কুয়াকাটা
কুয়াকাটায় বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে 'গুরুপূজা' অনুষ্ঠিত
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ' বুদ্ধ পূর্ণিমা' উপলক্ষে ‘উপকূলের অলংকার’ খ্যাত রাখাইন সম্প্রদায় পালন করেছে 'গুরুপূজা '। শুক্রবার (৫ মে) দিনব্যাপী কুয়াকাটা সংলগ্ন লতাচাপলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় এ পূজা।
অনুষ্ঠানে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার বিভিন্ন এলাকার দুই শতাধিক রাখাইন অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া রাখাইনরা জানান, তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ' বুদ্ধ পূর্ণিমা' উপলক্ষে ধর্মীয় নিয়ম-নীতি অনুযায়ী নানা অনুষ্ঠান পালন করেছেন তারা।
এছাড়া গুরুপূজা উপলক্ষে শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রাখাইনদের মাঝে খাবার ও বিভিন্ন প্রকারের পিঠা বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপিত হচ্ছে আজ
১ বছর আগে
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো অর্ধগলিত ডলফিন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে গভীর রাতে ভেসে এসেছে অর্ধগলিত শুশুক প্রজাতির ডলফিন। ৯ ফুট ২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যর ডলফিনটির শরীরের অধিকাংশ চামড়া উঠে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে কুয়াকাটা ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন সৈকতে ডলফিনটি ভেসে এসেছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ব্যবসায়ী হোসাইন আমির বলেন, ‘রাত ১২ টার দিকে মৃত ডলফিনটি জোয়ারের স্রোতে ভেসে এসে ট্যুরিজম পার্ক সংলগ্ন সৈকতে আটকে পড়ে। এটির মাথায় ও লেজে জালে আটকানোর চিহ্ন রয়েছে।’
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ফিশ-এর ইকোফিশ-২ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা বলেন, ‘কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসা ডলফিনটি শুশুক প্রজাতির। এটি জেলেদের জালে আটকা পড়ে মারা যেতে পারে।’
বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন,‘আমি রাতে খবর পেয়ে ওখানকার বিট কর্মকর্তাকে মৃত ডলফিনটি বালুচাপা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো ২টি মৃত ইরাবতী ডলফিন
জেলের জালে বিরল প্রজাতির ডলফিন!
হালদা নদীতে বিপন্ন ডলফিন, রক্ষার উদ্যোগ নেই
১ বছর আগে
মামলা প্রত্যাহারে হুমকির অভিযোগ: কুয়াকাটার মেয়রের বিরুদ্ধে সমন জারি
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদারের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।
কুয়াকাটার কেরানীপাড়ার সুইচিং মং রাখাইন হত্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদীকে ভয়ভীতি দেখানো ও হুমকি দেয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই সমন জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে কলাপাড়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. মামুনুর রহমান এ আদেশ জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: রোজিনার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে পিরোজপুরে মানববন্ধন
মেয়র আনোয়ার হাওলাদার সুইচিং মং রাখাইন হত্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য তার বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় ২০২২ সালের ০৩ মার্চ মেয়রের বিরুদ্ধে কলাপাড়া আদালতে মামলা করেন তিনি।
মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত সিআইডি পরিদর্শক, পটুয়াখালী, মো. বাহাউদ্দিন ফারুকীকে বিজ্ঞ আদালতে এ বিষয়ে তদন্ত-পূর্বক রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন।
দীর্ঘ তদন্তের পর প্রতিবেদনে হুমকি দেয়ার সত্যতা উঠে আসায় আদালত কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে এ সমন জারির আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে মামলা প্রত্যাহারে চাপ, সহোদরাকে নির্যাতনের অভিযোগ
বরিশালের মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি
১ বছর আগে
শীতকালে বাংলাদেশে ভ্রমণের জনপ্রিয় ১০ স্থান
