নির্বাচনী
নির্বাচনী নাশকতাকারীদের তথ্য দিলে লক্ষ টাকা পুরস্কার: আইজিপি
নাশকতামূলক কার্যক্রম বা নির্বাচন বিরোধী যেকোনো প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার সব প্রস্তুতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি বলেন, নাশকতাকারীদের সম্পর্কে তথ্য দিলে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা থেকে লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে এবং তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা মিটিং শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত আছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সময় মাঠে থাকবে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু, নারী ও বয়স্কদের নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশ সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়: আইজিপি
তিনি আরও বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে প্রার্থীদের প্রতিটি অভিযোগ আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে।
আইজিপি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট প্রয়োগ করতে পারে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাচনী সহিংসতার বিষয়ে আইজিপি বলেন, নির্বাচনের পূর্বে, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সবরকম সহিংসতা রুখতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। একই সঙ্গে আমি যশোরবাসী ও দেশবাসীকে আহ্বান জানাতে চাই আপনারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে আসুন, ভোট প্রয়োগ করুন, আমরা আপনাদের পাশে আছি।
এছাড়াও তিনি দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করে বলেন, যদি কারও কাছে এমন কোন তথ্য থাকে কেউ নাশকতা করবে বা নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করবে, তাহলে আমাদের তথ্য দিয়ে সহোযোগিতা করবেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
এর আগে আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনবিরোধী প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার সামর্থ্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: আইজিপি
১০ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালানোর অভিযোগে স্থানীয় পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
রবিবার(৩১ ডিসেম্বর) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, চৌহালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সহসভাপতি বাবুল সরকার, সদস্য ইউনুস শিকদার ও এনায়েতপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম মাস্টার।
আরও পড়ুন: লিফলেট বিতরণ-গণসংযোগ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়িয়েছে বিএনপি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ঈগলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় রাজ্জাক মন্ডলকে সাময়িক বরখাস্ত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুনের কাঁচি প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার করায় চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: বিএনপি
১০ মাস আগে
ফরিদপুরে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা
আগামীকাল মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ফরিদপুরে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিকাল ৩টায় ফরিদপুর জেলা শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে জনসভাকে ঘিরে স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠের পূর্ব পাশে একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ জানান, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সফরকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
জেলা শহরে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি জনসভায় আসা পুরুষ ও নারী সমর্থকদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া রাস্তার পাশে গাছ ও সমাবেশস্থল রঙ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারে আওয়ামী লীগের টেলিগ্রাম চ্যানেল চালু
প্রায় ১ লাখ লোকের সমাগম হবে বলে আশা করছেন ইশতিয়াক।
এতে সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরিদপুর-৩ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হক।
এছাড়াও আওয়ামী লীগ সমর্থিত ফরিদপুরের আরও তিনটি আসনের প্রার্থীরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ফরিদপুর সফর করেন এবং একই স্থানে এক জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জোয়ারে বিএনপির নেতা-কর্মী সমর্থকরাও শামিল হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
১০ মাস আগে
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা বুধবার
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ।
সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ মোট ২৭টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। আর আরেক প্রধান দল বিএনপিসহ বেশ কিছু দল বর্জন করেছে এই নির্বাচন।
আরও পড়ুন: ‘বিরোধী দল নির্বাচনের বাইরে থাকুক এটা আমরা কখনোই চাইনি’
২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে।
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এরই মধ্যে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রে নির্বাচনের বিকল্প নেই: ড. মোমেন
১০ মাস আগে
সিরাজগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মামুনের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় ছাত্রদল নেতা সানোয়ার হোসেন বিজয়কে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়ায় শনিবার তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা সাংবাদিকদের জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করায় তাকে তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নৌকার ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নড়াইলে মাশরাফীসহ ৩ প্রার্থীকে জরিমানা
