বিশ্বকাপ
অবশেষে ইউরোপের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ড্র অনুষ্ঠিত
বেশ আগে থেকে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের খেলা শুরু হয়ে গেলেও ইউরোপ অঞ্চলের খেলা তো দূরের কথা, এ বিষয়ে কোনো আলোচনাই ছিল না। অবেশেষে এই অঞ্চলের বাছাইপর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সুইজারল্যান্ডের জুরিখে বিশ্বকাপের ইউরোপ অঞ্চলের বাছাই পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০২৬ সালে প্রথমবার আয়োজন করা হবে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ। এর মধ্যে ইউরোপ থেকে মোট ১৬টি দেশ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে। এই ১৬টি স্পটের জন্য ১২টি গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়বে ৫৩টি দেশ।
১২টি গ্রুপের সব গ্রুপে অবশ্য সমান প্রতিপক্ষ নেই। ছয়টি গ্রুপ সাজানো হয়েছে চারটি করে দল নিয়ে। অন্য ছয়টি গ্রুপে রাখা হয়েছে পাঁচটি করে দল। গ্রুপের প্রতিটি দল নিজেদের মধ্যে একটি করে হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে। গ্রুপের শীর্ষ ১২টি দল সরাসরি বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিট পাবে।
আরও পড়ুন: ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালের ভেন্যুতেই হবে ২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনাল
বাকি চার দল বাছাই করতে গ্রুপগুলোর দ্বিতীয় সেরা ১২ দলের সঙ্গে যুক্ত হবে উয়েফা নেশন্স লিগ খেলা চার দল। নেশন্স লিগের গ্রুপ বিজয়ীদের মধ্যে সেরা, কিন্তু বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে- এমন চারটি দলসহ মোট ১৬ দলের প্লে-অফ অনুষ্ঠিত হবে।
এই ১৬টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করে নকআউট পদ্ধতিতে প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের মাধ্যমে বিশ্বকাপের জন্য একেকটি দল নির্বাচিত করা হবে।
বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ২১-২৫ মার্চ, ৬-১০ জুন, ৪-৯ সেপ্টেম্বর, ৯-১৪ অক্টোবর এবং ১৩-১৮ নভেম্বর। ২০২৬ সালের ২৬ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্লে-অফ পর্বের ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে। এরপর ওই বছরের ১১ জুন শুরু হবে বিশ্বকাপের মূল আসর।
২০১৬ সালের ১৯ জুলাই নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচের মাধ্যমে বিশ্ব ফুটবলের এই সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ আসরের পর্দা নামবে।
আরও পড়ুন: ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনে ১ বিলিয়ন ইউরো ঋণ নেবে মরক্কো
এক নজরে ইউরোপ অঞ্চলের গ্রুপগুলো
গ্রুপ এ: জার্মানি/ইতালি (নেশন্স লিগের ম্যাচ জয়ী), স্লোভাকিয়া, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গ।
গ্রুপ বি: সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, স্লোভেনিয়া ও কসোভো।
গ্রুপ সি: পর্তুগাল/ডেনমার্ক (পরাজিত), গ্রিস, স্কটল্যান্ড ও বেলারুশ।
গ্রুপ ডি: ফ্রান্স/ক্রোয়েশিয়া (জয়ী), ইউক্রেন, আইসল্যান্ড ও আজারবাইজান।
গ্রুপ ই: স্পেন/নেদারল্যান্ডস (জয়ী), তুরস্ক, জর্জিয়া ও বুলগেরিয়া।
গ্রুপ এফ: পর্তুগাল/ডেনমার্ক (জয়ী), হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড ও আর্মেনিয়া।
গ্রুপ জি: স্পেন/নেদারল্যান্ডস (পরাজিত), পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া ও মাল্টা।
গ্রুপ এইচ: অস্ট্রিয়া, রোমানিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, সাইপ্রাস এবং সান মারিনো।
গ্রুপ আই: জার্মানি/ইতালি (পরাজিত), নরওয়ে, ইসরায়েল, এস্তোনিয়া ও মলদোভা।
গ্রুপ জে: বেলজিয়াম, ওয়েলস, নর্থ মেসিডোনিয়া, কাজাখস্তান ও লিখটেনস্টেইন।
গ্রুপ কে: ইংল্যান্ড, সার্বিয়া, আলবেনিয়া, লাটভিয়া ও অ্যান্ডোরা।
গ্রুপ এল: ফ্রান্স/ক্রোয়েশিয়া (পরাজিত), চেক প্রজাতন্ত্র, মন্টিনিগ্রো, ফারাও আইল্যান্ড ও জিব্রাল্টার।
১ সপ্তাহ আগে
২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনে ১ বিলিয়ন ইউরো ঋণ নেবে মরক্কো
