অডিট রিপোর্ট
ইসিতে অডিট রিপোর্ট: গত বছর আ. লীগের উদ্বৃত্ত ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা
২০২২ সালের বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সেই অনুযায়ী, ২০২১ সালের তুলনায় গত বছর দলটির আয় কমেছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) ক্ষমতাসীন দলটির প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে এই বার্ষিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে দলটির মোট আয় ছিল প্রায় ১০ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে আ. লীগের বিক্ষোভ কর্মসূচি: ওবায়দুল কাদের
২০২১ সালে দলটির আয় ছিল ২১ কোটি ২৩ লাখ টাকা, যা ২০২০ সালে ছিল ১০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
আওয়ামী লীগ আজ পর্যন্ত তাদের মোট তহবিল দেখিয়েছে ৭৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, যেখানে দলটি ২০২২ সালের উদ্বৃত্ত ২ কোটি ৮৫ লাখটি টাকা।
আয়ের প্রধান উৎস ছিল মনোনয়ন ফরম বিক্রি, ফি এবং দলীয় সদস্যদের কাছ থেকে অনুদান এবং ব্যয়ের প্রধান উৎস ছিল কর্মচারীদের বেতন ও বোনাস, সেমিনার আয়োজন এবং ইউটিলিটি বিল।
নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি পাঠিয়ে তাদের বার্ষিক অডিট রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।
আরও পড়ুন: গয়েশ্বরের ডিবি অফিসে দুপুরের খাবার খাওয়ার ভিডিও ছড়ানোতে কোনো দোষ দেখেন না কাদের
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের আগের বছরের অডিট রিপোর্ট ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, যদি কোনো দল পরপর তিন বছর তাদের বার্ষিক রিটার্ন জমা না দেন, তাহলে নির্বাচন কমিশন তার নিবন্ধন বাতিল করতে পারে।
২০২২ সালের অডিট প্রতিবেদন ইসিতে জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও দলটির নির্বাচন কমিটি।
আরও পড়ুন: বিএনপির ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা উচিত: ওবায়দুল কাদের
১ বছর আগে
২.০৩ কোটি উদ্বৃত্ত দেখিয়ে ইসিতে বিএনপির অডিট রিপোর্ট জমা
বিএনপি রবিবার (৩০ জুলাই) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ২০২২ ক্যালেন্ডার বছরের জন্য তাদের বার্ষিক আর্থিক বিবরণী জমা দিয়েছে। যেখানে ২ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮২৯ টাকার তহবিল দেখানো হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল রাজধানীর নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলমের কাছে আর্থিক প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সহ-দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন ও আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে বিএনপি আয় করেছে ৫ কোটি ৯২ লাখ ৪ হাজার ৬৩২ টাকা এবং ব্যয় করেছে ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮০৩ টাকা।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে দোষারোপ করতে গাড়িতে আগুন দিয়েছে আওয়ামী লীগ: ফখরুল
গত বছর দলটির আয় ও ব্যয় উভয়ই উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২১ ক্যালেন্ডার বছরে দলটি ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার ১৭১ টাকা ব্যয়ের বিপরীতে ৮৪ লাখ ১২ হাজার ৯৪৪ টাকা আয় দেখিয়েছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী বলেন, তারা রুটিন ওয়ার্ক অনুযায়ী অডিট রিপোর্ট ইসিতে জমা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপির আয়ের বড় উৎস ছিল দলের সদস্যদের চাঁদা, অনুদান এবং ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার মুনাফা।
এই বিএনপি নেতা বলেন, তাদের কার্যালয়ের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও উৎসব বোনাস, রাজনৈতিক কর্মসূচি, পোস্টার ছাপানো, ত্রাণসামগ্রী বিতরণ এবং দলের দমন-পীড়িত নেতাকর্মীদের আর্থিক সহায়তা ব্যয়ের প্রধান খাত।
আইন অনুসারে, প্রতিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল প্রতি বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের ক্যালেন্ডার বছরের আর্থিক বিবরণী জমা দিতে বাধ্য।
আরও পড়ুন: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমাগম
মহাসমাবেশের আগে বিএনপির ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার: রিজভী
১ বছর আগে
ওয়াসার এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে অজ্ঞাতনামাদেরও আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের পক্ষে মামলার আবেদন করেন সমিতির সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দিন সরকার।
আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী শাহাব উদ্দিন সরকার।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক মিঞা মো. মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান, রাজস্ব পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন, প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম শ্যামল বিশ্বাস, উপ-সচিব শেখ এনায়েত উল্লাহ ও উপ-প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালেকুর রহমান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রুল
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি ১৬ জুলাই ২০১৭ থেকে ৩০ জুন ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ১৭৩ টাকা ঢাকা ওয়াসা থেকে রাজস্ব আদায় কাজ বাবদ পায়। আর ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ অর্থবছরে একই কাজ বাবদ সমিতি আয় করে ৩৪ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯০ টাকা।
এর মধ্যে ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থবছরে সমিতির হিসাবে জমা হয় এক কোটি ৭৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৩ টাকা। অবশিষ্ট ১৩২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ৬টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে আসামি তাকসিম এ খানের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশে অপর আসামিরা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
আসামিদের এই আত্মসাতের বিষয়টি সমবায় অধিদপ্তরের অডিট রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া সমিতির গাড়িসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সমিতির হেফাজত থেকে স্থানান্তর করে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সমমূল্যের সম্পদ চুরি করে আসামিরা।
মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি অথবা পিবিআইকে তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানিয়েছেন বাদী শাহাব উদ্দিন সরকার।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ইয়াবা পাচার মামলায় যুবকের ১০ বছর কারাদণ্ড
২ বছর আগে