স্প্যানিশ সুপার কাপ
সহজ জয়ে সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
ধীরগতির ফুটবল ম্যাচে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ ছাড়াই অনুমিত জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর ফলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে উঠল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। পাশাপাশি আরও একটি এল ক্লাসিকো ফাইনাল দেখার সুযোগ মিলল ফুটবলভক্তদের।
সৌদি আরবে স্প্যানিশ সুপার কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মায়োর্কাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাড়েমেড়ে প্রথমার্ধ শেষে দ্বিতীয়ার্ধেও তেমন কোনো উত্তেজনা ছড়াতে পারেনি দুই দল। তবে তিনটি গোলই হয়েছে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে।
৬৩তম মিনিটে খানিকটা ভাগ্যের জোরে রিয়ালের গোলের খাতা খোলেন জুড বেলিংহ্যাম। ডান পাশ দিয়ে চমৎকার এক আক্রমণে উঠে মায়োর্কার বক্সে ঢুকে পেনাল্টি স্পটের দিকে ব্যাক পাস দেন ভিনিসিয়ুস। তা থেকে দূরের পোস্টে শট নিলে রদ্রিগোর সেই শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গোলে শট নেন এমবাপে, তবে দারুণ ক্ষিপ্রতায় মায়োর্কা গোলরক্ষক তা ফিরিয়ে দিলে সামনে থাকা বেলিংহ্যাম পেয়ে যান। এরপর ঠান্ডা মাথায় গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারদের মাঝ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ফলে হতাশ হয় মায়োর্কা।
গোল খাওয়ার পরও সমতায় ফিরতে তেমন জোর চেষ্টা ছিল না দলটির। এর মাঝে সুযোগ তৈরি অব্যাহত রাখে রিয়াল মাদ্রিদ। আর তা প্রতিহত করতেই সময় যায় মায়োর্কার খেলোয়াড়দের।
আরও পড়ুন: বিলবাওকে হারিয়ে সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনা
এমতাবস্থায় নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলা শেষ হলে ১-০ গোলেই ম্যাচ শেষ হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। তবে অতিরিক্ত যোগ করা ৬ মিনিটের তৃতীয় মিনিটে এমবাপের শট প্রতিহত করতে গিয়ে বলের দিক পরিবর্তন করে দেন মায়োর্কা ডিফেন্ডার মার্তিন ভালিয়েন্ত। আর বল জালে জড়িয়ে গেলে আত্মঘাতী গোলের গ্লানিতে পুড়তে হয় তাকে।
এর দুই মিনিট পর গোল পেয়ে যান রদ্রিগোও। লুকাস ভাসকেসের বাড়ানো বল থেকে গোল আদায় করে নিয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলেন তিনি। এতে দলকে ফাইনালে নেওয়ার পাশাপাশি গোল করে নিজের জন্মদিন উদযাপন করেন এই ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড।
আগামী রবিবার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। সেদিন জিতলে সুপার কাপ জয়ের হিসাবে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের পাশে বসবে রিয়াল (১৩)।
গত মৌসুমেও সুপার কাপে এল ক্লাসিকো ফাইনাল দেখেছিল ফুটবল বিশ্ব। সেবার বার্সাকে ৪-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বর্তমান লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাধারীরা। টানা দ্বিতীয়বার ফের ফিরতে চলেছে সেই একই ফাইনাল।
১৫ মিনিট আগে
বিলবাওকে হারিয়ে সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনা
হান্সি ফ্লিকের অধীনে দুর্দান্তভাবে মৌসুম শুরু করলেও বছরের শেষদিকে এসে খেই হারিয়েছিল বার্সেলোনা। তবে পুরনো ক্লেশ ঝেড়ে ফেলে নতুন বছরে ফের জয়যাত্রা শুরু করেছে দলটি।
শনিবার কোপা দেল রের ম্যাচে চতুর্থ স্তরের দল বারবাস্ত্রোকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বছর শুরু করা বার্সেলোনার সামনে দ্বিতীয় ম্যাচেই ছিল শক্ত প্রতিপক্ষ— আথলেতিক বিলবাও। তবে সেই পরীক্ষাতেও সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে নতুন বছরে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছে নানা সমস্যায় জর্জরিত কাতালানরা।
বুধবার রাতে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত স্প্যানিশ সুপার কাপের প্রথম সেমিফাইনালে বিলবাওকে ২-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা।
ম্যাচের ১৭তম মিনিটে গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন গাভি। অসংখ্য সুযোগ হাতছাড়া করার মাঝে ৫২তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন লামিন ইয়ামাল। সুযোগ পেয়েছিলেন বিলবাওয়ের খেলোয়াড়রাও তবে বার্সার অফসাইডের ফাঁদ আর নিজেদের ভুলের খেসারত দিতে হয়েছে দলটির।
আরও পড়ুন: হেরে ১২৬তম বছর শুরু বার্সেলোনার
এদিন ম্যাচের প্রথম থেকেই বিলবাওয়ের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকে বার্সেলোনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে চতুর্থ মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে উঠে পরপর দুটি সুযোগ তৈরি করেন জুল কুন্দে-রাফিনিয়ারা। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে দুটিই মাঠে মারা যায়।
