অগ্নিদগ্ধ
কুড়িগ্রামে অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের উলিপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে সুরাইয়া আক্তার (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নে গোড়াই মণ্ডলপাড়া গ্ৰামে এই ঘটনা ঘটে।
শিশুটি ওই গ্রামের জমশেদ আলীর মেয়ে।
শিশুটির মামা মামুন মিয়া জানান, বুধবার বেলা ১১টায় সুরাইয়ার মা জেবু বেগম বাড়ির উঠানের চুলায় রান্না শুরু করছিলেন। এ সময় সুরাইয়া পাশে বসে মোবাইলে কার্টুন দেখছিল। চুলার পাশে শিশু সুরাইয়াকে রেখে বাড়ির বাইরে চলে যান জেবু বেগম। এ সময় শিশুটি চুলায় হাত দিলে দগ্ধ হয়। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। ততক্ষণে শিশুটির শরীরের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ পুড়ে যায়। পরে শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে রাখা হলে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় তার মৃত্যু হয়।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় তার লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
২ দিন আগে
ফরিদপুরে অগ্নিদগ্ধ দুই শিশুর ঢামেকে মৃত্যু
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের রশিবপুরা গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত শিশুরা হলো- ওই গ্রামের ছিদ্দিক মুন্সীর ছেলে ইসমাইল মুন্সি (৪) ও আসাদ মুন্সীর ছেলে ইয়াসিন মুন্সি (৩)।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে অগ্নিকাণ্ডে দুই শিশুর শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। আহত অবস্থায় তাদের প্রথমে ভাঙ্গা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার ইসমাইল মুন্সি ও সোয়া ৯টায় ইয়াসিন মুন্সির মৃত্যু হয়।
অগ্নিদগ্ধ শিশুদের চাচা উজ্জ্বল হোসেন জানান, ইয়াসিন ও ইসমাইল রবিবার দুপুরে রান্না ঘরে খেলতে যায়। বাড়িতে বাবা-মা কেউ না থাকায় তারা কিছু পাটের খড়ি রান্নার চুলার মধ্যে দিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পাটখড়ির বেড়ায় লেগে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে।
তখন দুই শিশু ভয় পেয়ে রান্নাঘরের পাশে গোসলখানায় আশ্রয় নেয়। রান্না ঘর পুড়ে যাওয়ার পর গোসলখানায় আগুন ধরে যায়। একপর্যায়ে আগুন রান্না ঘর ও গোসলখানাসহ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন আগুন নিভাতে চেষ্টা করলেও তখনও জানতো না শিশু দুটি বাথরুমে আটকা পড়েছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর শিশু দুটির চিৎকার শুনতে পায়। মুমূর্ষু অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ দুই শিশুকে ভাঙ্গা হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে শিশু দুইটির মৃত্যু হয়।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মৌলি চৌধুরী জানান, অগ্নিদগ্ধ ইয়াসিনের ৬৮ ভাগ এবং ইসমাইলের ৯০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
৫ দিন আগে
সীতাকুণ্ডে জাহাজভাঙা কারখানায় বিস্ফোরণ, অগ্নিদগ্ধ ১২ শ্রমিক
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জাহাজভাঙা কারখানায় স্ক্র্যাপ জাহাজের পাম্প রুমে কাটিং কাজ করার সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ১২ জন শ্রমিক।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙা কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর তেঁতুলতলা এলাকার সাগর উপকূলে অবস্থিত শওকত আলী চৌধুরী মালিকানাধীন এস এন করপোরেশন নামের জাহাজভাঙা কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ ১২ শ্রমিক হলেন- আহাম্মদ উল্লাহ, মোহাম্মদ আল-আমিন, মোহাম্মদ বরকত, হাবিল আহমেদ, মোহাম্মদ নিয়ামুল হক, আনোয়ার হোসেন, আবুল কাশেম, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ খাইরুল, মোহাম্মদ সাগর, মোহাম্মদ রফিক ও মোহাম্মদ সাইফুল।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে অগ্নিদগ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
জাহাজভাঙা কারখানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. শওকত আজাদ বলেন, দুপুরে জাহাজের শেষ প্রান্তে থাকা পাম্প রুমের কাটিং কাজ করার সময় পাম্পের ভেতরে থাকা ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ১২ শ্রমিক দগ্ধ হন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি কামাল উদ্দিন।
আরও পড়ুন: অবশেষে মারা গেলেন নবীনগরে পেট্রোলে অগ্নিদগ্ধ লতিফা
২ মাস আগে
তেজগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে অগ্নিদগ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় নাখালপাড়ায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে আগুনে পুড়ে যাওয়া স্বামী ও স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেন তেজগাঁও মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সালেকিন মিল্লাত তৌফিক।
নিহতরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস (৫৮) ও তার স্ত্রী আনিসা বেগম (৫০)।
