বাদী
নেত্রকোণায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
নেত্রকোণার আটপাড়ায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার আসামি দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪।
শনিবার দিবাগত রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর থানার জৈনা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া দুইজন হলেন- আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের পালগাও গ্রামের শাহজাহানের দুই ছেলে মো. অসীম ও মো. রাজু মিয়া।
আরও পড়ুন: রংপুরে রেস্টুরেন্টের আড়ালে মাদকের ব্যবসা, গ্রেপ্তার ৫
র্যাব-১৪ এর সদর ব্যাটালিয়নের অপারেশনস্ অফিসার উপপরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সেলিনা আক্তার ও তার স্বামীর সঙ্গে আসামিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মামলা মোকদ্দমা চলছিল।
তিনি জানান, ঘটনার কিছুদিন আগে সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন তাদের বিরুদ্ধে। তবে আসামিদের দাবি এটি মিথ্যা মামলা। আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি রাতে ঘর থেকে বের করে বাড়ির উঠানে সেলিনা আক্তারকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।
আনোয়ার হোসেন আরও জানান, পরে পুলিশের সহায়তায় ভুক্তভোগীকে প্রথমে আটপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেলিনা আক্তারকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের ননদ বেদেনা আক্তার বাদী হয়ে ৮ জানুয়ারি এজাহারনামীয় ১০ জনসহ অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচজনকে জনকে আসামি করে আটপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে আসামিরা পলাতক ছিল। আটক দুইজনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ঘুমন্ত স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী গ্রেপ্তার
নেত্রকোণায় ধর্ষণ মামলার বাদীকে কুপিয়ে হত্যা, ২ ভাই গ্রেপ্তার
৯ মাস আগে
গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে হত্যার অভিযোগ চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে
বগুড়ায় পাওনা ১০ হাজার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে তাছলিমা নামে এক গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিাযোগ উঠেছে চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এদিকে এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পরে চাচাত ভাই শাকিব উদ্দিন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লোহার হাতুড়ি, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার শাকিব বগুড়া সদরের রাজাপুর এলাকার আনিছার রহমানের ছেলে এবং পেশায় ইজিবাইক চালক।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ, দুই যুবককে হত্যার অভিযোগ
বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে বাড়ি থেকে ইজিবাইক নিয়ে বের হন শাকিব। তার ইজিবাইকে সমস্যা দেখা দিলে নিশিন্দারা মধ্যপাড়ায় তার প্রতিবেশী চাচাত বোন তাছলিমার বাড়িতে যান। তাছলিমার কাছে হাতুড়ি নিয়ে শাকিব অটোরিকশা মেরামত করেন। তাছলিমা তাকে চানাচুর-বিস্কুট খেতে দেন। সোফায় বসে কথা বলার এক পর্যায়ে তাছলিমা শাকিবকে ধার দেওয়া ১০ হাজার টাকা ফেরত চান। টাকা দিতে দেরি হবে জানালে শাকিবের সঙ্গে তাছলিমার কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতুড়ি দিয়ে তাছলিমার মাথায় কয়েকটি আঘাত করেন শাকিব। মেঝেতে পড়ে তাছলিমার মৃত্যু হলে শাকিব তার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যান।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, পরে তাছলিমার স্বামী সিরাজুল রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়িতে ফিরলে তাছলিমার রক্তাক্ত লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে এবং ছেলে কাজিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে ওইদিন রাতেই শাকিবকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিাযোগ
গাজীপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা
১ বছর আগে
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে ক্ষেতলাল উপজেলার আলম খাঁ হত্যা মামলায় শাহিন নামে একজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দিন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এদিকে টাকার বিনিময়ে মামলাটি আপোষের নামে আসামিদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া ও সেই তথ্য আদালতে গোপন করার দায়ে মামলার বাদি আনজুয়ারাকে ৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত শাহিন ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মৃত মনির উদ্দীনের ছেলে। আর আনজুয়ারা একই গ্রামের আলম খাঁর স্ত্রী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের আলম খাঁর কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা ধার নেন শাহিন। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ২০০৬ সালের ২০ মে রাতে আলমকে বাড়ি থেকে ডেকে শাহিন তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে শ্বাসরোধ করে বাড়ির পাশে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ক্ষেতলাল থানায় ৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করলে শাহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য আসামিদের মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ইসলাম বিরোধী মন্তব্য করার দায়ে হিন্দু যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
১ বছর আগে