শীতকাল মানেই ভ্রমণের মৌসুম। যে সময়ে নেই ভয়াবহ গরমে ক্লান্ত হবার ভয়, নেই বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত সড়কের ঝামেলা। ক্রমাগত উষ্ণ হতে থাকা বাংলাদেশ, শীতকালে তার চিরাচরিত নয়নাভিরাম সৌন্দর্য ফিরে পায়। সেই সৌন্দর্যের মোহে আবিষ্ট হয়ে দীর্ঘ শিশির ভেজাপথ হেটে গেলেও ভর করবে না কোনো ক্লান্তি। তাই নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির সময়টিতে দেশ জুড়ে পড়ে যায় বনভোজনের ধুম। চলুন, শীতকালে নিরাপদে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি জনপ্রিয় স্থান সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
এই শীতে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের ১০টি জনপ্রিয় স্থান
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
কথা যখন পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ নিয়ে, তখন সেখানে কোনো সময়ের বাধাই মানা যায় না। তাই বছরের পুরোটা সময়ই দর্শনার্থীতে পরিপূর্ণ থাকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই অখণ্ড সৈকতে শুধু উত্তাল ঢেউয়ের দিকে তাকিয়েই কাটিয়ে দেয়া যায় সারাটা দিন।
ঢাকা থেকে স্থলপথে বাসযোগে ও আকাশপথে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়া যায়। ট্রেনে যেতে হলে আগে চট্রগ্রাম পর্যন্ত যেয়ে সেখান থেকে বাসে করে কক্সবাজার যেতে হবে। চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ অথবা দামপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে কক্সবাজার যাওয়ার বাস পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন: সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদী ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, কক্সবাজার
বাংলাদেশের এই একমাত্র প্রবাল দ্বীপকে স্থানীয়া নারিকেল জিঞ্জিরা বলে ডাকে। বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সর্ব দক্ষিণের মাত্র ১৭ বর্গ কিলোমিটারের এই ক্ষুদ্র দ্বীপটির অবস্থান কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে। একদিকে নিঃসীম নীল দিগন্তের কোণে ফেনিল সমুদ্রের মিশে যাওয়া, অন্যদিকে সারি সারি নারিকেল গাছ ঘেরা সাধারণ জীবন ভ্রমণ পিয়াসী মানুষকে অমোঘ আকর্ষণে কাছে টানে।
সেন্টমার্টিন যেতে হলে ঢাকা থেকে বাসে করে সরাসরি টেকনাফ পৌঁছে সেখান থেকে জাহাজে চড়ে সেন্টমার্টিন যাওয়া সবচেয়ে সুবিধাজনক। জাহাজগুলো সাধারণত নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন চলাচল করে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে জাহাজগুলো। আর ফেরত আসে বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে।
কুয়াকাটা, পটুয়াখালী
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ দর্শনীয় স্থান কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সমুদ্র সৈকতের অবস্থান পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার অন্তর্গত লতাচাপলি ইউনিয়নে। কক্সবাজারের মত অভিজাত না হলেও, এখানকার নিরিবিলি বেলাভূমি এবং ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল কুয়াকাটাকে করেছে অনন্য।
আরো পড়ুন: পাহাড় ভ্রমণে দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা
ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যাওয়ার উপায় হচ্ছে নদী ও সড়ক পথ। পূর্বে সবাই ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে পটুয়াখালী বা বরিশাল হয়ে বাকি পথ বাসে কুয়াকাটা যেতো। তখন লঞ্চ ও বাস যোগে পুরো অর্ধেক দিন লেগে যেতো। তবে এখন পদ্মা সেতুর কারণে মাত্র ৫ ঘন্টায় বাসে করে সরাসরি পৌছনো যায় কুয়াকাটায়।
সুন্দরবন, খুলনা
বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, বরগুনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী এবং ভারতের কিছু অংশ নিয়ে গড়ে উঠেছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ বন। বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃত এই বনাঞ্চলটি বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রাণের আধার। এখানে জন্মান সুন্দরী বৃক্ষের কারণে সুন্দরবন নামেই বিশ্বখ্যাতি পেয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের এই প্রধান বিচরণক্ষেত্রটি।
এখানে ঘুরতে যেতে হলে অবশ্যই বন অধিদপ্তরে নির্ধারিত ফি দিয়ে অনুমতি ও সাথে নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে নিতে হয়। এর সবগুলো দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার একমাত্র মাধ্যম লঞ্চ ও ছোট জাহাজ।
