রাহুল গান্ধী
লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পেলেন রাহুল গান্ধী
ভারতের পার্লামেন্ট তথা লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পেলেন প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী।
দেশটির শীর্ষ আদালত প্রধানমন্ত্রীর উপাধি নিয়ে ‘বিদ্রুপ’ করার অভিযোগে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। তবে রায় স্থগিত করায় সোমবার (৭ আগেস্ট) তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে পুনর্বহাল করেছে লোকসভা।
দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ভয়ংকর জাতিগত সহিংসতা চলছে। এই সহিংসতা উসকে দেওয়া ও দমনে ব্যর্থ হওয়ায় মোদি সরকার বিরোধীদের কঠোর সমালোচনা মুখে পড়েন।
চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে পার্লামেন্টে একটি অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপিত হওয়ার করার কথা রয়েছে। এই মুহূর্তে রাহুলের সংসদ সদস্যপদ ফিরে পাওয়ায় নরেন্দ্র মোদির সরকার আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাহুল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
এর আগে গত শুক্রবার (৪ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট তার সাজা স্থগিত করেছে।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় রায় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে বহাল
আদালতের এই আদেশের অর্থ হলো আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তার বিরুদ্ধে না গেলে রাহুল আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
নামে ‘মোদি’ উপাধি আছে এমন একজন ব্যক্তি রাহুলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে এক জনসভায় দেওয়া বক্তৃতায় মানহানির অভিযোগে মামলা করেন।
সেই বক্তৃতায় রাহুল কৌতুক করে বলেছিলেন, ‘সব চোরের নামে কেন মোদি উপাধি থাকে?’
রাহুল তার বক্তৃতায় তিনজন মোদির কথা উল্লেখ করেন- একজন হলেন পলাতক ভারতীয় হীরা টাইকুন, দ্বিতীয়জন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকে নিষিদ্ধ ক্রিকেট নির্বাহী এবং তৃতীয়জন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
যে আবেদনকারী মামলাটি করেছেন তিনি গুজরাটে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদস্য।
কিন্তু রাহুলের উল্লেখিত অন্য দুই মোদি বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার অন্য কোনো সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর জামিন মঞ্জুর, সাজা স্থগিত
চলতি বছরের ২৩ মার্চ গুজরাটের একটি আদালত রাহুলকে মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। এর পরের দিনই তাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
কিন্তু গত এপ্রিল মাসে তার আপিলের ভিত্তিতে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর গত মাসে তিনি দেশের সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন।
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর প্রপৌত্র ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এই কারাদণ্ড ও লোকসভার সদস্যপদ প্রত্যাহারের তীব্র নিন্দা করেছেন মোদি বিরোধীরা।
তারা এটিকে ক্ষমতাসীন সরকারের করা গণতন্ত্রের উপর সর্বশেষ হামলা এবং ভিন্নমতকে দমন করার পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করেছেন।
১ দশমিক ৪ বিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র।
মোদির সমালোচকরা বলছেন, ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের গণতন্ত্র বাধার মুখে পড়েছে। তারা মোদি সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দু জাতীয়তাবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের অভিযোগ তুলেছেন।
যদিও সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সরকারের দাবি, তাদের নীতিগুলো জাত-পাত নির্বিশেষে সব ভারতীয়দের জন্য নেওয়া হয়।
রাহুলের পরিবার থেকে দুইজন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তার দাদি ইন্দিরা গান্ধী ও বাবা রাজীব গান্ধী দুজনই গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: এবার কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করবেন রাহুল গান্ধী
১ বছর আগে
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় রায় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে বহাল
ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় রায় মঙ্গলবার বহাল রেখেছেন দেশটির ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট।
বিচারপতি অম্বুজনাথের আদালতে যুক্তিতর্ক শেষে উভয়পক্ষকে আলোচনার সারসংক্ষেপ দাখিলের নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৮ সালে ঝাড়খন্ডের চাইবাসায় কংগ্রেসের এক সমাবেশে বিজেপি নেতা অমিত শাহের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে মানহানির মামলা করেন স্থানীয় এক বিজেপি নেতা।
আরও পড়ুন: এবার কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করবেন রাহুল গান্ধী
২০১৮ সালে কংগ্রেসের এক সভায় রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ‘একজন খুনের আসামি কেবল বিজেপিতেই দলের সভাপতি হতে পারেন। কংগ্রেসে এটা সম্ভব নয়।’
নিম্ন আদালত এই বিষয়ে রাহুল গান্ধীকে নোটিশ জারি করেছিলেন। নিম্ন আদালতের জারি করা নোটিশ বাতিল করার জন্য হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল।
রাহুল গান্ধীর পক্ষে আইনজীবী পীযূষ চিত্রেশ ও দীপঙ্কর রাই মামলাটি উপস্থাপন করেন।
১২ মে আদালত 'জোরপূর্বক ব্যবস্থা না নেওয়ার' আদেশের মেয়াদ ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর জামিন মঞ্জুর, সাজা স্থগিত
১ বছর আগে
এবার কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করবেন রাহুল গান্ধী
ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী দেশটির প্রধানমন্ত্রীর উপাধি নিয়ে ‘উপহাস’ করার জন্য ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে সোমবার আপিল করবেন।
কেননা রাহুলের বহিষ্কারাদেশ আগামী সাধারণ নির্বাচনে তার দল কংগ্রেসের জন্য একটি বড় প্রতিবন্ধকতা।
রাহুল গান্ধী ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির কট্টর সমালোচক এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
২০১৯ সালের নির্বাচনী বক্তৃতায় ‘মোদি’ উপাধি নিয়ে উপহাস করার জন্য একটি আদালত তাকে মানহানির অভিযোগে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয় এবং এরপর তার সংসদ সদস্যপদ স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: কারাদণ্ডের পর এবার লোকসভার সদস্যপদ হারালেন রাহুল গান্ধী
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর প্রপৌত্র এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এই কারাদণ্ড ও লোকসভার সদস্যপদ প্রত্যাহারের তীব্র নিন্দা করেছেন মোদি বিরোধীরা।
তারা এটিকে ক্ষমতাসীন সরকারের করা গণতন্ত্রের ওপর সর্বশেষ হামলা এবং ভিন্নমতকে দমন করার পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করেছেন।
রাহুলের আইনজীবীরা ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, রাহুল আজ তাকে কারাদণ্ড দেওয়া গুজরাটের সুরাটের ওই আদালতে হাজির হবেন। সেখানে তিনি তার কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ বা সাময়িক স্থগিতাদেশ চাইবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীর ২ বছরের কারাদণ্ড
১ বছর আগে
কারাদণ্ডের পর এবার লোকসভার সদস্যপদ হারালেন রাহুল গান্ধী
মানহানির মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ডের একদিন পর শুক্রবার ভারতের পার্লামেন্ট সিনিয়র বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর লোকসভার সাংসদ পদ খারিজ করেছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিম্নকক্ষকে ইঙ্গিত করে সংসদের একটি নোটিশে বলা হয়েছে যে রাহুল গান্ধীর ‘লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করা হলো’।
২০১৯ সালের নির্বাচনী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপাধি সম্পর্কে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের জন্য আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
রাহুল গান্ধী দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার ওয়েনাড়ের সাংসদ ছিলেন।
তিনি বর্তমানে ৩০ দিনের জন্য জামিনে রয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
রাহুল গান্ধীর দল কংগ্রেস এই রায়কে ‘ভুল এবং পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিহিত করেছে।
দলের সিনিয়র নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, দল ‘আইনগত ও রাজনৈতিক উভয়ভাবেই’ রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
শুক্রবার রাজধানী দিল্লিতে বিক্ষোভ মিছিলে বিরোধী নেতাদের নেতৃত্ব দেয় কংগ্রেস।
