চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে লাগা ভয়াবহ আগুন টানা ৮৫ ঘণ্টা পর নিভেছে।
বুধবার চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক আনিসুর রহমান জানান, অবশেষে সকাল ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
তিনি বলেন, তারা (ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা) এখনও ডিপোতে ডাম্পিং কাজ পরিচালনা করছে এবং আজ সারাদিন এ কাজ চলবে।
বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পুড়ে যাওয়া কন্টেইনারগুলো সরিয়ে সেখানে পানি ছিটানোর কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় মাসুদ রানা নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪ জনে।
নিহত মাসুদ রানা (৩৬) জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার বাসিন্দা এবং ওই কনটেইনার ডিপোর শ্রমিক বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এএসআই )মো. আলাউদ্দীন তালুকদার বলেন, ওই শ্রমিক কনটেইনার ডিপোতে মাল লোড-আনলোডের কাজ করতেন। পরবর্তী নিয়ম অনুসরণ করে তার লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন,বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৫ জন রোগীর অবস্থা গুরুতর।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৪ জুন) বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। রাত পৌনে ১১টায় এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে টানা ৭২ ঘণ্টা পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীসহ ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, বর্তমানে প্রায় ১৩০ জন সিএমএইচের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করে। ফলে মৃতের সংখ্যা ৪৩ হয়।
মঙ্গলবার বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন ৭২ ঘণ্টারও বেশি সময় পর নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে রাতে ডিপো থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাওয়ায় আগুন নেভানোর জন্য দমকলকর্মীরা এখনও ডিপোতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।
আগুন লাগার সঠিক কারণ জানতে ইতোমধ্যেই তিনটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: আরও দুজনের লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার