বিশ্বকাপ
দায়িত্ব নিয়েই ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জেতানোর প্রত্যয় টুখেলের
ইংল্যান্ড জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েই বড় প্রাপ্তির প্রত্যয় ঝরেছে টমাস টুখেলের কণ্ঠে। ইংলিশদের ৫৮ বছরের বিশ্বকাপ খরা ঘোচানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) অন্তর্বতীকালীন কোচ লি কার্সলির জায়গায় টুখেলকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)।
আগামী বছরের প্রথম দিন থেকেই দায়িত্ব পালন শুরু করবেন ৫১ বছর বয়সী এই কোচ। এর ফলে মাত্র তৃতীয় কোচ হিসেবে ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নেবেন তিনি।
বুধবার নতুন দায়িত্বের বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন টুখেল। এ সময় ইংল্যান্ডের মতো দলের মাধ্যমে জাতীয় দলে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারায় সম্মানিত বোধ করার কথা জানান তিনি।
‘আমি যা করছি, তা করতে ভালোবাসি। তাছাড়া ফুটবলের প্রতি আমার আলাদা টান রয়েছে।’
‘(ইংল্যান্ডের কোচের) ভূমিকাটি আমাকে নিজের তরুণ বয়সের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। সে সময় যেমন নতুন পেলেই উৎসাহী হয়ে উঠতাম, এখন তেমনই অনুভূত হচ্ছে। ফলে নিজের আবেগ দিয়ে যে শতভাগ চেষ্টা করব, এ বিষয়ে সবাইকে এখনই আশ্বস্ত করতে পারি।’
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের কোচ হলেন টুখেল
স্বদেশি কোচকে দায়িত্ব না দিয়ে একজন জার্মানের ওপর আস্থা রাখায় ইংল্যান্ডজুড়ে এফএর সমালোচনাও কম হচ্ছে না। সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়েও কথা বলেন টুখেল।
‘আশা করছি, আগামী ১৮ মাসে কাজ দিয়ে তাদের নিজেকে প্রমাণ করতে পারব। তাদের (সমালোচকদের) দেখিয়ে দিতে পারব যে, ইংলিশ ফুটবল ও এই দায়িত্ব নিয়ে আমি কতটা গর্বিত।’
এই সময়ের মধ্যে নিজের সর্বোচ্চ লক্ষ্য যে ২০২৬ বিশ্বকাপ জয়, সেটিও এক ফাঁকে বলে দিলেন এই কোচ।
‘(ইংল্যান্ডের) জার্সিতে আমি দ্বিতীয় তারকা যুক্ত করতে চাই। ফুটবলের সর্বোচ্চ লক্ষ্য অর্জনে আমরা কঠোর পরিশ্রম করব। ২০২৬ বিশ্বকাপেই যেন আমাদের স্বপ্নপূরণ হয়, তার জন্য চেষ্টার কমতি থাকবে না।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ইউরোর ফাইনালে স্পেনের কাছে হেরে ইংল্যান্ডের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান গ্যারেথ সাউথগেট। তারপর থেকেই নতুন কোচের সন্ধানে ছিল তারা। এই সময়ে অন্তর্বতীকালীন কোচ হিসেবে উয়েফা নেশন্স লিগে ইংল্যান্ডকে দিশা দেখাচ্ছেন লি কার্সলি।
তবে চুক্তি নবায়ন প্রশ্নে আরও বেশি সময় ধরে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ভার বইতে তিনি রাজি হননি। ফলে টুখেলকে বেছে নিয়েছে এফএ।
কার্সলির অধীনে এ পর্যন্ত উয়েফা নেশন্স লিগে চারটি ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। এর তিনটিতে জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ লিগের ২ নম্বর গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তারা। গ্রুপের বাকি দুই রাউন্ডে আগামী মাসে গ্রিস ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে ইংল্যান্ড। ওই দুই ম্যাচেও ডাগআউটে থাকবেন কার্সলি। এরপরই নতুন বছরে নতুন যাত্রা শুরু করবেন টুখেল।
১ মাস আগে
হ্যাটট্রিক করে রোনালদোকে ছুঁলেন মেসি
ক্যারিয়ারের একেবারে শেষপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি। তারপরও রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলায় একের পর এক একে অপরকে টেক্কা দিয়ে চলেছেন।
