বিএম কন্টেইনার ডিপো
সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ফের আগুন
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের আলোচিত বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ফের আগুন লেগেছে। মঙ্গলবার বিকালে এ আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে নগরী ও কুমিরা স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম কর্মকর্তা কফিল উদ্দিন আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে তুলার গুদামে আগুন
তিনি বলেন, আজ বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে সীতাকুণ্ডের শীতলপুরস্থ বিএম কন্ট্রেইনার ডিপোতে ঝুটের কন্টেইনারে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমাদের দুটি স্টেশন থেকে দুটি গাড়ি গেছে।
আগুন লাগার কারণ ও বিস্তারিত পরে জানাতে পারবো বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৪ জুন রাতে বিএম কন্ট্রেইনার ডিপোতে ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ড ও পরে রাসায়নিক পদার্থভর্তি কন্টেইনার বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু ও কমপক্ষে ১৫০ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বোতাম কারখানায় আগুন
আসাদগেটে গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগে আহত ২
১ বছর আগে
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: বিএম কন্টেইনার ডিপো থেকে দেহাবশেষ উদ্ধার
সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের আট দিন পর সোমবার পুলিশ ডিপোর ভেতর থেকে মানুষের দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে। সোমবার কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সুমন বণিক জানান, কন্টেইনারগুলো অপসারণের সময় বিকাল ৪টার দিকে ডিপো থেকে একটি মানুষের মাংসসহ একটি হাড় উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, মানবদেহটির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, সোমবার সীতাকুণ্ড ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচার দাবি জানিয়েছে শ্রমিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্কপের সমন্বয়ক তপন দত্ত বলেন, ‘আমরা বন্দর শহর ও আবাসিক এলাকা থেকে সব ডিপো স্থানান্তর করতে চাই।’
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফায়ার সার্ভিসের আরও এক কর্মীর মৃত্যু
রবিবার চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহত দুই ব্যক্তি মারা যাওয়ায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭-এ পৌঁছেছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফায়র সার্ভিসের ১০ জন সদস্য মারা গেছেন। একক ঘটনায় এটিকে ফায়ার সার্ভিসের ‘সবচেয়ে বড় মৃত্যুর পরিসংখ্যান’ বলা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও পরবর্তী বিস্ফোরণে ২০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে মামলা
২ বছর আগে
বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন: আরও একজনের মৃত্যু
সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
রবিবার দুপুর ২টায় নগরীর বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অগ্নিদগ্ধ নুরুল কাদের (৪৩) মারা যান। তিনি বিএম কন্টেইনার ডিপোতে কর্মরত ছিলেন।
পার্কভিউ হাসপাতালের ডিজিএম মো. হুমায়ুন কবির গণসমাধ্যমকে নুরুল কাদেরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কোন ধরনের আগুন কীভাবে নেভাবেন?
তিনি জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর অধিবাসী নুরুল কাদের আমাদের হাসপাতালে আইসিইউতে ছিলেন। আজ দুপুর দুইটায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনরা তার লাশ গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন।
২ বছর আগে
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে মামলা
সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন ও ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় আট জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার (৮ জুন) সীতাকুণ্ড মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় আট জনের নাম উল্লেখ করা হলেও একাধিকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
মামলার আসামিরা হলেন-বিএম কন্টেইনার ডিপো লিমিটেডের ডিজিএম নুরুল আক্তার, ম্যানেজার অ্যাডমিন খালেদুর রহমান, সহকারী অ্যাডমিন অফিসার আব্বাস উল্লাহ, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুল আজিজ, কন্টেইনার ফ্রেইট স্টেশন ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, কন্টেইনার ফ্রেইট স্টেশন নজরুল ইসলাম ও বিএম কন্টেইনার ডিপো লিমিটেডের জি এম নাজমুল আক্তার খান।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের অবহেলাজনিত কারণ উল্লেখ করে পুলিশের পক্ষ থেকে আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম আগুন নির্বাপণকালে রাত পৌনে ১১টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে অন্তত আশেপাশের ৫ কিলোমিটার এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। এ ঘটনায় নয়জন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যসহ এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। পাঁচ দিন চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর টিম আজ বুধবার আগুন সম্পূর্ণভাবে নির্বাপণ করেছে।
পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪
৮৫ ঘণ্টা পর নিভল চট্টগ্রামের কন্টেইনার ডিপোর আগুন
২ বছর আগে
৮৫ ঘণ্টা পর নিভল চট্টগ্রামের কন্টেইনার ডিপোর আগুন
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে লাগা ভয়াবহ আগুন টানা ৮৫ ঘণ্টা পর নিভেছে।
বুধবার চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক আনিসুর রহমান জানান, অবশেষে সকাল ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
তিনি বলেন, তারা (ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা) এখনও ডিপোতে ডাম্পিং কাজ পরিচালনা করছে এবং আজ সারাদিন এ কাজ চলবে।
বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পুড়ে যাওয়া কন্টেইনারগুলো সরিয়ে সেখানে পানি ছিটানোর কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় মাসুদ রানা নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪ জনে।
নিহত মাসুদ রানা (৩৬) জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার বাসিন্দা এবং ওই কনটেইনার ডিপোর শ্রমিক বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এএসআই )মো. আলাউদ্দীন তালুকদার বলেন, ওই শ্রমিক কনটেইনার ডিপোতে মাল লোড-আনলোডের কাজ করতেন। পরবর্তী নিয়ম অনুসরণ করে তার লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন,বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৫ জন রোগীর অবস্থা গুরুতর।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৪ জুন) বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। রাত পৌনে ১১টায় এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে টানা ৭২ ঘণ্টা পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীসহ ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, বর্তমানে প্রায় ১৩০ জন সিএমএইচের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করে। ফলে মৃতের সংখ্যা ৪৩ হয়।
মঙ্গলবার বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় পর নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে রাতে ডিপো থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাওয়ায় আগুন নেভানোর জন্য দমকলকর্মীরা এখনও ডিপোতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।
আগুন লাগার সঠিক কারণ জানতে ইতোমধ্যেই তিনটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: আরও দুজনের লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফায়ার সার্ভিসের আরও ৩ সদস্য নিখোঁজ
২ বছর আগে
জামিনে এসে ছেলের জানাযায় রনির বাবা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আগুন নেভাতে গিয়ে নিহত অগ্নিযোদ্ধা (ফায়ার ফাইটার) রমজানুল ইসলাম রনির (২২) শেরপুরে নিজ এলাকায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে ‘গার্ড অব অনার’দেয়া হয় এবং লাশের কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের হেরুয়া বালুরঘাট এলাকায় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: আরও দুজনের লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার
এর আগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রমজানুল ইসলাম রনির লাশ এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় চোখের জলে এই ফায়ার ফাইটারকে শেষ বিদায় জানান সহকর্মী ও প্রতিবেশীরা।
এদিকে আদালত থেকে জামিন পেয়ে জানাযা ও দাফন কাজে শরীক হন কারাগারে থাকা রনির বাবা আকরাম হোসেন আংগুর মিয়া। একটি হত্যা মামলায় তিনি গত তিনি মাস ধরে জেলহাজতে আছেন। রনির মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার আদালতের বিচারক তার সাত দিনের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
চরশেরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সেলিম রেজা বলেন, রনির ঘটনাটি বেদনাদায়ক, এই পেশাটাই এমন চ্যালেঞ্জের। সর্বদাই ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হয়। রনিই ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারটি বিরাট ক্ষতি হয়েছে। সরকার যেন রনির পরিবারের প্রতি দৃষ্টি রাখেন এই আহ্বান জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফেনীর ৩ বাড়িতে শোকের মাতম
গত শনিবার রাতে চট্টগ্রামের শীতলপুর এলাকায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভাতে গিয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সীতাকুণ্ড দমকল বিভাগে কর্মরত শেরপুরের সন্তান ফায়ারফাইটার রমজানুল ইসলাম রনি। রবিবার বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তার স্ত্রী ও সহকর্মীরা তার লাশ শনাক্ত করেন।
২ বছর আগে
হাটহাজারীতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের উৎপাদন সাময়িক বন্ধ
সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একই প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন হাটহাজারী থানার দক্ষিণ পাহাড়তলীতে অবস্থিত হাইড্রোজেন পার অক্সাইড কারখানার উৎপাদন ও ডেলিভারি সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার জাফর আলম সহ স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে আল রাজী ক্যামিকেল কমপ্লেক্সের জিএম ইব্রাহীম খলিল ও ম্যানেজার এডমিন মোবিন হোসেন এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, এই কারখানায় যদি সরকারি নীতিমালা মেনে যথাযথ নিরাপত্তার সঙ্গে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড তৈরী করা হয় তাহলে আমাদের আপত্তি নেই। তবে যতদিন পর্যন্ত সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর ঘটনায় তদন্ত শেষ না হবে ততদিন পর্যন্ত এই কারখানায় হাইড্রোজেন পার অক্সাইড উৎপাদন ও ডেলিভারি বন্ধ রাখার জন্য আমরা কারখানা কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করেছি।
আল রাজী ক্যামিকেল কমপ্লেক্সের ম্যানেজার এডমিন মোবিন হোসেন খান জানান, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসীর দাবি আমরা মেনে নিয়েছি। সরকারী তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই কারখানা থেকে হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের কোন চালান বাহিরে যাবেনা।
