সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সীতাকুণ্ড ট্রাজেডির ঘটনায় দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রশিক্ষণসহ তাদের আধুনিকায়নে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশপ্রেম ও প্রশিক্ষণের জন্যই তারা অন্যদের বাঁচাতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
শুক্রবার সকালে গাজীপুরের সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমির ইয়াদ আলী প্যারেড গ্রাউন্ডে ২২তম ব্যাচের নবীন ব্যাটালিয়ন আনসারদের ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সালাম গ্রহণ করেন এবং একটি সুসজ্জিত খোলা জীপে প্যারেড পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে মামলা
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন ও বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক, কমান্ড্যান্ট, উপ-মহাপরিচালক (প্রশাসন), উপ-মহাপরিচালক (অপারেশনস)-সহ সদর দপ্তর ও একাডেমির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আনসার বাহিনীর উৎকর্ষতার জন্য তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অন্যান্য সময়ের চেয়ে এ বাহিনী আরও যুগোপযোগী ও আধুনিক। ৪৪২ জন নবনিযুক্ত ব্যাটালিয়ন আনসার ছয় মাস মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে সমাপনী কুচাকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে। পরে প্রধান অতিথি কৃতি ও চৌকস প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে পুরস্কার করেন। এতে মৌলিক প্রশিক্ষণে- মো. সাগর আলী শ্রেষ্ঠ ড্রিল, শরিফুল ইসলাম শ্রেষ্ঠ ফায়ারার এবং মো. গুলজার আলী চৌকস প্রশিক্ষণার্থী ব্যাটালিয়ন আনসার হিসেবে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
পুরস্কার প্রদান শেষে প্রধান অতিথি প্রশিক্ষণার্থী নবীন ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪
২ বছর আগে
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফায়ারম্যান সাকিলের দাফন সম্পন্ন
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোর বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণ হারানো ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যের একজন সাকিল তরফদারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের শুকদাড়া গ্রামে সাকিলের বাড়িতে মরদেহটি নেয়া হয়।
এরপর সাকিলকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হয়। পরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তায় প্রস্তুত ভারত
এর আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে সাকিল তরফদারের মরদেহটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরে নেয়া হয়। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার প্রথম জানাজা সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ –পরিচালক মো. ছালেহ উদ্দীন বলেন, ‘যারা অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় মারা যান, তারা সাধারণত শহীদ হন। সাকিলও শহীদ হয়েছেন। তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য ২০১৮ সালের জুনে খুলনার কমার্স কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থান ফায়ার সার্ভিসে চাকরি পান সাকিল। প্রথমে তিনি বটিয়াঘাটা ফায়ার স্টেশনে, পরে মোংলা ইপিজেডে ফায়ার স্টেশনে বদলি হন। সেখান থেকে ছয় মাস আগে তাকে চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনের পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফায়ার সার্ভিসের আরও ৩ সদস্য নিখোঁজ
২ বছর আগে
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তায় প্রস্তুত ভারত
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তার সরকার এবং ভারতের জনগণ বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ত্রাণ দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টাকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রেরিত এক শোক বার্তায় মোদি আরও বলেছেন, চট্টগ্রামে একটি কনটেইনার ডিপোতে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে এত মূল্যবান প্রাণের ক্ষতি এবং অনেকের আহত হওয়ার খবর শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছি।
তিনি বলেন, এই কঠিন সময়ে সমগ্র ভারতবাসী বাংলাদেশের সঙ্গে শোকাহত।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সরকার ও জনগণের আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনাও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: আরও দুজনের লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ৪১: প্রশাসন