প্রতিবাদী সাংসদরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সরকারি বাসভবন রাষ্ট্রপতি ভবনে মিছিল করার পরিকল্পনা করেছিলেন।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে গণমাধ্যমকে বলেছেন, রাহুল গান্ধী শুক্রবার সংসদে কথা বলার অনুমতি চেয়েছিলেন, কিন্তু তা প্রত্যাখান করা হয়।
আরও পড়ুন: মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীর ২ বছরের কারাদণ্ড
তিনি অভিযোগ করেছেন, রাহুলের বিরুদ্ধে এই রায় মূলত আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবির ফলাফল।
এই বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শর্ট-বিক্রেতা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রকাশিত প্রতিবেদনে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে কয়েক দশক ধরে স্টক ম্যানিপুলেশন এবং অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। যদিও আদানি গ্রুপ আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, ‘যারা সত্য কথা বলছে তারা (সরকার) তাদের রাখতে চায় না, তবে আমরা সত্য কথা বলতে থাকব।’
কংগ্রেস বলছে আগামী দিনে তারা সরকারের বিরুদ্ধে আরও বড় পরিসরে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে।
২০১৯ সালে একটি নির্বাচনী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপাধি সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে রাহুল গান্ধীকে।
২০১৩ সালের সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশে বলা হয়েছে যে একজন আইনপ্রণেতা অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দুই বা তার বেশি বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে অবিলম্বে সংসদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।
সাজা স্থগিত না হওয়া পর্যন্ত বা মামলায় খালাস না পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে লড়তে পারবেন না রাহুল গান্ধী।
আগামী বছর ভারতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা।
কংগ্রেস পার্টি বলেছে, সরকারের ‘অন্যায়’ প্রকাশ করার জন্য টার্গেট করা হচ্ছে রাহুলকে।
মি. রমেশ গুজরাটের আদালতের রায়কে ‘খুবই গুরুতর রাজনৈতিক সমস্যা’ বলে অভিহিত করেন এবং বলেন এই রায় ‘আমাদের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত’কে প্রভাবিত করতে পারে।
বৃহস্পতিবার একটি দলীয় বৈঠকের পরে তিনি বলেন, ‘এটি মোদী সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতি, হুমকির রাজনীতি, ভয় দেখানোর রাজনীতি এবং হয়রানির রাজনীতির একটি বড় উদাহরণ’।
ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মন্ত্রীরা অবশ্য রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য রাহুল গান্ধী ও তার দলের সমালোচনা করেছেন।
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব বলেছেন, রাহুল গান্ধী আদার ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস (ওবিসি) নামে পরিচিত গোষ্ঠীর সদস্যদের অপমান করেছিলেন, যার অধীনে ‘মোদি’ নামটি পড়ে।
তিনি বলেন, ‘কোনও পদবীকে অপমান করা বাক স্বাধীনতা নয়।’
গত বছর কংগ্রেস দল ছাড়া ভারতের প্রাক্তন আইনমন্ত্রী কপিল সিবাল আদালতের সিদ্ধান্তকে ‘উদ্ভট’ বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, রাহুল গান্ধীর মন্তব্য ‘একজন ব্যক্তিকে’ লক্ষ্য করে, কোনও গোষ্ঠীকে নয়।
বৃহস্পতিবারের রায়ের প্রতিক্রিয়ায়, রাহুল গান্ধী মহাত্মা গান্ধীর একটি উদ্ধৃতি টুইট করেছেন, ‘আমার ধর্ম সত্য ও অহিংসার উপর প্রতিষ্ঠিত। সত্য আমার ঈশ্বর, অহিংসা তা পাওয়ার মাধ্যম।’
বেশ কয়েকটি বিরোধী দল রাহুল গান্ধীর সমর্থনে নেমেছে।
শুক্রবার কংগ্রেসসহ ১৪টি দল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল।
তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার বিজেপির বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তু করার জন্য তদন্তকারী সংস্থাগুলোর অপব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীকে আটকের পর ছেড়ে দিল দিল্লি পুলিশ
দিল্লিতে বিক্ষোভ থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা আটক
১ বছর আগে
মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীর ২ বছরের কারাদণ্ড
ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে বৃহস্পতিবার দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন সুরাটের একটি আদালত।
ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে এক নির্বাচনী সমাবেশে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম নিয়ে 'অবমাননাকর' মন্তব্যের জন্য দায়ের করা মানহানির মামলায় তাকে এই কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তবে, আদালত জামিনে রাহুল গান্ধীর জামিন মঞ্জুর করেছেন এবং তাকে উচ্চ আদালতে আপিল করার অনুমতি দিয়ে ৩০ দিনের জন্য সাজা স্থগিত করেছেন।
রায়ের পরে বিজেপি নেতারা রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে বলেন, তিনি (রাহুল) যাই বলুন না কেন তা কংগ্রেস দল এবং দেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতারা বলছেন যে বিজেপি সরকার রাহুল গান্ধীর কণ্ঠস্বরকে দমন করার চেষ্টা করছে এবং তিনি রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন।
কংগ্রেস নেতারা আরও অভিযোগ করেন, বিচার বিভাগ চাপের মধ্যে রয়েছে।
দলের প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা এই মামলায় বিচারক পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীকে আটকের পর ছেড়ে দিল দিল্লি পুলিশ
অন্যদিকে, রায়ের কয়েক ঘন্টা পরেই ভিনীত জিন্দাল নামক সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী, লোকসভার স্পিকারের কাছে কারাদণ্ডের জন্য রাহুল গান্ধীকে হাউস থেকে অযোগ্য ঘোষণা করার অভিযোগ করেন।
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা করেছেন সুরাট পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি।
২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে কর্ণাটকের কোলারে একটি লোকসভা নির্বাচনী সমাবেশে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘সব মোদিরা কেন চোর হয়?’
গত সপ্তাহে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এইচ ভার্মার আদালত উভয় পক্ষের চূড়ান্ত যুক্তি শুনানি শেষ করেন এবং চার বছরের পুরনো এই মানহানির মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ২৩ মার্চ দিন ধার্য করেন।
রায় ঘোষণার সময় ওয়ানাডের সাংসদ রাহুল গান্ধী অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি আদালতের রায়কে স্বাগত জানাই।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচারের অভিযোগে রাহুল গান্ধীকে তলব
পূর্ণেশ মোদীর আইনজীবী কেতন রেশমওয়ালা বলেছেন, রাহুল গান্ধীকে আইপিসির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
রাহুল গান্ধী গত বছরের জুনে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
এই মামলায় দলের প্রাক্তন প্রধান সোনিয়া গান্ধীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে দিল্লির একটি আদালত মামলায় এই দুই নেতাকে জামিন দিয়েছিলেন।
রাহুল গান্ধীর প্রপিতামহী ইন্দিরা গান্ধীও আদালতের প্রতিকূল রায়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং ১৯৭৫ সালের জুন মাসে এলাহাবাদ হাইকোর্টে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ছয় বছরের জন্য কোনো নির্বাচিত পদে থাকা থেকে বিরত ছিলেন।
এই রায়ের ফলে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইন্দিরা গান্ধীকে নির্বাচনী অসদাচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করার সময়, বিচারপতি জগমোহনলাল সিনহা তাকে সংসদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করেন এবং তার ওপর যে কোনও নির্বাচিত পদে থাকার ব্যাপারে ছয় বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কার অবৈধ গ্রেপ্তার যোগী সরকারের ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার প্রকাশ: রাহুল গান্ধী
১ বছর আগে
প্রবীণ রাজনীতিবিদ খাড়গের কাঁধে কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব
প্রবীণ রাজনীতিবিদ মল্লিকার্জুন খাড়গে মঙ্গলবার ২৪ বছরে প্রথম গান্ধী পরিবারের বাইরের হিসেবে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতৃত্বভার নিয়েছেন।
বুধবার সকালে ভারতের রাজধানীতে অবস্থিত কংগ্রেসের সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী আনুষ্ঠানিকভাবে ৮০ বছর বয়সী এই নেতার কাছে নেতৃত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।
সোনিয়া প্রায় ২৩ বছর ধরে কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তার ছেলে রাহুল গান্ধী এক বছরের জন্য এই দায়িত্ব পালন করেন।
