পাচার
ভারতীয় পণ্য পাচারকালে বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশি যুবক
ভারতীয় পণ্য পাচারকালে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে আটক হয়েছেন খায়রুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি যুবক।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পাটগ্রাম সীমান্ত থেকে বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে যান।
খায়রুল ইসলাম (২৮) শ্রীরামপুর ইউনিয়নের খেংটি গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
স্থানীয়রা জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৪৩ ও উপ-পিলার ৪ নম্বরের পানিশালা সীমান্তে ৪-৫ জনের একটি দল ভারতীয় পণ্য পাচারের কাজ করছিল। এ সময় জলপাইগুড়ি ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পানিশালা বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দল তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও খায়রুলকে আটক করে বিএসএফ।
পরে বিকালে মামলা দিয়ে তাকে ভারতের মেখলিগঞ্জ থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
রংপুর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৬১ ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) অধিনায়ক শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বলেন, ‘পানিশালা সীমান্ত এলাকায় ভারতের ভেতরে (বিএসএফের হাতে) আটক হন খায়রুল। তিনি একজন চোরাকারবারি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি যুবকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
১ সপ্তাহ আগে
বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়: টিআইবি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘অবৈধভাবে অর্থপাচারের কারণে বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার হারাচ্ছে। পাচার হওয়া বিশাল পরিমাণ এই অর্থ পুনরুদ্ধারে নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
শনিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উপায়’ শিরোনামে সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ-সম্পদ অবিলম্বে ফ্রিজ করুন: টিআইবি
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আর্থিক অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, 'অর্থ পাচারকারীদের অবশ্যই পরিণতি ভোগ করতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ এজেন্সিগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’
তিনি বলেন, সরকার আর্থিক অপরাধ রোধে প্রচেষ্টা শুরু করেছে, একটি টেকসই চোরাচালানবিরোধী ব্যবস্থা বিকাশের জন্য নাগরিক সমাজ এবং রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী অ্যাডভোকেসি প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিগত বছরগুলোতে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী সরকারের প্রভাবে অর্থপাচার কার্যক্রম উপেক্ষা করার অভিযোগ ছিল।
তবে তিনি স্বীকার করেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচার করা অর্থ উদ্ধারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। তবে এটাকে ভবিষ্যতের জন্য একটি স্থায়ী ব্যবস্থায় পরিণত করতে হবে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান ভুয়া কোম্পানিকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করেন। তবে এ বিষয়ে কার্যকরি পদক্ষেপ না নেওয়ার সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘আইএমএফ ভুয়া ও কাগজসর্বস্ব কোম্পানিকে ঋণ দেওয়া বন্ধের শর্ত দিলেও এই প্রথা অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভুয়া স্কিমে কাগজসর্বস্ব কোম্পানির কাছে ইসলামি ও অন্যান্য ব্যাংকের তহবিল খোয়া গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে; যা বাংলাদেশ ব্যাংক তখন থেকে স্বীকার করেছে।’
এদিকে সব শর্ত পূরণকারী অনেক বৈধ কোম্পানি ঋণ পেতে হিমশিম খাচ্ছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
এছাড়া সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমেদ এবং অর্থনীতিবিদ ও অ্যাস্ট্রা গ্যাটাকা ওপেনহেইমারের প্রতিষ্ঠাতা নঈম চৌধুরী বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএফআইইউ-দুদকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ঢেলে সাজানো অপরিহার্য: টিআইবি
সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপর আহ্বান টিআইবির
১ মাস আগে
সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ৮৮৫ কেজি ইলিশ জব্দ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ৮৮৫ কেজি ইলিশ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের মৌলারপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইলিশ মাছগুলো জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে ৩০০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন
বিজিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) মৌলারপাড়ে বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে অভিযান চালিয়ে ৮৮৫ কেজি ইলিশ জব্দ করে। এসব মাছের আনুমানিক বাজারমূল্য ২২ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা। এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাছ রেখে পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি।
সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। জব্দ করা ৮৮৫ কেজি বাংলাদেশি ইলিশ মাছ স্থানীয় কাস্টমস এ জমা করা হবে।
আরও পড়ুন: ভরা মৌসুমেও চাঁদপুরে ইলিশের সরবরাহ কম, দামও চড়া
৩ মাস আগে
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৮ বাংলাদেশি নারী
ভারতে পাচার হওয়া ৮ বাংলাদেশি নারী বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন।
সোমবার (২০ মে) রাতে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে তারা দেশে ফিরেছেন।
আরও পড়ুন: সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল এক শিশুসহ ২০ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
দেশে ফেরত এসেছেন- মিনা বেগম, শিউলী বেগম, লিপি খাতুন, সুকজান বেগম, নাজমা খাতুন, ঝুমা খাতুন, মনি ও ফারহানা বেগম।
৮ বাংলাদেশি নারী খুলনা, নড়াইল, সাতক্ষীরা, মাদারীপুর, নরসিংদী ও নওগাঁ জেলার বাসিন্দা।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা ৮ বাংলাদেশি নারীকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার এবং রাইটস যশোর নামে দু’টি এনজিও সংস্থা তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন।
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, সাজার মেয়াদ শেষে সোমবার রাতে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফিরেছেন। তাদের যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখা হবে। পরে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: বরিশালে এক বছর সাজাভোগের পর মুক্তি পেল ৯টি ছাগল!
ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে সাজাভোগের পর দেশে ফিরলেন ১০ বাংলাদেশি
৭ মাস আগে
বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরলেন ভারতে পাচার হওয়া ২ নারী
ভারতে পাচারের দীর্ঘ আড়াই বছর পর বাংলাদেশি দুই নারীকে ভ্রমণ অনুমোদনের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে ওই দুই নারীকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
ওই দুই নারীর বাড়ি গোপালগঞ্জ কাশিয়ানি ও ঢাকা গেন্ডারিয়ায়।
আরও পড়ুন: ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের কাছে ৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ
ফেরত আসা নারীরা জানান, দালালের খপ্পরে পড়ে প্রায় আড়াই বছর আগে তারা ভারতে পাচার হন। পরে ভারতের পুলিশের হাতে আটক হন। পরে পুলিশ তাদের কারাগারে পাঠায়। সেখান থেকে একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের হেফাজতে রাখে। পরে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের মাধ্যমে আজ দেশে ফিরে আসেন তারা।
এ ব্যাপারে ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ দুই নারীকে হস্তান্তর করেছে।
ওসি আরও জানান, ইমিগ্রেশনে আইনি পক্রিয়া সম্পন্ন করার পর বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্তের আদেশ আপিল বিভাগে বাতিল
১৫ বছরে বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটিরও বেশি টাকা পাচার হয়েছে: সিপিডি
১০ মাস আগে
বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ভারত: পরিবেশমন্ত্রী
বন্যপ্রাণী পাচার রোধে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাঘ সংরক্ষণে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রটোকলের বাস্তবায়ন এবং সুন্দরবন সংরক্ষণে দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা জানান।
এ উপলক্ষে ভারতীয় ওয়ার্কিং গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দল খুব শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দুই দেশ একযোগে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস ফরাসি-জার্মানির
মন্ত্রী বলেন, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান ও জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাও একই সঙ্গে বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, ইকো-ট্যুরিজম এবং সক্ষমতা বিনির্মাণেও দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, পরিবেশ, বন সংরক্ষণ ও উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে চাই।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পরবর্তী প্রথম সরকারি সফর হিসেবে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
১০ মাস আগে
১৫ বছরে বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটিরও বেশি টাকা পাচার হয়েছে: সিপিডি
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানিয়েছে, ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিগত ১৫ বছরে বিভিন্ন কেলেঙ্কারির মাধ্যমে দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকার বেশি পাচার হয়েছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার ধানমন্ডি কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৩-২৪: চলমান সংকট ও করণীয়’- শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় স্বাধীন থিংক-ট্যাংক সিপিডি।
সিপিডি জানিয়েছে, ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে ২৪টি কেলেঙ্কারির মাধ্যমে তহবিল লুণ্ঠন করা হয়েছে।
সিপিডি উল্লেখ করেছে, বিগত কয়েক বছরে অসংখ্য ব্যবসায়িক সংগঠন ও ব্যক্তিদের করা বেশ কয়েকটি অনিয়মের সম্মুখীন হয়েছে দেশের ব্যাংকিং খাত। যার ফলে বেশ কয়েকটি ব্যাংক থেকে প্রচুর অর্থের অপব্যবহার হয়েছে, যার পরিমাণ হাজার হাজার কোটি টাকা।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সিপিডি ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে ২৪টি বড় অনিয়মের প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন সংকলন করেছে, যার পরিমাণ ৯২২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন বা ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকারও বেশি।’
আরও পড়ুন: কয়লা-এলএনজি'র ওপর নির্ভরতা বাড়িয়ে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিরুদ্ধে কাজ করছে সরকার: সিপিডি
১১ মাস আগে
চট্টগ্রামে পাচারকালে বিরল প্রজাতির হনুমান উদ্ধার, বাস চালকের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থেকে মহাবিপন্ন-বিরল প্রজাতির একটি চশমা পরা হনুমান উদ্ধার করেছে পুলিশ। এটি পাচারের দায়ে এস আলম পরিবহনের বাস চালককে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের গাছবাড়িয়া কলেজ গেট এলাকা থেকে হনুমানটি উদ্ধার করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত বাস চালক মো. জসীম উদ্দীন (৪০) কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড পোঁচপাড়া এলাকার মৃত সামছুল আলমের ছেলে।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস আলম পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে বাসের ব্যাটারির বাক্সের ভেতর থেকে বিরল প্রজাতির চশমা পরা হনুমানটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় খাবারের সন্ধানে বনের হনুমান লোকালয়ে
পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিমরান মোহাম্মদ সায়েক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চালক মো. জসীম উদ্দীনকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মহাবিপন্ন বিরল প্রজাতির চশমা পরা হনুমানটি চকরিয়া রুট দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ব্যবহার করে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। পরে সেখান থেকে বিদেশে পাচারের পরিকল্পনা ছিল।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদ পেয়ে এস আলম পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি হনুমান উদ্ধার করে ওই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত জসীম উদ্দীন চকরিয়া থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন। সেখান থেকে ঢাকায় তারপর কৌশলে বিদেশে পাচারের জন্য নেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিরল প্রজাতির বন্য হনুমান উদ্ধার
বিলুপ্তির পথে যশোরের কালো মুখ হনুমান
১ বছর আগে
পাচারের শিকার শিশুদের জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্টের ১ মিলিয়ন ডলারের অনুদান ঘোষণা
বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া ফ্রিডম ফান্ড এবং এর অংশীদারদের জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে ১ মিলিয়ন ডলারের অনুদান ঘোষণা করেছেন।
এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে পাচারের শিকার হওয়া ৫০০টিরও বেশি শিশু পুনর্মিলন পরিষেবা পাবে।
আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া বলেছেন, ‘আরও অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আমাদের একটি অত্যাবশ্যক অংশীদার। আমাদের অংশীদারিত্ব ভাগ করা গণতান্ত্রিক নীতি এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার মাধ্যমে সমুন্নত করা হয়।’
জেয়া এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ব্যুরোর সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু সহ স্টেট ডিপার্টমেন্টের ঊর্ধ্বতন মার্কিন সরকারি কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল ১১-১৪ জুলাই ঢাকা ও কক্সবাজার সফর করেন। এসময় তারা ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, রোহিঙ্গা শরণার্থী, মানবিক সংস্থার প্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া বাংলাদেশে আশ্রয়রত মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এবং তাদের স্বাগতিক সম্প্রদায়কে সমর্থন করার জন্য প্রায় ৬১ মিলিয়ন ডলারসহ মিয়ানমার ও বাংলাদেশে প্রতিক্রিয়া প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য ৭৪ মিলিয়নের অতিরিক্ত মার্কিন মানবিক সহায়তার ঘোষণা করেছেন।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের মতে, রোহিঙ্গাদের ও স্বাগতিক সম্প্রদায়কে সাহায্য করার জন্য ২০১৭ সাল থেকে তারা মোট ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তা করেছে।
বাংলাদেশে থাকাকালীন আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক করেন।
তিনি শ্রমিকনেতা, সুশীল সমাজের নেতা এবং মানবাধিকার কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করেছেন।
১ বছর আগে
চামড়া পাচার ঠেকাতে হিলি সীমান্তে কঠোর নজরদারি বিজিবির
হিলি ও আশপাশের সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পশুর চামড়া পাচার ঠেকাতে কঠোর নজরদারির কথা জানিয়েছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ঈদের দিন থেকে আগামী ১৫ দিন এই নজরদারি করা হবে। এছাড়া টহল জোরদার সহ অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রফিকুল ইসলাম জানান, চামড়া আমাদের দেশের সম্পদ। বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে পশুর চামড়ার দাম তুলনামূলক বেশি। একারণে ভারতে চামড়া পাচারের সম্ভাবনা থাকে। কোরবানির পশুর চামড়া যাতে কোনোভাবেই ভারতে পাচার হতে না পারে, সে জন্য জয়পুরহাট-২০ বিজিবি নিয়ন্ত্রণাধীন ৪১ কিলোমিটারের মধ্যে জয়পুরহাট, পাঁচবিবি ও হিলি সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ, স্পর্শকাতর ও অরক্ষিত এলাকাসহ সীমান্ত জুড়ে বিশেষ সর্তকতা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে কোরবানরি পশুর চামড়া জমায়েত হওয়ার স্থানগুলোতে সাদা পোশাকে নিজস্ব গোয়ন্দো সদস্যরা নজরদারি করবে।
তিনি আরও জানান, ঈদকে সামনে রেখে এবার সীমান্ত দিয়ে দেশে একটিও ভারতীয় গরু আসতে দেওয়া হয়নি। এব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। বিজিবির কঠোর ভূমিকার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।
ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর থেকে প্রতিটি বিওপি ক্যাম্পে নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে সীমান্তে ২৪ ঘণ্টা কড়া নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ করার জন্য। যাতে দিনে কিংবা রাতে কোনোভাবেই কোরবানির পশুর চামড়া ভারতে পাচার না হয়, সেজন্য বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে হিলি স্থলবন্দরে ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাক চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আধাবেলা পর আমদানি-রপ্তানি শুরু
হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু
১ বছর আগে