পথ শিশুদের জন্মনিবন্ধন সনদ না দেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং পথশিশুদের জন্মনিবন্ধন সনদ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
পথশিশুদের জন্মসনদের দাবিতে করা এক রিটের ওপর শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জন্মনিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সাথে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের জন্মনিবন্ধন সনদ দিতে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এ বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। স্বরাষ্ট্র সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জন্মনিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল ও জর্জ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে গত ২০ মে সমাজ কল্যাণমূলক সংগঠন ‘স্পোর্টস ফর হোপ এন্ড ইনডিপেনডেন্স’ বাদী হয়ে এই রিট করেন।
রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল জানান, সরকার সবার জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক করেছে। কিন্তু দেশের সুবিধাবঞ্চিত বৃহৎ জনগোষ্ঠী এখনো জন্মনিবন্ধনের বাইরে।
তিনি জানান, পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ সালে দেশে পথশিশুর সংখ্যা ছিল ১১ লাখ এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যাশা অনুযায়ী ২০২৪ সালে এই সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬ লাখে। নানা জটিলতার কারণে সুবিধাবঞ্চিত এসব পথশিশুদের জন্মসনদ পাওয়ার সুযোগ হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্মনিবন্ধনের সুযোগ আছে বললেও বাস্তবে এমন কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই দেশের এই বিপুল সংখ্যক পথশিশুকে জন্মনিবন্ধনের আওতায় আনার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছিল। ওই রিটের ওপর শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারিসহ নির্দেশনা দেন।
পড়ুন: পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় সম্পদ, বিরোধীরা জাতির শত্রু: হাইকোর্ট