বিএম ডিপো
বিএম ডিপোর বিস্ফোরণ: নিখোঁজ ৮ জনের পরিচয় মিলেছে ডিএনএ পরীক্ষায়
সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ২২ অজ্ঞাত লাশের মধ্যে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিখোঁজ আটজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর ৫১ জনের লাশ উদ্ধার করা হলেও এতদিন ২২টি লাশের পরিচয় অজ্ঞাত ছিল।
স্বজনদের ডিএনএ টেস্টের মধ্য দিয়ে শনাক্ত হওয়া আটজন হলেন- আখতার হোসেন, আবুল হাশেম, মনির হোসেন, বাবুল মিয়া, সাকিব, মো. রাসেল, মো. শাহজাহান ও আব্দুস সোবহান প্রকাশ আব্দুর রহমান।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কর্মরত জেলা পুলিশের উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে আটজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের পরিবারের কাছে খবর দেয়া হয়েছে। তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। নিহত ৫১ জনের মধ্যে আগে ২৯ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছিল, এই আটজনসহ ৩৭ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। আরও ১৪ জনের লাশ রয়েছে।
তিনি বলেন, আটজনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ার মধ্যে দুইজনের স্বজন হাসপাতালে এসেছেন। সিনিয়র স্যারদের উপস্থিতিতে নামগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের জন্য মালিকপক্ষ দায়ী
সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে একের পর এক উদ্ধার হওয়া লাশ এবং দেহের অংশ বিশেষের পরিচয় শনাক্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাব স্থাপিত করে। সে বুথে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবের টিম লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে গত ৯ জুন পর্যন্ত ১৯টি লাশ ও ২৩ জনের বিপরীতে ৪৩ জনের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছিল।
উল্লেখ্য গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ৯ জুন সকাল সোয়া ১১টার দিকে উদ্ধার কাজের সমাপ্ত ঘোষণা করে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় ৫১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণের ৩২ দিন পর বিএম ডিপোতে মিলল পোড়া হাড়গোড়
২ বছর আগে
বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের জন্য মালিকপক্ষ দায়ী
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেসরকারি বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বিভাগীয় কমিশনারের গঠিত তদন্ত কমিটি। অগ্নিকাণ্ডের জন্য ডিপো মালিক ও সরকারি তদারকি সংস্থাকে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি।
বুধবার দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের এক মাস দুই দিন পর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিপোতে থাকা কন্টেইনার ভর্তি রাসায়নিক হাইড্রোজেন পারক্সাইড থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ডিপোতে হাইড্রোজেন পারক্সাইড ধারণকারী কন্টেইনারে জাতিসংঘের (ইউএন) সার্টিফিকেট ছিল না।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণের ৩২ দিন পর বিএম ডিপোতে মিলল পোড়া হাড়গোড়
মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট ২০ দফা সুপারিশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার জন্য হাইড্রোজেন পার অক্সাইড কন্টেইনার ভর্তির পর দীর্ঘদিন রেখে দেয়াকে অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রায় ২৬টি কন্টেইনারের মধ্য থেকে কয়েকটি ৪০দিন ধরে ডিপোতে পড়েছিল। এসব কন্টেইনার রপ্তানির জন্য স্টাফিং করার পরও চার দফা শিপমেন্ট পিছিয়েছিল শিপিং এজেন্ট।
ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, দায়িত্ব নির্ধারণ এবং এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে করণীয় সম্পর্কে সুপারিশসহ তিনটি বিষয়ের ওপর প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
পুরো তদন্তে বিএম ডিপোর পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ২৪ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। এছাড়া বিএম ডিপোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ও পরিচালক মজিবুর রহমানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানান মিজানুর।
তিনি বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, শ্রম বিভাগ ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার বিস্ফোরণে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়
এছাড়া ঢাকার অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে বিভিন্ন রাসায়নিকের ১৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসব পরীক্ষার প্রতিবেদনও তদন্ত প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের এক মাস পর বুধবার সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপো থেকে আরেকটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।গত ৪ জুন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও পরবর্তী বিস্ফোরণে ৫১ জন নিহত ও ২০০ জনের বেশি আহত হয়।
আরও পড়ুন: বিএম কন্টেইনার ডিপো থেকে ১০ ডিভিআর মেশিন উদ্ধার
২ বছর আগে
বিএম ডিপো পরিদর্শনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিম
সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুরে বিএম ডিপোর রাসায়নিক বিষ্ফোরণে স্বাস্থ্য ঝুঁকির অবস্থা খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি টিম।রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (পরিকল্পনা) ডা.নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তদন্ত টিমের সদস্যরা শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ঘটনাস্থল বিএম ডিপো পরিদর্শন করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. মো. সফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াছ চৌধুরী, মেডিকেলের কিডনি বিশেষজ্ঞ এনামুল হক শামীম, ডিএনসিসি ডেডিকেডেট কোভিড হাসপাতালের পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্ণেল মো. মশিউর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. অনিন্দিতা শবনম কোরেশী, সহকারী পরিচালক ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ, সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর উদ্দিন, ইভালুয়েটর ডা. ফাবলিনা নওশিন, আইএইচআর এর ডাটা ম্যানেজার রাকিবুল ইসলাম, বিসিআইসির ইন্ড্রাস্টিয়াল সেফটি এন্ড হেলথ ডিপার্টমেন্টের কেমিস্ট মো. জিয়াউল হক, ডেপুটি চিফ কেমিস্ট হুমায়ুন কবির।এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন শাখার পরিচালক (পরিকল্পনা) ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, বিএম ডিপোতে রাসায়নিক বিষ্ফোরণ হয়েছে। আমাদের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখায় রেডিয়েশন হেজার্ট এবং কেমিকেল হেজার্ড বিষয়ে কাজ করি। এখানে রাসায়নিক বিষ্ফোরণে কী ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে আমরা এসেছি। এছাড়া এই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়া রোগীরা চমেকে কিভাবে চিকিৎসা নিচ্ছে তাও দেখব। এদিকে সকালে ঢাকা থেকে সিআইডি’র একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে মামলা
২ বছর আগে
ডিপোতে বিস্ফোরক ছিল না, আগুন নাশকতা কি না তদন্তে বেরিয়ে আসবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে কোনো বিস্ফোরক ছিল না, তবে ডিপোতে লাগা আগুন নাশকতা কি না তা তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, ‘হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, এটা কোনো বিস্ফোরক আইটেম নয়। এটি অনুমোদিত রপ্তানি পণ্য, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ রপ্তানি করছে। এই ডিপো আইএসপিএস কোড (আন্তর্জাতিক জাহাজ, বন্দর সুবিধাদি ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত কোড) অনুসরণ করেছে। যে কমপ্ল্যায়েন্সগুলো ছিল সবগুলোর মেনেছে। সেখানে অগ্নিনির্বাপক যে ব্যবস্থা থাকা দরকার, সবই ছিল। তারপরও ঘটনাটা ঘটে গেল।’
ঘটনাস্থল ঘুরে এসে মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ কার্যলয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক বিপদজনক পণ্য পরিবহনের যে নীতিমালা আছে, সেটাও সেখানে মানা হয়েছে। বলা হয়েছে, কন্টেইনার ডিপোগুলোর মধ্যে বিএম কন্টেইনার ডিপোর ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে ভালো।
তিনি বলেন, আমরা পরিদর্শন করে যা দেখলাম, আগুনের যে চিত্রটা, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের যে কন্টেইনারগুলো ছিল, কিছু কন্টেইনারে আগুন ধরে গেছে, বিস্ফোরিত হয়েছে। মাঝখানে কিছু কন্টেইনারে কিন্তু কিছু হয়নি, কিছুদূর পরে গিয়ে আবার কিছু কন্টেইনারে হয়েছে। এটা খুব সন্দেহজনক। কীভাবে এতো বড় ঘটনা ঘটে গেল, বিস্ফোরণ হয়ে গেল, আগুনটা অস্বাভাবিক। একটা স্তর বাদ দিয়ে আরেকটা স্তরে আগুনটা ধরেছে। এটা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, এটা কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য নয়। এখানে অন্য একটি এ ধরনের ইয়ে (অন্য কিছু) দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। যেহেতু এটা বিস্ফোরক নয় তাই তাদের এটা ডিক্লেয়ার করার কিছু নেই। ব্যাপারটা এ রকমই। আমরা যাওয়ার আগে এক ধরনের চিন্তা করেছিলাম। যাওয়ার পরে আমরা আরেক ধরনের ব্যবস্থা দেখলাম।
তাহলে বিস্ফোরণ কীভাবে হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, অক্সিজেন নিজে জ্বলে না কিন্তু অন্যকে জ্বলতে সহায়তা করে, এই ধরনের কোনো একটা ঘটনা হয়তো ঘটেছে। সেজন্য এখানে বলা হচ্ছে এটা নাশকতা কি না। তাই তদন্তের আগে এই মুহূর্তে এটা বলা খুব কঠিন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের অবদান অপরিসীম: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সঙ্গে একটি গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে সীতাকুণ্ডের এই আগুনের বলে দাবি করেন প্রতিমন্ত্রী।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা যদি স্বাভাবিকভাবে বলি-দেখেন গতকালকে একটা ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয়েছে। আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। এই উদ্বোধনের সঙ্গে এই ঘটনাটা জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। উদ্বোধনের যে আয়োজন এতে যে অর্থটা খরচ হবে সেটা ন্যূনতম।
‘এই অর্থ দিয়ে আগুন মোকাবিলায় হেলিকপ্টার কেনা হবে-গুজব ছড়ানো হয়েছে। মিলিয়ন ডলার এখানে ব্যয়, সেটার সঙ্গে এটা খুবই যৎসামান্য। এটা পপুলার একটি গুজব। এই যে মিলিয়ে দেয়া হলো, পাশাপাশি নাশকতার ধারণা করা হচ্ছে। এটাতে খুবই যোগসূত্র পাওয়া যায়।’