মঙ্গলবার রাতে লাতিন আমেরিকা পর্বের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বলিভিয়াকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচে হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি আরও দুটি অ্যাসিস্টসহ মোট ৫ গোলে অবদান রেখেছেন আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো।
বলিভিয়ার বিপক্ষে এটি ছিল মেসির ক্যারিয়ারের ৫৮তম হ্যাটট্রিক, দেশের জার্সিতে যা দশম। এতেই পর্তুগিজ মহাতারকার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন তিনি।
২০২১ সালে লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে পর্তুগালের ৫-০ গোলের জয়ের ম্যাচে দেশের জার্সিতে দশম হ্যাটট্রিক করেন রোনালদো। ছেলেদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে সুইডেনের সভেন রিডেলের সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিকের রেকর্ড (৯) ভেঙে সেদিন অনন্য উচ্চতায় ওঠেন তিনি। এর তিন বছরের মধ্যে তাকে ছুঁয়ে ফেললেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মেসি।
অবশ্য ১০ম হ্যাটট্রিকের দেখা পেতে ১৯১ ম্যাচ খেলা লাগে রোনালদোর, মেসির সেখানে লাগল ১৮৯ ম্যাচ।
আরও পড়ুন: পর্তুগালের জয়ের রাতে ইতিহাস গড়লেন রোনালদো
তবে আন্তর্জাতিক গোলসংখ্যায় মেসির চেয়ে অনেক উপরে রয়েছেন রোনালদো। পর্তুগালের হয়ে ২১৬ ম্যাচে ১৩৩ গোল করেছেন তিনি, যেখানে এই ম্যাচের পর ১৮৯ ম্যাচে ১১২ গোল হলো মেসির। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলের তালিকায় এ দুজনই সবার উপরে। ১৪৮ ম্যাচে ১০৮ গোল নিয়ে তাদের পরে রয়েছেন ইরানের সাবেক ফরোয়ার্ড আলী দাইয়ি।
এদিকে, ক্যারিয়ার হ্যাটট্রিকেও মেসির চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন রোনালদো। মেসির ৫৮ হ্যাটট্রিকের জায়গায় রোনালদোর হ্যাটট্রিক সংখ্যা ৬৬টি। তবে পেশাদার ফুটবলে তাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন আরও তিন ফুটবলার। ১৪১টির বেশি হ্যাটট্রিক নিয়ে এই তালিকায় সবার উপরে জার্মানির এরভিন হেলমশেন, ১০১টির বেশি হ্যাটট্রিক করেছেন অস্ট্রিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের হয়ে খেলা জোসেফ বাইকান এবং ১০০টির বেশি হ্যাটট্রিক রয়েছে হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক ডিকের।
এছাড়া, লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি হ্যাটট্রিক করলেন মেসি। এর ২টিই বলিভিয়ার বিপক্ষে, অন্যটি ইকুয়েডরের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন: শেষ লগ্নেও মায়া ছড়িয়ে চলেছেন মেসি রোনালদো
এদিনের ম্যাচের পর ১০ ম্যাচে ৭ জয় ও ১ ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করল আর্জেন্টিনা। ৩ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলম্বিয়া।
দিনের অপর ম্যাচে রাফিনিয়ার জোড়া পেনাল্টির পর পেরুকে ৪-০ গোলে হারিয়ে সমান সংখ্যক ম্যাচে ৫টি জয় ও একটি ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ব্রাজিল। সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে তাদের চেয়ে এগিয়ে থাকায় তিনে রয়েছে উরুগুয়ে। ইকুয়েডরের বিপক্ষে এদিন গোলশূন্য ড্র করেছে মার্সেলো বিয়েলসার শিষ্যরা।
১ মাস আগে
৩১ বছরেই বিদায় বলে দিলেন ভারান