হিরো আলমের উপর ফের হামলার অভিযোগ
১০ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারের প্রত্যাশায় উৎসবমুখর রংপুর
নির্বাচনী প্রচারের জন্য রংপুর জেলায় প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পীরগঞ্জের বধূ এবং এটি প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পিতৃভূমি। প্রধানমন্ত্রীর এখানে আসার কথা রয়েছে এবং সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।’
আগামীকাল সেখানে ঐতিহাসিক সমাবেশ ও বিশাল জনসমাবেশ হবে বলেও জানান তিনি।
তার নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলায় দুটি জনসভায় ভাষণ দেবেন বলে রবিবার সকালে নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল।
রংপুর-২ (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হককে সমর্থন দিতে তারাগঞ্জ উপজেলার কলেজ মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার রংপুরে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
পরে রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর প্রচারে আয়োজিত আরেকটি নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এর আগে ২০ ডিসেম্বর সিলেটে সাধক শাহজালাল ও শাহ পরানের মাজার জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন শেখ হাসিনা।
সমাবেশের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে অধ্যাপক মাজেদ বলেন, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে ও যেকোনো ধরনের সমাবেশের আয়োজন করতে সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করব এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভায় জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।
চলতি বছরের ২ আগস্ট রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিলেও পীরগঞ্জে শ্বশুর বাড়িতে যাননি প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
২০ ডিসেম্বর সিলেটে শাহজালাল-শাহপরান মাজার জিয়ারতের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন শেখ হাসিনা
১০ মাস আগে
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নড়াইলে মাশরাফীসহ ৩ প্রার্থীকে জরিমানা
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের (পৌরসভার মধ্যে ওয়ালে পোস্টার লাগানো) অভিযোগে নড়াইল-২ (সদরের একাংশ ও লোহাগড়া উপজেলা) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাসহ তিন প্রার্থীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) শহরের হামিদ মেনশন এলাকা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. অনিসুর রহমান এ জরিমানা করেন।
জরিমানায় মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে (নৌকা) ১৫ হাজার টাকা, জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজকে (লাঙ্গল) ১৫ হাজার টাকা, গণফ্রন্টের মো. লতিফুর রহমানকে (মাছ) তিন হাজার এবং ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মাহবুবুর রহমানকে (মিনার) দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নড়াইলে এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে শাস্তি দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান জানান, আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচনী পোস্টার রশি দিয়ে ঝুলানোর কথা। কিন্তু তাদের পোস্টার দেয়ালে ও বৈদ্যুতিক খুঁটিতে লাগিয়েছেন। এজন্য নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর প্রতিনিধিসহ অন্য তিন প্রার্থীর প্রতিনিধিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: নড়াইলে মাশরাফীর পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের ইফতারি বিতরণ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে মোট ছয়জন সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করছেন।
তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা (নৌকা), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হাফিজুর রহমান (হাতুড়ী), জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ (লাঙ্গল), এনপিপির মো. মনিরুল ইসলাম (আম), গণফ্রন্টের মো. লতিফুর রহমান (মাছ) ও ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মাহবুবুর রহমান (মিনার)।
প্রার্থীদের জরিমানার বিষয়টি নড়াইল জেলা প্রশাসক এবং জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী স্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: হবিগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির
৪ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে ইসি
১০ মাস আগে
হিরো আলমের উপর ফের হামলার অভিযোগ
নির্বাচনী প্রচারে নেমে ফের নৌকার সমর্থকদের হামলার শিকার হয়েছেন বগুড়া-৪ আসনের কংগ্রেস প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম ।
রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় কাহালু বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় হিরো আলমের সঙ্গে থাকা দুই সমর্থক মোর্শেদুল রবি ও আব্দুস সালাম আহত হন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
রবিবার রাত ৮টায় বগুড়া সদরের এরুলিয়ায় নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন হিরো আলম।।
এসময় তিনি বলেন, কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ হামলার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।
হিরো আলম এবার বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত ডাব মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর আগে গত শনিবার নন্দীগ্রামের মুরাদপুর বাজারে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনেন হিরো আলম।
আরও পড়ুন: বগুড়ার এসপির সহযোগিতা চান হিরো আলম