মরক্কোকে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এএফডিবি)। এছাড়া ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনের আগে দেশটির অবকাঠামোগত উন্নয়নে অর্থায়নের জন্য আরও ৬৫০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) মরক্কোর রাজধানী রাবাতে এএফডিবির আফ্রিকা ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম চলাকালে এই ঋণচুক্তি চূড়ান্ত হয়।
পরে এক বিবৃতিতে এএফডিবি জানায়, অনুমোদিত ঋণ মরোক্কোর অর্থনৈতিক শাসন ও পানি সরবরাহ জোরদার এবং নাদোর শহরের পশ্চিমে অবস্থিত তাঞ্জের মেড বন্দরে একটি শিল্পাঞ্চল স্থাপনে সহায়তা করবে।
এছাড়া, ২০৩০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আগে মরক্কোর রেল ও বিমানবন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে আরও ৬৫০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকের সভাপতি আকিনভুমি আদেসিনা।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
দেশটির প্রধানমন্ত্রী আজিজ আখাননৌচের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আদেসিনা বলেন, ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনে মরক্কোকে সহায়তা করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মরক্কোয় এএফডিবির ৩.৬ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নে ইতোমধ্যে ৩৭টি প্রকল্পের কাজ চলছে বলেও এ সময় জানান আদেসিনা।
২০৩০ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক দেশগুলোর একটি আফ্রিকার দেশ মরক্কো। স্পেন ও পর্তুগালের সঙ্গে যৌথভাবে ওই বিশ্বকাপ আয়োজন করবে দেশটি।
২ সপ্তাহ আগে
ক্লাব বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত: মুখোমুখি ভিনিসিউস-নেইমার
২০০০ সালে যাত্রা শুরুর পর ২০০৫ সাল থেকে প্রতি বছর ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের আয়োজন করে এলেও ২০২৫ আসর থেকে এই আয়োজন সত্যিকার অর্থে বৈশ্বিক রূপ পেতে যাচ্ছে। নতুন আঙ্গিকের ৩২ দলের এই লড়াইয়ের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে, আর তাতে দেখা গেছে চমকপ্রদ কিছু লড়াইয়ের আভাস।
বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে নতুন আঙ্গিকের ক্লাব বিশ্বকাপের প্রথম আসরের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ড্রয়ের আগে বিশ্বকাপের নতুন ট্রফি উন্মাচন করেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্তি ইনফান্তিনো ও ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভকামনা জানিয়ে বার্তা দেন যুক্তরাষ্ট্রে সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রেকর্ড করা শুভেচ্ছাবার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘এটি অবিশ্বাস্য এক আসর হতে চলেছে।… শুধু এটুকু বলতে চাই যে, অসাধারণ একজন আপনাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যার নাম জিয়ান্নি।’
‘আমি তাকে জিয়ান্নি হিসেবেই জানি, তিনি একজন বিজয়ী। পরস্পরকে আমরা দীর্ঘদিন ধরে চিনি। তার সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় আমি গর্বিত, কারণ ফুটবল খেলাটি ক্রমেই নতুন উচ্চতা স্পর্শ করছে।… যুক্তরাষ্ট্রেও এটি ছড়িয়ে পড়ছে।’
আরও পড়ুন: ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালের ভেন্যুতেই হবে ২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনাল
এ পর্যন্ত ৬ দল নিয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করে এলেও এবারই প্রথম সব মহাদেশের সেরা ক্লাবগুলোকে নিয়ে ৩২ দলের টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হচ্ছে। তবে বরাবরের মতো এবারও এই আসরে রয়েছে ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর দাপট।
২ সপ্তাহ আগে
দায়িত্ব নিয়েই ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জেতানোর প্রত্যয় টুখেলের
ইংল্যান্ড জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েই বড় প্রাপ্তির প্রত্যয় ঝরেছে টমাস টুখেলের কণ্ঠে। ইংলিশদের ৫৮ বছরের বিশ্বকাপ খরা ঘোচানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) অন্তর্বতীকালীন কোচ লি কার্সলির জায়গায় টুখেলকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)।
আগামী বছরের প্রথম দিন থেকেই দায়িত্ব পালন শুরু করবেন ৫১ বছর বয়সী এই কোচ। এর ফলে মাত্র তৃতীয় কোচ হিসেবে ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নেবেন তিনি।
বুধবার নতুন দায়িত্বের বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন টুখেল। এ সময় ইংল্যান্ডের মতো দলের মাধ্যমে জাতীয় দলে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারায় সম্মানিত বোধ করার কথা জানান তিনি।
‘আমি যা করছি, তা করতে ভালোবাসি। তাছাড়া ফুটবলের প্রতি আমার আলাদা টান রয়েছে।’
‘(ইংল্যান্ডের কোচের) ভূমিকাটি আমাকে নিজের তরুণ বয়সের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। সে সময় যেমন নতুন পেলেই উৎসাহী হয়ে উঠতাম, এখন তেমনই অনুভূত হচ্ছে। ফলে নিজের আবেগ দিয়ে যে শতভাগ চেষ্টা করব, এ বিষয়ে সবাইকে এখনই আশ্বস্ত করতে পারি।’
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের কোচ হলেন টুখেল
স্বদেশি কোচকে দায়িত্ব না দিয়ে একজন জার্মানের ওপর আস্থা রাখায় ইংল্যান্ডজুড়ে এফএর সমালোচনাও কম হচ্ছে না। সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়েও কথা বলেন টুখেল।
‘আশা করছি, আগামী ১৮ মাসে কাজ দিয়ে তাদের নিজেকে প্রমাণ করতে পারব। তাদের (সমালোচকদের) দেখিয়ে দিতে পারব যে, ইংলিশ ফুটবল ও এই দায়িত্ব নিয়ে আমি কতটা গর্বিত।’
এই সময়ের মধ্যে নিজের সর্বোচ্চ লক্ষ্য যে ২০২৬ বিশ্বকাপ জয়, সেটিও এক ফাঁকে বলে দিলেন এই কোচ।
‘(ইংল্যান্ডের) জার্সিতে আমি দ্বিতীয় তারকা যুক্ত করতে চাই। ফুটবলের সর্বোচ্চ লক্ষ্য অর্জনে আমরা কঠোর পরিশ্রম করব। ২০২৬ বিশ্বকাপেই যেন আমাদের স্বপ্নপূরণ হয়, তার জন্য চেষ্টার কমতি থাকবে না।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ইউরোর ফাইনালে স্পেনের কাছে হেরে ইংল্যান্ডের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান গ্যারেথ সাউথগেট। তারপর থেকেই নতুন কোচের সন্ধানে ছিল তারা। এই সময়ে অন্তর্বতীকালীন কোচ হিসেবে উয়েফা নেশন্স লিগে ইংল্যান্ডকে দিশা দেখাচ্ছেন লি কার্সলি।
তবে চুক্তি নবায়ন প্রশ্নে আরও বেশি সময় ধরে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ভার বইতে তিনি রাজি হননি। ফলে টুখেলকে বেছে নিয়েছে এফএ।
কার্সলির অধীনে এ পর্যন্ত উয়েফা নেশন্স লিগে চারটি ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। এর তিনটিতে জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ লিগের ২ নম্বর গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তারা। গ্রুপের বাকি দুই রাউন্ডে আগামী মাসে গ্রিস ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে ইংল্যান্ড। ওই দুই ম্যাচেও ডাগআউটে থাকবেন কার্সলি। এরপরই নতুন বছরে নতুন যাত্রা শুরু করবেন টুখেল।
২ মাস আগে
হ্যাটট্রিক করে রোনালদোকে ছুঁলেন মেসি
ক্যারিয়ারের একেবারে শেষপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি। তারপরও রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলায় একের পর এক একে অপরকে টেক্কা দিয়ে চলেছেন।
মঙ্গলবার রাতে লাতিন আমেরিকা পর্বের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বলিভিয়াকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচে হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি আরও দুটি অ্যাসিস্টসহ মোট ৫ গোলে অবদান রেখেছেন আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো।
বলিভিয়ার বিপক্ষে এটি ছিল মেসির ক্যারিয়ারের ৫৮তম হ্যাটট্রিক, দেশের জার্সিতে যা দশম। এতেই পর্তুগিজ মহাতারকার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন তিনি।
