জলপ্রপাত
বান্দরবানের বাকলাই জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলাদেশের অন্যতম সুউচ্চ ঝর্ণায় যাবার উপায় ও খরচ
বিপজ্জনক ঝিরিপথ দিয়ে কারুকার্যমন্ডিত দুর্গম পাহাড়ের অন্দরমহলে গুপ্ত এক অমূল্য ঐশ্বর্য হলো পাহাড়ি ঝর্ণা। হাজার বছরের প্রাকৃতিক ঘাত-অপঘাতের চিহ্নগুলো আড়াল করে অভিকর্ষের কাছে নিজেকে সপে দেয় প্রস্রবণগুলো। মুক্ত বিসর্জনের এই শব্দে সেই অপঘাতে সৃষ্ট খাদগুলোতে শোনা যায় মহাকালের ফিসফিসানি। যেন প্রকাণ্ড সফেদ পর্দার অন্তরালে লুকানো পাহাড়ের কান্না। কখনও বা স্বচ্ছ স্নিগ্ধ ধারায় অনাবৃত হয়ে পড়ে অমসৃণ কলেবর। ঠিক এমনি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সন্ধান দিতে পারে বাংলাদেশের অন্যতম সুউচ্চ প্রাকৃতিক ঝর্ণা বাকলাই ভ্রমণে। অসাধারণ উচ্চতার এই জলপ্রপাতটি নিয়েই আজকের ভ্রমণ কড়চা। চলুন, কখন ও কীভাবে খুব কাছ থেকে এই বুনো ঝর্ণার দর্শন পাবেন- তা জেনে নেওয়া যাক।
বাকলাই ঝর্ণার ভৌগলিক অবস্থান ও বিশেষত্ব
বান্দরবানের থানচি উপজেলাটি বাংলাদেশের পাহাড়প্রেমীদের কাছে সর্বাধিক পরিচিত। এই অঞ্চলেরই নাইটিং মৌজার বাকলাই গ্রামের মধ্যমণি প্রায় ৩৮০ ফুট উঁচু বাকলাই জলপ্রপাত। দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুটি পাহাড় কেওক্রাডং ও তাজিংডং-এর মাঝেই এই গ্রামটির অবস্থান। রুমা থেকে ১১০ কিলোমিটার এবং থানচি থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূর থেকে স্পষ্ট চোখে পড়ে এই ঝর্ণা।
স্থানীয়দের অনেকে একে বাক্তালাই ঝর্ণা নামেও অভিহিত করেন। মাত্রাতিরিক্ত ভয়াবহ পাহাড়ি রাস্তা থাকায় এবং যথেষ্ট উদ্যোগের অভাবে খুব কম পর্যটকই এই জলপ্রপাতের একদম পাদদেশ পর্যন্ত যেতে পারেন।
আরও পড়ুন: তাজিংডং ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও খরচ
এই বাকলাই আর লিলুক বা লাংলোক নামে থানচিরই আরেকটি ঝর্ণার সঠিক উচ্চতা নিয়ে বেশ মতোপার্থক্য রয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ ঝর্ণার খেতাব নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ থাকলেও সৌন্দর্য্যের দিক থেকে বাকলাই ঝর্ণা অনেকটা এগিয়ে।
৯ মাস আগে
বান্দরবানের তিনাপ সাইতার জলপ্রপাত ভ্রমণের উপায় ও খরচ
বৃষ্টি ও ঝর্ণার মধ্যকার যোগসূত্র যতটা সহজাত, প্রাকৃতিক দৃশ্য দু’টির আকর্ষণটাও যেন ঠিক ততটাই অনিবার্য। অতি বৃষ্টি বা পাহাড়ি ঢল যে রূপেই হোক না কেন, পাহাড়ের কোলে বৃষ্টির স্বতঃস্ফূর্ত বিসর্জনই যেন ঝর্ণার মুক্তি।
অন্যদিকে, একসঙ্গে হোক বা আলাদাভাবে, দৃশ্য দুটোর প্রতি আদিম ভালো লাগাটা নিঃসন্দেহে অপ্রতিরোধ্য। আর এই টানেই হয়তো প্রকৃতিপ্রেমীরা নিজেদের সপে দেন ঝর্ণা বা বৃষ্টিস্নানে।
পানি প্রবাহের দিক থেকে বাংলাদেশের বৃহত্তম জলপ্রপাত বান্দরবানের তিনাপ সাইতার যেন সেই নৈসর্গিক অবগাহনেরই নামান্তর। বিশাল জলপ্রবাহের এই বিস্ময়কর নিদর্শন নিয়েই আজকের ভ্রমণ কড়চা। চলুন, ডুব দেওয়া যাক রোমাঞ্চ ও সৌন্দর্য্যের এক অপূর্ব মিথস্ক্রিয়ায়।