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, পাঁচপীর এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে ১০-১৫ জন কর্মী-সমর্থকসহ তিনি কাহালু বাজারে আসেন। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ও মাছ ব্যবসায়ী রমজান তাদের প্রচারে বাধা দেন। একপর্যায়ে রমজানের সঙ্গে উপজেলা তাঁতিলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা যোগ দিয়ে তাদের উপর হামলা করেন। তার সমর্থকদের উপরও হামলা চালানো হয়।
অভিযোগের বিষয়ে হিরো আলম বলেন, শনিবার নন্দীগ্রামে হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এরপরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, আমাকে এত ভয় কেন? আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বারবার (নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনের সমর্থকেরা) আমার উপর হামলা চালাচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, হামলার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মোল্লার দুইজন সমর্থকও ছিলেন, তবে তাদের পরিচয় জানি না। এসব হামলা করে লাভ হবে না। প্রয়োজনে আমাকে হত্যা করেন। তবে আমার কোনো সমর্থককে মারধর করবেন না।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা হিরো আলমের
ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকবেন জানিয়ে তিনি বলেন, শেষদিন পর্যন্ত মাঠে থাকব। হিরো আলমকে হত্যা না করা পর্যন্ত ভোটের মাঠ থেকে সরানো যাবে না। দুই দিনের হামলার ঘটনা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানাব।
এ ব্যাপারে কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, 'কাহালুতে আওয়ামী লীগের সরাসরি কোনো প্রার্থী নেই। তাই কারো সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানোর প্রশ্নই আসে না। এইসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা, এর দায় সংগঠন নেবে না।’
কাহালু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, 'হামলার ঘটনায় একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: একাধিক ত্রুটির কারণে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল
১০ মাস আগে
নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে হামলার শিকার হিরো আলম
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে নির্বাচনী প্রচার চালাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামের মুরাদপুর বাজার এলাকায় হামলার ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে বাইরের কোনো চাপ নেই: ইসি আলমগীর
হিরো আলম জানান, সন্ধ্যায় মুরাদপুর বাজারে নির্বাচনী প্রচার চালাতে তার কর্মীদের নিয়ে যান তিনি। প্রচার শুরু করার আগেই আওয়ামী লীগের কয়েকজন সমর্থক এসে বাধা দেয়।
তিনি আরও বলেন, ওরা পাঁচ জন এসেছিল। এসেই বলে মাইক বন্ধ করতে হবে। এখানে নৌকা ছাড়া অন্য কারো প্রচার চলবে না।
হিরো আলম বলেন, তখন আমার ফোন থেকে ভিডিও নেওয়া হচ্ছে দেখে মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। আমাদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি হয়।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমগীর হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কিন্তু হিরো আলম যা বলেছেন তার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এরপরেও আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।
আরও পড়ুন: বগুড়ার এসপির সহযোগিতা চান হিরো আলম
যেকোনো দল শান্তিপূর্ণভাবে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে বলতে পারে: ইসি আলমগীর
১০ মাস আগে
জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠু রাজনীতি নয়: ড. মোমেন
সিলেট-১ আসনে নৌকার পদপ্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তার নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় সিলেট নগরীর ১নং ওয়ার্ডে শাহজালাল (র.) মাজারসংলগ্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে তিনি প্রচারাভিযান শুরু করেন।
প্রচারভিযানে ড. মোমেন ভোটারদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করে নৌকার পক্ষে আগামী ৭ জানুয়ারী নির্বাচনে ভোট চান।
এসময় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নৌকা বাংলার জনগণের আস্থা ও উন্নয়নের প্রতীক। তাই আগামী ৭ জানুয়ারী নির্বাচনে দলে দলে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়ী করবে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে সমুন্নত রেখে উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে নৌকার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য। জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠ রাজনীতি নয়। বিএনপির নেতৃত্বে পরিপক্কতার অভাব রয়েছে বলেই তারা ধ্বংসাত্নক হিংসার রাজনীতি শুরু করেছে।
বিএপির নেতারা শুধু টিভি চ্যানেলের টক শোতে সীমবদ্ধ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের কাছে তাদের কোনো মূল্য নেই। কারণ তারা জনগণের জন্য রাজনীতি করেনা, ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে।
আব্দুল মোমেন একটি অবাধ সুষ্ঠু উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য ভোটারদেরকে নিজের পছন্দ মতো প্রার্থীকে ভোট দেওয়ারও আহ্বান জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়জুর রহমান আলোয়ার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সালমা সুলতানা, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আনোয়ার সাদাত, মহিলা শ্রমিক লীগের সভানেত্রী নাজমা খানম, শফিউল আলম জুয়েল, রুবেল আহমদ, সোহাগ আহমদ ওয়েছ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: সিলেটে শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে লাখো মানুষের ঢল
নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
বুধবার সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী
১১ মাস আগে