জনশুমারি
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পুরুষের চেয়ে নারী বেশি
বাংলাদেশে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। দেশে জনশুমারি শুরুর পর থেকে এবারই প্রথমবারের মতো এমন তথ্য পাওয়া গেল।
সর্বশেষ জনশুমারিতে দেশের মোট জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি রেকর্ড করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন এবং নারী ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন। এর মানে হলো প্রতি ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ৯৯ জন।
অন্যদিকে দেশে ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা ১২ হাজার ৬২৯ জন।
স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি প্রথমবারের মতো ঘটেছে এবং তাও একজন নারী প্রধানমন্ত্রীর অধীনে যিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
বুধবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’ এর প্রাথমিক তথ্য প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: জনশুমারি দেশের সঠিক চিত্র তুলে ধরবে: শিক্ষামন্ত্রী
২১ জুন জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দেশের উত্তর-পূর্বের জেলায় বন্যার কারণে এটি ২৮ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে মুসলমান ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় কমিউনিটির জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া এ প্রতিবেদন অনুসারে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন।
মোট জনসংখ্যার ৯১ শতাংশ মুসলিম। হিন্দু জনসংখ্যা ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ যা ২০১১ সালের জনশুমারি অনুযায়ী ছিল ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এছাড়া বৌদ্ধ জনসংখ্যা শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ যা ২০১১ সালে ছিল শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ।
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম প্রমুখ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আজ রাত থেকে ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরু
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বার্ষিক গড় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এক দশমিক ২২ শতাংশ যা ২০১১ সালে এক দশমিক ৩৭ শতাংশ ছিল। এছাড়া জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়ে হয়েছে এক হাজার ১১৯ জন যা ২০১১ সালে ছিল ৯৭৬।
স্বাক্ষরতার হার বেড়ে ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ হয়েছে যা গত জনশুমারিতে ছিল ৫১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
৫৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর বয়স পাঁচ বছরের বেশি। আর ইন্টারনেট ব্যবহারীকারী মোট জনসংখ্যার ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
দেশে বর্তমানে মোট রেস্তোরাঁর সংখ্যা ৪ কোটি ১০ লাখ যা গত জনশুমারিতে ছিল তিন কোটি ২১ লাখ। চার সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের সংখ্যা বর্তমানে চার কোটি ১০ লাখ।
২ বছর আগে
জনশুমারি দেশের সঠিক চিত্র তুলে ধরবে: শিক্ষামন্ত্রী
দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনার বাস্তবতার সঠিক চিত্র প্রদানে জনশুমারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বুধবার চাঁদপুরের নিজ বাসভবন থেকে ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, জনশুমারির মাধ্যমে শিক্ষার সঠিক হার জানা যাবে এবং আমরা দেশের প্রকৃত চিত্র দেখতে পাবো।
বুধবার সারাদেশে ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মঙ্গলবার মধ্যরাতে জনশুমারি শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আজ রাত থেকে ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরু
তিনি বলেন, কত মানুষ নিরক্ষর থেকে গেছে, কতজন শিক্ষিত এবং তাদের আর্থিক-সামাজিক অবস্থা আদমশুমারির মাধ্যমে জানা যাবে, যা বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশে এই প্রথম সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনগণনা শুমারি করছে।
এর আগে মঙ্গলবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, দেশের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ১৫ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী প্রায় তিন দশমিক ৭০ লাখ গণনাকারী তথ্য সংগ্রহ করবেন।
বাংলাদেশে প্রথম জনশুমারি ১৯৭৪ সালে পরিচালিত হয়েছিল। পরবর্তীকালে ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ এবং ২০১১ সালে এটি পরচালিত হয়।
আরও পড়ুন: জনশুমারি উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি
২ বছর আগে
বাংলাদেশে আজ রাত থেকে ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরু
বাংলাদেশের ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা আজ রাত ১২টা থেকে শুরু হতে যাচ্ছে যা দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জাতিসংঘের নির্ধারিত তিন ধরনের গণনা পদ্ধতি অনুযায়ী সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দেশের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ১৫ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার গণনাকারী তথ্য সংগ্রহ করবেন।
আরও পড়ুন: জনশুমারি উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি
জনশুমারিতে নথিভুক্ত করার জন্য গণনাকারীদের সহযোগিতা করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ৩৫টি মাপকাঠিতে মানুষের তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে যাতে সরকার এই তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পরিষেবার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব নাগরিকের তথ্য নিরাপদে সংরক্ষণ করা হবে এবং বিবিএস ছাড়া কেউ ডেটার সার্ভারে প্রবেশ করতে পারবে না বা ডেটা বিকৃত করতে পারবে না।
বিবিএস বিভিন্ন পর্যায়ে গণনাকারীদের জন্য তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়ার একটি ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে এবং প্রতি ১০০ পরিবারের জন্য একটি শুমারি এলাকা প্রণয়ন করেছে।
দেশজুড়ে নির্ধারিত সময়ে বিশাল কাজ করার জন্য ডিজিটাল উপাত্ত সংগ্রহের জন্য প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি অভিযোজনও সম্পন্ন হয়েছে। এটি মোবাইল ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট (এমডিএম) ও কম্পিউটার অ্যাসিস্টেড পার্সোনাল ইন্টারভিউয়ের (সিএপিআই) মাধ্যমে ডিজিটালভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
আরও পড়ুন: জনশুমারি শুরুর প্রাক্কালে ১৪ জুন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
বিবিএস জানিয়েছে, জনশুমারি ও গৃহগণনার মূল উদ্দেশ্যগুলো হলো- প্রতিটি বাড়ি ও পরিবারের সদস্য গণনা করে মোট জনসংখ্যা গণনা করা; দেশে বাড়ি-ঘরের সংখ্যা নির্ধারণ করা; সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য তথ্য সংগ্রহ; স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণের জন্য তথ্য প্রদান এবং জাতীয় সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তথ্য প্রদান করা।
বাংলাদেশে প্রথম জনশুমারি হয় ১৯৭৪ সালে। এরপর ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ ও ২০১১ সালে জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়।
২ বছর আগে
জনশুমারি উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি
ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ উপলক্ষে উদ্বোধনী খাম ও স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে খাম ও স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, এ সময় জনশুমারি ও গৃহগণনার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা হয়। আগামী ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত সারাদেশে এ জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সঠিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে জনশুমারি ও গৃহগণনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শুমারি কর্মীরা যাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ করে তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, সংশ্লিষ্ট সচিব এবং রাষ্ট্রপতির সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: জনশুমারি শুরুর প্রাক্কালে ১৪ জুন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
জনশুমারি শুরুর প্রাক্কালে ১৪ জুন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরুর প্রাক্কালে ১৪ জুন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। সোমবার সংসদে এ তথ্য জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশের সব মানুষের আর্থ-সামাজিক তথ্য সংগ্রহের জন্য ১৫ থেকে ২১ জুন সাত দিন একযোগে জনসংখ্যা ও গৃহশুমারি পরিচালনা করবে।
জনগণ যাতে জনশুমারি ও গৃহগণনাতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য মন্ত্রী সংসদের সকল সদস্যের সহায়তা কামনা করেন।
সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ৩০০ ধারায় বক্তৃতাকালে জ্যেষ্ঠ এ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, চিফ হুইপ, হুইপ, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতা ও সংসদ সদস্যদের কাছে একটি ডেমি অফিসিয়াল (ডিও) চিঠি পাঠিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আবার সংসদে আমার আবেদন পুনর্ব্যক্ত করছি।’
আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে অনলাইনে বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা পাবেন গ্রামবাসী: প্রধানমন্ত্রী
দেশবাসীর জন্য দোয়া করুন, হজযাত্রীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে