ভিত্তিপ্রস্তর
খুলনায় ২৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৫টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর
খুলনায় একদিনের সফরে ২ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং আরও পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেন।
গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলো হলো: গণহত্যা ও নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ভবন, সিভিল সার্জন অফিস ভবন ও বাসভবন, পাইকগাছা উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, খুলনা শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ অফিসের সংস্কার ও আধুনিকায়ন, খুলনা বিএসটিআইয়ের আঞ্চলিক অফিসের ১০ তলা ভবন, ১০ তলা বিশিষ্ট মহিলা হোস্টেল ভবন, পাইকগাছা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণকাজ (সিভিল, স্যানিটারি ও ইলেকট্রিক্যাল) এবং দৌলতপুরে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ৪ তলা বয়েজ হোস্টেল নির্মাণ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অবশ্যই অগ্নিসংযোগ সহিংসতা কাটিয়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি) কর্তৃক বাস্তবায়িত অন্যান্য ১১টি প্রকল্প হলো: ৫তলা বিশিষ্ট ডুমুরিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ একাডেমিক কাম ৪তলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কশপ ভবন, বয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, খুলনা কলেজিয়েট স্কুলের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, সরকারি এলবিকে ডিগ্রি মহিলা কলেজের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, চালনা বাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, তালিমুল মিল্লাত রহমতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৬ তলা একাডেমিক ভবন, তালিমুল মিল্লাত রহমতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৬ তলা একাডেমিক ভবন, নজরুল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, আরআরএফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, আগর ঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪ তলা একাডেমিক ভবন, পাইকগাছা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫ তলা একাডেমিক কাম ওয়ার্কশপ ভবন।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) কর্তৃক খালিশপুর বিআইডিসি সড়কের ড্রেন, ফুটপাথ, রাস্তা প্রশস্তকরণ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক বাস্তবায়িত ডুমুরিয়া উপজেলার বসুন্দিয়াডাঙ্গা বাজার-মুগুর খালি ইউপি অফিস সড়কে ভদ্রা নদীর উপর সেতু (৩১৫.৩০ মিটার), সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের শেখেরটেক ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) কর্তৃক নবনির্মিত ৬ তলা খুলনা আঞ্চলিক অফিস।
কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাথাভাঙ্গা এলাকায় স্যানিটারি ল্যান্ডফিল, ইইডির দিঘলিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫ তলা একাডেমিক ও ৪ তলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কশপ ভবন, বিআইডব্লিউটিএ’র সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলায় রাজা বোহ্যংতো রায়ের স্মৃতিসৌধ এবং এলজিইডির কুরুলিয়া নদী সেতু (৭৪৮.৯০ মিটার)।
আরও পড়ুন: স্থানীয়ভাবে কুষ্ঠ রোগের ওষুধ উৎপাদন করুন: ওষুধ কোম্পানিগুলোকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী নরসিংদীতে ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করবেন রবিবার
১১ মাস আগে
চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল শুরু
কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজীবপুর উপজেলার মানুষদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে চিলমারী উপজেলার রমনা ফেরিঘাট ও ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এই সঙ্গে চিলমারী নদীবন্দর উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
বুধবার এ ফেরিঘাট ও ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন এবং চিলমারী নদীবন্দর উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
বিআইডব্লিউটিসির ‘কুঞ্জলতা’ ফেরি দিয়ে চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। এর ফলে ব্রহ্মপুত্র নদবিধৌত রৌমারী-রাজীবপুর উপজেলার মানুষের জেলা শহরে যাতায়াতে ভোগান্তি কমে আসবে।
চিলমারী-রৌমারী রাজিবপুর নয়, কুড়িগ্রামের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ অনেক সহজ হবে, যাতায়াত খরচও কমে যাবে। পরে আরও একটি ফেরি এ রুটে যুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম ২০২৬ সালে শুরু হবে: খালিদ মাহমুদ
এই ফেরি রুটের নাব্য বজায় রাখার জন্য দুইটি ড্রেজার থাকবে। ফেরি সার্ভিস চলাচলের মধ্য দিয়ে নদী পথে যোগ হলো যোগাযোগের নতুন মাত্রা।
এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে অবদান তা কেড়ে নেওয়া যাবে না।
১৫ বছর ধরে ফখরুলরা বলছেন- সরকারকে ফেলে দিচ্ছেন; কিন্তু তারা সেটা পারেননি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেটা দেখে যান। সুস্থ থাকুন।
তিনি আরও বলেন, কুড়িগ্রামের বাসন্তীকে নিয়ে যারা দুর্ভিক্ষের চিত্রধারণ করেছে; তারা তাদের ফায়দা নিয়েছে। দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করেনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান শাহীন, চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম লেছু, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী শোভন, প্রকল্প পরিচালক সাজিদুর রহমান।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী চিলমারী-রৌমারী ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন শেষে তিনি ফেরিযোগে রৌমারীর উদ্দেশে যাত্রা করেন। তিনি রৌমারীতে ফেরিঘাট উদ্বোধন করেন।
চিলমারী নদীবন্দর উন্নয়নে ২৩৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে এর কআর্যক্রম শেষ হবে।
চিলমারী বন্দরে সুধি সমাবেশে ফেরির ভাড়া কমানোর দাবি করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রস্তাবিত ভাড়া থেকে কমিয়ে সিএনজিচালিত বেবি ট্যাক্সি/অটোরিকশা ৬৬০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা, মোটরসাইকেল ২২০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০০ টাকা, বাইসাইকেল ১২০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ টাকা, জনসাধারণের জন্য প্রস্তাবিত ৮০ টাকা কমিয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে।’
তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধা ও অ্যাম্বুলেন্সের কোনো ভাড়া লাগবে না। এ ছাড়া অন্যান্য যানের ক্ষেত্রে ভাড়া শতকরা পনের ভাগ কমানো হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিশ্বাসীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না: খালিদ মাহমুদ
বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ এখনও মুক্ত হতে পারেনি: খালিদ মাহমুদ
১ বছর আগে
ভিশন-২০৪১ স্মার্ট টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক'-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
'ভিশন-২০৪১ স্মার্ট টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক'-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এটির উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।
আইসিটি বিভাগের 'ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও ইনোভেশন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন (ডিড) প্রকল্পের আওতায় শূন্য দশমিক ৪৭ একর জায়গার উপর বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে অত্যাধুনিক এই টেকনোলজি পার্কটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রায ১ লাখ ৭০ হাজার বর্গফুট আয়োতনের এই পার্কে ৪টি বেজমেন্টসহ ৯ তলা বিশিষ্ট এই গ্রিন বিল্ডিং তৈরিতে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধুন তৈরি করতে দেশের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইউনিভার্সিটি বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার’ স্থাপন করা হচ্ছে। ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের মেন্টর হিসেবে তৈরি করা হবে। তারা রিসার্চ, ইনোভেশন ও বিজনেস আইডিয়ার মাধ্যমে ইনভেস্টর ও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সহযোগিতা করবে। এর আওতায় স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সালারেটর এর মাধ্যেমে ১০০ জন উদ্যোক্তাকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা, তাদের পুঁজি, প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সততা, সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে উপলব্ধি করেছিলেন আগামী দিনে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিকে বেগবান করতে হলে প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও সিইআরটি নির্দেশনা না মানায় সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য ফাঁস: পলক
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে সেই বিবেচনা থেকেই আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, দেশে ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগের গতি বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী গুণগতমান বজায় রেখে প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার নিদের্শ দেন।
এতে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরুল্লাহ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন, ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আবুল ফাতাহ মো. বালিগুর রহমান।
