কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব))
পর্যাপ্ত মজুদ, তবুও ঈদের আগে মসলার বাজারে উত্তাপ
পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বরাবরের মতোই সব ধরনের মসলার দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা উভয়েই আদা, রসুন, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, জিরা, হলুদ এবং ধনিয়ার দাম বাড়িয়েছে এবং দামের এই ঊর্ধ্বগতির ধাক্কায় নিম্ন আয়ের মানুষ ভুগছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ঈদের চাহিদা মেটাতে মশলার পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও বাড়তি মুনাফার জন্য ব্যবসায়ীরা মসলার দাম বাড়াচ্ছেন।
নাজের বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ মনিটরিংয়ের অভাবে, উৎসবের আগে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মসলার দামও বেড়েছে।
এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা।
পাইকারি মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, মসলার দাম শুধু বিনিময় হারের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তেলের দাম বেড়েছে: কাদের
শনিবার রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, রান্নার জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগেও ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল।
একইভাবে রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৮০ থেকে ১২০ টাকা।
এছাড়া দেশি হলুদ ২৩০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি, জিরা ৪৫০ টাকা কেজি, মরিচ (শুকনা) ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শুধু ভোজ্যতেল নয়, বেড়েছে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও
২ বছর আগে