জুন মাস
বাংলাদেশে জুন মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০.৪২ শতাংশ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুনে বাংলাদেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে, যা মে মাসে ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বিবিএসের প্রতিবেদনে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও সামান্য কমার কথা বলা হয়েছে। মে মাসের ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ থেকে কমে জুনে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: কর কাঠামো সংস্কারকে স্বাগত জানিয়েছে আইসিএবি, ব্যাংক ঋণের কারণে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকির বিষয়ে সতর্কতা
দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার মে মাসের ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ থেকে জুনে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশে নেমেছে।
রবিবার (৭ জুলাই) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে বিবিএস।
তবে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ হওয়ায় এখন পণ্য ও সেবায় ভোক্তাদের ব্যয় হচ্ছে ১০৯ টাকা ৭২ পয়সা, যা আগের বছরের জুনে ছিল ১০০ টাকা।
এর প্রভাব পড়ছে নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের ব্যক্তিদের ওপর। তাদের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে পরিবারের ব্যয় পরিচালনা করতে সবচেয়ে বেশি লড়াই করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ গত দুই বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে উচ্চ মূল্যস্ফীতির মুখোমুখি হচ্ছে যা ধারাবাহিকভাবে ৯ শতাংশের ওপরেই রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও এখনও উল্লেখযোগ্য কোনো ফলাফল দেখা যায়নি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি দেশের অর্থনীতির জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'মূল্যস্ফীতি করের মতো কাজ করে, যা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাইকে সমানভাবে প্রভাবিত করে। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতিতে দরিদ্র ও মধ্যবিত্তরা পরিবারকে সমর্থন করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয় বাড়ানোর জন্য লড়াই করে। গত দুই বছরের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতিতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে, যার প্রভাব পড়ছে তাদের জীবনের সব ক্ষেত্রে।’
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি রোধে সংকোচনমূলক নীতি নিয়ে অসন্তোষের ইঙ্গিত অর্থমন্ত্রীর
মূল্যস্ফীতি কমাতে অপ্রক্রিয়াজাত খাদ্যের ওপর শুল্ককর সবসময় কম থাকে: ড. মশিউর রহমান
৪ মাস আগে
সিলেটে জুন মাসে ২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত
জুন মাসের শুরুতে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনা কিছুটা কম থাকলেও মাসের শেষের দিকে দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেক বেড়েছে।
তবে ঈদ যাত্রায় সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সিলেট বিভাগীয় কমিটি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জুন মাসে সিলেট বিভাগে ২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৯
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলায়।
সিলেট জেলায় ১৩টি দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ২৬ জন আহত। সুনামগঞ্জ জেলায় ৪টি দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন।
মৌলভীবাজারে ৩টি দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন। হবিগঞ্জে ৭টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছেন।
সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে ৬ জন মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী, ১৩ জন সিএনজি-লেগুনা চালক ও যাত্রী, ৯ জন পথচারী।
এছাড়া নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি উল্টে ২ জন, মুখোমুখি সংঘর্ষে ১১ জন এবং গাছের ও বৈদ্যুতিক পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় ৩ জন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া জুন মাসে নিহত ৩০ জনের মধ্যে ২১ জন পুরুষ, ৬ জন নারী ও ৩ জন শিশু রয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট বিভাগীয় কমিটির সদস্য সচিব ও সিলেট জেলার আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম মিশু গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জানান, ৫টি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকার তথ্য, ২টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার তথ্য, অনুমেয় অনুজ্জ বা অপ্রকাশিত ঘটনা ও নিসচা সিলেটের শাখা সংগঠনগুলোর তথ্যের ভিত্তিতে নিসচা বিভাগীয় কমিটি এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভাই-বোনের মৃত্যু, আহত ৫
৪ মাস আগে
আইএমএফ থেকে ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার জুন মাসেই পাওয়া যাবে: অর্থমন্ত্রী
আইএমএফ থেকে ঋণের তৃতীয় কিস্তি ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার জুন মাসেই পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
রবিবার (২৬ মে) সচিবালয়ে আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক ড. কৃষ্ণমূর্তি ভি সুব্রামানিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে: শ্রিংলা
