হাতুড়ি
মুন্সীগঞ্জে স্বামীর হাতুড়ির আঘাতে স্ত্রী নিহত
মুন্সিগঞ্জে কিস্তির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে স্ত্রী নাজমা বেগমকে (৫০) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আনওয়ার মিঝির বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে টঙ্গীবাড়ির কামারখাড়া কবরস্থান এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৯৮ জন নিহত, আহত ৯৭৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
নিহতের ছেলে মো. ইব্রাহিম সরদার বলেন, মাকে জিম্মাদার করে বাবা একাধিক কিস্তি তোলেন। সেগুলো ঠিকমতো পরিশোধ না করায় মায়ের ওপর বিভিন্ন চাপ আসত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে আগেও ঝগড়া হয়েছে।
ইব্রাহিম সরদার আরও বলেন, আজও মা-বাবার কাছে কিস্তি পরিশোধের কথা বলতে গেলে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায়।
পরে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. প্রান্ত সরকার বলেন, নিহতের মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
টঙ্গীবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম বলেন, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। স্বামীকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় ২ সিএনজিযাত্রী নিহত, আহত ৩
১ মাস আগে
নওগাঁয় ব্যবসায়ীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ২
নওগাঁর মহাদেবপুরে মামুন হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাতে নওগাঁ-রাজশাহী সড়ক ভীমপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে এবং রবিবার দুপুরে ওই এলাকা থেকে মামুন হোসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ব্যবসায়ী মামুন হোসেন উল্লাসপুর গ্রামের আলেফ আলীর ছেলে এবং তিনি স্যানিটারি ও সিমেন্টের তৈরি খুঁটির ব্যবসা করতেন।
আরও পড়ুন: মাদকাসক্ত ছেলের হাতুড়ির আঘাতে মায়ের মৃত্যু
আটক দুইজন হলেন- একই গ্রামের ট্রাক চালক দুলালের পুত্র সুমন হোসেন ও উল্লাশপুর গ্রামের সজিব হোসেন।
মহাদেবপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফ্ফর হোসেন জানান, মামুন বৈদ্যুতিক খুঁটি তৈরি করে বিক্রি করতেন। তিনি ট্রাকে খুঁটি নিয়ে বিক্রির জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে যান। এসময় তার সঙ্গে ট্রাকচালক সুমন ও তার সহযোগী সজিব ছিলেন।
তিনি আরও জানান, রাতে ট্রাকচালক সুমন ও তার সহযোগী সজীব বাড়ি ফিরলেও মামুন বাড়ি ফেরেননি। পরে রবিবার সকালে মামুনের বিধবা মা তার সন্ধানে সুমন ও সজীবের উপর চাপ সৃষ্টি করেন।
বিষয়টি প্রতিবেশীদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল হোসেন ওই দু’জনকে ডেকে জানতে চান। কিন্তু কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় তিনি নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসানকে জানান।
এরপর সদর থানার পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা স্বীকার করেন, মামুনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে পুলিশ তাদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারে ঘটনাস্থল মহাদেবপুর থানার অন্তর্গত।
বিষয়টি মহাদেবপুর থানাকে জানানো হয়।
মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল, মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহালসহ যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠান।
লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ট্রাকের চালক সুমন ও চালকের সহযোগী সজিব হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে। আটকদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে হত্যার অভিযোগ চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে
জমি লিখে না দেয়ায় কুড়িগ্রামে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে বাবাকে হত্যা
১ বছর আগে
গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে হত্যার অভিযোগ চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে
বগুড়ায় পাওনা ১০ হাজার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে তাছলিমা নামে এক গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিাযোগ উঠেছে চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এদিকে এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পরে চাচাত ভাই শাকিব উদ্দিন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লোহার হাতুড়ি, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার শাকিব বগুড়া সদরের রাজাপুর এলাকার আনিছার রহমানের ছেলে এবং পেশায় ইজিবাইক চালক।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ, দুই যুবককে হত্যার অভিযোগ
বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে বাড়ি থেকে ইজিবাইক নিয়ে বের হন শাকিব। তার ইজিবাইকে সমস্যা দেখা দিলে নিশিন্দারা মধ্যপাড়ায় তার প্রতিবেশী চাচাত বোন তাছলিমার বাড়িতে যান। তাছলিমার কাছে হাতুড়ি নিয়ে শাকিব অটোরিকশা মেরামত করেন। তাছলিমা তাকে চানাচুর-বিস্কুট খেতে দেন। সোফায় বসে কথা বলার এক পর্যায়ে তাছলিমা শাকিবকে ধার দেওয়া ১০ হাজার টাকা ফেরত চান। টাকা দিতে দেরি হবে জানালে শাকিবের সঙ্গে তাছলিমার কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে হাতুড়ি দিয়ে তাছলিমার মাথায় কয়েকটি আঘাত করেন শাকিব। মেঝেতে পড়ে তাছলিমার মৃত্যু হলে শাকিব তার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যান।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, পরে তাছলিমার স্বামী সিরাজুল রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়িতে ফিরলে তাছলিমার রক্তাক্ত লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে এবং ছেলে কাজিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে ওইদিন রাতেই শাকিবকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিাযোগ
গাজীপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা
১ বছর আগে
শ্যালকের হাতুড়ির আঘাতে দুলাভাইয়ের মৃত্যু
শেরপুরে নালিতাবাড়ীতে শ্যালকের হাতুড়ির আঘাতে দুলাভাই খুন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার হাতিপাগার এলাকায় গারোপল্লীতে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতের নাম আলবার্ট দিও (৪০)।
অভিযুক্ত শ্যালকের নাম উৎসব মারাক (২১)। পুলিশ তাকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ইটভাটায় মাটিচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের আগে শ্যালক ও বোনজামাই উভয়েই মদ পান করে মাতাল অবস্থায় ছিলো। মাতাল অবস্থায় তাদের মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে।
আরও জানা যায়, রবিবার রাতে আলবার্ট দিও তার অন্য সঙ্গীদের সঙ্গে মিলে চোলাই মদ পান করে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় আলবার্ট দিও শ্যালক উৎসব মারাকের বাড়িতে গেলে উভয়ের মধ্যে কোন একটি বিষয় নিয়ে তর্ক বাঁধে। তর্কের একপর্যায়ে উৎসব মারাক ঘরে থাকা পাথর ভাঙ্গার হাতুড়ি দিয়ে আলবার্টের মাথায় আঘাত করলে তিনি রক্তাক্ত জখম হন এবং জ্ঞান হারান। দ্রুত স্বজনেরা রক্তাক্ত আলবার্টকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত শ্যালক উৎসব মারাক নিজেই পুলিশের হাতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক আলবার্ট দিও হত্যার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে উৎসব মারাককে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
ফেনীতে গয়নার দোকানে ডাকাতি: আহত মালিকের মৃত্যু
২ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় ভাগ্নের হাতুড়ির আঘাতে মামার মৃত্যু
কুষ্টিয়ার মিরপুরের চৌদুয়ার বিলপাড়া এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ভাগ্নের হাতুড়ির আঘাতে মামার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত আয়ূব আলী (৫৫) একই এলাকার মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে।
অভিযুক্ত ভাগ্নে সাজু একই উপজেলার চৌদুয়ার বিলপাড়া এলাকার রাজ্জাক আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: মাদকাসক্ত ছেলের হাতুড়ির আঘাতে মায়ের মৃত্যু
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে আয়ূব আলী উপজেলার নিমতলা বাজার থেকে বাজার করে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এই সময় চৌদুয়ার বিলপাড়া এলাকায় পৌঁছালে রাস্তার পাশের ঝোঁপ থেকে হঠাৎ হাতুড়ি নিয়ে হামলা করে অভিযুক্ত ভাগ্নে সাজু। পরে মামা আয়ূব আলীর মুখ ও মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়।
এরপর স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় আয়ূব আলীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তিনি মার যান।
এই ঘটনার পর থেকেই সাজু পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সম্পত্তির লোভে নিজের বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে পেটাল সন্তান!
এই ঘটনায় নিহতের ভাতিজা হুমায়ূন কবির বলেন, চাচার চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য দৌড়াদৌড়ি করায় থানায় অভিযোগ দিতে পারিনি। তবে বিষয়টি থানায় মৌখিকভাবে জানিয়েছি। এখন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান,এখনও থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২ বছর আগে