চোটের সঙ্গে লড়াই করতে করতে এবার থেমেই গেলেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার রাফায়েল ভারান। আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলেছিলেন আগেই, এবার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার থেকেও ছুটি নিয়ে নিলেন ৩১ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করে অবসরের ঘোষণা দেন এক যুগের বেশি সময় ধরে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে মাঠে আলো ছড়ানোর পর সম্প্রতি ইতালির ক্লাব কোমোয় যোগ দেওয়া এই ফুটবলার।
তিন মৌসুম খেলার পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে এ বছরের জুলাইয়ে ইতালিতে পাড়ি জমান ভারান। সদ্য সেরি-আয় উঠে আসা সেস্ক ফাব্রিগাসের ক্লাব কোমোয় যোগ দেন তিনি। কিন্তু ক্লাবটির হয়ে প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই চোটের কবলে পড়েন তিনি।
১১ আগস্ট কোপা ইতালিয়ায় সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে মাত্র ২৩ মিনিট খেলেই মাঠ ছাড়তে হয় তার। এরপর থেকে মাঠের বাইরে রয়েছেন ভারান। গতরাতে আতালান্তার মতো বড় দলকে হারিয়ে সেরি-আয় প্রথম ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেয়েছে তার দল। অথচ, এই ম্যাচেও তিনি দর্শক হয়ে ছিলেন।
এরপর গতরাতেই জানা যায়, অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন ক্যারিয়ারে অসংখ্য ট্রফি জেতা এই ফুটবলার, আর সকাল হতেই সিদ্ধান্তটি জানিয়ে দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে এবার ইতালিতে পাড়ি জমালেন ভারান
ইনস্টাগ্রামে ভারান লিখেছেন, ‘(ফুটবল ক্যারিয়ারে) আমি নিজের সর্বোচ্চ মান ধরে রেখেছি। প্রতিবার মাঠে নামলে আমি শক্তভাবেই নামতে চাই, খেলার জন্য জোর করে আমি (ফুটবল) আঁকড়ে থাকতে চাই না। নিজের হৃদয় ও অনুভূতি যা বলছে, তা শোনার জন্য অসামান্য সাহসের প্রয়োজন হয়।’
২০১০ সালে ফরাসি ক্লাব লঁসের জার্সিতে পেশাদার ফুটবলে প্রথম মাঠে নামেন ভারান। সেখানে এক বছর কাটানোর পর প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে তাকে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে নিয়ে আসে রিয়াল মাদ্রিদ।
রিয়াল মাদ্রিদের মতো এলিট ক্লাবে পা রাখতেই নিজেকে মেলে ধরা শুরু করেন ভারান। দীর্ঘ ১০ বছর ক্লাবটির জার্সিতে তিনি খেলেছেন ৩৬০ ম্যাচ। এ সময়ে জিতেছেন চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, চারটি ক্লাব বিশ্বকাপ ও তিনটি লা লিগাসহ মোট ১৮টি শিরোপা। এরপর ২০২১ সালে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান তিনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সি পরে খেলেন তিন বছর। অবশ্য ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে কাটানো সময়টা খুব বেশি সাফল্যমণ্ডিত হয়নি এই ফুটবলারের।
২০২৪ সালের এফএ কাপের ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে তিনি ইংলিশ ফুটবল অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ২-১ গোল জিতে এফএ কাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরার পর কোমোয় যোগ দেন ভারান। বিদায়ী বার্তায় ওই ট্রফিটিরই স্মৃতিচারণ করলেন তিনি।
‘ক্যারিয়ারে আমি অসংখ্যবার পড়েছি, আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছি। তবে এবার মনে হয়েছে, থেমে যাওয়ার এখনই সময়। ওয়েম্বলিতে শেষ ম্যাচে ট্রফি জয়ের স্মৃতি নিয়ে বুটজোড়া তুলে রাখার এটাই সঠিক সময়।’
ক্যারিয়ারে কোনো অনুশোচনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, নিজের খেলোয়াড়ি জীবন নিয়ে গর্ববোধ হয় তার।
‘আমার কোনো অনুশোচনা নেই। আমি কোনো কিছুরই পরিবর্তন চাই না। (ক্যারিয়ারে) এত ট্রফি জিতেছি যা আমি স্বপ্নেও কখনও ভাবিনি। তবে সবকিছুর উর্ধ্বে নিজের নীতিতে অটল থাকতে পারায় আমি গর্ববোধ করি। যেখানে যা পেয়েছি, আন্তরিকতা দিয়ে তা আরও ভালো করার চেষ্টা করেছি। আশা করি, সবাইকে গর্বিত করতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন: অবসরের বিষয়ে আগে কাউকে কিছু জানাবেন না রোনালদো
