স্মার্ট
দেড় কোটির বেশি স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়নি
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে এখনও দেড় কোটির বেশি স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বিতরণ করা হয়নি।
দেশের প্রায় ১২ কোটি ২০ লাখ ভোটারের বিপরীতে নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ১০ লাখ স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত করেছে।
আরও পড়ুন: ইসিতেই এনআইডি নিবন্ধনের কাজ রাখার দাবি কর্মকর্তাদের
বুধবার (২ অক্টোবর) ইসির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৬৫ লাখ ৪৪ হাজার ৯৮৩টি স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলে ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৯২৪টি, কুমিল্লা অঞ্চলে ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৬৫৫টি, ময়মনসিংহ অঞ্চলে ১৪ লাখ ৮০ হাজার ৬৭৫টি, খুলনা অঞ্চলে ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৯৯৯টি, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১৪ লাখ ৪১ হাজার ৪০১টি, সিলেট অঞ্চলে ১২ লাখ ১৪ হাজার ৬৪৯টি, রাজশাহী অঞ্চলে ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫৭টি, রংপুর অঞ্চলে ১০ লাখ ৩০ হাজার ৭৩৫টি, বরিশাল অঞ্চলে ৮ লাখ ৫১ হাজার ২৬০টি এবং ফরিদপুর অঞ্চলে ৬ লাখ ৫১ হাজার ৯২টি কার্ড রয়েছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআইডি কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
২ মাস আগে
স্মার্ট ভেটেরিনারি ও ওয়ান হেলথ নিশ্চিতকরণে বৈজ্ঞানিক সম্মেলন
দেশের ৬১ শতাংশ রোগ প্রাণী থেকে মানুষে ও মানুষ থেকে প্রাণীতে ছড়ায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উচ্চশিক্ষা ও গবষেণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান।
তিনি জানান, তাই ওয়ান হেলথ বাস্তবায়ন খুবই জরুরি। এ লক্ষ্যে মানুষ, প্রাণী চিকিৎসক ও পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একযোগে কাজ করতে হবে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের মেডিসিন বিভাগের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ভেটেরিনারি অ্যাডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (বিএসভিইআর) ৩০তম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এবারের বৈজ্ঞানিক সম্মেলনরে প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট ভেটেরিনারি এডুকেশন অ্যান্ড ওয়ান হেলথ’ ।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম গয়াল-ইল্যান্ডের কঙ্কাল তৈরি করলেন বাকৃবি অধ্যাপক
অধ্যাপক আবু হাদী বলেন, ভেটেরিনারি শিক্ষায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সারা বিশ্বে রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের প্রায় ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ও দুইটি ভেটেরিনারি কলেজ বাকৃবিকে অনুসরণ করে ভেটেরিনারি ডিগ্রি প্রদান করে।
তিনি আরও বলেন, দেশে এখনো ডিজিটাল ও স্মার্ট ভেটেরিনারি পাঠ্যসূচি প্রণয়ন সম্ভব হয়নি। বিএসভিইআর সম্মেলনে সম্মানিত অতিথিদের কাছ থেকে ডিজিটাল ও স্মার্ট ভেটেরিনারি বিনির্মানের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে এবং তা সরকার ও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হবে।
এছাড়াও দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে গবাদিপশুর স্বাস্থ্য ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হবে, যা দেশের প্রাণিসম্পদের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন আগামী ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলনটিতে দেশের ৪০০ জন ভেটেরিনারি গবেষক, শিক্ষাবিদ, মাঠপর্যায়ের ভেটেরিনারিয়ান, উদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকরা অংশ নেবেন।
বিএসভিইআর এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলাম জানান, সম্মেলনে একটি বার্ষিক বক্তৃতাসহ দুইটি পূর্ণাঙ্গ বক্তৃতা, একটি মূল প্রবন্ধ, ৬৮টি মৌখিক গবেষণা প্রবন্ধ এবং ৭৮টি পোস্টার উপস্থাপন করা হবে।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএসভিইআরের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম গোলাম শাহি আলম।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত) ড. নাথু রাম সরকার, রেনাটা লিমিটেডের এনিমেল হেলথ ডিভিসনের প্রধান মো. সিরাজুল হক, ইন্টার এগ্রোভেট বিডি'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ কে এম খসরুজ্জামান।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিকৃবির সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ অ্যাক্রিডেটশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক এম গোলাম শাহী আলমকে ‘অ্যানুয়াল লেকচার অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: উদ্যোক্তাবান্ধব গবেষণায় দেশসেরা বাকৃবি