তিনাপ সাইতারের নামকরণ
তিনাপ সাইতার বম ভাষার দুটি শব্দ, যেখানে তিনাপ মানে নাকের সর্দি, আর সাইতার বলতে বোঝানো হচ্ছে ঝর্ণা বা জলপ্রপাত। এত সুন্দর একটি প্রস্রবণের এমন বিচিত্র নাম কেন রাখা হলো তার কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি।
তবে পাইন্দু খালের গহীনে লুকিয়ে থাকা অপার এই বুনো সৌন্দর্য্যকে স্থানীয়রা পাইন্দু সাইতার নামেও ডাকে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
তিনাপ সাইতারের অবস্থান
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার অন্তর্গত পাইন্দু ইউনিয়নের পাইন্দু খালে অবস্থিত এই দানবাকৃতির জলপ্রপাত। এর সবচেয়ে কাছাকাছি লোকালয়ের নাম রনিন পাড়া, যেটি ঝর্ণা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে।
তিনাপ সাইতার ভ্রমণের সেরা সময়
বর্ষাকালে বৃষ্টি যত বাড়তে থাকে এই জলপ্রপাত ততই আপন মহিমায় অধিষ্ঠিত হয়। তাছাড়া রৌদ্রোজ্বল দিনে এখানে পানির উপর রংধনুর খেলা দেখতে হলে বর্ষাকালই একমাত্র ভরসা। তাই অতি বৃষ্টির মৌসুম জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস এই জলপ্রপাত দেখার সেরা সময়।
কিন্তু এর সঙ্গে দুর্গম পিচ্ছিল পাহাড়ি পথ আর কোমড় সমান পানির পাইন্দু খাল পেরোবার ধকল সামলাতে হবে। একদিকে মেঘলা রোদে ঘামে ভেজা শরীর, অন্যদিকে বৃষ্টির জন্য ঠাণ্ডা বাতাসের সুরসুরি। সেই সঙ্গে জোঁকের উৎপাতে শরীরকে টেনে নিয়ে চলাটা দায় হবে। তাই সাঁতার না জানলে আপাতত পাইন্দু খাল অতিক্রমটা এড়িয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
১ বছর আগে
মিরসরাই খৈয়াছড়া ঝর্ণা: যাওয়ার উপায় ও ভ্রমণ খরচ
গন্তব্য যখন ঝর্ণা দেখা, তখন সেখানে স্বভাবতই চলে আসে পাহাড়ের গহীনে গুপ্ত কোনও প্রাকৃতিক শোভা আবিষ্কারের নেশা। এর সঙ্গে যুক্ত হয় দুর্গম ঝিরিপথ পেরোবার দুঃসাহস এবং ধৈর্য্য। এই পাহাড়ী পথ প্রথমবারের মত আগত যে কোনও ভ্রমণকারিকে বিভ্রমে ফেলে দিতে যথেষ্ট। কেননা সবেমাত্র পা রাখা পর্যটক এখনও জানেন না যে ঠিক কতগুলো বাঁক ঘুরে শেষ হবে এই পিচ্ছিল পথ। এই রোমাঞ্চের পুরোটাই অকৃপণভাবে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশের ঝর্ণা রানি খৈয়াছড়া ঝর্ণা। আজকের নিবন্ধটি দেশের এই সবচেয়ে বেশি ঝিরিপথের অন্যতম বৃহৎ জলপ্রপাতটি নিয়ে। চলুন, এই ভয়ঙ্কর সুন্দরকে আলিঙ্গন করার ভ্রমণে নেমে পড়া যাক।
খৈয়াছড়া ঝর্ণার ইতিহাস
খৈয়াছড়ার এই বিশাল প্রস্রবনের ইতিহাস প্রায় ৫০ বছরের। ঘন ঝোপ-ঝাড়ে ভরা ও দুর্গম হওয়ায় এই এলাকায় মানুষের পদচিহ্ন পড়তে অনেক সময় লেগেছে। এরপরেও কোনও এক সময় হয়ত প্রকৃতির খেয়ালেই পাহাড়ি ঢলের ফলে সৃষ্টি হয়েছে এই ঝর্ণার।
বারৈয়াঢালা ব্লক থেকে শুরু করে কুণ্ডের হাট পর্যন্ত এলাকাটি বর্তমানে বড়তাকিয়া ব্লক নামে পরিচিত। এর ২৯৩৩.৬১ হেক্টরের পাহাড়ী জমিকে ২০১০ সালে ঘোষণা করা হয় সরকারী জাতীয় উদ্যান হিসেবে। সে সময় এই উদ্যানেরই প্রধান প্রাকৃতিক নিদর্শন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় এই জলপ্রপাতটি।
স্থানীয়রা এই ঝর্ণাকে চতল বলে ডাকে।
২০১৭ সালে সরকার এই ঝর্ণার সংরক্ষণের লক্ষ্যে ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন প্রকল্প চালু করে। এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত এলাকা ছিলো চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের রামগড়, সীতাকুন্ড ও রিজার্ভ ফরেস্ট।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের নাফাখুম জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলার নায়াগ্রাতে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
১ বছর আগে
বান্দরবানের নাফাখুম জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলার নায়াগ্রাতে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
দুর্গম পাহাড়ের ঝর্ণাধারা কঠিন ও কমনীয়তার এক অকৃত্রিম মিথস্ক্রিয়া। এমন নৈসর্গিক দর্শন নিমেষেই ভোলাতে পারে যে কোনো পাহাড়চারীর মন। এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকার সময় প্রস্রবণগুলো গুনতে যেয়ে খেই হারাতে হয় এর মোহনীয়তার কারণে। এরপরেও বান্দরবানের নাফাখুম জলপ্রপাত বাংলাদেশের অন্যতম বড় জলপ্রপাতগুলোর তালিকায় নিজেকে যুক্ত করে নিয়েছে। আজকের প্রবন্ধটি এই নাফাখুম ঝর্ণাকে নিয়েই। চলুন, দেখে নেওয়া যাক কতটুকু রোমাঞ্চের পর দেখা পাওয়া যায় এই অমিয়ধারার।
নাফাখুম ঝর্ণার নামকরণ
এই ঝর্ণার নামকরণের কথা বলতে হলে প্রথমেই বলতে হবে রেমাক্রি নদীর কথা। এই নদীতে নাফা নামে এক ধরনের মাছ আছে, যেটি সবসময় স্রোতের বিপরীত দিকে চলে। এভাবে চলতে যেয়ে মাছগুলো লাফিয়ে ঝর্ণা পার হওয়ার সময় এদের কাপড় বা জালে আটকে ফেলে স্থানীয় আদিবাসীরা।
এই আদিবাসীদের বসতবাড়িগুলো দেখা যায় সবুজে ঘেরা পাহাড়ের আনাচে-কানাচে। পাহাড়ের ঢালে টিন আর বেড়া দেওয়া ঘরগুলোকে মারমা ভাষায় ‘খুম’ বলা হয়, যার অর্থ জলপ্রপাত। আর এভাবেই নাফা আর খুম শব্দ দু’টি মিলে ঝর্ণার নাম হয়েছে নাফাখুম।
আরও পড়ুন: নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
নাফাখুম জলপ্রপাতের অবস্থান
জলপ্রপাতের জায়গাটি পড়েছে বান্দরবান জেলার অন্তর্গত থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নে। থানচি বান্দরবান সদর থেকে প্রায় ৭৯ কিলোমিটার দূরে।
থানচি বাজারের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে সাঙ্গু নদী, যেটি রেমাক্রি থেকে থানচির দিকে ধীরে ধীরে ঢালু হয়ে গেছে। নদীপথে কিছুদূর পর পর ১ থেকে ২ ফুট; এমন কি কোনো কোনো জায়গায় ৪ থেকে ৫ ফুট পর্যন্তও ঢালু। এই পথে নৌকা বেয়ে উপরে ওঠার সময় দুপাশের সবুজে মোড়ানো উঁচু পাহাড়গুলো চোখে পড়ে। এগুলোর কোনো কোনোটা এতটাই উঁচু যে, দেখে মনে হয় সেগুলোর চূড়া হারিয়ে গেছে মেঘের উপরে।