বিষয়টিকে নাশকতা ধারণা করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি যেটা দেখেছি, আপনি যদি প্র্যাকটিক্যালি যান আপনারও এমনটা হতে পারে। সবকিছু তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। যেহেতু আমাদের আশঙ্কাটা এখানে এসেছে। যারা তদন্ত করছেন তারা হয়তো এই বিষয়টাও আমলে নিবেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও গেইটওয়ে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে সেই এগিয়ে যাওয়ায় অনেকে ঈর্ষান্বিত। সেই জায়গাগুলোতে অনেকে যুক্ত হচ্ছে কি না, সেটাও একটা ব্যাপার। তদন্তের মধ্যে বেরিয়ে আসবে, যদি মালিকপক্ষ তদন্তের মধ্যে আসে, গাফিলতি আছে, ডেফেনেটলি আইনের আওতায় আসবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।
২ বছর আগে
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: আরও দুজনের লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার
সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো থেকে আরও দুজনের লাশের অংশ বিশেষ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জ্বলতে থাকা কন্টেইনারের পাশ থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থলে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে কন্টেইনারের পাশ থেকে লাশের হাত-পা শরীরের বিভিন্ন অংশ পাওয়া যায়। এগুলো দুজনের লাশ বলে ধারণা করছি। তবে আমরা এখনও নতুন লাশ হিসেবে মনে করছি না। কারণ এগুলো আগে উদ্ধার হওয়া লাশের অঙ্গ প্রত্যঙ্গও হতে পারে। তবে আমরা এ ব্যাপারে যাচাই বাছাই করে বলবো।
উদ্ধার হওয়া লাশের অংশ দেখে প্রাথমিক অবস্থা এদের একজন ডিপোর গার্ড, অন্যজন ফায়ারকর্মী বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফেনীর ৩ বাড়িতে শোকের মাতম
বিএম কন্টেইনার ডিপোকে সেনাবাহিনী ঝুঁকিমুক্ত করার ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান বলেছেন এটা সেনাবাহিনীর বক্তব্য আমাদের না। তাদের কাছে হয়তো ঝুঁকিমুক্ত মনে হয়েছে। তবে আমরা এটাকে ঝুঁকিমুক্তও বলছি না ঝুঁকিপূর্ণও বলছি না।
২ বছর আগে
এখনও জ্বলছে সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপো
সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে লাগা আগুন নেভানো সম্ভব হচ্ছে না। ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অগ্নিনির্বাপণে কাজ করে যাচ্ছেন সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।
এদিকে সোমবার সকালে ডিপোর কন্টেইনারের ভেতর থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ৫০ জনে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, ‘জ্বলন্ত কনটেইনারগুলোর পাশে একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকতে পারে। এ কারণে সতর্কতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে তারা।’
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকা থেকে আনা হয়েছে হাজমত টেন্ডার (গাড়ি)। যা দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে মনে করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মনির হোসেন বলেন, কনটেইনারগুলো সরানোর জন্য হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট আনছে ডিপো কর্তৃপক্ষ। ছয়টি টিম রেডি করেছি। ৮-১০ টি কনটেইনারে এখনও আগুন আছে। আলাদা করে আগুন নেভানো হবে। কেমিকেল আগুন নেভাতে দুটি হাজমত টেন্ডারসহ (গাড়ি) ২০ জনের টিম এসেছি ঢাকা থেকে।
সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ডিপোর ভিতরে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করছে।
মনির হোসেন বলেন, বিভিন্ন কন্টেইনারে আগুন জ্বলছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার। কোন কন্টেইনারে রাসায়নিক আছে তা বলতে না পারায় আমাদের সাবধানতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে। তারপরও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় লাগা এ আগুনে ডিপোতে থাকা বিভিন্ন কেমিকেল ভর্তি কন্টেইনার বিস্ফোরণ হয়ে এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে।
স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও চিকিৎসকদের আশঙ্কা সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ডিপোতে অবস্থান করছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, কনটেইনার ডিপোটিতে ‘হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড’ নামে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক ছিল। হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড একটি রাসায়নিক যৌগ; উচ্চতাপে এটি বিস্ফোরক হিসেবে আচরণ করে। বিস্ফোরণে পুরো এলাকায় রাসায়নিকের বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে। এতে উদ্ধারকর্মীরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
এর আগে শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে কদমরসুল এলাকায় বিএম ডিপোতে আগুনের পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫০ জনের মৃত্যু হয় এবং শতাধিক দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে বিস্ফোরণে আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালিক পক্ষ। গতকাল রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মালিকপক্ষ নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দেবে। গুরুতর আহত বা অঙ্গহানির শিকার প্রত্যেকেকে ছয় লাখ টাকা করে এবং বাকি আহতদের চার লাখ টাকা করে দেবে। বিএম ডিপোর জিএম মেজর (অব.) শামসুল হায়দার সিদ্দিকী এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণ নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হবে: হাছান মাহমুদ
২ বছর আগে