বাকৃবিতে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবি
৯ মাস আগে
বস্ত্র ও পাটখাতকে স্মার্ট করতে কাজ করব: নানক
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বস্ত্র ও পাটখাতকে স্মার্ট করতে দ্রুত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কাজ করা হবে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে মন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ’লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হলেন শাজাহান, নানক, আবদুর রহমান
সাক্ষাৎকালে নানক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প-২০৪১ সমানে রেখে পাট ও বস্ত্রখাতে নতুন নতুন উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে এ খাতকে আধুনিকায়নের কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং রপ্তানি বৃদ্ধিতে নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সুপরিকল্পিত: নানক
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বৃহস্পতিবার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
নতুন মন্ত্রিসভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য।
তিনি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর পা ধরে হলেও আপনাদের প্রত্যাশা পূরণ করব: নানক
২০০৮ সালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর আসন (ঢাকা-১৩) থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নানক।
২০০৯ সালে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে একই আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এ রাজনীতিক।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন মানেই আওয়ামী লীগ: নানক
১১ মাস আগে
স্মার্ট জীবনযাত্রার জন্য নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ও ডাকসেবা অপরিহার্য: পলক
পরিবর্তিত স্মার্ট জীবনযাত্রার জন্য নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেটসহ টেলিযোগাযোগ ও উন্নত ডাকসেবা অপরিহার্য বরে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ নির্দেশ দেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে জলে, স্থলে-অন্তরীক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো তৈরি হয়েছে এবং ২ হাজারের বেশি সেবা ডিজিটাইজ হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছাত্রদল নেতাকে খুঁজে না পাওয়ায় ক্রীড়াবিদ ভাই গ্রেপ্তার
তিনি আরও বলেন, অফিস ও অফিস ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজ হওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেও মানুষ কাজ করতে পারছেন। তিনি মানুষের জীবনধারা সচল রাখতে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ যে কোনো পরিস্থিতে নিরবচ্ছিন্ন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে দেশ প্রেমের মহানব্রত নিয়ে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা, সততা ও সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাতের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ও ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন ও কারিগরি শিক্ষা প্রসারে গৃহীত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন। ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের বঙ্গবন্ধুর বপন করা বীজ অঙ্কুরিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে তা চারা গাছে পরিণত হয়।
২০০৮ সালে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনীতিক শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছরের বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর পেছনে থেকে যে মানুষটি কাজ করে গেছেন তিনি হলেন ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম থেকে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার’ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী সজীব ওয়াজেদ জয়। শেখ হাসিনা সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্বভার গ্রহণকালে বাংলাদেশের টেলিডেনসিটি ছিল ৩০ শতাংশ। বর্তমানে (আগস্ট -২০২৩ পর্যন্ত) এই হার শতকরা ১০৯ ভাগে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে যেখানে মোবাইল গ্রাহক ছিল ০৪ কোটি ৪৬ লাখ, বর্তমানে (আগস্ট -২০২৩ পর্যন্ত) তা ১৮ কোটি ৮৬ লাখ অতিক্রম করেছে।
