ঢাকা কুরিয়ার
চীনে ওয়ার্ল্ড মিডিয়া সামিটে ইউএনবি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এনায়েতউল্লাহ খান
চীনের দক্ষিণাঞ্চলের গুয়াংডং প্রদেশের গুয়াংজুর নানশা বে মেরিনা কনভেনশন সেন্টারে চলমান পঞ্চম ওয়ার্ল্ড মিডিয়া সামিটে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউএনবি ও ঢাকা কুরিয়ারের প্রধান সম্পাদক এনায়েতউল্লাহ খান।
শুক্রবার শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী সামিটে কসমস গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ খান তার সঙ্গে রয়েছেন।
ইউএনবি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড বেসরকারি সংবাদ সংস্থা কসমস গ্রুপের মিডিয়া শাখা।
বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় সংবাদদাতা ও সাংবাদিকদের একটি প্রতিষ্ঠিত নেটওয়ার্ক হিসেবে ইউএনবি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ২০ মিলিয়নেরও বেশি পাঠকের কাছে সংবাদ ও তথ্যের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য উৎস হিসেবে স্বীকৃত।
ইউএনবির প্রতিনিধিরা সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং আগামী দিনের বিভিন্ন সুযোগ ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে বৈশ্বিক মিডিয়া আউটলেটের অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া দেশটির গুয়াংডং প্রদেশের গুয়াংজু শহর এবং ইউনান প্রদেশের কুনমিং শহরে ২-৮ ডিসেম্বর ওয়ার্ল্ড মিডিয়া সামিট আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড মিডিয়া সামিটে যোগ দিতে গুয়াংজুতে ইউএনবির প্রধান সম্পাদক এনায়েতউল্লাহ খান
১ বছর আগে
ঢাকায় রোমানিয়ান জাতীয় দিবস উদযাপিত
রোমানিয়ার ১০৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বারিধারায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত রোমানিয়ার অনারারি কনসাল এবং ইউএনবি ও ঢাকা কুরিয়ারের প্রধান সম্পাদক এনায়েতউল্লাহ খান বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) তার বাসভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
শুরুতে বাংলাদেশ ও রোমানিয়ার মধ্যকার ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক এবং আসন্ন ডিসেম্বর মাসের গুরুত্ব তুলে ধরে এনায়েতউল্লাহ খান বলেন, বাংলাদেশ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করেছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
ড. ইফতেখার উল্লেখ করেন, এনায়েতউল্লাহ খান সম্প্রতি নাইট পদমর্যাদায় রোমানিয়ান ন্যাশনাল অর্ডার ফর মেরিটে ভূষিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আপনি সত্যিই এর যোগ্য।’
আরও পড়ুন: রোমানিয়ার জাতীয় দিবস উদযাপিত
রোমানিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ ও রোমানিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং উচ্চ পর্যায়ের সংলাপে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য উচ্চ প্রশংসার নিদর্শন স্বরূপ খানকে এই সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এই পুরস্কার প্রদান করেন রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট। ন্যাশনাল অর্ডার ফর মেরিট রোমানিয়ায় প্রদত্ত গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক বা সামরিক পরিষেবাগুলিকে স্বীকৃতি দেয়।
ড. ইফতেখার বলেন, বাংলাদেশ ও রোমানিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক এখন অনেক শক্তিশালী হয়েছে। সাংস্কৃতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক এবং শ্রম খাতে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে কাজ হচ্ছে।
‘রোমানিয়া একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, খান বাংলাদেশে রোমানিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে অসাধারণ কাজ করছেন।
তিনি ২০২১ সালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সফর এবং এই সফরের ফলাফলের কথাও স্মরণ করেন, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও জোরদার করেছে।
শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা, শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সাবেক বেসামরিক ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেট ইউনিয়ন দিবসকেই রোমানিয়ার জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। ১৯১৮ সালের এই দিনে ট্রান্সিলভানিয়ার পাশাপাশি রোমানিয়ান রাজ্যের সঙ্গে বেসারাবিয়া ও বুকোভিনা প্রদেশের একত্রীকরণ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ২ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উপহার দিবে রোমানিয়া
মোটরসাইকেলে ২৯ দেশ পেরিয়ে রোমানিয়ার তরুণী এখন সাতক্ষীরায়
১ বছর আগে
সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়ার যৌথ বৃহত্তর কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে: রাষ্ট্রদূত সুবোলো
বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়ার প্রকৃত অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করতে এবং আরও ভালোভাবে এগিয়ে নিতে দুই দেশের জাতীয় ক্ষমতার সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্ত করে ‘বৃহত্তর কর্মপরিকল্পনার’ পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু এইচ সুবোলো।
বাংলাদেশে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ আছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত সুবোলো বলেন, এখানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা ‘অনেক বেশি বিস্তৃত’।
বুধবার ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত কসমস ডায়ালগের সর্বশেষ পর্বে মূল বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়াকে মূলত নিজেদের অন্যতম বন্ধু ও অংশীদার হিসাবে দেখতে হবে। কেননা বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়াকে একসঙ্গে সমৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়ালগের প্রিমিয়ার বুধবার
দুই দেশ তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এই সম্পর্ক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব জোরদার, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও ডিজিটাল অর্থনৈতিক পরিবেশকে আরও গভীর করা, জ্বালানি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণে বিনিয়োগ এবং জনগণকে তাদের ক্ষমতার সঙ্গে সংযুক্ত করার সুযোগ দিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়ার কৌশলগত ও নেতৃস্থানীয় শিল্পের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বাজার।
কসমস গ্রুপের জনহিতকর শাখা কসমস ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ক: ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস’ শীর্ষক এই সংলাপটির আয়োজন করা হয়।
কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান সংলাপে সূচনা বক্তব্য রাখেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: কসমস আতেলিয়ার৭১ এর আয়োজনে 'আর্টিস্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. লাইলুফার ইয়াসমিন, কসমস ফাউন্ডেশনের সম্মানিত উপদেষ্টা ইমেরিটাস রাষ্ট্রদূত (অব.) তারিক এ করিম ও ঢাকা কুরিয়ারের নির্বাহী সম্পাদক শায়ান এস খান আলোচক প্যানেলে যোগ দেন।
সেশনে আরও বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
২ বছর আগে