ক্যামিকেল কমপ্লেক্সের জিএম ইব্রাহীম খলিলও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ৪১: প্রশাসন
সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের শতভাগ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: ফেনীর ৩ বাড়িতে শোকের মাতম
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ফেনীর ফায়ার ফাইটার সালাউদ্দিন কাদের সবুজ (৩৭) , বিএম কন্টেইনার ডিপোর শিফট ইনচার্জ শাহাদাত উল্লাহ মজুমদার (৩৮) ও নিখোঁজ কাভার্ডভ্যান চালক মোহাম্মদ ইয়াসিনের (২৮) বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
নিহত সবুজ ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের মাছিম পুর গ্রামের মাস্টার মো. ইউছুফের ছোট ছেলে। শাহাদাত ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের আমিন উল্লাহ মজুমদারের ছেলে। মুহাম্মদ ইয়াসিনের ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোসাইপুর গ্রামের মো. খোকা মিয়ার ছেলে।
সরেজমিনে নিহত সবুজের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, পরিবারের কর্মক্ষম ছেলের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ বাবা-মা।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ সিরাজগঞ্জের শফিউল
পরিবার জানায়, সবশেষ ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসেন। রবিবার রাত ৯টায় স্ত্রী মর্জিনা আক্তারের সঙ্গে কথা হয়। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার বিগ্রেডের ইউনিটের সঙ্গে ডিপোতে উদ্ধারের কাজে যোগদেন। এরপর বিস্ফোরণের পর থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। রবিবার দুপুরে স্বজনরা জানতে পারেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার লাশ রয়েছে। পরে সোমবার গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।
ফায়ার ফাইটার সবুজ ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে সোনগাজী ফায়ার স্টেশনে যোগদানের মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন।
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার শাহাদাত মজুমদারের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে শাহাদাতের মা-বাবা ভেঙে পড়েছেন। পরিবারের কর্মক্ষম বড় ছেলেকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ তারা। শনিবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ডিপোতে আসেন ও পরিবারের সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বলা অবস্থায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।
রবিবার দুপুরে স্বজনরা জানতে পারেন চট্টগ্রাম মেডিকেলে তার লাশ রয়েছে। রবিবার রাতে গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহত শাহাদাত তিন বছর আগে একই এলাকায় বিয়ে করেন। তার আড়াই মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপুতে বিস্ফোরণ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩
এদিকে শনিবার রাত থেকে খোঁজ নেই স্পেক্ট্রা কোম্পানির কভার্ডভ্যান চালক মোহাম্মদ ইয়াসিনের। রবিবার রাতে ইয়াসিনের গ্রামের বাড়িতে মা কোকিলা আক্তার ছেলের নাম করে ডুকরে কাঁদতে দেখা গেছে, এ সময় তিনি বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন চার বোনও।
চাচাতো ভাই মোহাম্মদ নাহিদ জানান, ডিপোতে আগুন লাগর পর ইয়াসিন বাড়িতে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কথা শেষ করে ফেইসবুক লাইভে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও দেখান সবাইকে। এক পর্যায়ে বিস্ফোরণ ঘটলে তার লাইভ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
২ বছর আগে
সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ সিরাজগঞ্জের শফিউল
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার শফিউল ইসলাম নিখোঁজ রয়েছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম শফিউলের বাড়িতে এখন চলছে শোকের মাতম।
নিখোঁজ অগ্নিযোদ্ধা (ফায়ার ফাইটার) শফিউল ইসলাম (২২) উপজেলার নাগরৌহা গ্রামের তাঁতশ্রমিক আব্দুল মান্নানের ছেলে ও কুমিরা ফায়ার স্টেশনের কর্মী।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপুতে বিস্ফোরণ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩
উল্লাপাড়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় পেশাগত দায়িত্ব পালনে কুমিরা ফায়ার স্টেশন কর্মীদের সঙ্গে শফিউল ইসলামও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। পরে অবস্থা আরও ভয়াবহ হলে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট ও সেনাবাহিনীও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। এ ঘটনায় ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং শতাধিক দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শফিউলকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজের খবর শোনার পর শফিউলের বাবা আব্দুল মান্নান সোমবার ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা হেডকোয়ার্টারসে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে উদ্বিগ্নের কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপুতে বিস্ফোরণ, নিহত ১৮
নিখোঁজ শফিউলের বাবা আব্দুল মান্নান জানান, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি অসুস্থতায় ভুগছেন। পরিবারের দুই সন্তানের মধ্যে শফিউল ইসলাম বড় ও একমাত্র উপার্জনক্ষম। গত বছর শফিউল বিয়ে করেছেন বর্তমানে তার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ অবস্থায় আল্লাহ না করুক শফিউলের কোনো কিছু হয়ে গেলে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পথে বসে যেতে হবে বলেন আব্দুল মান্নান।
বর্তমানে তিনি সন্তানকে সুস্থ অবস্থায় খোঁজে পেতে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা হেডকোয়ার্টারসে অপেক্ষা করছেন।
২ বছর আগে