উপরে রেমাক্রি মুলত একটি মারমা অধ্যুষিত এলাকা। সেখান থেকে তিন ঘণ্টা হেঁটে গেলেই পাওয়া যায় জলপ্রপাতের দর্শন।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
১ বছর আগে
বিশ্বের সেরা ১০ মনোমুগ্ধকর জলপ্রপাত
প্রকৃতির মহিমা হৃদয়ে ধারণ করে অবলীলায় ঝরে চলেছে মনোরম জলপ্রপাত ও প্রাকৃতিক ঝর্ণাগুলো। কালের গহ্বরে শত শত সভ্যতা হারিয়ে গেলেও এগুলো এখনও বেঁচে আছে অকৃত্রিম কারুকাজে। বিশ্ব সংসারের এই প্রাণবন্ত জল-শিল্পগুলো যেন নিবেদিত হয়ে শিখিয়ে দেয় সৌন্দর্য্যের বুনন। পাশাপাশি দুর্গম পাহাড়ের সঙ্গে নমনীয়তার মায়াবী মেলবন্ধনে রচনা করে অস্তিত্বের জয়গান। সেই সঙ্গীতের সুরের সুধা পেতেই হাজারও পরিব্রাজক হন্যে হয়ে ঘর ছাড়ে। এই টান কোনও বিলাসিতার খোরাক নয়; বরং সৌন্দর্য্য, বিশালতা ও বিস্ময়কে নগণ্য দু’চোখ ভরে ধারণ করার এক অদম্য নেশার হাতছানি। তেমনি ১০টি নয়নাভিরাম ঝর্ণার বিস্তারিত নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের নিবন্ধ। চলুন, ডুব দেয়া যাক সেই জলজ মুগ্ধতার রাজ্যে।
পৃথিবীর ১০টি সর্বোচ্চ এবং সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক ঝর্ণা
অ্যাঞ্জেল জলপ্রপাত
এর অবস্থান ভেনেজুয়েলার কানাইমা ন্যাশনাল পার্কের লীলাভূমিতে। অয়ান-টেপুই পর্বতের কোলে সগৌরবে নিজের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে ৯৭৯ মিটার (৩ হাজার ২১২ ফুট)-এর এই দীর্ঘ পানির ধারা। স্থানীয় নাম কেরেপাকুপাই মেরু, যার অর্থ গভীরতম স্থানের জলপ্রপাত।
অ্যাঞ্জেল নামটি এসেছে বিমানচালক জিমি অ্যাঞ্জেলের নাম থেকে, যিনি ১৯৩৩ সালে গ্র্যান সাবানার উপর দিয়ে উড়ে যাবার সময় সর্বপ্রথম এই নির্ঝরকে আবিষ্কার করেন। ১৯৬০ সালের ২ জুলাই তার শেষকৃত্যের ভস্ম ফেলা হয় এই ঝর্ণায়।
আরও পড়ুন: ১৬০ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়লেন নাজমুন নাহার
এটি বর্ষাকালে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩ হাজার ৭৫০ গ্যালন বেগে প্রবাহিত হয়। বর্তমানে এটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃত।
তুগেলা জলপ্রপাত
দক্ষিণ আফ্রিকার রয়্যাল ন্যাটাল ন্যাশনাল পার্কের কেন্দ্রস্থলে মুখোমুখি হওয়া যাবে এই জলপ্রপাতটির সঙ্গে। প্রাকৃতিক শৈল্পিকতার এই অনন্য নির্মাণের দৈর্ঘ্য ৯৪৮ মিটার (৩ হাজার ১১০ ফুট)। ড্রাকেন্সবার্গ পর্বতমালার কঠিন দেহ বেয়ে নেমে গেছে এই অপরূপ ধারার মন্ত্রমুগ্ধতা। পাঁচটি স্বতন্ত্র স্তরে বিভক্ত এই নির্ঝরের গন্তব্য তুগেলা নদী। এই নদীর উৎপত্তি মন্ট-অক্স-সোর্সেস পাহাড়ে। এই পাহাড়ের উপর এবং সেই রয়্যাল ন্যাটাল ন্যাশনাল পার্ক; এই দুইটি পথে রয়েছে তুগেলার দুটি ঝিরি পথ।
এই ঝর্ণার আবিষ্কার হয় ২০ শতকে ইউরোপীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে। ভেজা মৌসুমে প্রতি সেকেন্ডে ৫০ ঘনফুট (১ দশমিক ৪১ কিউবিক মিটার) পর্যন্ত উঠে যায় এর প্রবাহ।
১ বছর আগে
বাংলাদেশের সেরা ১০টি প্রাকৃতিক ঝর্ণা, জলপ্রপাত কোথায়? কীভাবে যাবেন?
