পাচার
ভারতে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টা, সাতক্ষীরায় আটক ১
সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে পাচারের চেষ্টাকালে ১৫টি স্বর্ণের বারসহ মো. সোহেল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে রবিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (১০ মার্চ) বিজিবির সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল হক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল হকের তত্ত্বাবধানে ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ আভিযানিক দল ঝাউডাঙ্গা বিশেষ ক্যাম্পের দায়িত্বাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহেল উদ্দিনকে আটক করে।
সময় তার সঙ্গে থাকা ইজিবাইক ও দুটি মোবাইল ফোন তল্লাশি করে ইজিবাইকের স্টিয়ারিংয়ের সেটিংয়ের মধ্যে টেপ দিয়ে পেচিয়ে রাখা ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা ১ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার ২০০ টাকা।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়িতে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার-টাকা লুট
আটক স্বর্ণ পাচারের জন্য ভারতে নেওয়া হচ্ছিল বলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশর (বিজিবি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বিজিবি জানিয়েছে, সোহেল উদ্দিনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। উদ্ধার করা স্বর্ণ সাতক্ষীরা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম চলমান।
৩৭ দিন আগে
সাবেক এমপি আলাউদ্দিনের হাজার কোটি টাকা পাচারের শাস্তি চেয়ে দুদকে আবেদন
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও বিদেশে পাচারের ঘটনায় ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করা হয়েছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ফেনীর পরশুরামের আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তি দুদক চেয়ারম্যান বরাবর এই অভিযোগ পত্র দিয়েছেন।
আবেদনে বলা হয়, ফেনী-১ আসনের সাবেক এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম এক সময় ছিলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রটোকল। নাসিমের বাড়ি সীমান্তবর্তী উপজেলা পরশুরাম পৌরসভার গুথুমা গ্রামে। যার তিন পাশে সীমান্ত। তার নেতৃত্বে এই সীমান্ত দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা থেকে অবৈধভাবে মাদক, ফেন্সিডিল, গরু, শাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক আসে বাংলাদেশে। আর বাংলাদেশ থেকে পাচার হয় স্বর্ণ। ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার পদবি ব্যবহার করে প্রশাসনে বদলি, পদায়ন থেকে শুরু বিনা টেন্ডারে কাজ পাইয়ে দেওয়া, বিদ্যুৎ কোম্পানির লাইসেন্স করে দেওয়া কাজ শুরু করে আলাউদ্দিন নাসিম।
এতে আরও বলা হয়, আলাউদ্দিন নাসিম দেশটিকে বানিয়েছিলেন অনিয়ম ও দুর্নীতির ‘স্বর্গরাজ্য’। বালুমহাল, টেন্ডারবাণিজ্য, সালিশিবাণিজ্য, নিয়োগবাণিজ্য ও সীমান্ত থেকে চোরাকারবারী চলত তার নির্দেশে। তিনি মিস্টার টোয়েন্টি পার্সেন্ট হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন দেশব্যাপী। তাকে ২০ পার্সেন্ট কমিশন না দিলে কোনো টেন্ডারই পেতো না ব্যবসায়ীরা। প্রকল্পের কাজ শুরুর আগেই তিনি বুঝে নিতেন তার কমিশনের টাকা। বিভিন্ন সময় দুর্নীতির কারণে অনেকেই ধরা পড়লেও সব সময় অন্তরালে থেকে গেছেন দুর্নীতির বরপুত্র খ্যাত আলাউদ্দিন নাসিম।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিদ্যুৎ খাতে মাফিয়া সিন্ডিকেটের গডফাদার আলাউদ্দিন নাসিমের হাত ধরে দেশে গত সাড়ে ১৫ বছরে বেসরকারি বিদ্যুৎ খাতে মহালুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পতিত শেখ হাসিনার ঘনিষ্টজন হওয়ায় বিনা পুঁজিতে ব্যবসায়িক পার্টনার হয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের প্রকল্প থেকে বিদেশে পাচার করেছেন হাজার হাজার কোটি টাকা।
ডাচ-বাংলা পাওয়ার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের ৩০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। এস আলমের মালিকানাধীন এসএস পাওয়ার ওয়ান লিমিটেডের মালিকানাও রয়েছে নাসিমের। প্রতিমাসে ব্যাংকে এসএস পাওয়ার থেকে মোটা অঙ্কের চেক নাসিমের এবং তার ওয়াইফ অধ্যাপক ডা. জাহানারা আরজুর নামে জমা হয়। শুধু এই দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নয়, আরও কয়েকটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে বিদেশে পাচার করেন তিনি। জালিয়াতি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঋণ নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ‘কারচুপি’ তদন্ত করবে দুদক
