মেজবাউর রহমান সুমন
‘হাওয়া’র বিরুদ্ধে মামলা, জানেন না পরিচালক
মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ সিনেমার বিরুদ্ধে আবারও মামলা দায়ের করা হলো। তামাক নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অমান্য করার অভিযোগে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। যেখানে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যে সিনেমায় বিধি অনুসারে ধূমপানের ক্ষতিকর সতর্কবার্তা প্রদান করা হয়নি।
এই অভিযোগে চলচ্চিত্রটির পরিচালক, প্রযোজক, মূল চরিত্র এবং সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জুয়েল সরকার।
আরও পড়ুন: ‘হাওয়া’য় মেতেছে দর্শক
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জুয়েল সরকার বলেন, ‘বেশকিছু দিন ধরে সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালককে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হলেও তারা বিধি অনুসারে সতর্কবার্তা সংযোজন করেননি। তাই তামাক বিরোধী কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও চলচ্চিত্রটির নির্মাতা-প্রযোজকের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।’
নোটিশে বলা হয়, ‘হাওয়া’ সিনেমায় বিধিমালার চরম অবমাননা দেখা গেছে। সিনেমার মূল চরিত্র জনাব চঞ্চল চৌধুরী দেশের সব শ্রেণির, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। চলচ্চিত্রটির বিভিন্ন স্থানে অপ্রয়োজনে ধূমপানের যেসব দৃশ্য সংযোজিত হয়েছে, তার সঙ্গে ধূমপানের ক্ষতিকর সতর্কবার্তা বিধি অনুযায়ী প্রদান করা হয়নি।
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে ‘হাওয়া’র পরিচালক মেসবাউর রহমান সুমনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু আমরা জানি না। আমাদের প্রযোজকের কাছেও এমন কোনো নোটিশ আসেনি।’
আরও পড়ুন: মার্কিন বক্স অফিসের শীর্ষ ৩০-এ 'হাওয়া': পরিবেশক সংস্থার দাবি
আইনি নোটিশের বিষয়গুলো মেসবাউর রহমান সুমনকে জানানো হলে উল্লেখ করা বিষয়গুলো ভিত্তিহীন বলে তার দাবি।
এ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সতর্কবার্তা নিয়ে এখানে যে অভিযোগ রয়েছে পুরোটা ভিত্তিহীন। যারা সিনেমাটি দেখেছেন বিষয়টি অবশ্য জানেন যে ধূমপানের প্রতিটি দৃশ্যে সতর্কবার্তা দেয়া আছে। আর বিষয়টি সেন্সরবোর্ডেও নজর রাখা হয়।’
মামলা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলেন আরও জানান ‘হাওয়া’র পরিচালক।
আরও পড়ুন: হাওয়ার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ
২ বছর আগে
মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ মুক্তি পাবে ২৯ জুলাই। তবে এ নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ আগে থেকেই। সিনেমার ‘সাদা সাদা কালা কালা’ শিরোনামে একটি গানও এরই মধ্যে প্রকাশ হয়েছে, যা ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
‘হাওয়া’তে অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। তাদের মধ্যে রয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরীফুল ইসলাম রাজ, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, রিজভী রিজু, মাহমুদ আলম, বাবলু বোস প্রমুখ।
সিনেমাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে প্রচারণা শুরু হয়েছে। শুটিংয়ের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা পোস্ট করছেন সংশ্লিষ্টরা। এমনকি দর্শকরাও ‘হাওয়া’ নিয়ে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বিশেষ করে ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি প্রকাশের পর।
গানটির গীতিকার ও সুরকার হাশিম মাহমুদ। কণ্ঠ দিয়েছেন আরফান মৃধা। এ নিয়ে একটি লেখা ফেসবুকে পোস্ট করেন সিনেমার পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন। তিনি লেখেন, ‘আমি যখন চারুকলায় পড়তাম তখন অনেক অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা আর মানুষের সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল এবং তারা বেশিরভাগই গানের মানুষ ছিল। তখন আমরা কাঁধে গীটার নিয়ে সারাদিন ঘুরে বেড়াতাম, গান করতাম। চারপাশে অনেকেই তখন গান করত।’