উল্লেখ্য, দৃষ্টিনন্দন, পরিবেশবান্ধব ভিশন-২০৪১ স্মার্ট টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের মাধ্যমে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব তৈরি হবে। এ ছাড়া চারটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে স্টার্ট-আপ সুবিধা তৈরি, কমন ফ্যাসিলিটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য চারটি ল্যাব তৈরি, সফটওয়্যার পার্কে ইনোভেশন কার্যক্রম পরিচালনা ও ভবিষ্যতে ইনোভেশন সম্পর্কিত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দক্ষ জনবল তৈরি, বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ইনোভেশন হাব পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে আরও অন্তর্ভুক্ত থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইনোভেশন সম্পর্কে প্রশিক্ষিত করা ও শিক্ষকদের মধ্যে থেকে এ বিষয়ে দক্ষ জনবল তৈরি কর। এ ছাড়া স্টার্ট-আপদের সঙ্গে ইনভেস্টরদের সংযোগ স্থাপন, স্টার্ট আপ, গবেষক, ছাত্র ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবহারের জন্য কমন সুযোগ-সুবিধা, স্টার্ট আপ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মার্কেটে প্রবেশের হার বৃদ্ধি করার বিষয়গুলোও থাকবে। পাশাপাশি জেন্ডার ইনক্লুসিভ এন্টারপ্রেনারশিপ সংস্কৃতি তৈরির মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতির গতি বৃদ্ধি করা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট দেশ হবে: পলক
১ বছর আগে
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের বহুতল ভবনসহ সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর মঙ্গলবার উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের কপিরাইট অফিসের জন্য ঢাকায় নবনির্মিত কপিরাইট ভবনও উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভিত্তিফলক উন্মোচন ও কপিরাইট ভবন উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রমাণ দিয়েছে: ৫ সিটি মেয়রের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
অন্য পাঁচটি প্রকল্প হলো- পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেন, ঢাকার কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ভবন, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিল্পকলা একাডেমি ও কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং জাতীয় জাদুঘরে শিশু গ্রন্থাগার।
সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিবিষয়ক সচিব খলিল আহমদ।
আরও পড়ুন: নবনির্বাচিত পাঁচ সিটি মেয়রকে শপথ পাঠ করালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে: ওবায়দুল কাদের
পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর বেগম জিয়া করেছেন, বিএনপি মহাসচিব স্বপ্নে দেখেই এমন কাল্পনিক বক্তব্য দিয়েছেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা ইদানীং এমন অনেক দিবাস্বপ্ন দেখছেন, এটিও সেই দিবাস্বপ্নেরই অংশ।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার সকালে তাঁর বাসভবনে বিএনপি নেতাদের এমন কাল্পনিক বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর নিয়ে ফখরুল সাহেবের এ বক্তব্য বছরের সেরা আবিষ্কার।
মিথ্যাচার বিএনপির ধর্ম এটা সবাই জানে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তবে দিনে দুপুরে নির্জলা মিথ্যাচারের একটি নতুন রেকর্ড।
মাওয়া ও পদ্মার অপরপ্রান্তে ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছেন বেগম জিয়া, মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাঁর কাছে জানতে চেয়ে বলেন, কবে, কখন এ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন? নব আবিস্কৃত সেই ভিত্তিপ্রস্তরের ছবি দেখতে চাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশরত্ন শেখ হাসিনাই ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যা ইতিহাসের অংশ।
তখনকার গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত এবং এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরের ছবিও পত্র- পত্রিকায় প্রকাশিত হয়,যা এখনো সংগৃহিত আছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা যা বলছেন তাতে মনে হয় কয়েকদিন পরে হয়তো বলবেন পদ্মা সেতু জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন।
তিনি বলেন, বিএনপির কাজই হলো গোয়েবলসীয় কায়দায় নিরেট মিথ্যাচারকে বারবার উচ্চারণ করে সত্যে রূপদানের অপচেষ্টা মাত্র।
পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপির অতীত ষড়যন্ত্র অব্যাহত মিথ্যাচার এবং গুজব এ সেতুর নির্মাণকে কোনভাবেই বন্ধ করতে পারেনি জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মার বুকে দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাহসী নিজস্ব অর্থায়নে গৌরবের এবং সক্ষমতার সেতু নির্মিত হওয়ায় বিএনপি নেতারা অন্তর্দহনে দগ্ধ হচ্ছেন।
বিএনপি নিজেরা তো কিছুই করেইনি এখন দেশের উন্নয়নে তাদের গাত্রদাহ হয় দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুকে ঘিরে তাদের নানান অপপ্রচারের সাথে এখন যুক্ত হলো বেগম জিয়ার ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের রূপকথার গল্প।
তিনি বলেন, এ গল্প সত্যের অপলাপ ছাড়া আর কিছু নয়।
পড়ুন: পদ্মা সেতু: উদ্বোধনের অপেক্ষায় খুলনাবাসী
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় খালেদা জিয়াকে দাওয়াত দিতে আইনি বাধা নেই: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে