ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে ঢামেকে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান
আনসার সদস্যদের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ারে রবিবার রাতে সচিবালয়ে আহত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: বন্যাদুর্গতদের দুর্ভোগ লাঘবে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
এছাড়াও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তিনি।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান ও ডা. নুরুল ইসলামসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষা করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
২ মাস আগে
সরকারি হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে উপস্থিতি, আসছে রোগীরাও
গত ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশত্যাগে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে সৃষ্টি হয় সাময়িক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির। এসময় দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতেও পরিচালক ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে হাসপাতালে গিয়েও দেখা মেলেনি তার। পরিচালক কখন হাসপাতালে আসেন বা থাকেন সে বিষয়ে সঠিক তথ্যও কেউ দিতে পারেনি।
হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে সেখানে দায়িত্বরত আনসার সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক নানা কারণবশত ভয়ে অনেকে হাসপাতালে আসছেন না। তবে ৭ আগস্টের পর কেউ কেউ আসা শুরু করেছেন বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, ৫ তারিখ সরকারের পদত্যাগের পর রোগীর চাপ অনেক বেশি বেড়েছে। এত রোগী এসেছে যে হিসাব রাখা সম্ভব হয়নি।
৫ আগস্ট হাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দাউদকান্দি থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসে ১০ বছর বয়সি পারভেজ।
পারভেজের মা পারুল জানান, চিকিৎসা পেতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তবে তার থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অংকের রশিদ দেখিয়ে টাকা নেওয়া হচ্ছে। যারা নিচ্ছেন পরে তাদের আর দেখতে পাননি। সেই টাকার বিনিময়ে কোনো সেবাও পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
৩ মাস আগে
বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: ৪৬টির মধ্যে ৩৯টি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
ঢাকার বেইলি রোডে বৃহস্পতিবার রাতে বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৩৯ জনের মরদেহ শনাক্ত করে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অজ্ঞাত মরদেহের মধ্যে ছয়টি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে এবং একটি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রাখা হয়েছে।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ এসব লাশ দাবি করেনি। শনাক্তকরণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন হবে।
অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন ছিল বেইলি রোডের আগুনে নিহত বৃষ্টির
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার বেইলি রোডের সাততলা গ্রিন কোজি কটেজ শপিং মলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৬ নারী ও তিন শিশুসহ ৪৬ জন নিহত এবং ২২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে যাদের শনাক্ত করা হয়েছে তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জহিরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৫), ঢাকার বংশালের মোসলেম ছেলে নুরুল ইসলাম (৩২), ঢাকার প্রাণ নাথ রায়ের মেয়ে পপি রায় (৩৩), ঢাকার যাত্রাবাড়ীর শিপন পোদ্দারের সন্তান সম্পূর্ণা পোদ্দার (১১) ও সংকল্প সান (৮); ঢাকার পুরাতন পল্টনের মো. আলীর মেয়ে নাজিয়া আক্তার (৩১), একই এলাকার সায়েক আহমেদের ছেলে আরহান মোস্তাক আহমেদ (৬), মতিঝিলের কবির খানের মেয়ে মাইশা কবির মাহি (২১) ও মেহরা কবির দোলা (২৯)।
কুমিল্লার মুরাদনগরের জয়ন্ত কুমার পোদ্দারের মেয়ে সম্পা সাহা (৪৬), নারায়ণগঞ্জের আমজাদ হোসেনের ছেলে শান্ত হোসেন (২৪), ঢাকার কাকরাইলের কুরবান আলীর মেয়ে ফৌজিয়া আফরিন রিয়া (২২), একই এলাকার গোলাম মহিউদ্দিনের মেয়ে জান্নাতী তাজরিন নিকিতা (২৩)।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