২ বছর আগে
ডিপোতে বিস্ফোরক ছিল না, আগুন নাশকতা কি না তদন্তে বেরিয়ে আসবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে কোনো বিস্ফোরক ছিল না, তবে ডিপোতে লাগা আগুন নাশকতা কি না তা তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, ‘হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, এটা কোনো বিস্ফোরক আইটেম নয়। এটি অনুমোদিত রপ্তানি পণ্য, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ রপ্তানি করছে। এই ডিপো আইএসপিএস কোড (আন্তর্জাতিক জাহাজ, বন্দর সুবিধাদি ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত কোড) অনুসরণ করেছে। যে কমপ্ল্যায়েন্সগুলো ছিল সবগুলোর মেনেছে। সেখানে অগ্নিনির্বাপক যে ব্যবস্থা থাকা দরকার, সবই ছিল। তারপরও ঘটনাটা ঘটে গেল।’
ঘটনাস্থল ঘুরে এসে মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ কার্যলয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক বিপদজনক পণ্য পরিবহনের যে নীতিমালা আছে, সেটাও সেখানে মানা হয়েছে। বলা হয়েছে, কন্টেইনার ডিপোগুলোর মধ্যে বিএম কন্টেইনার ডিপোর ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে ভালো।
তিনি বলেন, আমরা পরিদর্শন করে যা দেখলাম, আগুনের যে চিত্রটা, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের যে কন্টেইনারগুলো ছিল, কিছু কন্টেইনারে আগুন ধরে গেছে, বিস্ফোরিত হয়েছে। মাঝখানে কিছু কন্টেইনারে কিন্তু কিছু হয়নি, কিছুদূর পরে গিয়ে আবার কিছু কন্টেইনারে হয়েছে। এটা খুব সন্দেহজনক। কীভাবে এতো বড় ঘটনা ঘটে গেল, বিস্ফোরণ হয়ে গেল, আগুনটা অস্বাভাবিক। একটা স্তর বাদ দিয়ে আরেকটা স্তরে আগুনটা ধরেছে। এটা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, এটা কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য নয়। এখানে অন্য একটি এ ধরনের ইয়ে (অন্য কিছু) দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। যেহেতু এটা বিস্ফোরক নয় তাই তাদের এটা ডিক্লেয়ার করার কিছু নেই। ব্যাপারটা এ রকমই। আমরা যাওয়ার আগে এক ধরনের চিন্তা করেছিলাম। যাওয়ার পরে আমরা আরেক ধরনের ব্যবস্থা দেখলাম।
তাহলে বিস্ফোরণ কীভাবে হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, অক্সিজেন নিজে জ্বলে না কিন্তু অন্যকে জ্বলতে সহায়তা করে, এই ধরনের কোনো একটা ঘটনা হয়তো ঘটেছে। সেজন্য এখানে বলা হচ্ছে এটা নাশকতা কি না। তাই তদন্তের আগে এই মুহূর্তে এটা বলা খুব কঠিন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেরিন ক্যাডেটদের অবদান অপরিসীম: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সঙ্গে একটি গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে সীতাকুণ্ডের এই আগুনের বলে দাবি করেন প্রতিমন্ত্রী।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা যদি স্বাভাবিকভাবে বলি-দেখেন গতকালকে একটা ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয়েছে। আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। এই উদ্বোধনের সঙ্গে এই ঘটনাটা জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। উদ্বোধনের যে আয়োজন এতে যে অর্থটা খরচ হবে সেটা ন্যূনতম।
‘এই অর্থ দিয়ে আগুন মোকাবিলায় হেলিকপ্টার কেনা হবে-গুজব ছড়ানো হয়েছে। মিলিয়ন ডলার এখানে ব্যয়, সেটার সঙ্গে এটা খুবই যৎসামান্য। এটা পপুলার একটি গুজব। এই যে মিলিয়ে দেয়া হলো, পাশাপাশি নাশকতার ধারণা করা হচ্ছে। এটাতে খুবই যোগসূত্র পাওয়া যায়।’
বিষয়টিকে নাশকতা ধারণা করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি যেটা দেখেছি, আপনি যদি প্র্যাকটিক্যালি যান আপনারও এমনটা হতে পারে। সবকিছু তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। যেহেতু আমাদের আশঙ্কাটা এখানে এসেছে। যারা তদন্ত করছেন তারা হয়তো এই বিষয়টাও আমলে নিবেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ও গেইটওয়ে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে সেই এগিয়ে যাওয়ায় অনেকে ঈর্ষান্বিত। সেই জায়গাগুলোতে অনেকে যুক্ত হচ্ছে কি না, সেটাও একটা ব্যাপার। তদন্তের মধ্যে বেরিয়ে আসবে, যদি মালিকপক্ষ তদন্তের মধ্যে আসে, গাফিলতি আছে, ডেফেনেটলি আইনের আওতায় আসবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।
২ বছর আগে