দলের নেতাদের উদ্দেশে সোনিয়া বলেন, খাড়গে কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেয়ায় তিনি স্বস্তি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২৪ বছর পর গান্ধী পরিবারের বাইরে কংগ্রেস সভাপতি হলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে
তিনি বলেন, ‘সাধ্যমত আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। আজ এই দায় থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমার কাঁধ থেকে একটা ওজন সরে গেছে। আমি স্বস্তির অনুভূতি অনুভব করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা একটা বড় দায়িত্ব ছিল। দায়িত্ব এখন মল্লিকার্জুন খাড়গের ওপর। দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সংকট আজকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
১৯ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হন খাড়গে। গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিবেচিত প্রবীণ এই নেতার কাছে তুলনামূলক তরুণ শশী থারুর বড় ব্যবধানে পরাজিত হন। তিনি জাতিসংঘের এক প্রাক্তন কূটনীতিক।
আরও পড়ুন: ২৪ বছর পর গান্ধী পরিবারের বাইরে সভাপতি পেতে যাচ্ছে ভারতীয় কংগ্রেস
৮০ বছর বয়সী খাড়গের ৫০ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। অন্যদিকে ৬৬ বছর বয়সী থারুর জাতিসংঘে প্রায় ৩০ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০০৯ সালে পুরানো এই দলটিতে যোগ দিয়েছেন।
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাতীয়তাবাদী বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে কংগ্রেসে পতন দেখা যায়৷ কংগ্রেস বর্তমানে ভারতের হাতেগোনা কয়েকটি রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে।
প্রায়শই দলের খারাপ অবস্থার জন্য দায়ী করায় সোনিয়ার ছেলে রাহুল ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের দৌড়ে দলের লাগাম হাতে নিতে অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করলেন গোলাম নবি আজাদ
২ বছর আগে
রাহুল গান্ধীকে আটকের পর ছেড়ে দিল দিল্লি পুলিশ
ছয় ঘণ্টার বেশি আটকে রাখার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী এবং তার বোন প্রিয়াঙ্কাকে ছেড়ে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ও বেকারত্ব বৃদ্ধির প্রতিবাদে দিল্লিতে শুক্রবার কংগ্রেসের বিক্ষোভ চলাকালে রাহুল, প্রিয়াঙ্কা এবং দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের আটক করে পুলিশ।
দুপুর ১টার দিকে বিক্ষোভ শুরুর পর রাহুল, প্রিয়াঙ্কা এবং দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের পুলিশ জিপে করে কিংসওয়ে ক্যাম্পের পুলিশ লাইন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সব নেতাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
বিক্ষোভে রাহুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের মৃত্যু প্রত্যক্ষ করছি। প্রায় এক শতাব্দী আগে থেকে একটু একটু করে যে ভারতকে গড়ে তোলা হয়েছে, আপনাদের চোখের সামনে আজ তা ধ্বংস করা হচ্ছে। যেই এই স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তাকেই নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ করা হয়, জেলে নেয়া হয়, গ্রেপ্তার করা হয় এবং মারধর করা হয়।’
আগের দিন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও বেকারত্ব বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাহুল, তার মা ও কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী এবং দলের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা সংসদে কালো পোশাক পরে গিয়েছিলেন।
একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, কর্তৃপক্ষের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা বিক্ষোভকারীদের দমন করতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের দিল্লিতে কোনও বিক্ষোভ করার অনুমতিও দেইনি।’
সোনিয়া গান্ধী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ছেলে রাহুল গান্ধীকে অনেকেই ভারতের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনে করেন। তার বাবা ছাড়াও তার দাদী ইন্দিরা গান্ধী এবং দাদা জওহরলাল নেহেরু সকলেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পড়ুন: দিল্লিতে বিক্ষোভ থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা আটক
২ বছর আগে
অর্থ পাচারের অভিযোগে রাহুল গান্ধীকে তলব