২০২১ সালে লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে পর্তুগালের ৫-০ গোলের জয়ের ম্যাচে দেশের জার্সিতে দশম হ্যাটট্রিক করেন রোনালদো। ছেলেদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে সুইডেনের সভেন রিডেলের সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিকের রেকর্ড (৯) ভেঙে সেদিন অনন্য উচ্চতায় ওঠেন তিনি। এর তিন বছরের মধ্যে তাকে ছুঁয়ে ফেললেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মেসি।
অবশ্য ১০ম হ্যাটট্রিকের দেখা পেতে ১৯১ ম্যাচ খেলা লাগে রোনালদোর, মেসির সেখানে লাগল ১৮৯ ম্যাচ।
আরও পড়ুন: পর্তুগালের জয়ের রাতে ইতিহাস গড়লেন রোনালদো
তবে আন্তর্জাতিক গোলসংখ্যায় মেসির চেয়ে অনেক উপরে রয়েছেন রোনালদো। পর্তুগালের হয়ে ২১৬ ম্যাচে ১৩৩ গোল করেছেন তিনি, যেখানে এই ম্যাচের পর ১৮৯ ম্যাচে ১১২ গোল হলো মেসির। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলের তালিকায় এ দুজনই সবার উপরে। ১৪৮ ম্যাচে ১০৮ গোল নিয়ে তাদের পরে রয়েছেন ইরানের সাবেক ফরোয়ার্ড আলী দাইয়ি।
এদিকে, ক্যারিয়ার হ্যাটট্রিকেও মেসির চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন রোনালদো। মেসির ৫৮ হ্যাটট্রিকের জায়গায় রোনালদোর হ্যাটট্রিক সংখ্যা ৬৬টি। তবে পেশাদার ফুটবলে তাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন আরও তিন ফুটবলার। ১৪১টির বেশি হ্যাটট্রিক নিয়ে এই তালিকায় সবার উপরে জার্মানির এরভিন হেলমশেন, ১০১টির বেশি হ্যাটট্রিক করেছেন অস্ট্রিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের হয়ে খেলা জোসেফ বাইকান এবং ১০০টির বেশি হ্যাটট্রিক রয়েছে হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক ডিকের।
এছাড়া, লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি হ্যাটট্রিক করলেন মেসি। এর ২টিই বলিভিয়ার বিপক্ষে, অন্যটি ইকুয়েডরের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন: শেষ লগ্নেও মায়া ছড়িয়ে চলেছেন মেসি রোনালদো
এদিনের ম্যাচের পর ১০ ম্যাচে ৭ জয় ও ১ ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করল আর্জেন্টিনা। ৩ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলম্বিয়া।
দিনের অপর ম্যাচে রাফিনিয়ার জোড়া পেনাল্টির পর পেরুকে ৪-০ গোলে হারিয়ে সমান সংখ্যক ম্যাচে ৫টি জয় ও একটি ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ব্রাজিল। সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে তাদের চেয়ে এগিয়ে থাকায় তিনে রয়েছে উরুগুয়ে। ইকুয়েডরের বিপক্ষে এদিন গোলশূন্য ড্র করেছে মার্সেলো বিয়েলসার শিষ্যরা।
২ মাস আগে
৩১ বছরেই বিদায় বলে দিলেন ভারান
চোটের সঙ্গে লড়াই করতে করতে এবার থেমেই গেলেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার রাফায়েল ভারান। আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলেছিলেন আগেই, এবার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার থেকেও ছুটি নিয়ে নিলেন ৩১ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করে অবসরের ঘোষণা দেন এক যুগের বেশি সময় ধরে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে মাঠে আলো ছড়ানোর পর সম্প্রতি ইতালির ক্লাব কোমোয় যোগ দেওয়া এই ফুটবলার।
তিন মৌসুম খেলার পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে এ বছরের জুলাইয়ে ইতালিতে পাড়ি জমান ভারান। সদ্য সেরি-আয় উঠে আসা সেস্ক ফাব্রিগাসের ক্লাব কোমোয় যোগ দেন তিনি। কিন্তু ক্লাবটির হয়ে প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই চোটের কবলে পড়েন তিনি।
১১ আগস্ট কোপা ইতালিয়ায় সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে মাত্র ২৩ মিনিট খেলেই মাঠ ছাড়তে হয় তার। এরপর থেকে মাঠের বাইরে রয়েছেন ভারান। গতরাতে আতালান্তার মতো বড় দলকে হারিয়ে সেরি-আয় প্রথম ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেয়েছে তার দল। অথচ, এই ম্যাচেও তিনি দর্শক হয়ে ছিলেন।
এরপর গতরাতেই জানা যায়, অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন ক্যারিয়ারে অসংখ্য ট্রফি জেতা এই ফুটবলার, আর সকাল হতেই সিদ্ধান্তটি জানিয়ে দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে এবার ইতালিতে পাড়ি জমালেন ভারান
