ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ইফতার আয়োজন করেছে ডিএনসিসি
রমজানে মাসব্যাপী নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ইফতারের আয়োজন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি ভবনের সামনে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) মাসব্যাপী ইফতার আয়োজনের তৃতীয় দিনে ইফতার বিতরণ পরিদর্শন করেন ডিএনসিসি মেয়র।
সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তাদের মাঝে ইফতার বিতরণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মহাসড়কে ইফতার বিতরণ করছেন ফেনী পৌরসভার মেয়র
এ সময় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সীমিত আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করেই এই উদ্যোগ নিয়েছি। এখানে পুরো রমজান মাসব্যাপী ইফতারের ব্যবস্থা থাকবে। এটি কোনো ইফতার পার্টি নয়, কেবল নিম্ন আয়ের মানুষের জন্যই এই আয়োজন। তবে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি যারা ট্রাফিক জ্যামের কারণে বাসায় পৌঁছাতে পারবে না, অথবা কাজের কারণে দেরি হয়ে যায় তারা এখানে এসে ইফতার করতে পারবে।’
রমজান মাসে প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিগত যেভাবেই হোক সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘রমজানে নিত্য পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেটরা বাজার তদারকি করছে। এছাড়াও ডিএনসিসির ৬টি মার্কেটে পণ্য দ্রব্যের নির্ধারিত মূল্যের তালিকা প্রদর্শনের জন্য ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড বসানো হয়েছে। ক্রেতারা সরকারের নির্ধারণ মূল্য তালিকা দেখতে পাবে।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সমস্যা শুনে সমাধান করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
৭ মাস আগে
ডিএনসিসিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি) ৫৩তম মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত নগরভবনের সম্মেলনকক্ষে ৫৩তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: অনুমতি ছাড়া ডিএনসিসি এলাকায় কেউ গাছ কাটতে পারবে না: ডিএনসিসি মেয়র
আলোচনা সভা শুরুর আগে মেয়র নগর ভবনের মূলফটকের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কাউন্সিলররা।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে৷ একাত্তরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে সমগ্র বাঙালি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। দেশটাকে ভালোবেসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি। বর্তমানেও কোনো অপশক্তি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
মেয়র বলেন, তবে দেশের বিরুদ্ধে, উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে যার যার কর্মদায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার মাধ্যমে দেশের সেবা করতে হবে। ডিএনসিসির কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের মহান বিজয় দিবসে এই প্রতিজ্ঞা করতে হবে।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলের আদলে সুতিভোলা খাল সাজানো হবে: ডিএনসিসি মেয়র
বস্তিতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
১০ মাস আগে
শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে লাল সবুজের পতাকা এনে দিতে তরুণরাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিল। আমি নিশ্চিত তরুণরা এগিয়ে এলে এই দেশ বদলে যাবে, এই শহর বদলে যাবে। তাই শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বাঙালিকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। বাঙালিকে দাবায়ে রাখা যায়নি। তরুণরা দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এলে আজও দাবায়ে রাখা যাবে না।'
দ্রুত কাজ শেষ করে রাস্তা-ঘাট খুলে দেওয়ার নির্দেশ মেয়র আতিকের
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয় সরণি বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে দ্য আর্থ ও ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, 'ক্লাইমেট চেঞ্জ, কোভিড ও কনফ্লিক্ট তিনটি সি এর কারণে পুরো বিশ্ব আজ কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ হচ্ছে, ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ হচ্ছে। যুদ্ধে যে বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে এই অর্থ যদি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যবহার হতো তবে পৃথিবী অনেক সুন্দর ও নিরাপদ হয়ে যেত। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুর বরফ গলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের জেলাগুলোতে লবণাক্ততা বেড়েছে। সেখানে চাষাবাদ করা যায় না। মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য ঢাকায় চলে আসছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঢাকাশহ পুরো দেশ চ্যালেঞ্জের মুখে। তাই এই ধরনের সামিটের মাধ্যমে ভয়েস রেইজ করতে হবে।'