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা রাহুল গান্ধীকে অর্থ পাচারের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে দেশটির আর্থিক দুর্নীতি–সংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)।
রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির জারি করা সমনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার তিনি ইডি দপ্তরে হাজির হন।
রাহুল গান্ধী ইডি অফিসে পৌঁছানোর আগেই কংগ্রেসের নেতারা দলের সদর দপ্তরে জড়ো হয়ে তার সমর্থনে প্রতিবাদ শুরু করেন।
এসময় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র, কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা এবং কয়েক ডজন কর্মী সরকার বিরোধী স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন: করোনা জটিলতায় হাসপাতালে কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী
রাহুলকে ইডির সমনের প্রতিবাদে কংগ্রেস নেতারা রাজধানী নয়াদিল্লির রাজপথে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তারা বিক্ষোভ বের করলে দফায় দফায় পুলিশি ব্যারিকেডের মুখে পড়েন। এসময় অনেককে আটক করা হয়।
দিল্লি ট্রাফিক পুলিশ সোমবার দিল্লির বাসিন্দাদের জন্য একটি পরামর্শ জারি করেছে, যাতে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট রাস্তা এড়িয়ে পথ চলাচল করতে বলা হয়।
এই ঘটনায় কংগ্রেসের প্রধান সোনিয়া গান্ধীকেও তলব করেছে তদন্তকারী সংস্থাটি। তবে বর্তমানে কোভিড-১৯ পজিটিভ থাকায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নতুন তারিখ চান সোনিয়া। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি নতুন তারিখ দিয়েছে। ২৩ জুন তাকে ইডি দপ্তরে হাজির হতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনের সামনে গুলি, পুলিশসহ নিহত ২
মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: ভারতে মুসলমানদের ব্যাপক বিক্ষোভ
২ বছর আগে
এবার করোনায় আক্রান্ত রাহুল গান্ধী
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ৫০ বছর বয়সী এই নেতা বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
মঙ্গলবার নেহেরু-গান্ধী পরিবারের বংশধর রাহুল গান্ধী টুইটারে নিজের দলের সদস্যদের জানান, তিনি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, 'মৃদু কিছু লক্ষণ দেখার পর আমি কোভিড-১৯ পরীক্ষা করেছি এবং ফলাফল পজিটিভ আসে। সম্প্রতি যারা আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন তারা সকলেই দয়া করে সকল স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করুন এবং নিরাপদ থাকুন।'
আরও পড়ুন: এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন বলিউডের সোনু সুদ
নামহীন সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সৌভাগ্যক্রমে রাহুল গান্ধী গত এক সপ্তাহে তার মা সোনিয়া বা বোন প্রিয়াঙ্কার সাথে দেখা করেননি।
রাহুলের করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করেছেন।
তিনি লিখেন, 'আমি লোকসভার সাংসদ শ্রী রাহুল গান্ধীর সুস্বাস্থ্য এবং দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।’
এর একদিন আগে গান্ধীর দলের সিনিয়র সহকর্মী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন। ৮৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে দেশের প্রিমিয়ার অল ইন্ডিয়া মেডিকেল সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ২ লাখ
গান্ধী সোমবার টুইটে লিখেন, ‘প্রিয় ড. মনমোহন সিং, আপনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এই কঠিন সময়ে ভারতের আপনার দিকনির্দেশনা এবং পরামর্শ প্রয়োজন।’
ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন মঙ্গলবার সকালে টুইট করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অবস্থা 'স্থিতিশীল' এবং তাকে যথাসম্ভব পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হর্ষ বর্ধন লিখেন, 'দিল্লির এআইআইএমএসে তার মেডিকেল টিমের মাধ্যমে ড. মনমোহন সিংয়ের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল। সর্বোপরি তাকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়া হচ্ছে। আমরা সকলেই তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করি।'
৩ বছর আগে
রাহুলের বিকল্প না পেয়ে সোনিয়ার কাঁধেই কংগ্রেসের ভার
ঢাকা, ১১ আগস্ট (ইউএনবি)- গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির দায় কাঁধে নিয়ে সভাপতির পদ ছেড়ে দেয়া রাহুল গান্ধীর বিকল্প পেল না কংগ্রেস।
৫ বছর আগে