এ ছাড়া ঢাকার রমনার জউরা ইসলামের মেয়ে লুৎফুর নাহার করিম (৫০), মাদারীপুরের জাকির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ জিহাদ (২২), যশোর সদরের কবির হাসানের ছেলে কামরুল ইসলাম (২০), ভোলার মাইনুল হকের ছেলে দিদারুল হক (২৩), মৌলভীবাজারের ফজলুল রহমানের ছেলে অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম (৬৫), টাঙ্গাইলের মোয়াজ্জেম মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান (২৭), কুমিল্লা সদরের আবদুল কুদ্দুসের মেয়ে নুসরাত জাহান শিমু (১৯), ঢাকার মগবাজারের সৈয়দ মোবারক কায়সার (৪৮) ও তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৪০), তাদের সন্তান সৈয়দা ফাতেমা-তুজ-জোহরা (১৬), সৈয়দা আমেনা আক্তার নূর (১৩) ও সৈয়দ আবদুল্লাহ (৮), মুন্সিগঞ্জ সদরের আওলাদ হোসেনের মেয়ে জারিন তাসমিন প্রয়তি (২০), ঢাকার গুলশানের ইসমাইল গাজীর ছেলে জুয়েল (৩০), উত্তম কুমার রায়ের স্ত্রী রুবি রায় (৪৮) ও মেয়ে প্রিয়াঙ্কা রায় (১৮), ঢাকার মালিবাগের বেসরকারি চাকরিজীবী ঝালকাঠি জেলার বাসিন্দা তুষার হাওলাদার (২৩), পাবনার তালেব প্রামাণিকের ছেলে সাগর হোসেন (২৪), পিরোজপুরের নুরুল আলমের মেয়ে তানজিলা নওরিন (৩৫), শেরপুরের ফজর আলীর ছেলে শিপন (২১), ঢাকার কাকরাইলের ফোরকানের মেয়ে আলিশা (১৩)।
বরিশালের রিয়াজুল আমিনের ছেলে বুয়েট শিক্ষার্থী নাহিয়ান আমিন (১৯), নাসিরুল ইসলাম শামীমের মেয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী লামিশা ইসলাম মাহি (২০), বরগুনার নান্টুর ছেলে মো নাঈম (১৮), ভোলা সদরের সিরাজের ছেলে মো. নয়ন (১৭) এবং নোয়াখালীর সেনবাগের আবুল খায়েরের ছেলে আসিফ (২৫)।
আরও পড়ুন: ‘বাবা আমি আটকা পড়েছি, আমাকে বাঁচাও’-মৃত্যুর আগে লামিসা
৮ মাস আগে
বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন ছিল বেইলি রোডের আগুনে নিহত বৃষ্টির
সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিসিএস পরীক্ষার কোচিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি। স্বপ্ন পূরণ করতে দিল না ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। বৃষ্টির নিথর দেহ এখন পড়ে রয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হিমঘরে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার বেইলি রোডে ‘গ্রিন কোজি কটেজ’ ভবনে আগুনে প্রাণ হারানো ৪৬ জনের একজন সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মায়ের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয়েছে বৃষ্টির। আর রাতেই বৃষ্টির মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। শোকে পাগলপারা মা বিউটি বেগম।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড: বুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
শুক্রবার দুপুরে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রাম পশ্চিম পাড়ায় বৃষ্টির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির সঙ্গে কথা বলবেন বলে হন্তদন্ত হয়ে নিজের ফোন খুঁজছেন বিউটি বেগম। কখনো ফোনের জন্য চিৎকার করে সারা বাড়ি মাতম করে ফিরছেন। ফোন পেলেই মেয়ে বৃষ্টির কাছে ঢাকায় যাবেন। ছোট মেয়ে বর্ষা মাকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন।
৮ মাস আগে
মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে অটোরিকশা সংঘর্ষে শিশুসহ আহত ৬
রাজধানীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে বুধবার একটি মেয়ে শিশুসহ ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, রাত ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনায় আহত হয় আলী হোসেন (৬৮), সালমা বেগম (৫৬), আলেয়া বেগম (৩৮), আলেয়ার মেয়ে খাদেজা আক্তার (৮), আইনুল হক (৫০) ও সিএনজি চালক আব্দুর রব (৩৫)।
আহতরা সবাই ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১,আহত ৭
ঢাকা-মাওয়া হাইওয়েতে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২
চুয়াডাঙ্গায় ২ মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
১ বছর আগে
পোস্তগোলায় বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২
ঢাকার পোস্তগোলায় পিকআপ ভ্যান ও বাসের সংঘর্ষে সোমবার দুইজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
নিহতরা হলেন- বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার আতিকুর রহমান আপেল(৩০) ও কামরুল হুদা(২৬)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, সন্ধ্যা ৭টায় রাইদা পরিবহনের একটি বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিকআপ ভ্যানের চালক ও তার সহকারীসহ দুই পথচারী গুরুতর আহত হন।
তিনি আরও বলেন, ‘ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৮টার দিকে পথচারীদের মৃত ঘোষণা করা হয়। লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে।’
এদিকে শ্যামপুর থানা পুলিশ বাসটি আটক করলেও চালক পালিয়ে গেছে বলে জানান বাচ্চু মিয়া।
আরও পড়ুন: ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে সদ্য বিবাহিত যুবকের মৃত্যু!