হাশিম মাহমুদের সঙ্গে পরিচয়ের কথা বলতে গিয়ে পরিচালক লেখেন, ‘সেই সমইয়ের অনেকের গানই এখন খুব জনপ্রিয়। কিন্তু আমার কাছে হাশিম ভাই এর গান ছিল ভিন্ন কিছু। কত বিকেল পার করেছি হাসিম ভাইয়ের গানে। অনেক বছর আগে আমি আর শোয়েব, হাশিম ভাই কিছু গান রেকর্ডও করেছিলাম, কিন্তু পরে সেই রেকর্ডিংগুলি আমরা হারিয়ে ফেলি। আমি যখন হাওয়ার কাজ শুরু করবো, তখনই ঠিক করেছিলাম সাদা সাদা কালা কালা গানটা সিনেমাতে রাখতে চাই।’
মেজবাউর রহমান সুমন আরো লেখেন, ‘কিন্তু হাশিম ভাইকে আমার দীর্ঘদিন ধরে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সে তখন আর চারুকলায় আসেনা। পরে জানতে পারি তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরেছেন। অনেক খোঁজ খবর করার পর আমরা হাশিম ভাইকে খুঁজে পাই। হাশিম ভাইকে দিয়েই গানটি গাওয়াতে পারলে সবথেকে ভালো হতো। কিন্তু সেটা সম্ভভ হয়নি তার অসুস্থতার কারণে।’
‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি প্রসঙ্গে পরিচালক জানান এতে খমক ছাড়া কোন বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। নৌকার সব কাঠ বাস হাড়ি পাতিল দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন ইমন চৌধুরী। আর যন্ত্রগুলো বাঁজিয়েছে মিঠুন চাকরা।
অতল সমুদ্রে গন্তব্যহীন একটি ফিশিং ট্রলারে আটকে পড়া আট মাঝি মাল্লা এবং এক রহস্যময় বেদেনীকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে ‘হাওয়া’ সিনেমার গল্প।
পড়ুন: কন্যার ছবি প্রকাশ্যে আনলেন তিশা
যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব খানের প্রথম সিনেমা মুক্তি
২ বছর আগে
নতুন ছবি ‘এই মুহূর্তে’: এক সিনেমা, তিন পরিচালক
দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা পিপলু আর খান, মেজবাউর রহমান সুমন ও আবরার আতহার এক হয়ে এবার পর্দায় আসছেন। তিন জনের তিনটি গল্প নিয়ে অ্যান্থলজি সিনেমা ‘এই মুহূর্তে’নির্মিত হয়েছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে এটি দেখা যাবে।
সিনেমাটি নিয়ে পরিচালক আবরার আতহার বলেন, পিপলু ভাই ও সুমন ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করাটা ছিল আমার জন্য ভয়ের, চ্যালেঞ্জের ও এক্সসাইটমেন্টের। আর অনেক কিছু শেখারও ছিল। আমরা তিন জন একদম ভিন্ন তিন রকমের গল্পকার। আমরা সবাই সমসাময়িক বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। যা প্রতিনিয়ত আমাদের চোখের সামনে ঘটে থাকে তা অনন্য শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি, দর্শক এটা দেখে মজা পাবেন।
আরও পড়ুন: ৫০ প্রেক্ষাগৃহে আসছে বুবলি-আদর জুটির ‘তালাশ’
প্রায় এক যুগ পর ফিকশন নিয়ে পর্দায় আসছেন নির্মাতা মেজবাউর রহামন সুমন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রায় ১২ বছর পর আমার আবার ফিকশনে ফেরা। আর সেটা একটা অ্যান্থলজি প্রজেক্টের মধ্য দিয়ে। সামনে আমার আরেকটা সিনেমা মুক্তি পাবে। সব মিলিয়ে আমার জন্য সময়টা খুব আনন্দের।
‘হাসিনা: এ ডটার্স টেল’ প্রামাণ্যচিত্র বানিয়ে বেশ আলোচনায় এসেছেন পিপলু আর খান। এই অ্যান্থলজি সিনেমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই কনটেন্টটা খুব ইন্টারেস্টিং দুইটা কারণে। প্রথমত, এই মুহূর্তে খুব কোয়ালিফাই করে যে সোসাইটির কিছুর গভীর ক্ষত বা প্রবাহ আমরা যেরকম দেখি সেভাবে দেখনো। দ্বিতীয়ত, এইটা একটা সেন্সবল ও সেন্সিটিভ প্রজেক্ট। আমরা তিন জন চেষ্টা করেছি সমসাময়িক যে ঘটনাগুলা হয়েছে সেটার একটা ফিকশনাল ব্যাখ্যা তৈরি করতে।
আরও পড়ুন: জেকে ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত ইংরেজি ভাষার প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র
পিপলু আর খান বলেন, ‘এক অর্থে এটা আমার প্রথম ফিকশন। এর আগে আমি কখনও ফিকশন বানাইনি। এই প্রজেক্টের যে সামাজিক সচেতনতা আছে তা সময় উপযোগী। এই মুহূর্তে হচ্ছে আমাদের সমাজের এক প্রকার পরাজয়ের গল্প, হেরে যাওয়ার গল্প। যেটা সৃজনশীলভাবে দর্শকের কাছে নিতে চাই।
শিগগিরিই চরকরি পর্দায় অ্যান্থলজি সিনেমা ‘এই মুহূর্তে’দেখা যাবে।
২ বছর আগে