অসাংবিধানিক
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক: জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলকে আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সোমবার (১৩ নভেম্বর) জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে জানিয়েছেন, বিরোধী দল বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি ‘সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও বেআইনি’।
বাংলাদেশের স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর)-এ অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী ২৮-২৯ অক্টোবর বিএনপির সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ তুলে ধরেন।
একজন পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা ছাড়াও তারা প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারকদের বাসভবনে হামলা চালায় এবং পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নির্বিচারে কোনো গ্রেপ্তার করা হয়নি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দেশের আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় (বাংলাদেশ সময়) শুরু হওয়া পর্যালোচনা বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আইনমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার দ্রুত গতিতে করা হবে: আইনমন্ত্রী
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সুফিউর রহমানসহ অন্যরা অংশ নিচ্ছেন।
ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মোট ১১১টি দেশ বৈঠকে যোগ দিয়েছে এবং ৯০ শতাংশ দেশ মানবাধিকার ফ্রন্টে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেছে।
তিনি বলেন, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার মতো দেশগুলোও বাংলাদেশের সমালোচনা করেনি, বরং তারা কিছু গঠনমূলক সুপারিশ নিয়ে এসেছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ মানবাধিকার সংক্রান্ত সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো দেশ রাজনৈতিক সংলাপের বিষয়টি তুলেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংলাপের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
আইনমন্ত্রী বলেন, পরশু জানতে পারবেন বাংলাদেশ কতগুলো সুপারিশ পেয়েছে।
বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলকে জানাবে যে তারা কোন কোন সুপারিশ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া ব্রিফিংয়ে যোগ দিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, তারা ইউপিআরের আগে সব অংশীজনদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা আজ এটি দেখেছেন ও শুনেছেন। এবং আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে ইউপিআর একটি সুন্দর প্রক্রিয়া, যা প্রতিটি দেশকে একই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে নিয়ে আসে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকালের তুলনায় আগামীকাল বাংলাদেশকে আরও ভালো অবস্থানে দেখাই তাদের লক্ষ্য। ‘এটাই স্পিরিট। আমরা আমাদের অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছি।’
পর্যালোচনা সভায় আইনমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, সরকার যে কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতি বজায় রেখেছে এবং বিরোধী দলগুলোকে রাজনৈতিক স্থান দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছে।
তিনি রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একা মিয়ানমারের চাপিয়ে দেওয়া সংকট সমাধান করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: ইসির তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বাংলাদেশের ধারাবাহিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে আরও সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য করতে নির্বাচনী এলাকা সীমাবদ্ধকরণ আইন-২০২১, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ আইন-২০২২ এবং সংসদ নির্বাচন (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) বিধিমালা-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছিল এবং রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এবং নির্বাচন পরিচালনা বিধি-২০১৮ সাল থেকে সংশোধন করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)ও নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়োগ আইন ২০২২ একটি নিরপেক্ষ ও সক্ষম ইসি নিশ্চিত করে এবং এটি দেশের পাশাপাশি উপমহাদেশে এই ধরনের প্রথম আইন।
বাংলাদেশের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ইউপিআরগুলো হয়েছিল যথাক্রমে ফেব্রুয়ারি ২০০৯, এপ্রিল ২০১৩ ও মে ২০১৮ সালে।
তার পেশ করা জাতীয় প্রতিবেদনে, বাংলাদেশ বলেছে এটি মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার জন্য তার প্রতিষ্ঠান এবং পদক্ষেপগুলোকে শক্তিশালী করতে থাকবে।
ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপে মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৭টি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে। তবে, জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিটি দেশ পর্যালোচনায় অংশ নিতে পারে।
যে নথিগুলোর উপর ভিত্তি করে পর্যালোচনাগুলো করা হয় তা হলো:
১) জাতীয় প্রতিবেদন - পর্যালোচনাধীন রাষ্ট্র প্রদত্ত তথ্য
২) স্বাধীন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ এবং গোষ্ঠীর প্রতিবেদনে থাকা তথ্য, বিশেষ প্রক্রিয়া, মানবাধিকার চুক্তি সংস্থা ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা হিসেবে পরিচিত
৩) জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল অনুসারে জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা, আঞ্চলিক সংস্থা এবং সুশীল সমাজের গোষ্ঠীগুলোসহ অন্যান্য অংশীজনদের দ্বারা প্রদত্ত তথ্য।
ইউপিআর হলো ১৯৩টি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রের মানবাধিকার রেকর্ডের সমকক্ষ পর্যালোচনা।
২০০৮ সালের এপ্রিলে এর প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের সবকটিকে নিয়ে তিনবার পর্যালোচনা করা হয়েছে।
ইউপিআর মানবাধিকার কাউন্সিলের একটি অনন্য প্রক্রিয়া। যা জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রকে প্রতি সাড়ে ৪ বছরে তার মানবাধিকার রেকর্ডগুলো সমকক্ষ পর্যালোচনা করার আহ্বান জানায়।
২০০৬ সালের মার্চ মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬০/২৫১ রেজোলিউশনে প্রতিষ্ঠিত ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর) প্রতিটি দেশে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষাকে সমুন্নত, সমর্থন ও প্রসারিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দেয়নি মার্কিন প্রতিনিধিদল, শুধু জানতে চেয়েছে: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
অবসরের পরই সরকারি কর্মকর্তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেয়া কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
অবসরের পর তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেয়ার বিধান কেন অসাংবিধানিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম কামালের করা রিটের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির-উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অবসরের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না থাকার ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ১২(১) (চ)’ ধারার বিধান চ্যালেঞ্জ করে গত ১৫ জানুয়ারি রিট দায়ের করেন সদ্য অবসরে যাওয়া এই ব্রিগেডিয়ার জেনারেল।
আরও পড়ুন: কারাগারে শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ না দেয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে হাইকোর্টের তলব
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।
নির্বাচনে সরকারি চাকরিজীবীদের অযোগ্যতার বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ এর ১২ (১) (চ) ধারায় বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনো চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসরে গমন করেছেন এবং উক্ত পদত্যাগ বা অবসর গমনের পর তিন বৎসর অতিবাহিত না হয়ে থাকে তাহলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন না।
এ বিধান চ্যালেঞ্জ করে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. শামীম কামাল হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
তিনি লালমনিরহটের আদিতমারীর বাসিন্দা। তার বাবা মজিবুর রহমান লালমনিরহাটের সাতবারের এমপি ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভুজপুরে আ.লীগের ৩ নেতাকর্মী হত্যামামলা স্থগিতের আবেদন খারিজ: হাইকোর্ট
বিচারকের বিরুদ্ধে অশ্লীল স্লোগান: ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
১ বছর আগে
সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতির বিধান বাতিল
সরকারি কোনো কর্মচারীকে ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার করতে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতির বিধান অসাংবিধানিক উল্লেখ করে তা বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, সংবিধান হলো দেশের মূল আইন। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। সরকারি কর্মচারীকে গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতির বিধান করে একটি সুনির্দিষ্ট গ্রুপকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়েছে। এটা বৈষম্যমূলক। সংবিধানের ২৬. ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদেও পরিপন্থী (ভায়োলেশন)।
২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর সরকারি চাকরি আইনের গেজেট জারি হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক গেজেটে বলা হয়- ১ অক্টোবর থেকে এ আইন কার্যকর হবে। আইনের ৪১(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হইবার পূর্বে, তাহাকে গ্রেপ্তার করিতে হইলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।’
২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন ৪১(১) ধারায় বিশেষ সুবিধা দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর জনস্বার্থে এ রিট করা হয়। আদালতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী সরোয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও মাহবুবুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত কেন অবৈধ নয়, জানতে চান হাইকোর্ট
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪১(১) ধারা কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না এবং সংবিধানের ২৬(১) (২), ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। এই রুলের ওপর বুধবার চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার রায়ের দিন ধার্য করা হয়। সে অনুযায়ী আজ রায় দেয়া হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মণ্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, একই ধরনের সুযোগ দিয়ে ২০১৩ সালে দুদক আইনের ৩২(ক) ধারা প্রণয়ন করলে জনস্বার্থে রিট করলে আদালত আইনটিকে বৈষম্যমূলক বলে বাতিল ঘোষণা করেন। একই সুযোগ সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দেয়ার জন্য ২০১৮ সালে প্রণীত সরকারি চাকরি আইনের ৪১(১) ধারা আদালতের ওই রায়ের এবং সংবিধানের পরিপন্থী।
আরও পড়ুন: একদিন পরেই এনামুল বাছিরের জামিন প্রত্যাহার করলেন হাইকোর্ট
ইসি নিয়োগে নাম প্রস্তাবকারীদের তথ্য না দেয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
২ বছর আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোশাররফের ফাঁসির আদেশ বাতিল
আইনি প্রক্রিয়াকে অসাংবিধানিক উল্লেখ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফকে দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের আদেশ প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের একটি আদালত।
৪ বছর আগে