কিশোরগঞ্জে বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২
রাজধানীর খিলগাঁও ও পোস্তগোলায় অগ্নিকাণ্ড
২ বছর আগে
গাজীপুরে ফিলিং স্টেশনে আগুন: ঢামেকে অগ্নিদগ্ধ একজনের মৃত্যু
গাজীপুরের এক ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত সাতজনের মধ্যে একজন শুক্রবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন।
নিহত মিঠু (২৬) মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা।
হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, শতভাগ দগ্ধ মিঠু সকাল ৮টায় ঢামেক হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের বড়বাড়ি এলাকায় ওয়াহেদ আলী ফিলিং স্টেশনে গ্যাস ভরতে গিয়ে একটি সিলিন্ডার বোঝাই ভ্যানে বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত হয়।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ইকবাল হোসেন জানান, রাত ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৪ বছরের শিশুর মৃত্যু
আগুনে পুড়ে আহত সাতজন সবাই কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাদের দ্রুত তায়রুন্নেসা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (টিএমএমসিএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়।
টিএমএমসিএইচের আবাসিক চিকিৎসক মাইনুল ইসলাম জানান, আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্য আহতরা হলেন-আল আমিন (২৫), আনোয়ার (৩০), সিরাজুল ইসলাম (২৮) ও পারভেজ (৩৩)।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৪ জন অগ্নিদগ্ধ
লঞ্চে অগ্নিদগ্ধদের হাসপাতালে দেখতে গেলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ২ জনের মৃত্যু
পদ্মা সেতু খোলার প্রথম দিনেই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দুই মোটরসাইকেল আরোহী মারা গেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহতরা হলেন মো. আলমগীর (২৪) ও ফজলু (২৫)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রবিবার রাত ৮টার দিকে মোটরসাইকেলে পার হওয়ার সময় পদ্মা সেতুতে প্রথম এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পরে পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১০টার দিকে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।
বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
রবিবার সকাল ৬টার দিকে সেতুর গেট খুলে দেয়ার পর ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে শত শত বাস, ট্রাক, গাড়ি, মোটরসাইকেল ও অ্যাম্বুলেন্সের দীর্ঘ সারি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
এদিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেতু বিভাগের জারি করা নিষেধাজ্ঞা সোমবার সকাল ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে।
পড়ুন: পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ
২ বছর আগে
যশোরে পেট্রল ঢেলে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ
যশোরে শিরিনা বেগম (২৮) নামে এক সন্তানের জননীর শরীরে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদরের আরবপুর এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরের এই ঘটনায় নিহতের স্বামী জুয়েল পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ বলছে, গৃহবধূ মৃত্যুর ঘটনায় দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। তবে, যেহেতু এটি স্পর্শকাতর ঘটনা, সে কারণে পুলিশ বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে।
নিহতের ছোট ভাই সোহেল রানা অভিযোগ করেন, যৌতুকের টাকার কারণে তার দুলাভাই বোনের শরীরে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে তার বোনকে নিজবাড়িতে ঘরের ভেতরে আটকে রেখে গায়ে পেট্রল ঢেলে দেয়। এরপর আগুন দিলে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে এবং যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে৷
অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনায় রেফার করেন সংশ্লিষ্ট ডাক্তাররা। সেখান থেকে শিরিনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার করা হয়। খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথেই শিরিনা রাত ১০টার দিকে মারা যান।
সোহেল রানা জানান, শিরিনার লাশ বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
পেট্রল পাম্পের কর্মচারী জুয়েল ইতোপূর্বে আরও একটি বিয়ে করেন। সেই স্ত্রীকেও সে হত্যা করেছে বলে সোহেল রানা দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে স্বামীর করা যৌতুকের মামলায় স্ত্রী কারাগারে
জুয়েলের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রান্নাঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের করে গৃহবধূ নিজেই শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনা জানার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়ে দুই ধরনের বক্তব্য পাচ্ছি। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
জানতে চাইলে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আহম্মেদ তারেক শামস বলেন, দাহ্য পদার্থে ওই নারীর শরীরের অধিকাংশ জায়গা পুড়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা রেফার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় যৌতুক নিয়ে বিরোধে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্বশুর খুন
যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ
৩ বছর আগে
মগবাজার বিস্ফোরণ: মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১১
মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় মোহাম্মদ নুর নবী (৩০) ও মো. রাসেল (২১) নামে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ জনে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা।
আরও পড়ুন: মগবাজার বিস্ফোরণ তদন্তে দ্রুত ইতি টানতে নারাজ আইজিপি
নিহত মোহাম্মদ নুর নবী (৩০) পেশায় ভ্যান চালক ছিলেন।
গত রবিবার মগবাজার ওয়্যারলেস গেটের কাছে এক বিস্ফোরণের ঘটনায় ৯ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়। আহতদের মধ্যে মোহাম্মদ নুর নবীর শরীরের ৯০ শতাংশ আগুনে পুড়ে যায়। তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরও পড়ুন: মগবাজারে বিস্ফোরণ: দুই দিন পর নিরাপত্তারক্ষীর লাশ উদ্ধার
বৃহস্পতিবার আনুমানিক ভোর ৪ টা ৩০ মিনিটের দিকে মোহাম্মদ নুর নবী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে নিশ্চিত করেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পার্থ শঙ্কর পাল।
এছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া দুইটায় আইসিইউতে মো. রাসেল (২১) মারা যায় বলে নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া।
আরও পড়ুন: মগবাজারে বিস্ফোরণ: অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে পুলিশের মামলা
এদিকে মঙ্গলবার বিস্ফোরণের দুই দিন পর ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে ভবনটির নিরাপত্তারক্ষীর লাশ পাওয়া যায়। এদিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে হারুন-উর-রশিদ (৬৫) এর লাশ উদ্ধার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক (অপারেশন) দেবাশীষ বর্ধন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগের দিন মগবাজারে অবহেলার কারণে বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করেছে।
আরও পড়ুন: মগবাজারে বিস্ফোরণ: পুলিশের তদন্ত কমিটি
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, উপপরিদর্শক রেজাউল করিম রমনা থানায় এই মামলা করেন।
রবিবার সন্ধ্যায় মগবাজার ওয়্যারলেস গেটের কাছে আড়ংয়ের পাশে একটি ভবনেশক্তিশালী বিস্ফোরণে কমপক্ষে সাতজন নিহতে এবং ৬৬ জনেরও বেশি আহত হয়।
পরের দিন সোমবার পুলিশ প্রধানের নির্দেশে বিস্ফোরণ তদন্তের জন্য একটি সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে পুলিশ। এই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)-এর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।
এছাড়া বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
৩ বছর আগে