ঘের ব্যবসায়ী
খুলনায় ঘের ব্যবসায়ীকে গলাকেটে হত্যা
খুলনার দৌলতপুরে আল আমিন (৩০) নামে এক মাছের ঘের ব্যবসায়ীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার (৩ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়া খানাবাড়ি এলাকার খানাবাড়ি রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আল আমিন খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা দিঘীর পূর্বপাড় এলাকার সাহেদ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন মাছের ঘের ব্যবসায়ী ছিলেন।
দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, উত্তর বণিকপাড়া খানাবাড়ি পল্লবের বাড়ি সংলগ্ন সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা আল আমিনকে হত্যা করে তার লাশ ফেলে রেখে যায়। রাতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: রংপুরের পীরগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা
ওসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি, কালো রঙের একটি পালসার মোটরসাইকেলসহ গলাকাটা অবস্থায় এক যুবকের লাশ বণিকপাড়া খানাবাড়ির সামনে পড়ে আছে। পরে জানতে পারি, মোটরসাইকেলটি চলন্ত অবস্থায় ছিল। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা কেউ বলতে পারছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধারালো অস্ত্র দিয়ে যুবকের গলাকাটা হয়েছে। তার পরনে ছিল গেঞ্জি ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট। ঘটনার পরপরই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।’
ওসি জাহিদুল জানান, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
১২৩ দিন আগে
সাতক্ষীরায় ঘের ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে এক চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সালাম সরদার (৬০) উপজেলার শ্রীউলা গ্রামের মৃত ছুরমান আলী সরদারের বড় ছেলে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার
নিহত সালাম সরদারের ভাই বাবু সরদার জানান, তার ভাই ৩০ বছর আগে শ্রীউলা থেকে চলে গিয়ে ১ কিলোমিটার দূরে কালিগঞ্জ উপজেলার ইউছুপপুর গ্রামে বাড়ি করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সেখানে তিনি একটি মুদি দোকানও পরিচালনা করেন। পাশাপাশি ঘের ব্যবসা করেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি খবর পান, শ্রীউলা গ্রামের সরকারি পুকুরের পাশে একটি শিশু গাছের ডালে বড় ভাই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পাওয়ার পরপরই তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে তার লাশ দেখতে পাই। তবে ভাইয়ের পা মাটির সঙ্গে লেগে ছিল।
তার অভিযোগ, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলে ভাইয়ের পা মাটিতে থাকার কথা না। পাশাপাশি তার জিহবা মুখের মধ্যে থাকার কথা না। তার ভাইকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান,লাশ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর জানা যাবে। এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
১২৮৮ দিন আগে