ইনস্টাগ্রামে ভারান লিখেছেন, ‘(ফুটবল ক্যারিয়ারে) আমি নিজের সর্বোচ্চ মান ধরে রেখেছি। প্রতিবার মাঠে নামলে আমি শক্তভাবেই নামতে চাই, খেলার জন্য জোর করে আমি (ফুটবল) আঁকড়ে থাকতে চাই না। নিজের হৃদয় ও অনুভূতি যা বলছে, তা শোনার জন্য অসামান্য সাহসের প্রয়োজন হয়।’
২০১০ সালে ফরাসি ক্লাব লঁসের জার্সিতে পেশাদার ফুটবলে প্রথম মাঠে নামেন ভারান। সেখানে এক বছর কাটানোর পর প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে তাকে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে নিয়ে আসে রিয়াল মাদ্রিদ।
রিয়াল মাদ্রিদের মতো এলিট ক্লাবে পা রাখতেই নিজেকে মেলে ধরা শুরু করেন ভারান। দীর্ঘ ১০ বছর ক্লাবটির জার্সিতে তিনি খেলেছেন ৩৬০ ম্যাচ। এ সময়ে জিতেছেন চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, চারটি ক্লাব বিশ্বকাপ ও তিনটি লা লিগাসহ মোট ১৮টি শিরোপা। এরপর ২০২১ সালে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান তিনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সি পরে খেলেন তিন বছর। অবশ্য ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে কাটানো সময়টা খুব বেশি সাফল্যমণ্ডিত হয়নি এই ফুটবলারের।
২০২৪ সালের এফএ কাপের ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে তিনি ইংলিশ ফুটবল অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ২-১ গোল জিতে এফএ কাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরার পর কোমোয় যোগ দেন ভারান। বিদায়ী বার্তায় ওই ট্রফিটিরই স্মৃতিচারণ করলেন তিনি।
‘ক্যারিয়ারে আমি অসংখ্যবার পড়েছি, আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছি। তবে এবার মনে হয়েছে, থেমে যাওয়ার এখনই সময়। ওয়েম্বলিতে শেষ ম্যাচে ট্রফি জয়ের স্মৃতি নিয়ে বুটজোড়া তুলে রাখার এটাই সঠিক সময়।’
ক্যারিয়ারে কোনো অনুশোচনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, নিজের খেলোয়াড়ি জীবন নিয়ে গর্ববোধ হয় তার।
‘আমার কোনো অনুশোচনা নেই। আমি কোনো কিছুরই পরিবর্তন চাই না। (ক্যারিয়ারে) এত ট্রফি জিতেছি যা আমি স্বপ্নেও কখনও ভাবিনি। তবে সবকিছুর উর্ধ্বে নিজের নীতিতে অটল থাকতে পারায় আমি গর্ববোধ করি। যেখানে যা পেয়েছি, আন্তরিকতা দিয়ে তা আরও ভালো করার চেষ্টা করেছি। আশা করি, সবাইকে গর্বিত করতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন: অবসরের বিষয়ে আগে কাউকে কিছু জানাবেন না রোনালদো
ক্লাব ফুটবলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার ভারানের। ২০১৩ সালে ফ্রান্সের হয়ে অভিষেকের পর ক্রমেই জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৮ সালে জেতেন বিশ্বকাপ। এরপর ২০২০-২১ মৌসুমে ফ্রান্সের উয়েফা নেশন্স লিগজয়ী দলেও ছিলেন তিনি। পরে ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপার কাছে গিয়েও ছোঁয়া হয়নি এই ডিফোন্ডারের।
এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান। এর সাত মাস না পেরোতেই ফুটবল থেকেই বিদায় নিয়ে নিলেন ভারান।
তবে খেলোয়াড়ি জীবন থেকে অবসরে গেলেও এখনই ফুটবল ছাড়ছেন না তিনি। কোমোয় মাঠের বাইরে নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। তবে সেটা ঠিক কী, তা এখনই স্পষ্ট করেননি ভারান।
এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘মাঠের বাইরে নতুন জীবন শুরু হচ্ছে। কোমোর সঙ্গেই থাকছি, তবে শুধু বুট আর শিন প্যাড পরা হবে না আর। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানাব।’
আরও পড়ুন: এবার বিদায় বলে দিলেন নয়ার
২ মাস আগে
ভিনিসিউসের মন্তব্যে ‘চটেছে’ রিয়াল মাদ্রিদ
বর্ণবাদ ইস্যুতে স্পেনকে কাঠগড়ায় তোলায় এবার ভিনিসিউস জুনিয়রের ওপর ক্ষেপেছে তারই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। শুধু তাই নয়, ব্রাজিলীয় এই ফরোয়ার্ড ক্লাবের আদর্শও ধারণ করছে না বলে অভিযোগ কর্তৃপক্ষের।