নদীমাতৃক বাংলাদেশের সেরা প্রাকৃতিক ঝর্ণাগুলো সৌন্দর্যের এক অপার মহিমা নিয়ে হাতছানি দিয়ে ডাকে ভ্রমণপিপাসুদের। প্রকৃতিপ্রেমীরা নিজেদের ভেতরটাকে পরিশুদ্ধ করার জন্য শরণাপন্ন হন এই স্বর্গীয় উপাচারগুলোর। সারা বছর ধরে প্রতিটি মৌসুমে এই জলপ্রপাতগুলো প্রাণভরে উপভোগ করা সম্ভব। কিন্তু বৃষ্টি এই জায়গাগুলোকে যেন আরো যত্ন সহকারে সাজিয়ে তোলে। প্রবল বর্ষণ জলপ্রপাত ও ঝর্ণাগুলোকে প্রাণবন্ত করে তোলে। ঠিক জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই অপূর্ব সৌন্দর্য অবলোকন করা যায়। আজকের নিবন্ধটি সাজানো হয়েছে তেমনি কয়েকটি প্রাকৃতিক ঝর্ণা নিয়ে।
বাংলাদেশের সেরা ১০টি প্রাকৃতিক ঝর্ণা, জলপ্রপাত
খৈয়াছড়া ঝর্ণা
প্রকান্ড এই ঝর্ণাটি চট্টগ্রাম বিভাগের মিরসরাই উপজেলায় অবস্থিত। এর বিশেষ আকর্ষণ হল এর নয়টি বিচ্ছিন্ন ধাপ, যা বাংলাদেশের আর সকল জলপ্রপাত থেকে একে আলাদা করেছে। আর একই কারণে খৈয়াছড়াকে বাংলাদেশের ঝর্ণার রানী বলা হয়। ঝর্ণাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে ৪.২ কিলোমিটার পূর্বে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ইউনিয়নের বড়তাকিয়া বাজারের উত্তর পাশে অবস্থিত। পূর্ব দিকে গ্রামের রাস্তা ধরে আধা ঘণ্টা হেঁটে খৈয়াছড়া জলপ্রপাতের মূল ট্রেইলে ওঠা যায়। বনের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি পথ ধরে প্রায় দেড় ঘণ্টা হাঁটার পর অবশেষে দেখা মিলবে ঝর্ণা ধারার।
এই ঝর্ণা দেখতে হলে ঢাকার ফকিরাপুল বা সায়েদাবাদ থেকে যে কোন ফেনীগামী বাসে করে প্রথমে মহিপাল আসতে হবে। তারপর সেখান থেকে চট্টগ্রামগামী আধা-লোকাল বাসগুলো নামিয়ে দেবে বড়তাকিয়া বাজারে।
আরও পড়ুন: সিলেট শহরের দর্শনীয় স্থান: অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক নগরী
আমিয়াখুম ঝর্ণা
এটি মূলত বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলায় অবস্থিত একটি অসাধারণ জলপ্রপাত। বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তবর্তী এই দুর্গম জলপ্রপাতটিকে ডাকা হয় বাংলার স্বর্গ নামে। এই স্বর্গের দেখা পেতে হলে ঢাকার ফকিরাপুল অথবা সায়েদাবাদ বাস স্টেশন থেকে বান্দরবানগামী যেকোন বাসে করে বান্দরবান যেতে হবে। সেখান থেকে বাস বা জিপে করে সরাসরি থানচি। তারপরই সবচেয়ে জরুরী কাজ হলো একজন গাইডকে সঙ্গে নেয়া। এই গাইড রেমাক্রি, নাফাখুম, জিনাপাড়া, থুইশাপাড়া, এবং দেবোতাপাহাড় পাড়ি দিয়ে পৌঁছে দেবে আমিয়াখুমের শিয়রে।
থানচি থেকে নৌকায় করে রোমাক্রি পৌঁছানো যায়। সেখান থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা হাটা পথ নাফাখুম ঝর্ণা। নাফাখুম থেকে থুইসাপাড়া পর্যন্ত ৪ ঘণ্টার যাত্রাপথে জিনাপাড়ায় বিশ্রাম নেয়া যেতে পারে। অতঃপর দেবতাপাহাড় হয়ে অমিয়াখুমের যাত্রাতে সময় লেগে যেতে পারে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা।
হাম হাম জলপ্রপাত