ক্লাব ফুটবলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার ভারানের। ২০১৩ সালে ফ্রান্সের হয়ে অভিষেকের পর ক্রমেই জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৮ সালে জেতেন বিশ্বকাপ। এরপর ২০২০-২১ মৌসুমে ফ্রান্সের উয়েফা নেশন্স লিগজয়ী দলেও ছিলেন তিনি। পরে ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপার কাছে গিয়েও ছোঁয়া হয়নি এই ডিফোন্ডারের।
এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান। এর সাত মাস না পেরোতেই ফুটবল থেকেই বিদায় নিয়ে নিলেন ভারান।
তবে খেলোয়াড়ি জীবন থেকে অবসরে গেলেও এখনই ফুটবল ছাড়ছেন না তিনি। কোমোয় মাঠের বাইরে নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। তবে সেটা ঠিক কী, তা এখনই স্পষ্ট করেননি ভারান।
এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘মাঠের বাইরে নতুন জীবন শুরু হচ্ছে। কোমোর সঙ্গেই থাকছি, তবে শুধু বুট আর শিন প্যাড পরা হবে না আর। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানাব।’
আরও পড়ুন: এবার বিদায় বলে দিলেন নয়ার
১ মাস আগে
ভিনিসিউসের মন্তব্যে ‘চটেছে’ রিয়াল মাদ্রিদ
বর্ণবাদ ইস্যুতে স্পেনকে কাঠগড়ায় তোলায় এবার ভিনিসিউস জুনিয়রের ওপর ক্ষেপেছে তারই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। শুধু তাই নয়, ব্রাজিলীয় এই ফরোয়ার্ড ক্লাবের আদর্শও ধারণ করছে না বলে অভিযোগ কর্তৃপক্ষের।
পর্তুগাল ও মরক্কোর সঙ্গে যৌথভাবে ২০৩০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চলেছে স্পেন। তবে দেশটিতে বর্ণবাদের অভিযোগ তুলে গত সপ্তাহে স্প্যানিশ পত্রিকাগুলোর প্রধান শিরোনাম হন ভিনিসিউস।
সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি না হলে ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
ভিনিসিউস বলেন, ‘২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের পরিবর্তনের অনেক জায়গা আছে। আশা করি, স্পেন (মানসিকভাবে) আরও বিকশিত হবে এবং বুঝতে পারবে যে গায়ের রঙের কারণে কাউকে অপমান করা কতটা গুরুতর অপরাধ।’
‘যদি ২০৩০ সালের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, আমি মনে করি আমাদের (বিশ্বকাপ) ভেন্যু সরিয়ে নিতে হবে। কারণ বর্ণবাদের শিকার হতে পারে- এমন আশঙ্কা যদি কোনো খেলোয়াড়ের থাকে, তাহলে তিনি সেই দেশে খেলতে মোটেও স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ বোধ বোধ করেন না। সেখানে তার জন্য খেলা কঠিন।’
ভিনিসিউসের এমন মন্তব্য স্পেনে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এ নিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে কেউ কেউ যুক্তি দিয়েছেন যে, ভিনিসিউস ভুলভাবে স্পেনকে বর্ণবাদী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এল চিরিঙ্গিতোয় এক শোতে মাদ্রিদ ও স্পেনের সাবেক গোলরক্ষক পাকো বুইয়ো বলেছেন, ‘দেশের সবাইকে এক কাতারে ফেলেছেন ভিনিসিউস, বিষয়টি ভাবলেই কষ্ট পাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
ভিনিসিউসের মন্তব্যে ক্ষেপেছেন মাদ্রিদের মেয়র হোসে লুইস মার্তিনেস-আলমেইদাও। বুধবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় রিয়াল তারকার বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি।