পর্তুগাল ও মরক্কোর সঙ্গে যৌথভাবে ২০৩০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চলেছে স্পেন। তবে দেশটিতে বর্ণবাদের অভিযোগ তুলে গত সপ্তাহে স্প্যানিশ পত্রিকাগুলোর প্রধান শিরোনাম হন ভিনিসিউস।
সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি না হলে ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
ভিনিসিউস বলেন, ‘২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের পরিবর্তনের অনেক জায়গা আছে। আশা করি, স্পেন (মানসিকভাবে) আরও বিকশিত হবে এবং বুঝতে পারবে যে গায়ের রঙের কারণে কাউকে অপমান করা কতটা গুরুতর অপরাধ।’
‘যদি ২০৩০ সালের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, আমি মনে করি আমাদের (বিশ্বকাপ) ভেন্যু সরিয়ে নিতে হবে। কারণ বর্ণবাদের শিকার হতে পারে- এমন আশঙ্কা যদি কোনো খেলোয়াড়ের থাকে, তাহলে তিনি সেই দেশে খেলতে মোটেও স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ বোধ বোধ করেন না। সেখানে তার জন্য খেলা কঠিন।’
ভিনিসিউসের এমন মন্তব্য স্পেনে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এ নিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে কেউ কেউ যুক্তি দিয়েছেন যে, ভিনিসিউস ভুলভাবে স্পেনকে বর্ণবাদী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এল চিরিঙ্গিতোয় এক শোতে মাদ্রিদ ও স্পেনের সাবেক গোলরক্ষক পাকো বুইয়ো বলেছেন, ‘দেশের সবাইকে এক কাতারে ফেলেছেন ভিনিসিউস, বিষয়টি ভাবলেই কষ্ট পাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
ভিনিসিউসের মন্তব্যে ক্ষেপেছেন মাদ্রিদের মেয়র হোসে লুইস মার্তিনেস-আলমেইদাও। বুধবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় রিয়াল তারকার বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি।
মেয়র বলেন, ‘আশা করি, অবিলম্বে তিনি এই বক্তব্য সংশোধন করবেন। হ্যাঁ, আমাদের সমাজে এখনও কিছু বর্ণবাদী ঘটনা ঘটছে এবং তাদের নির্মূল করার জন্য কঠোর পরিশ্রমও করছি আমরা। তবে স্পেন ও মাদ্রিদকে নিয়ে ঢালাওভাবে এটি বলা অন্যায় যে, আমরা একটি বর্ণবাদী সমাজ, যেমনটি তিনি বলেছেন।’
‘তার এই মন্তব্য মাদ্রিদ ও স্পেনে ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তিনি একজন অসাধারণ ফুটবলার, তার মানে এই নয় যে, মুখে যা আসে তিনি তা-ই বলবেন। অথচ সেটিই তিনি করে চলেছেন।’
মাদ্রিদ ও স্পেনের মানুষের কাছে ভিনিসিউসের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন মার্তিনেস-আলমেইদা।
ভিনির ক্লাব সতীর্থ ও অধিনায়ক দানি কারভাহালও এ বিষয়ে তার সমালোচনা করেন। এবার বিষয়টি নিয়ে খোদ রিয়াল মাদ্রিদ থেকে অসন্তোষের কথা জানা গেছে।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্তের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিনিসিউসের ওই মন্তব্যে মোটেও খুশি নয় রিয়াল মাদ্রিদ, বরং এই ফরোয়ার্ডের ওপর তারা ধৈর্য্য হারাতে শুরু করেছে।
ক্লাবটির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির দাবি, রিয়াল মাদ্রিদ বিশ্বের কাছে যে ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চায়, ভিনিসিউস তা ধারণ করে না বলেই বিশ্বাস ক্লাব কর্তৃপক্ষের। তাছাড়া মাঠেও তার আচরণ উত্তেজনাকর।
স্পোর্ত বলছে, যদি এসব চলতে থাকে, তবে আসন্ন ব্যালন দ’রের জয়ের অন্যতম ফেভারিট এই তারকাকে ছেড়ে দিতেও পিছপা হবে না রিয়াল মাদ্রিদ। আর তা সত্যি হলে বার্সেলোনার টার্গেট নিকো উইলিয়ামসের দিকে নজর দিতে পারে তারা।
এদিকে ভিনিকে পেতে মুখিয়ে রয়েছে সৌদি প্রো লিগ। তাকে দলে পেতে গত দলবদলের মৌসুমেও সৌদি আরব থেকে বিরাট অঙ্কের আর্থিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের জন্য সৌদির ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব ফেরাল রিয়াল
অবশ্য সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভিনিসিউস এও স্পষ্ট করেছিলেন যে, তার এই বক্তব্য কিছু সংখ্যক সমর্থকের উদ্দেশে।
ভিনি বলেন, ‘স্পেনের বেশিরভাগ মানুষই বর্ণবাদী নয়। তবে এমন একটি গোষ্ঠী রয়েছে, যারা এমন একটি দেশের ভাবমূর্তিকে প্রভাবিত করছে। আমি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতে ভালোবাসি। স্পেনকেও ভালোবাসি আমি। পরিবার নিয়ে বসবাসের জন্য এর চেয়ে ভালো পরিবেশ হয় না।’
‘তবে (আপত্তিকর) বিষয়গুলোর ব্যাপারে দেশটি আরও বিকশিত হতে পারে। ইতোমধ্যে তারা অনেক বিকশিত হয়েছে, কিন্তু উন্নতি করার আরও জায়গা রয়েছে, যেমন: ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে বর্ণবাদী ঘটনা ও বর্ণবাদ কমাতে পারে এবং সেটিই হওয়া উচিত।’
৩ মাস আগে
বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
বর্ণবাদ ইস্যুতে উন্নতি না হলে স্পেন থেকে ২০৩০ বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র।
ক্যারিয়ারে অসংখ্যাবার বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার। মাদ্রিদে আসার পরও বিপক্ষ দলের সমর্থকদের কাছ থেকে বারবার হেনস্তার শিকার হন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত জুনে ভ্যালেন্সিয়ার তিন সমর্থককে আট মাসের কারাদণ্ড দেয় স্পেনের একটি আদালত।
স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কো যৌথভাবে আয়োজন করবে ২০৩০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ। গত সপ্তাহে সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভিনিসিউস বলেন, এ বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি না হলে ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের পরিবর্তনের অনেক জায়গা আছে। আশা করি, স্পেন (মানসিকভাবে) আরও বিকশিত হবে এবং বুঝতে পারবে যে গায়ের রঙের কারণে কাউকে অপমান করা কতটা গুরুতর অপরাধ।’
‘যদি ২০৩০ সালের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, আমি মনে করি আমাদের (বিশ্বকাপ) ভেন্যু সরিয়ে নিতে হবে। কারণ বর্ণবাদের শিকার হতে পারে- এমন আশঙ্কা যদি কোনো খেলোয়াড়ের থাকে, তাহলে তিনি সেই দেশে খেলতে মোটেও স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ বোধ বোধ করেন না। সেখানে তার জন্য খেলা কঠিন।’
ভিনিসিউসের এমন মন্তব্য স্পেনে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এ নিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে কেউ কেউ যুক্তি দিয়েছেন যে, ভিনিসিউস ভুলভাবে স্পেনকে বর্ণবাদী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এল চিরিঙ্গিতোয় এক শোতে মাদ্রিদ ও স্পেনের সাবেক গোলরক্ষক পাকো বুইয়ো বলেছেন, ‘দেশের সবাইকে এক কাতারে ফেলেছেন ভিনিসিউস, বিষয়টি ভাবলেই কষ্ট পাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের জন্য সৌদির ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব ফেরাল রিয়াল
ভিনিসিউসের মন্তব্যে ক্ষেপেছেন মাদ্রিদের মেয়র হোসে লুইস মার্তিনেস-আলমেইদাও। বুধবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় রিয়াল তারকার বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি।
মেয়র বলেন, ‘আশা করি, অবিলম্বে তিনি এই বক্তব্য সংশোধন করবেন। হ্যাঁ, আমাদের সমাজে এখনও কিছু বর্ণবাদী ঘটনা ঘটছে এবং তাদের নির্মূল করার জন্য কঠোর পরিশ্রমও করছি আমরা। তবে স্পেন ও মাদ্রিদকে নিয়ে ঢালাওভাবে এটি বলা অন্যায় যে, আমরা একটি বর্ণবাদী সমাজ, যেমনটি তিনি বলেছেন।’
‘তার এই মন্তব্য মাদ্রিদ ও স্পেনে ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তিনি একজন অসাধারণ ফুটবলার, তার মানে এই নয় যে, মুখে যা আসে তিনি তা-ই বলবেন। অথচ সেটিই তিনি করে চলেছেন।’
মাদ্রিদ ও স্পেনের মানুষের কাছে ভিনিসিউসের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন মার্তিনেস-আলমেইদা।
৩ মাস আগে
নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় ভক্তদের সতর্ক করল আর্জেন্টিনা