এই সময়ে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল মাত্র ৪০ লাখ, বর্তমানে (আগস্ট-২০২৩ পর্যন্ত) এ সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ।
২০০৮ সালে ব্যান্ডউইদথের ব্যবহার যেখানে ছিল ৭ দশমিক ৫ জিবিপিএস বর্তমানে তা প্রায় ৫০০০ জিবিপিএস অতিক্রম করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুরু হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রা।
স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের সোপান।
তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পলক আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ হাসিনার হাত ধরেই আসবে সেই রূপকথার মতো দেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।
২০২২ সালের ৭ এপ্রিল ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের তৃতীয় বৈঠকেই ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নাম পরিবর্তন করে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’-করার সিদ্ধান্ত হয় বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল কারিগর বঙ্গবন্ধু: পলক
২৮ অক্টোবর থেকে রাজনৈতিক সহিংসতা- নাশকতার অভিযোগে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ৮২০
১ বছর আগে
স্মার্ট কন্স্যুলার সেবা সময় ও খরচ কমাবে:পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এখন থেকে সেবাগ্রহীতারা সহজে এই গুরুত্বপূর্ণ স্মার্ট কন্স্যুলার সেবা পাবেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এটি সেবাগ্রহীতাদের সময় ও খরচ কমাবে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কন্স্যুলার লাউঞ্জে ‘জার্নি টোয়ার্ড স্মার্ট কনস্যুলার সার্ভিস’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামীতে বিদেশে বাংলাদেশের সব মিশনে গুণগত সেবার মান আরও বাড়ানো হবে। এজন্য সার্ভার আপগ্রেডেশনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য কন্যা অটিজম ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের মর্যাদা নতুন উচ্চতায় আসীন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কন্স্যুলার সেবা স্মার্ট হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ দালালদের খপ্পর থেকে বাঁচবেন। তিনি বলেন, প্রবাসীদের সুবিধার্থে ইংল্যান্ড, সৌদি আরব, ইতালিসহ ৮টি দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনকে হারাতে চাইলে টাকার ঝুড়ি ও সাশ্রয়ী প্রস্তাব নিয়ে আসুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মহাপরিচালক (আইসিটি) ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (সমুদ্রবিষয়ক ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম, মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডি এম সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, মহাপরিচালক (কনস্যুলার) শাহ্ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর, এটুআই এর উপসচিব সালাহ উদ্দিন বক্তৃতা করেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট বাংলাদেশ স্লোগানকে সামনে রেখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্মার্ট কন্স্যুলার সেবা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এটুআই এর সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ কনস্যুলার ডকুমেন্টের সত্যায়নে বারকোডিং প্রথা চালু করেছে। এ ছাড়া দেশের সরকারি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় কাজে বিদেশে সফরের নিমিত্ত ভিসাপ্রাপ্তি ত্বরান্বিত করার জন্য নোট ভারবাল ও লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন অনলাইনভিত্তিক করা হয়েছে। খুব শিগগিরই বিদেশে গমনইচ্ছুক ছাত্রছাত্রী ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সেবাটি অনলাইন করা হবে।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী কয়েকটি দেশ মানবাধিকার, গণতন্ত্র, নির্বাচনকে শোষণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট দেশ হবে: পলক
তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশ হিসেবে পরিচিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়নের পর সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগ ও আইবিএর অধীনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত একটি কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৭ দিন বন্ধ থাকবে সোনাহাট স্থলবন্দর
পলক বলেন, সরকার স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মসূচি গ্রহণকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ বাংলাদেশকে বুদ্ধিমান ও উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন জাতি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, সরকার স্মার্ট নাগরিক তৈরির জন্য ইতোমধ্যে স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি (এসএলএ) স্থাপন করেছে। একই সঙ্গে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান।
পলক বলেন, আইটি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং মধ্যম স্তরের ব্যবস্থাপক তাদের কোম্পানির ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তিনি বলেন, অ্যাডভান্সড সার্টিফিকেট ফর ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনালস- এর অধীনে মধ্যম স্তরের ব্যবস্থাপকদের বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের জন্য তাদের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
ঢাবি অধ্যাপক মোহাম্মদ এ মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপউপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, আইবিএর অধ্যাপক শাকিলা ইয়াসমিন, বিশ্বব্যাংকের অপারেশন ম্যানেজার বাংলাদেশের গেইল মার্টিন এবং এডিজিইর প্রকল্প পরিচালক নাহিদ সুলতানা মল্লিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাডভান্সড সার্টিফিকেট ফর ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনালস (এসিএমপি ৪.০) কোর্সের অধীনে আইটি কোম্পানির ৩০৬ জন মধ্যম স্তরের ব্যবস্থাপক প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন।
এর আগে, সিইওসহ মোট ৮৫৫ জনকে একই কোর্সে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।
তাদের মধ্যে দুইজন রুমান ইশতিয়াক এবং সামিনা মুস্তারিন অ্যাডভান্সড সার্টিফিকেট ফর ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনালস (এসিএমপি ৪.০) কোর্সের অধীনে তাদের প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও সিইআরটি নির্দেশনা না মানায় সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য ফাঁস: পলক
ঈদুল আযহা উপলক্ষে ৫দিন সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর বন্ধ থাকবে
১ বছর আগে
বিচার বিভাগকে স্মার্ট করতে পদক্ষেপ নিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। এখন আমাদের ভিশন ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার। আমরা বিচার বিভাগকে স্মার্ট করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে ‘স্মৃতি চিরঞ্জীব’ স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করেন এবং সুপ্রিম কোর্টের ১৪ তলা রেকর্ড ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের সমাবেশের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত
শেখ হাসিনা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে থাকবে স্মার্ট জনগণ, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ। তাই এক্ষেত্রে একটি স্মার্ট বিচারব্যবস্থা খুবই প্রয়োজন। আপনারা এরমধ্যে এ বিষয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে একটি আইন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে মামলাজট তীব্র হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভার্চুয়াল আদালত ব্যবস্থা প্রবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, ভার্চুয়াল আদালত ব্যবস্থার কারণে আজ মামলাজট লাঘব হয়েছে।
তিনি বলেন, আজ মামলাগুলো নিষ্পত্তি হচ্ছে এবং জনগণ দ্রুত বিচার পাচ্ছে (ভার্চুয়াল আদালতের কারণে)।
তিনি বলেন, জনগণ তার সরকারের তৈরি ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ভোগ করছে।
এ ছাড়া ভার্চুয়াল আদালতের ব্যবস্থা করে মামলারজট হ্রাস করার জন্য বিচারকদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী ।
তিনি বলেন, এখন তালিকা অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে এবং লোকেরা এটি তাদের বাড়িতে বসেই দেখতে পাবে।
