স্বরাষ্ট্র সচিব
ঈদ ও স্বাধীনতা দিবস ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র সচিব
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সিনিয়র সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পুলিশ এখন শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
‘পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে ঘরমুখী যাত্রীদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় রয়েছে এবং নিয়মিত টহল কার্যক্রম চলছে। শপিংমলগুলোতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রতারণা: অ্যাপ ও সরাসরি কাউন্টার থেকে ট্রেনের টিকেট কেনার পরামর্শ
নাসিমুল গনি বলেন, পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষ্যে যাতে কোনো শ্রম অসন্তোষের ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া শ্রমিকদেরকে যাতে ঈদের আগে নির্ধারিত সময়ে বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করা হয়, সেটি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর (অব.) সভাপতিত্বে সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, আইজিপি বাহারুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
২৬৩ দিন আগে
স্বরাষ্ট্র সচিবকে হাইকোর্টে তলব
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ/বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান বিষয়ক প্ররক্ষা নির্দেশিকা ২০২৫-এর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ১৮ মার্চ সশরীরে হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় বিচার বিভাগকে হেয় করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন। নির্দেশিকার বিষয়টি আইনজীবী শিশির মনির হাইকোর্টের নজরে আনেন।
গত ২ মার্চ জারি করা নিরাপত্তা প্রদান বিষয়ক প্ররক্ষা নির্দেশিকায় দেশের প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের পদমর্যাদাক্রমের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে এবং বিষয়টি অত্যন্ত অবমাননাকর বলে হাইকোর্টে উল্লেখ করেন আইনজীবী শিশির মনির।
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) এর সাথে নির্দেশিকাটির ক্রম সাংঘর্ষিক উল্লেখ বৃহস্পতিবার এবিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ প্রার্থনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
আরও পড়ুন: তিন বিভাগীয় কমিশনারসহ ৮ জনকে হাইকোর্টে তলব
একপর্যায়ে আদালত এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র মনজিল মোরশেদ ও আইনজীবী শামসুদ্দিন বাবুর বক্তব্য শোনেন। এরপর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে তার স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশিকার বিষয়ে ব্যখ্যা দিতে আগামী ১৮ মার্চ হাইকোর্টের তলব করেন। সেই সাথে নির্দেশিকাটির কার্যক্রম ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে রুল গত ২ মার্চ জারি করা নিরাপত্তা প্রদান বিষয়ক প্ররক্ষা নির্দেশিকাটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
এছাড়া প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, জেলে ও দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের নিরাপত্তার বিষয়টি হাইকোর্ট যথাযথ ভাবে নিশ্চিত করতে বলেছেন বলে আদেশের পর জানান আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি বলেন, ২ মার্চ নির্দেশিকাটি জারি করা হয়। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে যে নিরাপত্তা প্ররক্ষা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, এখানে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিকে রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বাকিগুলোর সঙ্গে একইরকম তুলনা করা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতিদের সিনিয়র সচিব ও সচিবদের সঙ্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এসব বিষয়ে আপিল বিভাগ একটি রায় দিয়েছিলেন, সে মামলায় আপিল বিভাগ যে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদা ক্রম) ফিক্স করে দেওয়া হয়েছে এবং সর্বশেষ ২০২০ সালের যে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স আছে তার সব কিছু লঙ্ঘন করে এটাকে জারি করা হয়েছে। এজন্য এই নোটিফিকেশনকে আমরা আদালতের নজরে নিয়ে এসেছি। আমরা আদালতে ২০২০ সালের যে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স দেখিয়েছি, আপিল বিভাগে যে মামলাটি নিষ্পত্তি হয়েছে, সে রায়ের কথা বলেছি। সেই মামলার রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য ২৭ এপ্রিল দিন ধার্য আছে। এই প্রেক্ষিতে কি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটা জারি করা হলো, এটা বিস্ময়কর বিষয়।
শিশির মনির আরও বলেন, আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে এই ধরনের নীতিমালা জারি করে মূলত বাংলাদেশের সংবিধান ও বিচার বিভাগের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হয়েছে। আমাদের এই কথা শুনে, অন্যান্য সিনিয়র আইনজীবীদের কথা শুনে আদালত একটি সুয়োমোটো রুল ইস্যু করেছেন। রুলে কেন এই নির্দেশিকাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না; তা জানতে চেয়েছেন। তিন মাসের জন্য এই নির্দেশিকা স্থগিত করেছেন। আর সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে আগামী ১৮ মার্চ আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে তার কন্ডাক্ট, কি কারণে পত্র জারি করেছেন তার আচরণ ব্যাখ্যার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নাফিজ সরাফাতকে দুদকে তলব
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে (সংশোধিত) রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারের পর প্রধান বিচারপতির মর্যাদা ক্রম রয়েছে।
২৭৩ দিন আগে
পথশিশুদের জন্মনিবন্ধন সনদ কেন দেয়া হবে না, জানতে চান হাইকোর্ট
পথ শিশুদের জন্মনিবন্ধন সনদ না দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং পথশিশুদের জন্মনিবন্ধন সনদ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
পথশিশুদের জন্মসনদের দাবিতে করা এক রিটের ওপর শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জন্মনিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সাথে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের জন্মনিবন্ধন সনদ দিতে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এ বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। স্বরাষ্ট্র সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জন্মনিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল ও জর্জ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে গত ২০ মে সমাজ কল্যাণমূলক সংগঠন ‘স্পোর্টস ফর হোপ এন্ড ইনডিপেনডেন্স’ বাদী হয়ে এই রিট করেন।
রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল জানান, সরকার সবার জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক করেছে। কিন্তু দেশের সুবিধাবঞ্চিত বৃহৎ জনগোষ্ঠী এখনো জন্মনিবন্ধনের বাইরে।
তিনি জানান, পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ সালে দেশে পথশিশুর সংখ্যা ছিল ১১ লাখ এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যাশা অনুযায়ী ২০২৪ সালে এই সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬ লাখে। নানা জটিলতার কারণে সুবিধাবঞ্চিত এসব পথশিশুদের জন্মসনদ পাওয়ার সুযোগ হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্মনিবন্ধনের সুযোগ আছে বললেও বাস্তবে এমন কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই দেশের এই বিপুল সংখ্যক পথশিশুকে জন্মনিবন্ধনের আওতায় আনার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছিল। ওই রিটের ওপর শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারিসহ নির্দেশনা দেন।
পড়ুন: পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় সম্পদ, বিরোধীরা জাতির শত্রু: হাইকোর্ট
হাইকোর্টে জামিন পাননি হলমার্কের তুষার
১২৫৩ দিন আগে