পরিবেশের ক্ষতি করে উন্নয়ন করা যাবে না: মেয়র আতিক
তিনি বলেন, 'টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে আমাদের সিটি কর্পোরেশনের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। ডিএনসিসি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে অনেকগুলো লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। ঢাকায় একসময় ৬৩টি খাল ছিল। আমরা গত দুই বছর আগে ওয়াসা থেকে মাত্র ২৯টি খাল বুঝে পেয়েছি, সেগুলোও অবৈধ দখলে। ঢাকা শহরে প্রতি বর্গ প্রায় ৪৯ হাজার মানুষের বসবাস। যদি আমরা প্রশ্ন করি এত নাগরিকের মধ্যে আসলে সুনাগরিক কত জন। নগরের জন্য সুনাগরিকের বিকল্প নেই।'
শহরের সমস্যা সমাধানে যুবসমাজকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, 'আমি চাই আমাদের যুবসমাজ প্রত্যেকে একেকজন মেয়রের ভূমিকা রাখবে। শহরের কোথাও সমস্যা দেখলে সিটি কর্পোরেশকে জানাও। আমাদের সবার ঢাকা অ্যাপে অভিযোগ জানাও। কথা দিচ্ছি দ্রুত সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছুদিন আগে কয়েকজন যুবক মিলে মোহাম্মদপুরে খালের ময়লা পরিষ্কার করে ফেলেছে। যুবকরা দেখিয়ে দিয়েছে খালে মাছ চাষ হবে, খাল দখলমুক্ত হবে। অসাধারণ উদ্যোগ। তরুণরা এভাবে এগিয়ে এস। তোমরা আমার সঙ্গে থাকলে এই শহরের সব খাল মাঠ অবৈধ দখল ও দূষণমুক্ত করব ইনশাআল্লাহ।
রাস্তা বাড়াতে জায়গা ছাড়ার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'বনানীতে দুটি মাঠে ক্ষমতাবান বড়লোকরা চেয়েছিলেন তাদের গাড়ি রাখার জন্য পার্কিং হবে। কিন্তু আমি সেটি হতে না দিয়ে খেলার মাঠ নির্মাণ করে দিয়েছি। কোনো মাঠ অবৈধভাবে দখলে থাকলে আমাকে জানাও যুবকদের সঙ্গে নিয়ে দখলমুক্ত করব। গুলশান বারিধারায় ধনী লোকেরা বসবাস করে। তারা তাদের বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে দিয়ে খাল দূষণ করছে। আমরা অভিযান করে অনেকের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। অ্যাট সোর্সে পয়োবর্জ্যের ব্যবস্থা না করলে শহর পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব না। সবাইকে সচেতন হতে হবে, শহরকে ভালোবাসতে হবে।'
অনুষ্ঠানে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই, ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের সদস্য ও সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি কো-অর্ডিনেটর মো. আখতার হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, দ্য আর্থের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ মামুন মিয়া প্রমুখ।
১১ মাস আগে
ডিএনসিসির নতুন ১৮ ওয়ার্ড: নাগরিক সেবায় নেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড
পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীনে অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের হাজার হাজার বাসিন্দা এখনও তাদের প্রাপ্য নাগরিক সেবা পায়নি। ওয়ার্ডের নাগরিক সেবায় সিটি কর্পোরেশনের নেই কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।
তবে সেবা না পেলেও সিটি কর্পোরেশন থেকে চিঠির মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে বলা হয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। এতে নাগরিকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ।
অনেক বাসিন্দা জানান, তারা শুধু নামেই সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। গত পাঁচ বছরে কোনো সেবা পাননি তারা।
সম্প্রতি ডিএনসিসির আওতাধীন কয়েকটি ওয়ার্ড সরেজমিনে দেখা যায়, বেশির ভাগ ওয়ার্ডের সড়ক উন্নয়নে হাত পড়েনি, নেই ফুটপাত ও সড়ক বাতি। বেশিরভাগ ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট কাঁচা, নেই সড়কবাতি ও ফুটপাত খালগুলো ময়লার ভাগাড়, দুই পাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পুহাতে হচ্ছে অথচ বাড়ির মালিকদের হোল্ডিংস ট্যাক্স দিতে চিঠি দেয়া হয়েছে সিটি কর্পোরেশন থেকে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: প্রায় ৮ লাখ টাকা জরিমানা