তিনি বলেন, ভার্চুয়াল আদালতে বাংলায় রায় প্রদানের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আদালতের রায় নিষ্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে দেওয়া হয়। প্রত্যেকেই তাদের মামলার আপডেট জানতে পারে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি এই পদক্ষেপগুলো এদেশের মানুষের জন্য ন্যায়বিচার পাওয়া খুব সহজ করে তুলছে। তাই জনগণের মধ্যে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশ্বাস ও আস্থা ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, জনগণের ন্যায়বিচার, গণতান্ত্রিক অধিকার, আর্থ-সামাজিক অধিকার, সাংস্কৃতিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ তার নিজস্ব গতিতে দ্রুত এগিয়ে যাবে।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মমতাজউদ্দিন ফকির।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০.৩৯ শতাংশ
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম
১ বছর আগে
‘জরুরি পরিচালন কেন্দ্র’ স্মার্ট ঢাকা বাস্তবায়নকে নতুন ধাপে উন্নীত করেছে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, জরুরি পরিচালন কেন্দ্রসহ পাঁচটি কেন্দ্রের উদ্বোধন ডিএসসিসিকে স্মার্ট ঢাকা হিসেবে বাস্তবায়নকে নতুন ধাপে উন্নীত করেছে।
এছাড়াও এখন থেকে জরুরি পরিচালন কেন্দ্র থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র।
সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে ডিএসসিসি প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে দুর্যোগ মোকাবিলায় ‘জরুরি পরিচালন কেন্দ্র’, নগর কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, নগর উপাত্ত কেন্দ্র, নিরাপত্তা ও অন্তর্জাল কেন্দ্র এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রেরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এসব বলেন।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা: শুনানি ১৪ আগস্ট
তাপস বলেন, জরুরি পরিচালন কেন্দ্রসহ পাঁচটি কেন্দ্রের উদ্বোধনের মাধ্যমে আজ আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি উচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করতে পারছি। সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি উচ্চতর শিখরে আমরা পৌঁছাতে পেরেছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে রূপকল্প দিয়েছেন, সেই স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ঢাকা গড়ার একটি নতুন ধাপে আমরা উন্নীত হতে পেরেছি।
এ পরিচালন কেন্দ্রের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছি মন্তব্য করে ডিএসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন, অত্যাধুনিক সব সরঞ্জাম দিয়ে এই জরুরি পরিচালন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রিয়েল টাইম অর্থাৎ দুর্যোগ সংক্রান্ত সব তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে আমরা পেয়ে যাবো। যেমন, আপনার লক্ষ্য করেছেন, আমি এখন কথা বলছি।
তিনি বলেন, এখন যদি কোথাও ভূমিকম্প হয়, ঢাকা বা বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের যে কোনো জায়গায় ভূমিকম্প হয়, আমি কিন্তু সেটার বিস্তারিত বিবরণসহ তাৎক্ষণিক তথ্যটা পেয়ে যাচ্ছি যে কোথায় ভূমিকম্প হচ্ছে।
তিনি বলেন, তেমনি আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত তথ্য, বন্যার তথ্যসহ দুর্যোগজনিত প্রায় সব তথ্যই কিন্তু আমরা সঙ্গে সঙ্গে এই পরিচালন কেন্দ্রে পেয়ে যাচ্ছি। আর তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কী কী জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে, সেগুলো কিন্তু আমরা এখানে বসেই বিচার-বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করতে পারব।
সুতরাং আজকে এই কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে আমরা আরও একধাপ এগিয়ে গেলাম।
আরও পড়ুন: ২ দিনের মধ্যে কোরবানি সম্পন্ন করতে মেয়র তাপসের আহ্বান
ডেইলি স্টারকে মেয়র তাপসের ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নোটিশ
১ বছর আগে
দৈনন্দিন প্রযুক্তির কাজকে সহজ করবে ৫ 'লাইফ হ্যাক'
প্রযুক্তি যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজকে সহজ করেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এও ঠিক যে প্রাযুক্তিক নানা সুযোগ-সুবিধার কারণে প্রতিযোগিতাও বেড়েছে বহুগুণে, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে। এই সুযোগ-সুবিধাগুলো ব্যবহার করে যারা অল্প সময়ে অন্যদের আগেই কাজ শেষ করেন তাদেরকে বলা হয় 'স্মার্ট'।
শুধু বাহবা পাওয়ার জন্য নয়, কর্মদক্ষতা বাড়াতে ও যেকোনো কাজ সহজে করতে জানতে হবে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার। যাকে বলা হয় 'লাইফ হ্যাক'। আজকের আয়োজনে থাকছে সেরকম ৫ লাইফ হ্যাক।
অতিথিদের জন্য ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড
শহরাঞ্চলের অধিকাংশ ঘরেই ব্রডব্যান্ড সংযোগ রয়েছে। তাই বন্ধু বা অতিথি যে-ই আসুক, তাদের প্রথম আবদার থাকে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড। আপনি হয়তো কোনো কাজে ব্যস্ত, তাই পাসওয়ার্ড মুঠোফোনে নিজে থেকে দিতে পারছেন না। আবার পাসওয়ার্ড না বললে মনখারাপ করারও একটা সম্ভাবনা থেকে যায়। এর সহজ সমাধান পাওয়া যাবে কিউআইএফআই ডট অর্গ-এ (qifi.org)। এই ওয়েব ঠিকানায় প্রবেশ করে রাউটারের নেটওয়ার্ক নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে 'জেনারেট' বাটনে চাপলেই পাওয়া যাবে একটি কিউআর কোড। যা প্রিন্ট করে দেয়ালে লাগিয়ে দেয়া যেতে পারে। পরবর্তীতে যার পাসওয়ার্ড প্রয়োজন হবে তিনি শুধু কোডটি স্ক্যান করবেন।
আরও পড়ুন: কীভাবে চাকরির ইন্টারভিউতে সফল হবেন: গুরুত্বপূর্ণ ১০টি টিপস
টাইপের পরিবর্তে মুখে বলে বাঁচানো যাবে সময়
মুঠোফোন ও কম্পিউটার মিলিয়ে প্রতিদিন যে কত শত শব্দ টাইপ করতে হয় তার ইয়ত্তা নেই। হাতকে কিছুটা আরাম দিতে মুখে উচ্চারণ করেও টাইপের কাজ করা সম্ভব। এই সুবিধা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও গুগল ডকস উভয় সফটওয়্যারেই আছে।
ওয়ার্ডে সুবিধাটি পাওয়া যাবে 'ডিকটেশন' অপশনে। ডিকটেশন টুলবার হোম মেন্যুতে অথবা কি-বোর্ডের উইন্ডোজ ও এইচ কি (Win + H) চেপেও পাওয়া যাবে।
গুগল ডকসে 'টুলস' মেন্যুতে রয়েছে ভয়েস টাইপিং অপশন। ওয়ার্ড ও ডকস উভয়ক্ষেত্রে মাইক্রোফোনের আইকন থাকবে। আইকনটি চাপলেই আপনার কথাগুলো লেখায় পরিণত হবে। বিরামচিহ্ন দেয়ার সময় তুলনামূলক স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করতে হয়।
গুনগুন করে খুঁজুন পছন্দের গান
ঘরে ফিরছেন। রাস্তায় একটি গানের কিছু অংশ শুনে বেশ ভালো লাগল। কিন্তু গানের নাম জানেন না। সুর মনে আছে। সেটিই যেন সারাক্ষণ মাথায় বাজছে। না শোনা পর্যন্ত স্বস্তি পাচ্ছেন না। এর সমাধান আছে মিডোমি (midomi.com) নামের ওয়েবসাইটে। সাইটটিতে যেয়ে বৃত্তাকার একটি আইকন পাওয়া যাবে। যা নির্বাচন করলেই চালু হবে। এখন আপনাকে শুধু ওই গানের সুর মাইক্রোফোনে গুনগুন করতে হবে। এটুকুই। আপনার গুনগুন থেকেই সম্ভাব্য ফলাফল দেখাবে। গুনগুন করা হলে আবারও আইকনটি চেপে বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
৬ কি-বোর্ড শর্টকাট বাঁচাবে সময়
Win + D: একাধিক অ্যাপলিকেশন বা উইন্ডো কেটে বা মিনিমাইজ করে ডেস্কটপে যাওয়া বেশ বিরক্তি কর। উইন্ডোজ ও ডি চাপলেই নিমিষেই চলে যাবে ডেস্কটপে।
Spacebar: কোনোকিছু ব্রাউজ করার সময় স্পেসবার চেপে নিচের দিকে স্ক্রল করা যাবে।
Shift + Spacebar: একইভাবে এই দুইটি কি চেপে উপরের দিকে স্ক্রল করা যাবে।
Win + Left/Right Arrow: একাধিক উইন্ডোতে কাজ করার সময় বারবার কারসন না নাড়িয়ে কি-বোর্ডের উইন্ডোজ ও লেফট/রাইট কি চেপে পাশাপাশি উইন্ডো নির্বাচন করা যাবে।
Alt + Tab: অল্ট কি চেপে ধরে ট্যাব কি তে চাপলে খোলা একাধিক উইন্ডোতে সহজেই যাওয়া যাবে।
Win + L: গোপনীয়তা রক্ষার জন্য অনেক সময় দ্রুত স্ক্রিন লক করার প্রয়োজন হতে পারে। কি-বোর্ড থেকে এই দুইটি কি চাপলে সঙ্গে সঙ্গে স্ক্রিন লক হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: চাকরি প্রার্থীদের সফল সিভি তৈরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
ব্রাউজারের ট্যাবেই দেখা যাবে টাইমার
কাজের গতি বজায় রাখতে টাইমারকে অনেক সময় তুলনা করা হয় কোচের সঙ্গে। কিন্তু কম্পিউটারে কাজ করার সময় ঘটে বিপত্তি। ব্রাউজারে কাজ করার সময় বারবার উইন্ডো পরিবর্তন করে দেখে আসতে হয় টাইমার। কাজটিকে সহজ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে ই.জিজি টাইমার (e.ggtimer.com)।
ওয়েবসাইটটিতে গেলেই পছন্দমতো সময় বেঁছে নেয়া যাবে। পাশেই থাকা 'স্টার্ট' বাটনে চাপলেই শুরু হয়ে যাবে সময় গণনা। ট্যাব না খুলেও দেখা যাবে টাইমার।
১ বছর আগে
সিঙ্গাপুরে স্মার্ট বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