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, যাতে ডলারের প্রবাহ বাড়ানো যায়। এখানে অনেক আলোচনা আছে। আমরা যেটা আশা করছি, এ সমস্যা সমাধান করতে পারব। আমরা কাজ করছি।’
আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক জানিয়েছেন, আমরা সঠিক পথে আছি। আমরা যে কাজ করছি, সমস্যা সমাধানে সেটাতে তাদের সমর্থন আছে।
জুনে আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির টাকা পাচ্ছি কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুন মাসেই তারা দেবে। সেখানে বাধা তো নেই।
আরও পড়ুন: মাতৃভূমি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য: সেনাপ্রধান
দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৫ মাস আগে
জুন মাসে ৫৫৯ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫১৬
চলতি বছরের জুন মাসে দেশে ৫৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫১৬ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮১২ জন। নিহতের মধ্যে ৭৮ জন নারী এবং ১১৪ জন শিশু।
বুধবার বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের (আরএসএফ) প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মে মাসে ৪৯১ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪০৮: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সময় ২০৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৯ জন নিহত হয়েছেন; যা মোট নিহতের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। নয়টি নৌপথে দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত ও ৭ জন নিখোঁজ হয়েছেন। একই সময়ে ২১টি রেল দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন। এ সময়ে দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৮টি কোরবানির পশুও মারা গেছে।
৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ তথ্য প্রস্তুত করেছে আরএসএফ।
সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৯ জন পথচারী নিহত হয়েছেন; যা মোট নিহতের ১৯ দশমিক ১৮ শতাংশ। এ ছাড়া যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৬ জন। যা মোট নিহতের ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১২ জুন) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২৪৭টি (৪৪ দশমিক ১৮ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ১৮২টি (৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ) জাতীয় সড়কে, ৫৯টি (১০ দশমিক ৫৫ শর্তাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে তিনটি (শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে।
অন্যদিকে, মোট দুর্ঘটনার মধ্যে ২৬৮টি (৪৭ দশমিক ৯৪ শর্তাংশ) চাকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার কারণে এবং ১০৯টি (১৯ দশমিক ৪৯ শর্তাংশ) সংঘর্ষের কারণে ঘটেছে।
এ ছাড়া ৯৭টি দুর্ঘটনার মধ্যে ১৭ দশমিক ৩৫ শর্তাংশ ঘটেছে পথচারীদের কারণে, ৭২টি দুর্ঘটনার মধ্যে ১২ দশমিক ৮৮ শর্তাংশ গাড়ির পেছনের দিকে আঘাতের কারণে এবং ২ দশমিক ৩২ শর্তাংশ অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮৭ জন মারা গেছে: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
সেপ্টেম্বরে ৪০৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
১ বছর আগে
জুন মাসে ১৩২ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ বিজিবির
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা জুন মাসে সারাদেশ থেকে ১৩১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক জব্দ করেছে।
জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে- ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৬টি ইয়াবা বড়ি, পাঁচ কেজি ৩৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ, ২৯ হাজার ৮৭৬ বোতল ফেনসিডিল, ১১ হাজার ৬৬৭ বোতল বিদেশি মদ, ১২৭ লিটার দেশি মদ, দুই হাজার ৪৮২টি বিয়ারের বোতল, দুই হাজার ৯৪৯ কেজি গাঁজা, আট কেজি চার গ্রাম হেরোইন, ৩৬ হাজার ৫৭৩টি ইনজেকশন, পাঁচ হাজার ৪০০ বোতল এসকুফ সিরাপ, ৫২১ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, আট হাজার ২২১টি অ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৯২ হাজার ৪০৬টি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ এবং ৯৩ হাজার ১১১টি ট্যাবলেট।
অন্যান্য চোরাচালান সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- ১৮ কেজি ৮৯ গ্রাম স্বর্ণ, পাঁচ কেজি রূপা, ৮৬ হাজার ৪২৩টি কসমেটিক আইটেম, দুই হাজার ৫৫২টি ইমিটেশন জুয়েলারি, ১০ হাজার ১৪৫টি শাড়ি, ৯ হাজার ৩৭৯টি থ্রি-পিস/শার্ট-পিস/বেড-শীট/কম্বল, পাঁচ হাজার ২৪৯টি তৈরি পোশাক, এক হাজার ২১০টি কাঠ, চার হাজার ৯০৯ কেজি চা পাতা, ৩১ হাজার ৬০০ কেজি কয়লা, পাঁচটি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৭৭০টি কীটনাশকের বোতল, তিনটি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, পাঁচটি প্রাইভেট কার/মাইক্রোবাস, তিনটি পিকআপ ভ্যান এবং ৩৫টি সিএনজি/ব্যাটারি অটোরিকশা।
জব্দ করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- সাতটি পিস্তল, একটি রিভলবার, পাঁচটি বন্দুক, দুটি বন্দুক, ১৪ রাউন্ড গুলি, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি ককটেল।
এদিকে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার সময় ২২৮ জন চোরাকারবারী, ২৬৮ বাংলাদেশি এবং ১৫ ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি।
আরও পড়ুন: মে মাসে ১৩২ কোটি টাকার চোরাচালান ও মাদক জব্দ করেছে বিজিবি
জানুয়ারি থেকে ৩৩৫ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার বিজিবির
২ বছর আগে