এটি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি বনাঞ্চলের গভীরে কুরমা এলাকায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত। একটি শান্ত পাহাড়ের উপর প্রায় দেড়শ ফুট উচ্চতা থেকে স্রোতের চিত্তাকর্ষক দৃশ্য সমস্ত ভ্রমণকারীর মনে এক অদ্ভূত নেশা জাগিয়ে তোলে। দুর্গম পথের পরে বুনো গুল্ম দিয়ে আচ্ছাদিত উল্লম্ব ভাবে প্রবহমান এই নদীর দিক থেকে চোখ ফেরানো যায় না। এই বিস্ময়ের সাক্ষী হতে ঢাকা থেকে বাস বা ট্রেনে প্রথমেই শ্রীমঙ্গল আসতে হবে। সেখান থেকে সিএনজি বা জীপে করে কলাবন পাড়া যেতে হবে। কলাবন পাড়া থেকে হাম হাম যাওয়ার দুটি পথ রয়েছে- এক হচ্ছে ঝিরি পথ এবং আরেকটি পাহাড়ি পথ। একটু বেশি সময় লাগলেও পাহাড়ি পথের তুলনায় চেয়ে ঝিরি পথের সৌন্দর্য্যটা একটু বেশি। এ পথে হাম হাম পৌঁছতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
আরও পড়ুন: ১৫৫ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়লেন নাজমুন নাহার
নাপিত্তাছড়া ট্রেইল
একই ট্রেইলে একাধিক ঝর্ণা দেখতে চাইলে চলে যেতে হবে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের নাপিত্তাছড়ায়। এই একটি ট্রেইলে পাওয়া যাবে মিঠাছড়ি, বাঘবিয়ানী, এবং বান্দরখুমসহ ছোট বড় নানা ঝর্ণা। এত ঝর্ণা একসাথে থাকায় ট্রেইলটি ভ্রমণপ্রেমীদের নিকট খুবই জনপ্রিয়।
নাপিত্তাছড়ায় যেতে হলে ঢাকার ফকিরাপুল বা সায়েদাবাদ থেকে যে কোন বাসে চড়ে চলে যেতে হবে চট্টগ্রামের মিরসরাই। ট্রেন যাত্রা পছন্দ করলে কমলাপুর থেকে চট্টগ্রামগামী যে কোন ট্রেনে উঠে নামতে হবে ফেনী স্টেশনে। সেখান থেকে মহিপাল বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে লোকাল বাস বা লেগুনা নিয়ে সোজা মিরসরাইয়ের নদুয়ারী বাজার। এই নদুয়ারী বাজার থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে পায়ে হেটে নাপিত্তাচোরা ট্রেইলে পৌঁছা যায়।
শুভলং ঝর্ণা
বাংলাদেশের অপরূপ শহর রাঙ্গামাটি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে শুভলং বাজারের পাশেই দেখা পাওয়া যায় শুভলং ঝর্ণার। বর্ষাকালে প্রায় ১৪০ ফুট উঁচু পাহাড় থেকে বিপুল জলধারা আছড়ে পড়ে কাপ্তাই লেকে। ঝর্ণার কাছেই আছে প্রায় ২০০০ ফুট উঁচু শুভলং বা টি-এন্ড-টি পাহাড়। এখানে বিছানো চমৎকার সিঁড়ি বেয়ে চূড়ায় পৌছে দেখা যাবে সেনাক্যাম্প ও টি-এন্ড-টি টাওয়ার।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর ভ্রমণ: সাগরের উপকন্ঠে অভিজাত উদ্যাননগরী
শুভলং যাবার জন্য ঢাকা থেকে রাঙামাটি পৌছে প্রথমেই রিজার্ভ বাজার থেকে নৌকা ভাড়া করতে হবে। সারাদিনের জন্যে নৌকা নিয়ে নিলে ঝর্ণার পাশাপাশি কাছাকাছি অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোও ঘুরে দেখা যাবে। ঘাট থেকে শুভলং ঝর্ণা পর্যন্ত যেতে প্রায় দুই ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
সুপ্তধারা-সহস্রধারা