২০২৪ এর নির্বাচনী হলফনামায় স্থাবর সম্পদ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, কৃষি জমি ১০ কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৪৭ টাকা, তার স্ত্রীর ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৬ টাকা, অকৃষি জমি ২৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা, স্ত্রীর ৭৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা।
তার রয়েছে ৮ কোটি ৫২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৬৬ টাকা মূল্যের তিনটি দালান (আবাসিক ও বাণিজ্যিক) রয়েছে। ১২ কোটি ৩১ লাখ ৪৬ হাজার ৯২০ টাকা মূল্যের ৬টি ও তার স্ত্রীর ২ কোটি ২৫ লাখ ৯৪ হাজার ২০১ টাকা মূল্যের ৪টি বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট।
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে আলাউদ্দিন নাসিম, রাজধানীর অভিজাত গুলশান এলাকায় এনই(কে) ব্লকের ৮৩ নং সড়কের ১৩/বি প্লটটি জমি ও ভবনসহ কিনে নেন। জমির পরিমাণ ১২ কাঠা। গুলশানে জমির সর্বনিম্ন মূল্য কাঠা প্রতি ১০ কোটি টাকা, সেই হিসেবে হাসিনার এই সাবেক এপিএস গুলশানে ১২ কাঠা জমি ক্রয় করেন ১২০ কোটি টাকায়। যদিও তার হলফ নামায় এই জমির বিস্তারিত উল্লেখ নেই।
নাসিম বিসিএস প্রশাসন সার্ভিসে ১৯৮৬ সালে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তিনি সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের পর সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার এপিএস হিসেবে তিনি কাজ শুরু করেন। এই দায়িত্বে তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত ছিলেন। ২০০৯ সালে উপসচিব হিসেবে তিনি প্রশাসন ক্যাডার থেকে পদত্যাগ করে অবসরে যান।
আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ২০২৪ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তার ও স্ত্রীর মোট ১০৮ কোটি ৩৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৪৫ টাকার সম্পদ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
রাজধানীর অভিজাত গুলশান এলাকায় আলাউদ্দিন নাসিমের মদের গুদাম আছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, এমপি ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশ-বিদেশে নামে-বেনামে রয়েছে হাজার কোটি টাকার অর্থ-সম্পদ। এ ছাড়াও কানাডায় রয়েছে বাড়ি-গাড়ি।
২০১৪ সালের ২০ মে সকালে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় গাড়িতে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আর এই পুরো ঘটনাটি ঘটে আলাউদ্দিন নাসিমের পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় অভিযোগে।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আলাউদ্দিন নাসিম আত্মগোপনে চলে যান।
ফেনীর পরশুরামে ৩০ একর জায়গায় ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয় আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম কলেজ। জোরপূর্বক ও ভয় দেখিয়ে নামমাত্র মূল্য পরিশোধ করে কলেজের জন্য কৃষিজমির জায়গা দখল করে নেওয়া হয়। ফিল্মিস্টাইলে লাল কাপড় লাগিয়ে এস্কেভেটর দিয়ে শুরু করেন মাটি কাটা। লাল পতাকা টাঙানোর পর বলা হতো, এই জমিগুলো অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। পরে দেখা যায়, অধিগ্রহণ নয়, মানুষ জানতে পারেন দখল করা হয়েছে। নাসিম কলেজের নামে কয়েক বিঘা জমি জোর করে দখল করে নেন।
আরও পড়ুন: হাসিনার সামরিক উপদেষ্টাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আলাউদ্দিন নাসিমের বাবা একাত্তরের রাজাকার ছিল। ২০১৩ সালে তার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ঢোকানো হয়। ২০২০ সালের ২৬ জুলাই মুক্তিযোদ্ধা নামধারী রাজাকার সালেহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী মারা গেলে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিয়ে দাফন করা হয়! পজির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর ছেলে সালেহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি ফেনীর পশুরাম উপজেলা উত্তর গুথুমা গ্রামে। ১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট ফেনী মহকুমা পিস কমিটির চেয়ারম্যান প্রকাশিত ০৯ সদস্য বিশিষ্ট পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগীদের তালিকায় ৭ নম্বর নামটি ছিল আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিমের বাবা সালেহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর। কালের বিবর্তনে ৪২ বছরের ব্যবধানে এই রাজাকার ২০১৩ সালের ৮ এপ্রিল সরকারের গেজেটে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হয়ে যায়।
সালেহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দিতে ২০১৯ সালের ২০ জুলাই জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। যা এখনও আলোর মুখ দেখেনি।
৭২ দিন আগে
দেশে ফিরল ভারতে পাচার হওয়া ১৬ কিশোর-কিশোরী
ভারতে পাচারের শিকার ১৬ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরীকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভারতের ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করেন।
১৬ কিশোর-কিশোরী হলেন- নুরঅনকিষ, কাওছার আলী, দিপু সরকার, পূজা, মিথিলা দাস, সোনিয়া খাতুন, অমৃতা ঘোষ, রাবিয়া খাতুন, নয়ন বিশ্বাস, সামাদ মোল্লা, মোমিন মোল্লা, আশিকুল ইসলাম, দেব দাস, রাশিদুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, জিয়াদ মোল্লা।
তাদের বাড়ি খুলনা, নড়াইল, বান্দবান ও নেত্রকোনা জেলায়। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, ১৬ কিশোর-কিশোরীকে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের হাতে মা-ছেলে আটক, পরে ফেরত
পরে রাইটস যশোর সেখান থেকে ওই ১৬ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য নিয়ে যান বলেও জানান ওসি ইমতিয়াজ ভূঁইয়া।
রাইটস যশোরের সাইকোসোস্যাল কাউন্সিলর মো. জাওয়াদুল করিম জানান, এরা দালালদের মাধ্যমে বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতে যায়। সেখানে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে আদালত তাদেরকে শুকন্য কিশোলয় সুবায়ন সেল্টার হোম নামের ভারতের একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদেরকে নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখে। পরে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফিরেছেন।
তিনি আরও জানান, তাদেরকে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জনকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ৫ জনকে তাদের শেল্টার হোমে রাখা হয়েছে। পরে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
৭৬ দিন আগে
১৮টি স্বর্ণের বার পাচারকালে ভারতীয় নাগরিক আটক
মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্তে পাচারের সময় ১৮টি স্বর্ণের বারসহ মো. নূর হোসেন নামের এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মুজিবনগর মাঠের পাশের একটি বাগান থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক নুর হোসেন (৪৮) ভারতের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার হৃদয়পুরর গ্রামের মৃত সোনাই শেখের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মো. জাহিদুর রহমান মঙ্গল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মুজিবনগর সীমান্তের ১০৪/৫ এস নম্বর পিলার এলাকায় ভারতীয় এক নাগরিক স্বর্ণ পাচার করছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। পরে তাকে তল্লশি করা হলে কোমরের সঙ্গে প্যান্টের ভেতরে টেপ দিয়ে মোড়ানো তিনটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী ৫৮ রোহিঙ্গা আটক
এসব প্যাকেট থেকে মোট ১৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ২ কেজি ১৮ গ্রাম এবং আনুমানিক মূল্য ২ কোটি টাকা বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় মুজিবনগর বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার হাবিলদার মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মুজিবনগর থানায় মামলা করেছেন। এরপর আসামিকে মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেইসঙ্গে জব্দ করা স্বর্ণের বারগুলো মেহেরপুর ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।
৯২ দিন আগে
মালয়েশিয়া পাচারকালে উদ্ধার ৬৬, আটক ৫
কক্সবাজারের টেকনাফ সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে জড়ো করার সময় রোহিঙ্গাসহ ৬৬ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় ৫ মানবপাচারকারীকেও আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি রাইফেলের গুলি, একটি রামদা ও একটি কিরিচ জব্দ করে পুলিশ।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মধ্যম কচ্ছপিয়া পাহাড়ি এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
উদ্ধারদের মধ্যে ৬১ জন রোহিঙ্গা ও ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, ১১ জন নারী ও ৩৭ জন শিশু রয়েছে।
