জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত এমএনএ এবং এমপিএদের একটি তালিকা তৈরি করবে- মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পক্ষে ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের কারণে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার কর্তৃক শূন্য ঘোষণা করা আসনের উপ-নির্বাচনে এমএনএ এবং এমপিএ নির্বাচিত ব্যক্তিদের নামও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তালিকাগুলো গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল।
সোমবার সংসদে পেশ করা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল ২০২২-এর প্রতিবেদনে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
কমিটির সভাপতি শাহজাহান খান প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচারকারীদের দায়মুক্তির সমালোচনা সংসদ সদস্যদের
গত ৫ জুন পেশ করা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল অনুযায়ী কাউন্সিলের প্রাথমিকভাবে রাজাকার, আলবদর ও আল শামস, মুজাহিদ বাহিনী ও শান্তি কমিটির সদস্যদের তালিকা তৈরি করার কথা ছিল, যারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল এবং বিভিন্ন জঘন্য কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে পাকিস্তানি দখলদার সেনাদের সহযোগিতা করে।
বিল অনুযায়ী, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল থাকবে; যার প্রধান কার্যালয় ঢাকায় হবে। এটি সরকারের পূর্বানুমতি নিয়ে দেশের যে কোনো স্থানে শাখা স্থাপন করতে পারে।
পরিষদের চেয়ারম্যান থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী। তবে মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী থাকলে তিনি সিনিয়র ভাইস চেয়ারপারসন হবেন। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ভাইস চেয়ারপারসন হিসেবে থাকবেন, উপদেষ্টা পরিষদের মহাপরিচালক মনোনীত আটজন এবং কাউন্সিলের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।
কাউন্সিল প্রতি দুই মাসে অন্তর একটি সভা করবে।
কাউন্সিলের অন্যতম প্রধান কাজ হবে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ বা মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাসহ স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত রাজাকার, আলবদর ও আল শামসদের তালিকা তৈরি করা।
উপদেষ্টা পরিষদের নেতৃত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। উপদেষ্টা পরিষদের অন্য সদস্যরা হবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টা ও সচিব কর্তৃক মনোনীত পাঁচজন।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: উৎসবের আমেজ ফিরল সংসদে
জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব গৃহীত
উপদেষ্টা পরিষদের মেয়াদ হবে তিন বছর।