আরও পড়ুন: শেরপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৪ বছরের শিশুর মৃত্যু
তেজগাঁও মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সালেকিন মিল্লাত তৌফিক জানান, ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ মর্গে পাঠিয়েছেন তেজগাঁও মডেল থানার পুলিশ।
ওই দম্পতির ছেলে মো. আনিসুর জানান, ১৫ জুন তার বাবা-মা ঘুমন্ত অবস্থায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়েছেন।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে ভর্তি করলে সেখানে তারা মারা যান।
আরও পড়ুন: অবশেষে মারা গেলেন নবীনগরে পেট্রোলে অগ্নিদগ্ধ লতিফা
সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙা কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
১ বছর আগে
অবশেষে মারা গেলেন নবীনগরে পেট্রোলে অগ্নিদগ্ধ লতিফা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাদকাসক্ত দেবরের দেয়া পেট্রোলের আগুনে ভাবী লতিফা বেগম (৪০) হাসপাতালে দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটেরআইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহতের বাড়ি জেলার নবীনগরের রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের উত্তর দাররা গ্রামে। তবে ঘটনার তিন দিন পরও ঘাতক দেবর জালাল (৩৫) এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ফিলিং স্টেশনে আগুন: ঢামেকে অগ্নিদগ্ধ একজনের মৃত্যু
এ মর্মান্তিক মৃত্যুর পর এলাকাবাসীরা বলেন, এমন মর্মান্তিক ঘটনা এলাকায় পূর্বে কখনই ঘটেনি। তারা অভিযুক্ত দেবর জালালকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানান। এলাকায় মাদকাসক্তের সংখ্যা দিনদিন বেড়ে চলেছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
লতিফা বেগমের স্বামী মো. জাকারিয়া জানান, দুপুরে আমি বাড়িতে ছিলাম না। লতিফা পিঠা তৈরি করছিল। এই সুযোগে জালাল পেছন থেকে লতিফার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে আগুনে তার গোটা শরীর ঝলসে গেলে বুধবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, পুলিশের একাধিক টিম জালালকে গ্রেপ্তারের জন্য মাঠে নেমেছে। আশা করছি, শিগগিরই তাকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।
উল্লেখ, গত ১৯ মার্চ দুপুরে নবীনগর উপজেলার রছুল্লাবাদ ইউপির উত্তর দাররা গ্রামে কথা কাটাকাটির জেরে লতিফা বেগমকে (৪০) পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেয় দেবর জালাল মিয়া।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙা কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধে গৃহবধূর মৃত্যু
১ বছর আগে
সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙা কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে (জাহাজ ভাঙা কারখানা) অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকালে ইউনিয়নের বার আউলিয়া সমুদ্র উপকুলে অবস্থিত মেসার্স তাহের শিপ ইয়ার্ডে গ্যাস দিয়ে জাহাজ কাটার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো.আশরাফ মোল্লা (৬৬) নড়াইলের লোহাগড়া থানার কুমারডাঙ্গা এলাকার মৃত ওসমান মোল্লার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে ইয়ার্ডে গ্যাস দিয়ে জাহাজ কাটার সময় কাটিং শ্রমিক আশরাফ মোল্লার শরীর আগুন লেগে ঝলসে যায়।পরে তাকে উদ্ধার করে সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসক বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করে দেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর পৌনে একটার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কর্মরত জেলা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দীন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জাহাজ কাটার কাজ সময় আগুনে দগ্ধ হয়ে আহত মো.আশরাফ মোল্লাকে সকালে হাসপাতালে আনা হয়। চমেকে চিকৎসাধীন অকস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ড অক্সিজেন প্লান্টে অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু বেড়ে ৭
সীতাকুণ্ড অক্সিজেন প্লান্টে আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬
সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্লান্টে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৫, আহত ৫০
১ বছর আগে
কুড়িগ্রামে রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধে গৃহবধূর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে রান্না করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূকে রংপুর মেডিকেল (রমেক) কলেজ হাসপাতাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টায় তার মৃত্যু হয়।
অগ্নিদগ্ধ সুফিয়া বেগম (৪০) উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের দোলাটারী গ্রামের খয়রত আলীর স্ত্রী। নিহত গৃহবধূ দুই সন্তানের জননী।
আরও পড়ুন: পার্বতীপুরে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু
