ছেলের যাবজ্জীবন
সাতক্ষীরায় বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার(১০ জুন) সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রাকিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবন
আসামি আবু হানিফ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রেউই গ্রামের মুনসুর সরদারের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, হানিফের বাবা মুনসুর সরদার কোনো কাজ করতেন না। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি লেগে ছিল। এমতাবস্থায় ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে আবু হানিফ বাড়িতে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মামলাটি বিচারের জন্য আদালতে পাঠানো হলে ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে নথি পর্যালোচনা করে বিচারক রাকিবুল ইসলাম আসামি আবু হানিফকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
সাতক্ষীরার আদালতের অতিরিক্ত পিপি সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় স্বামী হত্যায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে মাদক মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন
৬ মাস আগে
সিলেটে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় নিজের মাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। একই সঙ্গে রায়ে তাকে আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ ৩য় আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত কামাল আহমদ বিয়ানীবাজার উপজেলার মৃত তাহির আলী ওরফে সুন্দর আলীর ছেলে। নিহত ছয়মুন বিবি তারই মা।
রায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সোহেল রানা।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এসএম পারভীন এবং রাষ্ট্রের নিয়োজিত আইনজীবী ফারজানা হাবিব চৌধুরী আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি বিকাল ৫টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে ছয়মুন বিবির সঙ্গে ছেলে কামালের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বসতঘরের পাশে ছয়মুন বিবিকে মাটিতে ফেলে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ছেলে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ সময় ঘটনাস্থলের পাশে থাকা প্রতিবেশি ফখরুদ্দিনের স্ত্রী হেনা বেগম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি দেখে চিৎকার দেন। তার চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে কামাল আহমদ রক্তমাখা ধারাল ছুরিসহ দৌড়ে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে ফেলে। তখন স্থানীয় জনতা তাকে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রেখে থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক ছেলেকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ের জামাতা সাইম উদ্দিন বাদী হয়ে সমন্ধিক কামাল আহমদকে অভিযুক্ত করে পরদিন বিয়ানীবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি ওই আদালতে দায়রা ৫৩ মূলে রেকর্ড করা হয়।
আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর আদালতের বিচারক সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কিশোরগঞ্জে ভাই হত্যা মামলায় ৫ ভাই-বোনসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
১ বছর আগে
খুলনায় বাবা হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
খুলনায় বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার আসামির উপস্থিতিতে অতিরিক্ত খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২ এর বিচারক তাসনিম জোহরা এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত প্রশান্ত বিশ্বাস রূপসা উপজেলার পিঠাভোগ গ্রামের প্রফুল্ল বিশ্বাসের বড় ছেলে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ: ৪ জনের যাবজ্জীবন
আদালত সূত্র জানায়, নিহত প্রফুল্ল বিশ্বাস কৃষিকাজ ও ধর্মীয় গান করতেন। তার দুই ছেলে। একজন দর্জি ও অন্যজন এনজিওকর্মী। ছেলেদের দুই জনের কেউ বিয়ে করেনি। বড় ছেলে প্রশান্ত বিশ্বাস বিয়ের জন্য মা বাবাকে চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে তাদের পরিবারে প্রায়ই কলহ হতো। ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাকে মারতে উদ্যত হয় প্রশান্ত। পরের দিন মা পাশের গ্রামে মামার বাড়িতে চলে যান। ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালাতে গিয়ে পাশের বাড়ির সুভদ্রা বিশ্বাস প্রফুল্লের গলা কাটা লাশ দেখে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়। পরে নিহতের ছোট ছেলে সুশান্ত বিশ্বাস বাদী হয়ে বড় ভাই প্রশান্ত বিশ্বাসকে আসামি করে রূপসা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন
আসামি প্রশান্ত বিশ্বাস বাবাকে হত্যা করে বেনাপোল বন্দর হয়ে ভারতে চলে যান। পশ্চিম বশিরহাটের একটি দোকানে দর্জির কাজ শুরু করেন তিনি। পরে দেশে ফিরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। আদালতে ঘটনার বিবরণ জানিয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
২ বছর আগে