সাধারণ নির্বাচন
চলতি সংসদের শেষ অধিবেশন শুরু ২২ অক্টোবর
জাতীয় সংসদে আগামী ২২ অক্টোবর অধিবেশন শুরু হবে। এটিই ২০২৪ সালের জানুয়ারির শুরুতে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের আগে বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশন।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) ধারা অনুযায়ী তার ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন একাদশ জাতীয় সংসদের ২৫তম অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২২ অক্টোবর (রবিবার) বিকাল ৪টায় অধিবেশন শুরু হবে।
আরও পড়ুন: শেষ হলো জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশন
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বর্তমান সংসদের ২৪তম অধিবেশন ৯টি বৈঠকের পর স্থগিত করা হয়।
২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ায় ২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদ তার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে চলেছে।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে, সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হলে সংসদ ভেঙে দেওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। সে অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।
আরও পড়ুন: সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু
৩১ মে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু
১ বছর আগে
আগামী সাধারণ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি দেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন করবেন এবং তার সরকার নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
বুধবার ব্রিটিশ অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের চারজন এমপি তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
সংসদ সদস্যরা হলেন- রুশনারা আলী, জনাথন রেনল্ডস মোহাম্মদ ইয়াসিন ও টম হান্ট।
আরও পড়ুন:গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ পেতে উৎপাদন খরচ পরিশোধ করুন: প্রধানমন্ত্রী
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রতিনিধিদলকে বলেছেন যে দেশে নির্বাচন কমিশন অনেকটাই স্বাধীন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আপনার ওয়েস্টমিনস্টারের গণতন্ত্র অনুসরণ করি। নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা এলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অতীতে সামরিক শাসকদের কবল থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, সামরিক শাসকরা বন্দুক ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতিতে নেমেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নিতে ব্রিটিশ এমপিদের প্রতি আহ্বান জানান হাসিনা।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের মতো দেশ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং ভোজ্যতেল আসত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে এসব পণ্যের আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে যার ফলে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে।
তিনি যুক্তরাজ্যের উদ্যোক্তাদের সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা সেখানে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাব।’
ব্রিটিশ এমপিরা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অবকাঠামোগত উন্নয়নে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রেস সচিব জানান, এই উন্নয়নের জন্য তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে তারা মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেলসহ কানেকটিভিটির উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।’
বাংলাদেশের উন্নয়নে এসব অবকাঠামো খুবই সহায়ক হবে বলে মনে করেন সংসদ সদস্যরা।
ব্রিটেনকে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে তারা বলেন, তাদের দেশ বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে চায়।
তারা বলেছিলেন যে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেক পরিশ্রমী এবং তারা ব্রিটিশ অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
তারা আরও বলেন, যুক্তরাজ্য জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে।
তারা বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে জানান ইহসানুল।
প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি ব্রিটিশ সহায়তার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, সরকার জলবায়ু পরিবর্তন সমস্যা নিয়ে আন্তরিক এবং নিজস্ব সম্পদ দিয়ে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রম শুরু করেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিকভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে বৃক্ষরোপণ এবং ৭৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দিয়ে বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন।
শেখ হাসিনা প্রয়াত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, কমনওয়েলথ দেশগুলোর অভিভাবক হিসেবে তিনি সবসময় বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন।
তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এম. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পুলিশকে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড দৃঢ়ভাবে মোকাবিলার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
জনগণের আস্থা ধরে রাখতে সেবা অব্যাহত রাখুন: পুলিশ সদস্যের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
২০২৪ সালের প্রথম সপ্তাহে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন: প্রধানমন্ত্রী
দেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক জনসভায় এই ঘোষণা দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের গতি ধরে রাখতে জনগণকে তার আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের সবাইকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাদের দলকে ভোট দেবেন কিনা জানতে চাইলে উচ্ছ্বসিত মানুষ হাত তুলেন। তিনি জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ২৯ টি প্রকল্পের উদ্বোধন, ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পক্ষে রায় দেয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ টানা তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছে।
তিনি বলেন, ‘২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রয়েছে যা দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়নের দিকে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