আটক মানবপাচারকারীরা হলেন- টেকনাফ পৌরসভার শিলবনিয়া পাড়ার মো. রাশেদ, বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া এলাকার সালেহ আহাম্মদ ও তার ভাই নুরুল কবির, একই এলাকার সৈয়দ আলম এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গাছুয়া এলাকার কামরুল ইসলাম ওরফে মো. শিপন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ বলেন, টেকনাফে সমুদ্র উপকূলে বাহারছড়া ইউনিয়নের মধ্যম কচ্ছপিয়া পাহাড়ি এলাকায় জনৈক আব্দুল আমিনের বসত ঘরে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশে কিছু সংখ্যক লোকজনকে জড়ো করার খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশের একটি অভিযান চালায়।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য পাচারকালে বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশি যুবক
এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্দেহজনক বসত ঘরটি ঘিরে ফেললে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০-১৫ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে ৫ জনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে জড়ো করা ৬৬ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার করা রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে।
১০৮ দিন আগে
ভারতীয় পণ্য পাচারকালে বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশি যুবক
ভারতীয় পণ্য পাচারকালে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে আটক হয়েছেন খায়রুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি যুবক।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পাটগ্রাম সীমান্ত থেকে বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে নিয়ে যান।
খায়রুল ইসলাম (২৮) শ্রীরামপুর ইউনিয়নের খেংটি গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
স্থানীয়রা জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৪৩ ও উপ-পিলার ৪ নম্বরের পানিশালা সীমান্তে ৪-৫ জনের একটি দল ভারতীয় পণ্য পাচারের কাজ করছিল। এ সময় জলপাইগুড়ি ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পানিশালা বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দল তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও খায়রুলকে আটক করে বিএসএফ।
পরে বিকালে মামলা দিয়ে তাকে ভারতের মেখলিগঞ্জ থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
রংপুর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৬১ ব্যাটালিয়নের (তিস্তা-২) অধিনায়ক শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বলেন, ‘পানিশালা সীমান্ত এলাকায় ভারতের ভেতরে (বিএসএফের হাতে) আটক হন খায়রুল। তিনি একজন চোরাকারবারি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি যুবকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
১২৬ দিন আগে
বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়: টিআইবি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘অবৈধভাবে অর্থপাচারের কারণে বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার হারাচ্ছে। পাচার হওয়া বিশাল পরিমাণ এই অর্থ পুনরুদ্ধারে নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
শনিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উপায়’ শিরোনামে সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ-সম্পদ অবিলম্বে ফ্রিজ করুন: টিআইবি
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আর্থিক অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, 'অর্থ পাচারকারীদের অবশ্যই পরিণতি ভোগ করতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ এজেন্সিগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’
তিনি বলেন, সরকার আর্থিক অপরাধ রোধে প্রচেষ্টা শুরু করেছে, একটি টেকসই চোরাচালানবিরোধী ব্যবস্থা বিকাশের জন্য নাগরিক সমাজ এবং রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী অ্যাডভোকেসি প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিগত বছরগুলোতে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী সরকারের প্রভাবে অর্থপাচার কার্যক্রম উপেক্ষা করার অভিযোগ ছিল।
তবে তিনি স্বীকার করেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচার করা অর্থ উদ্ধারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। তবে এটাকে ভবিষ্যতের জন্য একটি স্থায়ী ব্যবস্থায় পরিণত করতে হবে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান ভুয়া কোম্পানিকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করেন। তবে এ বিষয়ে কার্যকরি পদক্ষেপ না নেওয়ার সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘আইএমএফ ভুয়া ও কাগজসর্বস্ব কোম্পানিকে ঋণ দেওয়া বন্ধের শর্ত দিলেও এই প্রথা অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভুয়া স্কিমে কাগজসর্বস্ব কোম্পানির কাছে ইসলামি ও অন্যান্য ব্যাংকের তহবিল খোয়া গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে; যা বাংলাদেশ ব্যাংক তখন থেকে স্বীকার করেছে।’