ম্যাচের প্রথম দশ মিনিট ৭০ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে মাঠে একক আধিপত্য বিস্তার করে বার্সেলোনা। তবে এর পর খানিকটা ঝিমিয়ে যায় তারা। এ সময় সুযোগ কাজে লাগানোর পরিবর্তে ধীর লয়ে খেলতে থাকে বিলবাও-ও। ফলে ম্যাচের গতি বেশ পড়ে যায়। অবশ্য এর মধ্যেই ম্যাচর সপ্তদশ মিনিটে চকিতে আক্রমণে উঠে গোল আদায় করে নেয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
পেদ্রির লং পাস ধরে বাঁ পাশ দিয়ে এগিয়ে গিয়ে বিলবাওয়ের ডিফেন্স চিরে ছয় গজ বক্সের মধ্যে নিচু ক্রস দেন আলেহান্দ্রো বালদে। আর দুই ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ সামলে তা থেকে গোল আদায় করে দলকে এগিয়ে নেন গাভি।
গোল পাওয়ার পর ফের উজ্জীবীত ফুটবলে ফেরে বার্সেলোনা। আরও পিছিয়ে পড়া ঠেকাতে মনোযোগী হয় এরনেস্তো ভালভের্দের শিষ্যরাও। ফলে আবারও জমে ওঠে ম্যাচ।
ম্যাচের ২৩তম মিনিটে বিলবাও গোলরক্ষক উনাই সিমোনকে একা পেয়েও ফিনিশিংয়ের অভাবে নিশ্চিত গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন রাফিনিয়া। তবে রাফিনিয়ার শট সিমোন ঠেকিয়ে দিলে তা চলে যায় পেছনে থাকা লামিনের কাছে। তিনি দুর্বল শট নিলে সেটিও প্রতিহত করে দলকে বিপদমুক্ত করেন সিমোন।
প্রথমার্ধের শেষের মিনিট দশেক সমতায় ফিরতে জোর চেষ্টা চালায় বিলবাও। একের পর এক আক্রমণেও ওঠে তারা। তবে ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতা আর বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাদের আর গোলের মুখ দেখা হয়ে ওঠেনি। ফলে ব্যবধানে ধরে রেখেই বিরতিতে যায় কাতালানরা।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়ার্ধের চরম নাটকীয়তা শেষে ডর্টমুন্ড বধ বার্সেলোনার
প্রথমার্ধে ৫৩ শতাংশ সময় বলের দখল রেখে ৬টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার চারটিই লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয় তারা। অপরদিকে, বিলবাও পাঁচটি শট নিলেও তার মাত্র একটি লক্ষ্যে ছিল।
১ দিন আগে
শাস্তি কমলেও ২ ম্যাচ নিষিদ্ধই থাকছেন ভিনিসিউস
ভ্যালেন্সিয়া গোলরক্ষকের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখার পর এবার আরও বড় শাস্তি পেলেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় উইঙ্গার ভিনিসিউস জুনিয়র। পরবর্তী দুই ম্যাচের জন্য তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন।
লা লিগার ম্যাচে গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভালেন্সিয়া গোলরক্ষক স্তোলে দিমিত্রিয়েভস্কির মুখে আঘাত করায় লাল কার্ড দেখেন ভিনিসিউস। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও জুড বেলিংহ্যামের শেষ মুহূর্তের গোলে ২-১ ব্যবধানে ম্যাচটি জেতে রিয়াল মাদ্রিদ।
এক দিন পর রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তি দাবি করেন, ভিনিসিউসের ওই ঘটনাটি লাল কার্ড পাওয়ার মতো ছিল না এবং তার শাস্তি এড়ানোর ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন এই কোচ।
তবে আইন ভাঙায় সর্বোচ্চ শাস্তির মুখে না পড়লেও ন্যূনতম (২ ম্যাচ) শাস্তি পেতে হচ্ছে ২৪ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে। এই শাস্তি এড়াতে আপিল করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের আপিলের পর শাস্তি না কমিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা কেবল লা লিগার ম্যাচে সীমাবদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) স্প্যানিশ সুপার কাপের ম্যাচে খেলতে আর বাধা থাকছে না ভিনির।
শাস্তির ঘোষণা আসার পর নিজের আচরণ নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন ভিনিসিউস।
সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হতে চলা চার দলের স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে এবার মায়োর্কার মোকাবিলা করবে রিয়াল মাদ্রিদ। আর আজ (বুধবার) রাতে আথলেতিক বিলবাউয়ের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা।
সুপার কাপ থেকে অব্যহতি পাওয়ায় লা লিগায় পরের দুই ম্যাচে ১৯ জানুয়ারি লাস পালমাস ও ২৬ জানুয়ারি রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে তাকে পাবে না রিয়াল মাদ্রিদ।
ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে জয়ের পর লা লিগায় ১৯ ম্যাচে ১৩ জয় ও ৪ ড্রয়ে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে নতুন বছরের শুরুতেই টেবিলের শীর্ষস্থানে বসেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এক ম্যাচ কম খেলে ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে রয়েছে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদ। এছাড়া পয়েন্ট খোয়াতে খোয়াতে শীর্ষস্থান হারিয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেছে হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া বার্সেলোনা।
১ দিন আগে
স্প্যানিশ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ
উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে টাইব্রেকারে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয় নিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
৪ বছর আগে