এই দুটি ঝর্ণা ঐতিহাসিক চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে বাংলাদেশের প্রথম ইকোপার্ক সীতাকুন্ড ইকোপার্কের ভিতরে অবস্থিত। ঝর্ণা দুটি দেখতে হলে ইকোপার্কের টিকেট কেটে অনেকটা ভেতরে হেটে আসতে হয়। সুপ্তধারা ঝর্ণার প্রবেশ পথে ত্রিশ মিনিট হাটতে হবে। মূল স্রোতের সামনে যেতে নেমে যেতে হবে প্রায় ৪২২টি ধাপ। এভাবে মোট দেড় ঘণ্টা হাটার পর অনেক দূর থেকে সুপ্তধারার শ্রুতিমধুর শব্দ কানে আসবে। সুপ্তধারা থেকে আরও ত্রিশ মিনিটের হাটা পথ হল সহস্রধারার সিঁড়ি। সেখানে আরো প্রায় ৪৮৭টি সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে যেতে হবে। সিঁড়ির শেষেই সহস্রধারার মোহনীয় অবিরাম পতনের দৃশ্য।
ঢাকার কমলাপুর থেকে মেইল ট্রেনে বা সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল কিংবা মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো বাসে করে সীতাকুন্ড যাওয়া যায়। সীতাকুন্ড বাজার থেকে লোকাল বাস ও সিএনজিগুলো সোজা ইকোপার্কে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: গরমকালে কম খরচে বাংলাদেশের কোথায় কোথায় ঘুরতে যাবেন?
বাকলাই জলপ্রপাত
বান্দরবানের থানচি উপজেলার নাইটিং মৌজার দারুণ একটি গ্রাম বাকলাই। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কেওক্রাডং থেকে তাজিংডং যাওয়ার মধ্যিপথে পড়বে এই গ্রামটি। আর এরই মধ্যমণি হলো ৩৮০ ফুট উঁচু বাকলাই জলপ্রপাত। এখন পর্যন্ত এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জলপ্রপাত হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। গ্রামটি ট্রেকারদের ক্যাম্পিং স্পট হিসেবে সুপরিচিত। গ্রামের মধ্য দিয়ে পায়ে হেটে জলপ্রপাত পর্যন্ত পৌঁছতে মাত্র এক ঘণ্টা সময় লাগে।
এ পর্যন্ত আসতে হলে ঢাকা থেকে বাসে করে প্রথমে বান্দরবান পৌঁছতে হবে। বান্দরবান থেকে বাস বা জীপগুলো (চান্দের গাড়ি) চার ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৭৯ কিলোমিটার দূরত্বের থানচিতে নিয়ে যায়। থানচি বাজার থেকে বাকলাই জলপ্রপাত পৌঁছতে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় লাগে। এই সময়টি একদমি বৃথা যাবে না, কেননা বাকলাই ট্রেকিং এর পথে রয়েছে দারুণ কিছু মনোমুগ্ধকর জায়গা।
রিসাং ঝর্ণা
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার সাপমারা গ্রামের দর্শণীয় স্থানটি হলো এই ঝর্ণাটি, যাকে স্থানীয়রা সাপ মারা রিসাং ঝর্ণা বলে ডাকে। এই ঝর্ণার আরো একটি নাম আছে, আর তা হলো তেরাং তৈকালাই। খাগড়াছড়ি সদর থেকে এই ঝর্ণার দূরত্ব প্রায় ১১ কিলোমিটার, যা অতিক্রম করতে প্রয়োজন হয় জীপ, মাইক্রো বা প্রাইভেট কার। অবশ্য ঝর্ণার পাদদেশে এসে গাড়ি থেকে নেমে পড়তে হয়। সেখান থেকে মূল স্রোত দেখতে পাহাড়ি রাস্তা ধরে কিছুটা পথ পায়ে হেটে এগিয়ে যেতে হয়।
আরও পড়ুন: কলকাতা ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার উপায় ও খরচ
ঢাকা থেকে সরাসরি খাগড়াছড়ি পৌঁছে প্রথম কাজ হবে চান্দের গাড়ি বা জীপ রিজার্ভ করে নেয়া। রিসাং র্ঝণাসহ আলুটিলা গুহা, ঝুলন্ত ব্রিজ, বৌদ্ধ মন্দির, এবং দেবতা পুকুর সবগুলোই কাছাকাছি দূরত্বের। তাই গাড়ি ঠিক করার সময় এই সবগুলো জায়গার কথা বলে নেয়া উত্তম। একসাথে সবগুলো ঘুরে দেখতে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় লেগে যাবে।