এদিকে সব শর্ত পূরণকারী অনেক বৈধ কোম্পানি ঋণ পেতে হিমশিম খাচ্ছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
এছাড়া সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমেদ এবং অর্থনীতিবিদ ও অ্যাস্ট্রা গ্যাটাকা ওপেনহেইমারের প্রতিষ্ঠাতা নঈম চৌধুরী বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএফআইইউ-দুদকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ঢেলে সাজানো অপরিহার্য: টিআইবি
সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপর আহ্বান টিআইবির
১৬৫ দিন আগে
সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ৮৮৫ কেজি ইলিশ জব্দ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ৮৮৫ কেজি ইলিশ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের মৌলারপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইলিশ মাছগুলো জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: ভারতে ৩০০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন
বিজিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) মৌলারপাড়ে বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে অভিযান চালিয়ে ৮৮৫ কেজি ইলিশ জব্দ করে। এসব মাছের আনুমানিক বাজারমূল্য ২২ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা। এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাছ রেখে পাচারকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি।
সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। জব্দ করা ৮৮৫ কেজি বাংলাদেশি ইলিশ মাছ স্থানীয় কাস্টমস এ জমা করা হবে।
আরও পড়ুন: ভরা মৌসুমেও চাঁদপুরে ইলিশের সরবরাহ কম, দামও চড়া
২০৭ দিন আগে
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৮ বাংলাদেশি নারী
ভারতে পাচার হওয়া ৮ বাংলাদেশি নারী বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন।
সোমবার (২০ মে) রাতে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে তারা দেশে ফিরেছেন।
আরও পড়ুন: সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল এক শিশুসহ ২০ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
দেশে ফেরত এসেছেন- মিনা বেগম, শিউলী বেগম, লিপি খাতুন, সুকজান বেগম, নাজমা খাতুন, ঝুমা খাতুন, মনি ও ফারহানা বেগম।
৮ বাংলাদেশি নারী খুলনা, নড়াইল, সাতক্ষীরা, মাদারীপুর, নরসিংদী ও নওগাঁ জেলার বাসিন্দা।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা ৮ বাংলাদেশি নারীকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার এবং রাইটস যশোর নামে দু’টি এনজিও সংস্থা তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন।
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, সাজার মেয়াদ শেষে সোমবার রাতে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফিরেছেন। তাদের যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখা হবে। পরে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: বরিশালে এক বছর সাজাভোগের পর মুক্তি পেল ৯টি ছাগল!
ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে সাজাভোগের পর দেশে ফিরলেন ১০ বাংলাদেশি
৩৩০ দিন আগে
বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরলেন ভারতে পাচার হওয়া ২ নারী
ভারতে পাচারের দীর্ঘ আড়াই বছর পর বাংলাদেশি দুই নারীকে ভ্রমণ অনুমোদনের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে ওই দুই নারীকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
ওই দুই নারীর বাড়ি গোপালগঞ্জ কাশিয়ানি ও ঢাকা গেন্ডারিয়ায়।
আরও পড়ুন: ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের কাছে ৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ
ফেরত আসা নারীরা জানান, দালালের খপ্পরে পড়ে প্রায় আড়াই বছর আগে তারা ভারতে পাচার হন। পরে ভারতের পুলিশের হাতে আটক হন। পরে পুলিশ তাদের কারাগারে পাঠায়। সেখান থেকে একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের হেফাজতে রাখে। পরে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের মাধ্যমে আজ দেশে ফিরে আসেন তারা।
এ ব্যাপারে ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ দুই নারীকে হস্তান্তর করেছে।
ওসি আরও জানান, ইমিগ্রেশনে আইনি পক্রিয়া সম্পন্ন করার পর বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্তের আদেশ আপিল বিভাগে বাতিল
১৫ বছরে বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটিরও বেশি টাকা পাচার হয়েছে: সিপিডি
৪২১ দিন আগে