আরাভ খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান ওরফে মামুন হত্যা মামলায় আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
মামলাটির বাদী জাহাঙ্গীর আলম পুলিশ পরিদর্শক মামুনের বড় ভাই।
মঙ্গলবার ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদেরের আদালতে জাহাঙ্গীরকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলে আবেদন করা হয়েছে: আইজিপি
এদিন তার জেরা শেষ হওয়ায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৪ জুন নতুন দিন ধার্য করেন বিচারক।
এর আগে গত বছরের ২৮ জুলাই মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলমের জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।
বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলায় ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে একজনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
এদিন কারাগারে আটক ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের উপস্থিতিতে বাদীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
এ মামলার আসামিদের মধ্যে রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া পলাতক রয়েছেন।
অন্য আসামিরা হলেন-রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হাসান ও দিদার পাঠান।
২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর বনানীতে খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন। ঘটনার তিনদিন পর তার ভাই জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন বনানী থানায়।
তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় রহমত উল্লাহ, রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে হৃদিসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: আবারও পেছাল আ. লীগ নেতা কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, বনানীর ২ নম্বর সড়কের ৫ নম্বরের ওই বাসায় নিয়ে আসামি দিদার, স্বপন, রহমত উল্লাহ পুলিশ কর্মকর্তা মামুনের হাত-পা বেঁধে ফেলেন।
পরে ওই তিন আসামির সঙ্গে মিজান, আতিক ও সারোয়ার যুক্ত হয়ে মামুনকে নির্দয়ভাবে মারতে থাকেন। এতে মামুন অজ্ঞান হয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে আসামি কেয়া (রবিউলের স্ত্রী) বাসা থেকে চলে যান। রাতের কোনও একসময় সেখান থেকে রবিউলও চলে যান।
গভীর রাতে আসামি আতিক আসামি স্বপনকে ডেকে বলেন, ‘দাদা, দেখেন তো পুলিশ কর্মকর্তার হাত-পা কেমন শক্ত মনে হচ্ছে।’ ভোরবেলায় তারা নিশ্চিত হন যে মামুন মারা গেছেন। মামুন মারা যাওয়ার পর রহমত সবাইকে বলেন, লাশ গুম না করলে তারা সবাই বিপদে পড়ে যাবেন। কারণ, মামুন তার বন্ধু। তিনি মামুনকে ফোন করে ডেকে এনেছেন। রহমত উল্লাহর মুঠোফোনের শেষ কলটিও তার (মামুনের)। তখন স্বপন মুঠোফোনে রবিউলকে মামুনের মৃত্যুর বিষয়টি জানান।
স্বপন বলেন, ‘এখন আমরা কী করবো? আপনি সকালে এখানে আসেন।’
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, দুটি বস্তা ও একটি সাদা কাপড় নিয়ে বাসার নিচে আসেন রবিউল। তার কাছ থেকে বস্তা নিয়ে বাসার ওপরে যান দিদার। এসময় রহমত উল্লাহ, আতিক ও মিজানকে সঙ্গে নিয়ে বাসার নিচে গিয়ে তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি লিফটের দরজার কাছে নিয়ে রাখেন।
সকাল সাতটার দিকে স্বপন, দিদার ও আতিক মিলে মামুনের লাশ লিফটে করে নিচে নামান। সবাই মিলে গাড়ির পেছনের অংশে লাশ তোলেন। পরে রহমত উল্লাহ ওই গাড়ি চালিয়ে বনানীর রাস্তায় যান। গাড়িতে ছিলেন দিদার, স্বপন ও আতিক। সেখানে রবিউল তার স্ত্রী কেয়াকে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলসহ অপেক্ষায় ছিলেন। পরে সেখান থেকে রবিউলের মোটরসাইকেল অনুসরণ করে রহমত উল্লাহ গাড়ি চালাতে থাকেন।
খিলক্ষেতের একটি পাম্পে গিয়ে মোটরসাইকেলে তেল নিয়ে রবিউল ফিরে আসেন। আর গাড়ি নিয়ে রহমত যান গাজীপুরের দিকে। এ সময় রবিউলের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে কথা বলেন দিদার ও স্বপন। গাজীপুরের শিমুলতলীতে দিদার, স্বপন ও আতিক একটি দোকান থেকে সাত লিটার পেট্রোল কেনেন। রবিউল আসামি স্বপনের মুঠোফোনে টাকা পাঠান।
পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে উলুখোলা থেকে আবদুল্লাহপুর যাওয়ার পথে একটি বাঁশবাগানে পেট্রোল ঢেলে মামুনের লাশ পুড়িয়ে দেয়া হয়। এরপর গাড়ি নিয়ে সবাই ঢাকায় ফিরে আসেন।
ঘটনার তিন দিন পর ১০ জুলাই গাজীপুরের একটি জঙ্গলে পুলিশ পরিদর্শক মামুনের লাশের হদিস মেলে।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
১ বছর আগে
কাশিমপুর কারাগারের হাজতির সঙ্গে বাদীর বিয়ে!
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এ থাকা বন্দি হাজতির সঙ্গে মামলার বাদীর বিয়ে হয়েছে। উচ্চ আদালতের আদেশে গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাদী ও আসামিপক্ষের স্বজন ও তাদের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বর নাঈম মিয়া (২৩) কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর গ্রামের শাহেদ মিয়ার ছেলে। কনের (১৯) বাড়িও একই এলাকায়।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার মো. নুরুন্নবী ভূঁইয়া জানান, রাজধানীর মিরপুর থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারের পর নাঈমকে ২০২০ সালে ঢাকা থেকে কাশিমপুর কারাগারে আনা হয়। শুক্রবার বিকালে কারাগারের অফিস রুমে উভয় পরিবারের স্বজন ও আইনজীবীদের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।
বিয়ের পর নববধূ বরের স্বজনদের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি চলে যান।
২ বছর আগে