আরো পড়ুন: নারীর একাকী ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ১০ শহর
সুন্দরবন সাধারণত সবাই খুলনা বা মোংলা হয়ে যেতো। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে এখন সড়কপথেই সুন্দরবন ভ্রমণে যেতে পারছে দেশের হাজারো মানুষ।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মৌলভীবাজার
এক হাজার ২৫০ হেক্টর আয়তনের এই সংরক্ষিত বনাঞ্চলটির অবস্থান মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ ও আংশিক শ্রীমঙ্গল নিয়ে। দেশের ট্রপিকাল রেইন ফরেস্ট হিসেবে খ্যাত এই জাতীয় উদ্যানটি জীব বৈচিত্র্যে ভরপুর নান্দনিক সৌন্দর্যের এক অনন্য নিদর্শন। ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ, ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ এবং ২৪০ প্রজাতির পাখির আশ্রয়স্থল এই লাউয়াছড়া। বিশেষ করে বিলুপ্ত প্রায় উল্লুকের সবচেয়ে বড় বিচরণ এলাকা হিসেবে এর সুখ্যাতি রয়েছে।
বনের ভেতরে আছে তিনটি ট্রেইল; যেগুলো ট্রেকিং করার সময় খুব কাছ থেকে দেখা যায় বনের সৌন্দর্যকে।
আরো পড়ুন: কাতার ভ্রমণ: বিভিন্ন শহরের শীর্ষস্থানীয় ১০ দর্শনীয় স্থান
ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে করে শ্রীমঙ্গল পৌছে লাউয়াছড়া ভ্রমণ করা যায়।
কুতুবদিয়া দ্বীপ, কক্সবাজার
বাংলাদেশে বাতিঘর দেখতে হলে চলে যেতে হবে কক্সবাজার জেলার ছোট উপজেলা কুতুবদিয়ার এই দ্বীপটিতে। এখানকার প্রাচীন বাতিঘরের ধ্বংসাবশেষটি এখনো যেন ভাটার সময় পুরানো ইতিহাসের গল্প বলে। ২১৬ বর্গ কিলোমিটারের ছোট এই দ্বীপে আছে নির্জন সমুদ্র সৈকত এবং কুতুব আউলিয়ার মাজার।
বাংলাদেশের একমাত্র বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও প্রাকৃতিক ভাবে লবণ চাষের জন্য এ জায়গাটি বেশ প্রসিদ্ধ। এই দ্বীপ ভ্রমণের জন্য কক্সবাজার থেকে প্রথমে চকরিয়া বাস স্ট্যান্ড আসতে হবে। সেখান থেকে সিএনজি করে মগনামা ঘাট পৌছে ইঞ্জিন নৌকা নিয়ে নেমে পড়তে হবে কুতুবদিয়া চ্যানেলে। আর এই কুতুবদিয়া চ্যানেলই পৌছে দিবে কুতুবদিয়া দ্বীপে।
আরো পড়ুন: সমুদ্রে স্নানের সময় সতর্ক থাকতে করণীয়
মনপুরা দ্বীপ, ভোলা
ভোলা জেলার এই বিচ্ছিন্ন ভূমিটি সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত এবং হরিণ দেখার জন্য পর্যটকদের প্রিয় স্থান। মেঘনা নদীর ভেতরে ৫০০ মিটার পর্যন্ত স্থাপন করা মনপুরা ল্যান্ডিং স্টেশনে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্থানীয় মানুষ ও পর্যটকদের ভীড় থাকে। দ্বীপ ভ্রমণে এসে দর্শনার্থীরা চৌধুরী প্রজেক্টের মাছের ঘের আর সারি সারি নারিকেল গাছের বিস্তৃত এলাকাতেও ঘুরতে আসেন। নদীর ধারে সাইক্লিং কিংবা সবুজের মাঝে ক্যাম্পিং-এর জন্য সেরা জায়গা মনপুরা দ্বীপ।
মনপুরা দ্বীপে যাওয়ার জন্য ঢাকার সদরঘাট থেকে বিকেল ৫টায় লঞ্চে উঠে পড়তে হবে। এছাড়া ঢাকা থেকে থেকে সড়ক পথে ভোলা হয়ে তজুমদ্দিন ঘাটে এসে সি-ট্রাকে করেও মনপুরা দ্বীপে আসা যায়। সি-ট্রাক ছাড়ার সময় বিকাল ৩টা।
নিঝুম দ্বীপ, নোয়াখালী
নোয়াখালীর হাতিয়া অঞ্চলে বঙ্গপসাগর ঘেরা ছোট্ট এই দ্বীপটির আয়তন প্রায় ১৪,০৫০ একর। শীতের মৌসুমে পুরা নিঝুম দ্বীপ ভরে যায় অতিথি পাখিতে। এখানকার সবচেয়ে সেরা আকর্ষণ হচ্ছে চিত্রা হরিণ। একসাথে এত চিত্রা হরিণের দেখা দেশের আর কোথাও পাওয়া যায় না। নিঝুম দ্বীপের নামা বাজার সৈকত থেকে উপভোগ করা যায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে ৩০০০ ফুটের অধিক উচ্চতার ১৪ পাহাড়
সড়ক পথে যে যানবাহনই ব্যবহার করা হোক না কেন, নিঝুম দ্বীপ যেতে হলে প্রথমে পৌছতে হবে চেয়ারম্যান ঘাটে। এখানকার হাতিয়া যাওয়ার সি-ট্রাক বা ট্রলারগুলো নলচিরা ঘাটে নামিয়ে দেবে। এবার মোটর সাইকেল দিয়ে পৌছতে হবে হাতিয়ার অন্য প্রান্ত মোক্তারিয়া ঘাটে। সেখান থেকে ট্রলারে চড়ে নিঝুম দ্বীপ।
তবে সবচেয়ে সেরা উপায় হচ্ছে ঢাকার সদরঘাট থেকে হাতিয়ার লঞ্চে উঠে পড়া। হাতিয়ায় পৌছার পর তমুরদ্দী ঘাট থেকে পাওয়া যাবে সরাসরি নিঝুম দ্বীপের ট্রলার।
রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্য, হবিগঞ্জ
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক বনাঞ্চল রেমা-কালেঙ্গা অবস্থিত সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায়। প্রায় এক হাজার ৭৯৫ হেক্টর আয়তনের এই বনভূমিকে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় ১৯৮২ সালে। এটি প্রায় ৬৩৮ প্রজাতির উদ্ভিদ, প্রায় ৬২ প্রজাতির প্রাণী এবং প্রায় ১৬৭ প্রজাতির পাখির আবাস।