সিঙ্গাপুরে ডিজিটাল ইনোভেশন কংগ্রেসে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে ২০৪১ সালের জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী, উন্নত অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মপরিকল্পনা ও ডিজিটাল বাংলাদেশের সফলতাও তুলে ধরেন পলক।
শুক্রবার সিঙ্গাপুর ম্যারিনা বে সেন্ড হোটেলে চলমান তিন দিনের ‘হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক ডিজিটাল ইনোভেশন কংগ্রেসে ২০২২’ এর দ্বিতীয় দিনের প্রথম টেকনিকেল সেশনে তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন এজন্য ২০৩১ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্র অর্জন ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত আয় নিশ্চিতকরণ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ জ্ঞানভিত্তিক, উচ্চ অর্থনীতির উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এর ফলে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়াবে ১২ হাজার ৫০০ ডলার। গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তন আসবে।’
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পলকের বৈঠক
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও মতাদর্শ অর্থনৈতিকভাবে উন্নত ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে মাত্র ১৩ বছরে প্রতিটি ইউনিয়নের ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি পৌঁছে গেছে। ৯০ শতাংশ সরকারি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে।’
বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের রূপান্তরিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখতে এরই মধ্যে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ডিজিটাল সেতুবন্ধন রচনায় একটি সুরক্ষিত ক্লাউড অবোঠামো তৈরি করেছে আইসিটি বিভাগ। এই অবকাঠামোতে ইতোমধ্যেই ৩০টির বেশি বিভাগ, ৫০টির বেশি প্রকল্প অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। ৫০ শতাংশ দক্ষতার উন্নয়ন ঘটেছে। আইটিইউ এর গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি সূচকে ২৫ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।’
আরও পড়ুন: মাইক্রোসফটের উদ্ভাবন কার্যক্রম পরিদর্শন প্রতিমন্ত্রী পলকের
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের আইটি ও আইটিএস খাতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা এখন ক্রমেই বাড়ছে। ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর গড়ে ১০ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এরমধ্যে ই-কমার্স খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬২৪ শতাংশ। এই ধারাবাহিকতায় আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে স্থানীয় ই-কমার্স খাতে প্রবৃদ্ধি হবে ৮০ শতাংশ। দেশের ৭২ শতাংশ লেনদেন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল মাধ্যমে হওয়ায় ডিজিটাল অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫০০ শতাংশ। ডিজিটাল ডিভাইস বাজারে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে গড়ে ২৯ শতাংশ হারে। দেশের ২৫০০টির বেশি স্টার্টআপ দেশে একটি উদ্যোক্তা সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করেছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই প্রযুক্তি নির্ভর উদ্যোক্তা।’
পলক বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে সঙ্গে নিয়েই বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে রূপান্তরিত হবে। স্বাভাবিক গতিতেই যেনো এই রূপান্তর সম্ভব হয়, সেজন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে তরুণদের উদ্ভাবনকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের নিয়েই ২০৪১ সালে অর্থনীতি শক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ২৩তম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। জিডিপিতে আইসিটির অবদান বেড়ে দাঁড়াবে ২০ শতাংশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশের উদ্ভাবক এবং উদ্যোক্তারাই হবে গেম চেঞ্জার। এজন্য আইডিইএ প্রকল্পের মাধ্যমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষাবিদ, অ্যাক্সেলেরেটস ও ইনকিউবেটরসদের মধ্যে একটি ইকোসিস্টেম তিরি করছে সরকার।’
সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী,সরকারি ও বেসরকারি নীতিনির্ধারণী ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: দেশে ভার্চুয়াল বিজনেস প্রেজেন্স প্ল্যাটফর্ম প্রবর্তন করা হচ্ছে: পলক
২ বছর আগে