জামিনে এসে ছেলের জানাযায় রনির বাবা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আগুন নেভাতে গিয়ে নিহত অগ্নিযোদ্ধা (ফায়ার ফাইটার) রমজানুল ইসলাম রনির (২২) শেরপুরে নিজ এলাকায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে ‘গার্ড অব অনার’দেয়া হয় এবং লাশের কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের হেরুয়া বালুরঘাট এলাকায় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: আরও দুজনের লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রমজানুল ইসলাম রনির লাশ এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় চোখের জলে এই ফায়ার ফাইটারকে শেষ বিদায় জানান সহকর্মী ও প্রতিবেশীরা।
এদিকে আদালত থেকে জামিন পেয়ে জানাযা ও দাফন কাজে শরীক হন কারাগারে থাকা রনির বাবা আকরাম হোসেন আংগুর মিয়া। একটি হত্যা মামলায় তিনি গত তিনি মাস ধরে জেলহাজতে আছেন। রনির মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার আদালতের বিচারক তার সাত দিনের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
চরশেরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সেলিম রেজা বলেন, রনির ঘটনাটি বেদনাদায়ক, এই পেশাটাই এমন চ্যালেঞ্জের। সর্বদাই ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হয়। রনিই ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারটি বিরাট ক্ষতি হয়েছে। সরকার যেন রনির পরিবারের প্রতি দৃষ্টি রাখেন এই আহ্বান জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফেনীর ৩ বাড়িতে শোকের মাতম
গত শনিবার রাতে চট্টগ্রামের শীতলপুর এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভাতে গিয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সীতাকুণ্ড দমকল বিভাগে কর্মরত শেরপুরের সন্তান ফায়ারফাইটার রমজানুল ইসলাম রনি। রবিবার বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তার স্ত্রী ও সহকর্মীরা তার লাশ শনাক্ত করেন।
২ বছর আগে
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: আরও দুজনের লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার
সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো থেকে আরও দুজনের লাশের অংশ বিশেষ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জ্বলতে থাকা কন্টেইনারের পাশ থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থলে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে কন্টেইনারের পাশ থেকে লাশের হাত-পা শরীরের বিভিন্ন অংশ পাওয়া যায়। এগুলো দুজনের লাশ বলে ধারণা করছি। তবে আমরা এখনও নতুন লাশ হিসেবে মনে করছি না। কারণ এগুলো আগে উদ্ধার হওয়া লাশের অঙ্গ প্রত্যঙ্গও হতে পারে। তবে আমরা এ ব্যাপারে যাচাই বাছাই করে বলবো।
উদ্ধার হওয়া লাশের অংশ দেখে প্রাথমিক অবস্থা এদের একজন ডিপোর গার্ড, অন্যজন ফায়ারকর্মী বলে মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফেনীর ৩ বাড়িতে শোকের মাতম
বিএম কন্টেইনার ডিপোকে সেনাবাহিনী ঝুঁকিমুক্ত করার ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান বলেছেন এটা সেনাবাহিনীর বক্তব্য আমাদের না। তাদের কাছে হয়তো ঝুঁকিমুক্ত মনে হয়েছে। তবে আমরা এটাকে ঝুঁকিমুক্তও বলছি না ঝুঁকিপূর্ণও বলছি না।
২ বছর আগে
সীতাকুণ্ড ট্রাজেডি: চোখের জলে ইব্রাহিমকে বিদায়
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ট্রাজেডিতে নিহত ইব্রাহীম হোসেনের লাশ যশোরের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে। এরপর অনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
নিহত ইব্রাহীম(২৮) বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের আবুল কাশেম মুন্সীর ছেলে ও আরএফএল কোম্পানিতে শিপিং সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন।
সোমবার সকাল ৭টায় তাকে বহনকারী ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সটি এসে পৌঁছায়। এ সসময় আগুনে ঝলসে যাওয়া ইব্রাহীমের মুখ দেখে স্বজন এবং প্রতিবেশীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। জীবন সঙ্গীকে হারিয়ে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মুন্নি খাতুন বাকরুদ্ধ।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জানা গেছে, গত ৪ জুন রাতে অনেকের মতো ইব্রাহীম বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুনের ভিডিও ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। কিছু সময় পর হঠাৎ কনটেইনারগুলোতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। তখন থেকে ইব্রাহীমের মুঠোফোন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজাখুঁজির পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তার লাশের সন্ধান মেলে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফেনীর ৩ বাড়িতে শোকের মাতম
বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ.ন.ম. আবুজার গিফারীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা নরসিংহপুরে যান। সকাল ৯টায় নরসিংহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জানাজা শেষে পারিবারিক করবস্থানে দাদা-দাদির পাশে তাকে দাফন করা হয়।
২ বছর আগে
সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে আহত সকল রোগীদের সব ধরনের চিকিৎসা সেবা শতভাগ নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৪ জন ও ঢাকা মেডিকেলে একজন রোগীর নিবিড় চিকিৎসা পরিচর্যাসহ চট্টগ্রামের আলাদা একটি বার্ন ইনস্টিটিউটেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।’
সোমবার রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ডে চিকিৎসাধীন রোগীদের সার্বিক চিকিৎসা সেবা পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে সবচেয়ে কম দামে টিকা দিয়েছে বাংলাদেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউট ছাড়াও সংশ্লিষ্ট এলাকায় অন্যান্য জেনারেল হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্সদের ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করা হয়েছে। এছাড়া আহত রোগীদের চিকিৎসা সেবা সরাসরি পর্যবেক্ষণের জন্য ঢাকা থেকে বিশেষ চিকিৎসক টিম চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক চিকিৎসার খোঁজখবর নিচ্ছি এবং প্রধানমন্ত্রী নিজেও বিষয়টি দেখাশোনা করছেন, খোঁজখবর নিচ্ছেন। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের সঠিক চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম ও ঢাকায় সরকারি হাসপাতালগুলো সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে আসা আহত ১৫ জনের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা বর্তমানে কিছুটা ভালোর দিকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুন: করোনা নিয়ন্ত্রণে, ১৩ কোটি মানুষ টিকা নিয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো.সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্ম্দ খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফেনীর ৩ বাড়িতে শোকের মাতম
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ফেনীর ফায়ার ফাইটার সালাউদ্দিন কাদের সবুজ (৩৭) , বিএম কন্টেইনার ডিপোর শিফট ইনচার্জ শাহাদাত উল্লাহ মজুমদার (৩৮) ও নিখোঁজ কাভার্ডভ্যান চালক মোহাম্মদ ইয়াসিনের (২৮) বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
নিহত সবুজ ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের মাছিম পুর গ্রামের মাস্টার মো. ইউছুফের ছোট ছেলে। শাহাদাত ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের আমিন উল্লাহ মজুমদারের ছেলে। মুহাম্মদ ইয়াসিনের ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোসাইপুর গ্রামের মো. খোকা মিয়ার ছেলে।
সরেজমিনে নিহত সবুজের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, পরিবারের কর্মক্ষম ছেলের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ বাবা-মা।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ সিরাজগঞ্জের শফিউল
পরিবার জানায়, সবশেষ ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসেন। রবিবার রাত ৯টায় স্ত্রী মর্জিনা আক্তারের সঙ্গে কথা হয়। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার বিগ্রেডের ইউনিটের সঙ্গে ডিপোতে উদ্ধারের কাজে যোগদেন। এরপর বিস্ফোরণের পর থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। রবিবার দুপুরে স্বজনরা জানতে পারেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার লাশ রয়েছে। পরে সোমবার গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।
ফায়ার ফাইটার সবুজ ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে সোনগাজী ফায়ার স্টেশনে যোগদানের মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন।