আরো পড়ুন: ভারতের টুরিস্ট ভিসা কীভাবে পাবেন: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রসেসিং ফি
এই অভয়ারণ্যে আছে অপরূপ সুন্দর তিনটি ট্রেইল, গোটা বনকে এক নজরে দেখার জন্য আছে সুউচ্চ পর্যবেক্ষণ টাওয়ার।
ঢাকা থেকে বাসে বা ট্রেনে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌছে টমটমে চড়ে যেতে হবে নতুন ব্রীজ। সেখান থেকে সিএনজিতে চুনারুঘাট মধ্যবাজার পৌছে আরেকটি সিএনজিতে করে কালেঙ্গা বাজার নামতে হবে। তারপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাটলেই অভয়ারণ্যের প্রধান ফটক।
মালনীছড়া চা-বাগান, সিলেট
উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় এবং সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত চা-বাগান এই মালনীছড়া চা-বাগান। এক হাজার ৮৪৯ সালে লর্ড হার্ডসনের তত্ত্বাবধানে এক হাজার ৫০০ একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা হয় এই চা-বাগান। বর্তমানে বেসরকারী তত্ত্বাবধানে থাকলেও চা-বাগানপ্রিয় ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বেশ পছন্দের একটি জায়গা হয়ে উঠেছে। কতৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে নির্দ্বিধায় ঘুরে বেড়ানো যায় বাগানে।
আরো পড়ুন: চট্টগ্রাম ভ্রমণ গাইড: ঘুরে আসুন বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্দর নগরী
বাস, ট্রেন অথবা বিমান; এই তিন রুটের যে কোনটি ব্যবহার করে ঢাকা থেকে প্রথমে আসতে হবে সিলেটে। অতঃপর শহরের যেকোন জায়গা থেকে রিক্সা কিংবা সিএনজি যোগে সহজেই পৌছা যাবে মালনীছড়া চা-বাগানে।
শেষাংশ
শীতকালে বাংলাদেশ ভ্রমণের জনপ্রিয় এই ১০টি স্থান হিম শীতল প্রকৃতিকে দারুণ ভাবে উপভোগ্য করে তোলে বাংলাদেশের ভ্রমণপিপাসুদের কাছে। তবে এই আনন্দটা ফিকে হয়ে যেতে পারে যদি যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা না হয়। এ সময় যাত্রা শুরুর সময় অবশ্যই সাথে গরম কাপড় নিয়ে নেয়া আবশ্যক। নিয়মিত ওষুধপত্রের সাথে ডেটল, স্যাভলন, ব্যান্ডেজ, তুলার মত কিছু ফার্স্ট এইড সামগ্রি সঙ্গে রাখা উচিত। একটি সুপরিকল্পিত পূর্বপ্রস্তুতিই পারে একটি ভ্রমণকে নিরাপদ নির্ঝঞ্ঝাট করে তুলতে।
২ বছর আগে
ববি শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে মহাসড়ক অবরোধ
বাসে ওঠাকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে ঘণ্টাব্যাপী ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ফয়সাল শাহরিয়ার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দপদপিয়া জিরো পয়েন্টে যাওয়ার জন্য ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে একটি বাসে ওঠার চেষ্টা করেন। এই নিয়ে কথাকাটির এক পর্যায়ে বাসের স্টাফরা ফয়সালকে মারধর করে। এরপরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের ঢাকা কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে এক ঘণ্টা সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিলো। পরে পুলিশের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যায়।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সির প্রস্তুতি: বরিশালে গ্রেপ্তার ৩
ফয়সাল শাহরিয়ার বলেন, বাসের স্টাফ কালাম নামে একজনসহ সাত থেকে আট জন তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মারধর করে।
আবদুল ফয়েজ নামের আরেক ছাত্র জানান, আমাদের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় সড়ক অবরোধ করেছিলাম। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সে কারণে সড়ক থেকে সরে গিয়েছি আমরা।
বরিশালের রুপাতলী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কেউ বাসের স্টাফ না। তারা বহিরাগত। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.মো.খোরশেদ আলম বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ও বাস মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
বরিশাল বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো.আসাদুজ্জামান বলেন,ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে ঝামেলাটা হয়েছিলো। বাস চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিলো। এখন সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে। বাস মালিক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২
২ বছর আগে