মেয়র বলেন, ‘আশা করি, অবিলম্বে তিনি এই বক্তব্য সংশোধন করবেন। হ্যাঁ, আমাদের সমাজে এখনও কিছু বর্ণবাদী ঘটনা ঘটছে এবং তাদের নির্মূল করার জন্য কঠোর পরিশ্রমও করছি আমরা। তবে স্পেন ও মাদ্রিদকে নিয়ে ঢালাওভাবে এটি বলা অন্যায় যে, আমরা একটি বর্ণবাদী সমাজ, যেমনটি তিনি বলেছেন।’
‘তার এই মন্তব্য মাদ্রিদ ও স্পেনে ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তিনি একজন অসাধারণ ফুটবলার, তার মানে এই নয় যে, মুখে যা আসে তিনি তা-ই বলবেন। অথচ সেটিই তিনি করে চলেছেন।’
মাদ্রিদ ও স্পেনের মানুষের কাছে ভিনিসিউসের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন মার্তিনেস-আলমেইদা।
ভিনির ক্লাব সতীর্থ ও অধিনায়ক দানি কারভাহালও এ বিষয়ে তার সমালোচনা করেন। এবার বিষয়টি নিয়ে খোদ রিয়াল মাদ্রিদ থেকে অসন্তোষের কথা জানা গেছে।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্তের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিনিসিউসের ওই মন্তব্যে মোটেও খুশি নয় রিয়াল মাদ্রিদ, বরং এই ফরোয়ার্ডের ওপর তারা ধৈর্য্য হারাতে শুরু করেছে।
ক্লাবটির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটির দাবি, রিয়াল মাদ্রিদ বিশ্বের কাছে যে ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চায়, ভিনিসিউস তা ধারণ করে না বলেই বিশ্বাস ক্লাব কর্তৃপক্ষের। তাছাড়া মাঠেও তার আচরণ উত্তেজনাকর।
স্পোর্ত বলছে, যদি এসব চলতে থাকে, তবে আসন্ন ব্যালন দ’রের জয়ের অন্যতম ফেভারিট এই তারকাকে ছেড়ে দিতেও পিছপা হবে না রিয়াল মাদ্রিদ। আর তা সত্যি হলে বার্সেলোনার টার্গেট নিকো উইলিয়ামসের দিকে নজর দিতে পারে তারা।
এদিকে ভিনিকে পেতে মুখিয়ে রয়েছে সৌদি প্রো লিগ। তাকে দলে পেতে গত দলবদলের মৌসুমেও সৌদি আরব থেকে বিরাট অঙ্কের আর্থিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের জন্য সৌদির ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব ফেরাল রিয়াল
অবশ্য সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভিনিসিউস এও স্পষ্ট করেছিলেন যে, তার এই বক্তব্য কিছু সংখ্যক সমর্থকের উদ্দেশে।
ভিনি বলেন, ‘স্পেনের বেশিরভাগ মানুষই বর্ণবাদী নয়। তবে এমন একটি গোষ্ঠী রয়েছে, যারা এমন একটি দেশের ভাবমূর্তিকে প্রভাবিত করছে। আমি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতে ভালোবাসি। স্পেনকেও ভালোবাসি আমি। পরিবার নিয়ে বসবাসের জন্য এর চেয়ে ভালো পরিবেশ হয় না।’
‘তবে (আপত্তিকর) বিষয়গুলোর ব্যাপারে দেশটি আরও বিকশিত হতে পারে। ইতোমধ্যে তারা অনেক বিকশিত হয়েছে, কিন্তু উন্নতি করার আরও জায়গা রয়েছে, যেমন: ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে বর্ণবাদী ঘটনা ও বর্ণবাদ কমাতে পারে এবং সেটিই হওয়া উচিত।’
২ মাস আগে
বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
বর্ণবাদ ইস্যুতে উন্নতি না হলে স্পেন থেকে ২০৩০ বিশ্বকাপ সরিয়ে নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র।
ক্যারিয়ারে অসংখ্যাবার বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার। মাদ্রিদে আসার পরও বিপক্ষ দলের সমর্থকদের কাছ থেকে বারবার হেনস্তার শিকার হন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত জুনে ভ্যালেন্সিয়ার তিন সমর্থককে আট মাসের কারাদণ্ড দেয় স্পেনের একটি আদালত।
স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কো যৌথভাবে আয়োজন করবে ২০৩০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ। গত সপ্তাহে সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভিনিসিউস বলেন, এ বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি না হলে ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের পরিবর্তনের অনেক জায়গা আছে। আশা করি, স্পেন (মানসিকভাবে) আরও বিকশিত হবে এবং বুঝতে পারবে যে গায়ের রঙের কারণে কাউকে অপমান করা কতটা গুরুতর অপরাধ।’
