল এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসাবিষয়ক ছায়ামন্ত্রীসহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী এখন লন্ডনে
ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
পর্যটন শিল্পের বিকাশে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো জরুরি: সেমিনারে বক্তারা
বাংলাদেশের পর্যটনে নারীর অংশগ্রহণ মাত্র ১৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। এ সংখ্যা বাড়াতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজারে বাংলাদেশ ফেস্টের তৃতীয় দিনে আয়োজিত 'পর্যটন শিল্পে নারীর অংশগ্রহণ: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা একথা জানান।
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ-আটাবের সহসভাপতি ও সায়মন গ্রুপের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আফসিয়া জান্নাত সালেহ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডক্টর সন্তোষ কুমার দেব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রঘুরে দেখলেন ৩৮ ভারতীয় ট্যুরিস্ট
সেমিনারে বক্তব্য দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম, ডানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জারা জাবিন মাহবুব, শেয়ার ট্রিপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া হক, গ্রিন টিভির নির্বাহী সম্পাদক নাদিরা কিরণ, আটাবের মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মেয়েদের সাহস করে আগাতে হয়। এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে আরও নারী নেতৃত্ব প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রথম পর্যটন মহাপরিকল্পনা এখনও প্রণয়ন হয়নি, শেষ হওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বরে
তারা বলেন, পর্যটনে গাইড হিসেবে যত বেশি নারীর সম্পৃক্ততা বাড়বে, তত বেশি বিদেশি পর্যটক আসবে। এজন্য গাইড হিসেবে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
সেমিনারে আটাবের সহসভাপতি ও সায়মন গ্রুপের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আফসিয়া জান্নাত সালেহ বলেন, নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরিতে এ খাতের সংশ্লিষ্টদের ভাবতে হবে। নারীদের বেশি সম্পৃক্ত করতে প্রয়োজনে বিদেশ পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। নারী হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে কাজ করতে হবে। তাহলেই পর্যটন শিল্পের সত্যিকার অর্থে বিকাশ সম্ভব।
অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেলস এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ বলেন, কারো উপর ভরসা করে নয়, পর্যটন শিল্পে নারীকে নিজের যোগ্যতা দিয়েই এগিয়ে আসতে হবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সাবেক সিনিয়র সচিব নাছিমা বেগম বলেন, পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে হলে ট্যুরিজম বোর্ডকে শক্তিশালী করতে হবে।
আরও পড়ুন: পর্যটনশিল্পকে অবশ্যই নিরাপদ করতে হবে: জাতিসংঘ মহাসচিব
১ বছর আগে