জাদিপাই জলপ্রপাত
এই প্রশস্ত ঝর্ণাটিকে বলা যেতে পারে বান্দরবানের পাহাড়ী এলাকার প্রাণ, যেটি রুমা উপজেলায় অবস্থিত। কেওক্রাডং থেকে জাদিপাই জলপ্রপাত হেটে যেতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা। প্রায় ২০০ ফুট কালো পাথরের নিচ দিয়ে প্রবাহিত পরিষ্কার পানির স্রোত গিয়ে মিশেছে সাঙ্গু নদীর সাথে। বগা লেক থেকে হেটে কেওক্রাডং-এর পরেই সাক্ষাত পাওয়া যাবে বান্দরবানের সর্বোচ্চ গ্রাম পাশিংপাড়ার। এই পাসিংপাড়াই পৌঁছে দেবে সোজা জাদিপাই ঝর্ণায়।
ঢাকা থেকে বাসে করে বান্দরবান আসার পর জীপ বা চান্দের গাড়িগুলো নিয়ে চলে যেতে হবে রুমায়। বিকাল ৪টার মধ্যে রুমা বাজারে পৌঁছাতে হবে, কেননা এর পরে সেনাবাহিনী বগা লেকের দিকে যাওয়ার অনুমতি দেয় না।
আরও পড়ুন: হিমাচল, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থান ও খরচ
সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা
সিলেটের জাফলং-এর এক দারুণ মন্ত্রমুগ্ধতা মিশে আছে এই সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণায়, যাকে স্থানীয়রা নাম দিয়েছে মায়াবী ঝর্ণা। জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট এগোলেই এই নামের সার্থকতা টের পাওয়া যাবে। বিএসএফের প্রহরায় বাংলাদেশিরা ভারতের সীমান্তে অবস্থিত এই মায়াবী ঝর্ণা দেখতে যেতে পারে। এই অবিরাম ধারার মোট তিনটি ধাপ রয়েছে, যার মধ্যে তৃতীয় ধাপে এমন একটি সুড়ঙ্গ রয়েছে যার অন্য প্রান্ত এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি।
ঢাকার গাবতলী, ফকিরাপুল, সায়েদাবাদ বা মহাখালী বাস স্টেশন থেকে সিলেটগামী যে কোন বাসে সিলেট আসতে সময় লাগে প্রায় ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। কমলাপুর কিংবা এয়ারপোর্ট রেলওয়ে স্টেশন থেকে সিলেটের ট্রেনে ওটা যেতে পারে। এই যাত্রাতে দুয়েক ঘণ্টা বেশি সময় লাগতে পারে। অতঃপর সিলেটের জাফলংগামী বাস বা সিএনজিগুলো নিমেষেই পৌঁছে দিবে জাফলং-এ।
পরিশিষ্ট
বাংলাদেশের সেরা এই প্রাকৃতিক ঝর্ণাগুলো দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকদের আকর্ষণ করে আসছে। সেই অর্থে এই দর্শনীয় স্থানগুলো বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের মর্যাদা বহন করে চলেছে। তাই এই স্থানগুলোর সৌন্দর্য্যকে টিকিয়ে রাখা বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। পাশাপাশি বিপজ্জনক স্থানগুলোতে ভ্রমণের সময় নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। পর্যটন বিভাগের পক্ষ থেকে অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে এগুলোকে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান পর্যটন শিল্পের ল্যান্ডমার্ক করে তোলা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকার কাছেই প্রকৃতির মাঝে ক্যাম্পিং সাইট
২ বছর আগে