ম্যাচ চলাকালে গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের কোনো ধরনের আপত্তিকর ও বৈষম্যপূর্ণ স্লোগান দেওয়া থেকে বিরতে থাকতে অনুরোধ করেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হতে পারে বলে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ভক্তদের সতর্ক করা হয়েছে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টায় চিলির বিপক্ষে মাঠে নামবে বর্তমান কোপা আমেরিকা ও বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। রিভারপ্লেটের এস্তাদিও মাস মনুমেন্তালে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। তার আগে সমর্থকদের এই সতর্কতামূলক বার্তা দিল এএফএ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টের মাধ্যমে ভক্ত-সমর্থকদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ‘আক্রমণাত্মক বা বৈষম্যমূলক স্লোগান দেওয়া হলে ঘরের মাঠে আয়োজিত আর্জেন্টিনার পরবর্তী ম্যাচে দর্শক উপস্থিতি কমানোর শাস্তি দেবে ফিফা।’
আরও পড়ুন: মেসিকে ছাড়াই বিশ্বকাপ বাছাই খেলবে আর্জেন্টিনা
চিলির বিপক্ষে যদি কোনো ধরনের আপত্তিকর বা বর্ণবাদী স্লোগান শোনা যায়, তাহলে আগামী ১৫ অক্টোবর বলিভিয়ার বিপক্ষে বুয়েনস এইরেসে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে শাস্তি আরোপ করা হবে। তাই আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার না দলকে সমর্থন করার ওপর জোর দিয়েছে আর্জেন্টিনা।
গত জুনে কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়াকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরার পর দলের উদযাপনের একটি ভিডিও শেয়ার করেন আর্জেন্টিনা মিডফিল্ডার এনসো ফের্নান্দেস। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ফ্রান্সের আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের নিয়ে বর্ণবাদী স্লোগান দিচ্ছেন চেলসি মিডফিল্ডার।
ওই ঘটনার পর ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ইংলিশ ক্লাব চেলসি ও ফিফা।
আরও পড়ুন: ১-০ গোলে কলম্বিয়াকে হারিয়ে ১৬তম কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতে আর্জেন্টিনার রেকর্ড
তবে ব্যাপক সমালোচনার পরও ঘরোয়া ফুটবলে বারবার ওই স্লোগানটি গেয়েছেন দেশটির সমর্থকরা। তাই বিশ্বকাপ বাছাই শুরুর আগেই ভক্তদের সতর্ক করল এএফএ।
ছয় ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের লাতিন অঞ্চলের বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। চিলি ম্যাচের পর আগামী মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) কলম্বিয়ার মাঠে খেলতে যাবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
৩ মাস আগে
বৃষ্টিতে ডুবল পাকিস্তানের স্বপ্ন, শেষ আটে যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নিয়েই সুপার এইটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এই স্বপপূরণে নিজেদের শেষ ম্যাচে আইরিশদের বধ করতে হতো তাদের। তবে বৃষ্টি এসে বিনা কষ্টেই যুক্তরাষ্ট্রের স্বপ্নপূরণ করে দিয়েছে।
এতে কপাল পুড়েছে পাকিস্তানের। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে তাদের সুপার এইটে ওঠার সম্ভাবনা জটিল সমীকরণের মধ্যে পড়ে যায়।
শুক্রবার আয়ারল্যান্ড জিতলেই কেবল শেষ আটের স্বপ্ন বেঁচে থাকত পাকিস্তানের। এরপর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ভাগ্য নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তা পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হতো বাবর আজমের দলের। তবে বৃষ্টিতে ম্যাচটি ভেসে যাওয়ায় তাদের সেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। চার ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার এইটে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃষ্টির কারণে এ ম্যাচে টস হতে দেরি হয়। প্রাথমিকভাবে রাত আটটার পরিবর্তে সাড়ে ৮টায় টস হওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও ভেজা মাঠের কারণে কয়েক ঘণ্টায় বেশ কয়েকবার মাঠের অবস্থা পরীক্ষা করেন দুই আম্পায়ার। তবে শেষ পর্যন্ত খেলার সম্মতি দিতে ব্যর্থ হন তারা।
এর ফলে পাকিস্তানের পাশাপাশি কানাডা ও আয়ারল্যান্ডেরও সব সমীকরণ শেষ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: সুপার এইটের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র
৬ মাস আগে