আসামিদের গ্রেপ্তার
এবি ব্যাংকের অর্থ আত্মসাত: আসামিদের গ্রেপ্তারে পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
এবি ব্যাংক থেকে ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডারের মাধ্যমে ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় ব্যাংকটির ১৫ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের আদেশ পালনে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৬ জুনের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও অ্যাডিশনাল এসপিকে (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এ মামলার দুই আসামির জামিন আবেদনে শুনানিকালে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর দুদক এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের গত বছরের ৯ জুন একটি মামলা করে। ওই মামলায় ১৭ জনকে আসামি করা হয়। এ ১৭ জনের মধ্যে আসামি শহীদুল ইসলাম ও আব্দুর রহিম আগাম জামিনের আবেদন করেন। আগাম জামিনের পরে তারা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। নিম্ন আদালত তাদের জেলে পাঠিয়ে দেন। এরপর জেল থেকে তারা জামিন চেয়ে নিয়মিত আপিল করেন। গত ৭ ডিসেম্বর শুনানি শেষে হাইকোর্ট দুজনের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। একই সঙ্গে আগামী সাতদিনের মধ্যে অন্য ১৫ আসামিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন আদালত। পাশাপাশি এ ১৫ জন যাতে বিদেশে যেতে না পারে সেজন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
১৫ আসামি হলেন-এরশাদ আলী, এবিএম আব্দুস সাত্তার, আনিসুর রহমান, রুহুল আমিন, ওয়াসিকা আফরোজী, মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান, সালমা আক্তার, মোহাম্মদ এমারত হোসেন ফকির, তৌহিদুল ইসলাম, শামীম এ মোরশেদ, খন্দকার রাশেদ আনোয়ার, সিরাজুল ইসলাম, মাহফুজ উল ইসলাম, মশিউর রহমান চৌধুরী, শামীম আহমেদ চৌধুরী।
আসামি শহীদুল ইসলাম ও আব্দুর রহিমের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানির জন্য মঙ্গলবার আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে। পরে হাইকোর্ট ওই আদেশ দেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক জানান, প্রাপ্ত তথ্য মধ্যে ১৫ আসামির মধ্যে এরশাদ আলীকে সরাসরি জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া এবিএম আব্দুস সাত্তার আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর জামিন আবেদনকারী শহীদুল ইসলাম ও আব্দুর রহিম কারাগারে আছেন। বাকি ১৩ আসামি এখনও পলাতক রয়েছে।
পড়ুন: এবি ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের আদেশ বহাল
ঋণ জালিয়াতি: এবি ব্যাংকের ১৫ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ
২ বছর আগে