অগ্নিদগ্ধ ওই গৃহবধূর ভাগনা একরামুল হক জানান, তীব্র শীতের মধ্যে সকাল বেলা ঘরের ভেতর চুলায় খড়ি দিয়ে রান্না করছিলেন। এসময় রান্নার ফাঁকে ফাঁকে হাতে তাপ নিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর পরনের কাপড়ে আগুন লেগে গুরুতর আহত হন তিনি। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করান।
তিনি আরও বলেন, সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরিফুল আলম সোহেল ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, থানায় অবগত করে ওই নারীর লাশ রংপুর হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে বৃহস্পতিবার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ফুলবাড়ী থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান জানান বিষয়টি শুনে একজন উপ-পরির্দশক (এসআই) ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কালুখালীতে আগুনে পুড়ে দুই শিশুর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ বৃদ্ধার মৃত্যু
১ বছর আগে
গাজীপুরে ফিলিং স্টেশনে আগুন: ঢামেকে অগ্নিদগ্ধ একজনের মৃত্যু
গাজীপুরের এক ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত সাতজনের মধ্যে একজন শুক্রবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন।
নিহত মিঠু (২৬) মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা।
হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, শতভাগ দগ্ধ মিঠু সকাল ৮টায় ঢামেক হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের বড়বাড়ি এলাকায় ওয়াহেদ আলী ফিলিং স্টেশনে গ্যাস ভরতে গিয়ে একটি সিলিন্ডার বোঝাই ভ্যানে বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত হয়।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ইকবাল হোসেন জানান, রাত ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৪ বছরের শিশুর মৃত্যু
আগুনে পুড়ে আহত সাতজন সবাই কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাদের দ্রুত তায়রুন্নেসা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (টিএমএমসিএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়।
টিএমএমসিএইচের আবাসিক চিকিৎসক মাইনুল ইসলাম জানান, আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্য আহতরা হলেন-আল আমিন (২৫), আনোয়ার (৩০), সিরাজুল ইসলাম (২৮) ও পারভেজ (৩৩)।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৪ জন অগ্নিদগ্ধ
লঞ্চে অগ্নিদগ্ধদের হাসপাতালে দেখতে গেলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
রাজধানীতে ৪ জন অগ্নিদগ্ধ
রাজধানীর বংশালের আগা সাদেক সড়কের একটি বাড়িতে বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে চারজন দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেল) মোহাম্মদ শাহজাহান সিকদার জানান, আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের অধীনে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুটি ভবনের মাঝখানের নিচতলায় বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণের পর ভবনের তিনটি দেয়াল আংশিক ধসে পড়ে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ঝুটের গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
তবে আগুনের সূত্রপাত এখনো জানা যায়নি।
ভবনের উপরের তলায় বসবাসরত আহত ইসরাফিলের ভাগ্নে তারেক জানান, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ভবনের পাশে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়।
তিনি বলেন, আমার মামার চিৎকার শুনে আমরা পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করতে নিচতলায় ছুটে যাই।
তিনি বলেন, গ্যাসলাইন লিক থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আগুনে পুড়ল ৩০ ঘর
২ বছর আগে
নুসরাত হত্যার ৩য় বাষির্কী, সামাজিক অপপ্রচারে আতংকিত পরিবার
আজ নুসরাত হত্যার তৃতীয় বাষির্কী। ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অগ্নিদগ্ধ মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল বিকালে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে সোনাগাজী মোহাম্মদ ছাবের সরকারি মডেল পাইলট হাইস্কুল মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাকে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে নুসরাতের মৃত্যুবাষির্কীতে সামাজিক হামিদিয়া মসজিদে মিলাত, দোয়া ও ইফতারের মাধ্যমে পারিবারিকভাবে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়েছে বলে জানান নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।
রবিবার নুসরাত পরিবারের সঙ্গে ইফতার করবেন পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। প্রতিবারের মতো এবারও উত্তর চর ছান্দিয়া গ্রামে নুসরাতের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবে ফেনীর পিবিআই।
আরও পড়ুন: নুসরাত হত্যা: ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন শুনানি ৩ মাস মুলতবি
নোমান বলেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ডের তিন বছরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রামে আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করে অপপ্রচার করছে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আত্মীয় স্বজনরা। যার কারণে আমরা সামাজিক মান সম্মানের ভয়ে আতংকিত থাকি। এ ব্যাপারে আমরা আইসিটি আইনে মামলা করেছি, যা পিবিআইতে তদন্তাধীন রয়েছে।
নুসরাত জানান রাফির মা শিরিন আক্তার বলেন, তিনটি বছর পার হলেও আজও নুসরাতের স্মৃতিরক্ষায় তেমন কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। নিজের জীবন দিয়ে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ করলেও পাননি সরকারি-বেসরকারি কোন সম্মান। আফসোস করে তিনি বলেন, প্রতিবছর এইদিনে পুলিশ ও সাংবাদিকরা এসে খোজঁখবর নেন, তারপর আর কোন খবর থাকে না। নুসরাত হত্যাকাণ্ডের পর অনেকে নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও তার বাস্তবায়ন হয়নি। নুসরাতের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি সড়ক, স্কুল বা মাদরাসার নাম করণের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ছয় বছরেও তনু হত্যা মামলার অগ্রগতি নেই
নুসরাতের মা শিরিন আক্তারের কাছে তার প্রিয় কন্যা নুসরাত রাফির শূন্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজও প্রতিদিন ভোরে তাকে খুঁজি। মনে হয় এই বুঝি নুসরাত এসে জড়িয়ে ধরে মা বলে ডাকছে। তার স্মৃতি আজও ঘরের, বাড়ির সবকিছুতেই রয়েছে। তার পড়ার বই, জামা কাপড় ও পছন্দের সবকিছুই গোঁছানোভাবে রাখা হয়েছে ঘরের মধ্যে। আজ তিন বছর আমি আমার মেয়ের কণ্ঠে মা ডাকটি শুনতে পাই না। রাতে ঘুম হয় না। কারণ আমার মেয়ের হাত-পা বেঁধে যখন তারা আগুন লাগিয়েছিল, তখন আমার মেয়ে কি করেছিল? সেদিন আমি খবর পেয়ে ফেনী সদর হাসপাতালে ছুটে যাই, তখন পুলিশ সদস্যরা আমার মেয়ের কাছে ভিড়তে দেয় নাই। তার পুরো শরীর ব্যান্ডেজ করে ফেলে ডাক্তাররা। পুলিশরা আমাকে বলে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। বাঁচে কিনা সন্দেহ? আপনি মেয়ের আগুনে পোড়া এই শরীর দেখলে সহ্য করতে পারবেন না। ডাক্তাররা আপনাকে দূরে থাকতে বলেছে। তখন আমার মেয়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছিল।
দেশে করোনাভাইরাসে হাজার হাজার লোক মারা যাচ্ছে। তাদের আত্মীয়-স্বজনরা মনেরে বুঝ দিতে পারবে, করোনাভাইরাসে তারা মারা যাচ্ছে। কিন্তু আমার মেয়েকে জানোয়ারেরা হাত-পা বেঁধে আগুন দিয়ে পুড়ে মেরেছে। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ৯৯ ভাগ মানুষ আমার মেয়ের পাশে ছিল। আমাদের পরিবারের পাশে ছিল। আসামি ও তাদের স্বজনরাসহ এক পার্সেন্ট মানুষ আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিচারিক আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছি। শুনেছি উচ্চ আদালতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আপিল করেছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আসামিদের রায় দ্রুত কার্যকরের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এম শাহজাহান সাজু বলেন, ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার যাবতীয় কার্যক্রম হাইকোর্টে রয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হলে তা অনুমোদনের জন্য উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক (মামলার যাবতীয় নথি) ছাপানো শেষ করা হয়। পরে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে শুনানির জন্য মামলাটি প্রধান বিচারপতি বরাবর উপস্থাপন করা হয়। আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য বেঞ্চ গঠন করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। বিচারপতি হাসান ইমাম ও সৌমেন্দ্র সরকার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ মামলার শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। সে বেঞ্চ করোনার কারণে বাতিল হয়ে গেছে। এরপর বেঞ্চ গঠন হয়নি। তাই মামলাটির শুনানি হচ্ছে না।
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় পরীক্ষা দিতে গিয়ে আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির গায়ে কেরোসিন ঢেলে ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল মাদরাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে নিয়ে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। চারদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ মামলার রায়ে ১৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়। আসামিরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ-দৌলা (৫৭), নূর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), কাউন্সিলর ও সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম (৫০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন (১৯), হাফেজ আব্দুল কাদের (২৫), আবছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মনি (১৯), উম্মে সুলতানা পপি (১৯), আব্দুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন মামুন (২২), সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদরাসার সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমিন (৫৫), মহিউদ্দিন শাকিল (২০) ও মোহাম্মদ শামীম (২০)।
২ বছর আগে