‘যদি ২০৩০ সালের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, আমি মনে করি আমাদের (বিশ্বকাপ) ভেন্যু সরিয়ে নিতে হবে। কারণ বর্ণবাদের শিকার হতে পারে- এমন আশঙ্কা যদি কোনো খেলোয়াড়ের থাকে, তাহলে তিনি সেই দেশে খেলতে মোটেও স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ বোধ বোধ করেন না। সেখানে তার জন্য খেলা কঠিন।’
ভিনিসিউসের এমন মন্তব্য স্পেনে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এ নিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে কেউ কেউ যুক্তি দিয়েছেন যে, ভিনিসিউস ভুলভাবে স্পেনকে বর্ণবাদী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এল চিরিঙ্গিতোয় এক শোতে মাদ্রিদ ও স্পেনের সাবেক গোলরক্ষক পাকো বুইয়ো বলেছেন, ‘দেশের সবাইকে এক কাতারে ফেলেছেন ভিনিসিউস, বিষয়টি ভাবলেই কষ্ট পাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের জন্য সৌদির ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব ফেরাল রিয়াল
ভিনিসিউসের মন্তব্যে ক্ষেপেছেন মাদ্রিদের মেয়র হোসে লুইস মার্তিনেস-আলমেইদাও। বুধবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় রিয়াল তারকার বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি।
মেয়র বলেন, ‘আশা করি, অবিলম্বে তিনি এই বক্তব্য সংশোধন করবেন। হ্যাঁ, আমাদের সমাজে এখনও কিছু বর্ণবাদী ঘটনা ঘটছে এবং তাদের নির্মূল করার জন্য কঠোর পরিশ্রমও করছি আমরা। তবে স্পেন ও মাদ্রিদকে নিয়ে ঢালাওভাবে এটি বলা অন্যায় যে, আমরা একটি বর্ণবাদী সমাজ, যেমনটি তিনি বলেছেন।’
‘তার এই মন্তব্য মাদ্রিদ ও স্পেনে ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তিনি একজন অসাধারণ ফুটবলার, তার মানে এই নয় যে, মুখে যা আসে তিনি তা-ই বলবেন। অথচ সেটিই তিনি করে চলেছেন।’
মাদ্রিদ ও স্পেনের মানুষের কাছে ভিনিসিউসের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন মার্তিনেস-আলমেইদা।
২ মাস আগে
নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় ভক্তদের সতর্ক করল আর্জেন্টিনা
ম্যাচ চলাকালে গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের কোনো ধরনের আপত্তিকর ও বৈষম্যপূর্ণ স্লোগান দেওয়া থেকে বিরতে থাকতে অনুরোধ করেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হতে পারে বলে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ভক্তদের সতর্ক করা হয়েছে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টায় চিলির বিপক্ষে মাঠে নামবে বর্তমান কোপা আমেরিকা ও বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। রিভারপ্লেটের এস্তাদিও মাস মনুমেন্তালে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। তার আগে সমর্থকদের এই সতর্কতামূলক বার্তা দিল এএফএ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টের মাধ্যমে ভক্ত-সমর্থকদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ‘আক্রমণাত্মক বা বৈষম্যমূলক স্লোগান দেওয়া হলে ঘরের মাঠে আয়োজিত আর্জেন্টিনার পরবর্তী ম্যাচে দর্শক উপস্থিতি কমানোর শাস্তি দেবে ফিফা।’
আরও পড়ুন: মেসিকে ছাড়াই বিশ্বকাপ বাছাই খেলবে আর্জেন্টিনা
