ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী
বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের সুরক্ষায় জোর সাবেক দুই মার্কিন রাষ্ট্রদূতের
স্বাধীনতার অধিকার, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের সুরক্ষায় জোর দিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দুই রাষ্ট্রদূত বলেছেন, অধিকারের সঙ্গে দায়িত্বের বিষয়টিও চলে আসে। একটি চমৎকার সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সুরক্ষায় আরও বেশি অবদান রাখার মধ্য দিয়ে আমরাও এই যাত্রার অংশ হতে চাই।
সম্প্রতি রাজধানীর বারিধারার গার্ডেন গ্যালারি কসমসে ‘মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর ভূমিকা: জুলাই বিপ্লবের আগে-পরে’ শিরোনামের একটি সংলাপে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তারা।
সাবেক এই দুই রাষ্ট্রদূত হলেন দক্ষিণ এশিয়া ও পশ্চিম আফ্রিকা-বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কূটনীতিক উইলিয়াম বি মাইলাম ও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা জন এফ ড্যানিলোভিচ।
ওয়াশিংটনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা রাইট টু ফ্রিডমেরও প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম বি মাইলাম। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি।
আলোচনায় সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন কসমস ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কসমস গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাসুদ জামিল খান। আরও বক্তব্য দেন ঢাকা কুরিয়ারের নির্বাহী সম্পাদক শায়ান এস খান এবং কসমস ফাউন্ডেশন ও বে অব বেঙ্গলের গবেষণা সহযোগী উমরান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ‘স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে’ উত্তরণে সফল হোক, চায় ইইউ
ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, “মুক্তচিন্তা ও স্বাধীনভাবে কথা বলার সব অধিকার কেড়ে নিয়েছিল দেড় দশকের লুণ্ঠনপরায়ণ রাজনীতি। তবে প্রবল বিক্ষোভের তোড়ে ভেসে গেছে তারা, যেটিকে ‘মনসুন বিপ্লব’ বলা হয়।”
তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে উত্তাল সাগর আর অস্থির জলরাশির ভেতর দিয়ে খুবই সতর্কতার সঙ্গে চলতে হবে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যস্থাকে এমন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, যা আমাদের জাতীয় লক্ষ্য ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সবচেয়ে উপযুক্ত বলে মনে হবে।’
৩৭ দিন আগে
সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়ার যৌথ বৃহত্তর কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে: রাষ্ট্রদূত সুবোলো
বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়ার প্রকৃত অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করতে এবং আরও ভালোভাবে এগিয়ে নিতে দুই দেশের জাতীয় ক্ষমতার সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্ত করে ‘বৃহত্তর কর্মপরিকল্পনার’ পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু এইচ সুবোলো।
বাংলাদেশে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ আছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত সুবোলো বলেন, এখানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা ‘অনেক বেশি বিস্তৃত’।
বুধবার ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত কসমস ডায়ালগের সর্বশেষ পর্বে মূল বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়াকে মূলত নিজেদের অন্যতম বন্ধু ও অংশীদার হিসাবে দেখতে হবে। কেননা বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়াকে একসঙ্গে সমৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়ালগের প্রিমিয়ার বুধবার
দুই দেশ তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এই সম্পর্ক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব জোরদার, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও ডিজিটাল অর্থনৈতিক পরিবেশকে আরও গভীর করা, জ্বালানি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণে বিনিয়োগ এবং জনগণকে তাদের ক্ষমতার সঙ্গে সংযুক্ত করার সুযোগ দিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়ার কৌশলগত ও নেতৃস্থানীয় শিল্পের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বাজার।
কসমস গ্রুপের জনহিতকর শাখা কসমস ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ক: ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস’ শীর্ষক এই সংলাপটির আয়োজন করা হয়।
কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান সংলাপে সূচনা বক্তব্য রাখেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: কসমস আতেলিয়ার৭১ এর আয়োজনে 'আর্টিস্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. লাইলুফার ইয়াসমিন, কসমস ফাউন্ডেশনের সম্মানিত উপদেষ্টা ইমেরিটাস রাষ্ট্রদূত (অব.) তারিক এ করিম ও ঢাকা কুরিয়ারের নির্বাহী সম্পাদক শায়ান এস খান আলোচক প্যানেলে যোগ দেন।
সেশনে আরও বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
১০৫৫ দিন আগে