সমাবেশের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং এক হাজার ৯৬৩ দশমিক ৮৬ কোটি টাকার চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্দশা লাঘবে তার সরকারের চালু করা বেশ কয়েকটি উদ্যোগ তুলে ধরে ঘোষণা করেছেন যে যতদিন তিনি ক্ষমতায় থাকবেন ততদিন এদেশের মানুষের কল্যাণ দেখাশোনা করা তার দায়িত্ব।
তিনি বলেন, জাতির পিতার কন্যা হিসেবে আমি যতদিন ক্ষমতায় আছি ততদিন আপনাদের কল্যাণ দেখভাল করা আমার কর্তব্য।
জনগণের দুর্দশা সৃষ্টির জন্য তিনি আবারও বিএনপি ও তার মিত্র জামায়াতের নিন্দা করেন।
তিনি বলেন, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, খুন, লুটপাট, মানি লন্ডারিং, দেশের টাকা বিদেশে পাচার , এসবই তারা করতে পারে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে খালেদা জিয়া এতিমখানার টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং সে কারণে তিনি দুর্নীতির দায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।
আদালতে বিচারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থ পাচারের জন্য পরিচিত তার ছেলে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা হিসেবে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
তারেক জিয়া ১০টি ট্রাকে করে অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি না তিনি কি উদ্দেশ্যে এই অস্ত্রগুলো এনেছিলেন।’
আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া এবং তাদের সঙ্গীরা আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে, যা যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়। এতে আওয়ামী লীগের ২২ জন সদস্য নিহত হন।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহর রহমতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সব সময় লুটেরা, জঙ্গি, দেশের টাকা পাচার করে, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করে।
একজন মানুষ কি অন্য মানুষকে আগুন দিয়ে মেরে ফেলতে পারে? জানতে চান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি, তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়ার এই আন্দোলনের লক্ষ্য অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করা। তারা ধ্বংস ছাড়া কিছুই জানে না।’
আরও পড়ুন: সমুদ্রে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলেই সমৃদ্ধ অর্থনীতি সম্ভব: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী সম্মানসূচক “গ্লোবাল এম্বাসেডর ফর ডায়াবিটিস”-এর উপাধিতে ভূষিত
২ বছর আগে
ইসি সংলাপ: ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোটের প্রস্তাব আ.লীগের
পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের জন্য আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তাব দিয়েছে।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও-এ অবস্থিত নির্বাচন ভবনে ইসি সংলাপে আ.লীগ এই প্রস্তাব দেয়। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের এক প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সভায় অংশ নেন।
কাদের তাঁর দলের বেশ কয়েকটি প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেন, ‘আমরা মন থেকে ইভিএমের ব্যবহার চাই। দলের পক্ষে আমরা ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ইভিএমের ব্যবহার চাই।’
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মতামত চেয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছে ইসি।
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফরুল্লাহ, ড. মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, ড. হাসান মাহমুদ, সাহবুদ্দীন, আব্দুস সোবহান গোলাপ, বিপ্লব বড়ুয়া, ড. সেলিম মাহমুদ, শামসুর নাহার চাঁপা এবং সাঈম খান।
নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮টি দল সংলাপে অংশ নেয়। নয়টি দল সেখানে অংশ নেয় নি এবং অন্য দুটি দল সময় চেয়েছে।
আরও পড়ুন: ইভিএম এর ত্রুটি পরীক্ষা করতে জুনে বিশেষজ্ঞদল ডাকা হবে: কমিশনার আলমগীর
সকল দলের অংশগ্রহণে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই: কমিশনার আহসান হাবিব
২ বছর আগে
সংসদে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল পেশ
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত এমএনএ এবং এমপিএদের একটি তালিকা তৈরি করবে- মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পক্ষে ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের কারণে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার কর্তৃক শূন্য ঘোষণা করা আসনের উপ-নির্বাচনে এমএনএ এবং এমপিএ নির্বাচিত ব্যক্তিদের নামও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তালিকাগুলো গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল।
সোমবার সংসদে পেশ করা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল ২০২২-এর প্রতিবেদনে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
কমিটির সভাপতি শাহজাহান খান প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচারকারীদের দায়মুক্তির সমালোচনা সংসদ সদস্যদের
গত ৫ জুন পেশ করা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল অনুযায়ী কাউন্সিলের প্রাথমিকভাবে রাজাকার, আলবদর ও আল শামস, মুজাহিদ বাহিনী ও শান্তি কমিটির সদস্যদের তালিকা তৈরি করার কথা ছিল, যারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল এবং বিভিন্ন জঘন্য কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে পাকিস্তানি দখলদার সেনাদের সহযোগিতা করে।
বিল অনুযায়ী, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল থাকবে; যার প্রধান কার্যালয় ঢাকায় হবে। এটি সরকারের পূর্বানুমতি নিয়ে দেশের যে কোনো স্থানে শাখা স্থাপন করতে পারে।
পরিষদের চেয়ারম্যান থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী। তবে মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী থাকলে তিনি সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন হবেন। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ভাইস চেয়ারপারসন হিসেবে থাকবেন, উপদেষ্টা পরিষদের মহাপরিচালক মনোনীত আটজন এবং কাউন্সিলের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।
কাউন্সিল প্রতি দুই মাসে অন্তর একটি সভা করবে।
কাউন্সিলের অন্যতম প্রধান কাজ হবে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ বা মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাসহ স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত রাজাকার, আলবদর ও আল শামসদের তালিকা তৈরি করা।
উপদেষ্টা পরিষদের নেতৃত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। উপদেষ্টা পরিষদের অন্য সদস্যরা হবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টা ও সচিব কর্তৃক মনোনীত পাঁচজন।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: উৎসবের আমেজ ফিরল সংসদে
জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব গৃহীত
উপদেষ্টা পরিষদের মেয়াদ হবে তিন বছর।
২ বছর আগে