চিলির বিপক্ষে যদি কোনো ধরনের আপত্তিকর বা বর্ণবাদী স্লোগান শোনা যায়, তাহলে আগামী ১৫ অক্টোবর বলিভিয়ার বিপক্ষে বুয়েনস এইরেসে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে শাস্তি আরোপ করা হবে। তাই আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার না দলকে সমর্থন করার ওপর জোর দিয়েছে আর্জেন্টিনা।
গত জুনে কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়াকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরার পর দলের উদযাপনের একটি ভিডিও শেয়ার করেন আর্জেন্টিনা মিডফিল্ডার এনসো ফের্নান্দেস। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ফ্রান্সের আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের নিয়ে বর্ণবাদী স্লোগান দিচ্ছেন চেলসি মিডফিল্ডার।
ওই ঘটনার পর ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ইংলিশ ক্লাব চেলসি ও ফিফা।
আরও পড়ুন: ১-০ গোলে কলম্বিয়াকে হারিয়ে ১৬তম কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতে আর্জেন্টিনার রেকর্ড
তবে ব্যাপক সমালোচনার পরও ঘরোয়া ফুটবলে বারবার ওই স্লোগানটি গেয়েছেন দেশটির সমর্থকরা। তাই বিশ্বকাপ বাছাই শুরুর আগেই ভক্তদের সতর্ক করল এএফএ।
ছয় ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের লাতিন অঞ্চলের বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। চিলি ম্যাচের পর আগামী মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) কলম্বিয়ার মাঠে খেলতে যাবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
২ মাস আগে
বৃষ্টিতে ডুবল পাকিস্তানের স্বপ্ন, শেষ আটে যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নিয়েই সুপার এইটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এই স্বপপূরণে নিজেদের শেষ ম্যাচে আইরিশদের বধ করতে হতো তাদের। তবে বৃষ্টি এসে বিনা কষ্টেই যুক্তরাষ্ট্রের স্বপ্নপূরণ করে দিয়েছে।
এতে কপাল পুড়েছে পাকিস্তানের। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে তাদের সুপার এইটে ওঠার সম্ভাবনা জটিল সমীকরণের মধ্যে পড়ে যায়।
শুক্রবার আয়ারল্যান্ড জিতলেই কেবল শেষ আটের স্বপ্ন বেঁচে থাকত পাকিস্তানের। এরপর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ভাগ্য নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তা পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হতো বাবর আজমের দলের। তবে বৃষ্টিতে ম্যাচটি ভেসে যাওয়ায় তাদের সেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। চার ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার এইটে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃষ্টির কারণে এ ম্যাচে টস হতে দেরি হয়। প্রাথমিকভাবে রাত আটটার পরিবর্তে সাড়ে ৮টায় টস হওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও ভেজা মাঠের কারণে কয়েক ঘণ্টায় বেশ কয়েকবার মাঠের অবস্থা পরীক্ষা করেন দুই আম্পায়ার। তবে শেষ পর্যন্ত খেলার সম্মতি দিতে ব্যর্থ হন তারা।
এর ফলে পাকিস্তানের পাশাপাশি কানাডা ও আয়ারল্যান্ডেরও সব সমীকরণ শেষ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: সুপার এইটের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র
৫ মাস আগে
টাইগারদের বোলিং তোপে কাঁপছে দক্ষিণ আফ্রিকা
টস জিতে প্রথমবারের মতো শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে পড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। ২৩ রান তুলতেই প্রথম চার ব্যাটারকে হারিয়ে চোখে সর্ষের ফুল দেখছে প্রোটিয়ারা।