৪০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য ওয়াহিদ বলেন, আমরা পাঁচ বছর আগে সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলাম। কিন্তু সিটি করপোরেশন আমাদের ওয়ার্ডে কোনো উন্নয়ন কাজ করেনি। এখন ডিএনসিসি বাসিন্দাদের হোল্ডিং ট্যাক্স দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে যা স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করেছে। সিটি কর্পোরেশন থেকে নাগরিক সেবা না পেয়ে আমরা হোল্ডিং ট্যাক্স কেন দিব? এটা অন্যায়।
৪২ নম্বর ওয়ার্ডের আরেক বাসিন্দা মোহাম্মদ কিরন বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ডের সব রাস্তাই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে আমাদের রাস্তা মেরামত করতে হবে।
ডিএনসিসির দাবিকৃত হোল্ডিং ট্যাক্সেরও প্রতিবাদ জানান তিনি।
২০১৬ সালের ২৮ জুন নাগরিক সেবা বাড়াতে হরিরামপুর, উত্তরখান, দক্ষিণ খান, বাড্ডা, সাতারকুল ও ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে ১১৪ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়েন নতুন ১৮টি ওয়ার্ড হিসাবে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের যুক্ত করা হয়। এসব অন্তর্ভুক্ত ওয়ার্ডগুলো নিয়ে ৫টি অঞ্চল তৈরি করা হয়। কিন্তু সিটিতে অন্তর্ভুক্ত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সুযোগ সুবিধা পায়নি এসব এলাকার নাগরিকগরা।
ডিএনসিসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের জুলাই মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে প্রথম পর্যায়ের উন্নয়ন কাজের জন্য ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকা অনুমোদন করে। চলতি বছরের মার্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন। তবে তহবিলের অভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উন্নয়ন কাজ শুরু করেনি। দ্বিতীয় দফায় ২২ হাজার কোটি টাকার এই নতুন ওয়ার্ডে উন্নয়ন কাজ চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির সম্প্রসারিত ওয়ার্ডের ১৩ খাল পুনরুদ্ধার করা হবে: মেয়র
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, সিটি করপোরেশনের অধীনে ১৮টি নতুন ওয়ার্ডে উন্নয়ন কাজের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ঠিকাদারি দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার মধ্যে পেয়েছি মাত্র ৮৯ কোটি টাকা। বাকি টাকা দ্রুত পাবো বলে আশা করছি। এখন কম টাকা দিয়েই সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।’
এ বিষয়ে নগর বিশেষজ্ঞ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়য়ের নগর ও পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মোহাম্মদ ইউএনবিকে বলেন, একটি আদর্শ ওয়ার্ডে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হলে প্রশস্ত রাস্তা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সুয়ারেজ ব্যবস্থা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসাকেন্দ্র, শরীর চর্চা কেন্দ্র, গ্রন্থাগার, কমিউনিটি সেন্টার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জাদুঘর নাট্যমঞ্চ, খেলার মাঠ, পার্ক, পশু জবাই খানা, গনচৌচাগার, বাস টার্মিনাল থাকা অবশ্যক। অথচ নতুন ওয়ার্ডগুলোতে একেবারেই এসব সুবিধা নেই।
তিনি বলেন, নতুন ওয়ার্ড এর জন্য পর্যাপ্ত সরকারি জায়গা থাকলেও তা বেদখল হয়ে গেছে, বেশিরভাগ স্থানে বহুতল ভবন উঠে গেছে আবার অনেক সরকারি জায়গায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নামে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে সব কিছু অধিগ্রহণ করে প্রকল্পের কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের শক্ত অবস্থান নিতে হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) অতিরিক্ত সচিব সেলিম রেজা ইউএনবিকে বলেন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডকে উন্নয়ন করতে মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকা প্রকল্প আনুমদোন হয়েছে। তবে সব টাকা এখনো পাওয়া যায়নি। কিছু টাকা আমরা পেয়েছি এবং সাথে সিটি কর্পোরেশন থেকে আরও কিছু টাকা মিলিয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার কাজ আপাতত শুরু হয়েছে। ৪৪ ও ৪৬ ওয়ার্ডে কাজ শুরু করেছি। কাজটি করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। প্রকল্পের আরও টাকা পেলেই বাকি ওয়ার্ডগুলোতেও কাজ শুরু হবে শিগগিরই।
২০১৬ সাল থেকে সিটি কর্পোরেশনে হোল্ডিং ট্যাক্স দেয়ার বিষয়ে সেলিম রেজা বলেন, সিটি কর্পোরেশন আইন অনুযায়ী গেজেট প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পর বাসিন্দাদের হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে হবে।
আরও পড়ুন: যানজট নিরসনে জোড়-বিজোড় নম্বরের ভিত্তিতে গাড়ি চলবে: মেয়র আতিক
২ বছর আগে