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার শাহাদাত মজুমদারের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে শাহাদাতের মা-বাবা ভেঙে পড়েছেন। পরিবারের কর্মক্ষম বড় ছেলেকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ তারা। শনিবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ডিপোতে আসেন ও পরিবারের সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বলা অবস্থায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।
রবিবার দুপুরে স্বজনরা জানতে পারেন চট্টগ্রাম মেডিকেলে তার লাশ রয়েছে। রবিবার রাতে গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহত শাহাদাত তিন বছর আগে একই এলাকায় বিয়ে করেন। তার আড়াই মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপুতে বিস্ফোরণ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩
এদিকে শনিবার রাত থেকে খোঁজ নেই স্পেক্ট্রা কোম্পানির কভার্ডভ্যান চালক মোহাম্মদ ইয়াসিনের। রবিবার রাতে ইয়াসিনের গ্রামের বাড়িতে মা কোকিলা আক্তার ছেলের নাম করে ডুকরে কাঁদতে দেখা গেছে, এ সময় তিনি বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন চার বোনও।
চাচাতো ভাই মোহাম্মদ নাহিদ জানান, ডিপোতে আগুন লাগর পর ইয়াসিন বাড়িতে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কথা শেষ করে ফেইসবুক লাইভে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও দেখান সবাইকে। এক পর্যায়ে বিস্ফোরণ ঘটলে তার লাইভ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
২ বছর আগে
ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরেই লাশ হলেন আলা উদ্দিন!
ছুটি শেষে গ্রামের বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফিরেই লাশ হলেন ফায়ার সার্ভিসকর্মী মো. আলা উদ্দিন (৩৫)। শনিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন নেভাতে গিয়ে অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে তিনিও দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিলে চলছে শোকের মাতম।
নিহত আলা উদ্দিন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা গ্রামের বড় মুন্সি বাড়ির আবদুর রশিদের ছেলে। তাজ উদ্দিন তাহিম নামের ছয় বছরের তার এক ছেলে রয়েছে।নিহতের বড় ভাই জহির উদ্দিন জানান, পরিবারের ছয় ভাই আর চার বোনের মধ্যে আলাউদ্দিন ছিলেন পঞ্চম। ২০০৭ সালের আগে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল সার্জন ডিপার্টমেন্টে ফায়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন আলা উদ্দিন। প্রথম কর্মস্থল ছিল ঢাকা এবং পরে ফেনী, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, কুমিল্লা এবং সর্বশেষ চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে কর্মরত অবস্থায় গেল সপ্তাহের ছুটিতে বাড়িতে যান আলা উদ্দিন। প্রায় সাতদিনের ছুটি শেষে শনিবার সকালে বাড়ি থেকে চট্টগ্রামের কুমিরা স্টেশনে যোগদান করেন সেই রাতে। বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা জানার পর সর্বপ্রথম যে ইউনিটটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে সেই ইউনিটের সদস্য ছিলেন আলাউদ্দিন। সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে প্রথম মৃত্যু সংবাদ আসে। পরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় থেকে তার মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করা হয়।
এদিকে আলা উদ্দিনকে হারিয়ে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকে পাথর হয়ে গেছেন বাবা আবদুর রশিদ, মা মমতাজ বেগম ও স্ত্রী তাসলিমা সুলতানা। স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে গ্রামের পরিবেশ।নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নোয়াখালী কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক জসীম উদ্দিন মজুমদার জানান, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ১০ জন ফায়ার ফাইটারের মৃত্যুতে তারা শোকাহত। তার কর্মজীবনে এক সাথে এত ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু এই প্রথম। নিহত আলাউদ্দিন তার অধীনে বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সৎ, নিষ্ঠাবান ও সাহসী ছিল।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাতে আলাউদ্দিনের লাশ সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বানসা গ্রামের উদ্দেশ্যে পাঠানো হবে এবং সকালে জানাযা শেষে নিজ বাড়ির আঙিনায় দাফন করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আমার জন্য দোয়া করো’, মাকে বলা সর্বশেষ কথা দমকলকর্মী শাকিলের
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯
২ বছর আগে