এদিন ইনিংসের শুরুতে রিশাদের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক শান্ত। তার প্রথম বলটি ডট গেলেও পরের দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে রানের খাতা খোলেন কুইন্টন ডি কক। পঞ্চম বলে স্ট্রাইক রোটেট করলে রিশাদের প্রথম বল মোকাবিলা করতে গিয়েই লেগ বিফোর হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রিজা হেনড্রিকস।
প্রথম ওভারে ১১ রান দিলেও ব্রেকথ্রু পান রিশাদ। সফল হয় শান্তর কৌশল।
দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেও তাসকিনকে ছক্কা মারেন ডি কক। তবে তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসা তানজিম সাকিবের কাছে পরাস্ত হন তিনি। ওভারের প্রথম দুটি বল ডট যাওয়ার পর অফ স্ট্যাম্পে রাখা তৃতীয় বলটি স্কয়ার ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন ডি কক। কিন্তু বল কিছুটা নিচে হওয়ায় ব্যাটে সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে অফ স্ট্যাম্প ভেঙে দিয়ে চলে যায় তা। আর এর সঙ্গে উল্লাসে মাতে টাইগার সমর্থকরা। তিনি ১১ বলে দুই ছক্কা ও একটি চারে ১৮ রান করে ফিরলে দলীয় ১৯ রানের মাথায় দুই ওপেনারকে হারায় প্রোটিয়ারা।
পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে তাসকিনকে একটি চার মেরে পঞ্চম বলে বোল্ড হয়ে যান এইডেন মার্করাম। এর ফলে চলমান বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে তার ব্যর্থতা অব্যাহত থাকল।
পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফের গ্যালারির বাংলাদেশি ভক্তদের মাঝে উচ্ছ্বাস। ট্রিস্টান স্টাবসকে আউট করেন তানজিম সাকিব। তানজিমের আউটসাইড অফ স্ট্যাম্পের ডেলিভারিটি কভারের দিকে সজোরে পেটান স্টাবস। কিন্তু চকিতে ঝাঁপিয়ে তা তালুবন্দি করেন সাকিব আল হাসান। ফলে ৫ বলে খালি হাতে ফিরতে হয় তাকে।
২৩ রানের মাথায় তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫ ওভার শেষ চার উইকেটে ২৪ রান করেছে প্রোটিয়ারা। ডেভিড মিলার ১ ও ক্লাসেন শূন্য রানে অপরাজিত থেকে ক্রিজে রয়েছেন।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, জাকের আলী, মাহমুদউল্লাহ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, মুস্তাফিজুর রহমান।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: রিজা হেনড্রিকস, কুইন্টন ডি কক, এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ট্রিস্টান স্টাবস, হাইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নর্টকিয়া, ওটনিয়েল বার্টম্যান।
৫ মাস আগে
টি২০ বিশ্বকাপ দেখতে স্মার্ট টিভি খুঁজছেন? জেনে নিন ফিচার ও দাম
মারকুটে টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপের জ্বরে ভাসছে গোটা দেশ। আর স্মার্ট টিভিতে বিশ্বকাপ দেখা মানে ঘরের মধ্যেই রীতিমতো মিনি স্টেডিয়ামের আমেজ পাওয়া। এইচডি (হাই-ডেফিনিশন) ডিসপ্লে, কালার কন্ট্রাস্ট এবং ডলবি সাউন্ড সিস্টেমে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে ব্যাট ও বলের যুদ্ধে দামামা। শুধু কি তাই! নজরকাড়া ভঙ্গিমায় প্রিয় খেলোয়ারের ছক্কা হাকানো বা উইকেট নিয়ে বোলারের উল্লাস নৃত্য স্মৃতিতে ধরে রাখতে পারে স্মার্ট টিভি। বিশ্বকাপের উত্তেজনা বেড়ে ওঠার সঙ্গে সমান তালে বাড়তে থাকে অত্যাধুনিক এই টিভি কেনার প্রবণতা। এগুলোর মধ্য থেকে সেরাটা বাছাই করতে হলে টিভি সংক্রান্ত কিছু কারিগরি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। চলুন, সেই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার পাশাপাশি জেনে নেওয়া যাক এ সময়ের মার্কেট কাঁপানো কয়েকটি স্মার্ট টিভির দাম ও ফিচার।
স্মার্ট টিভি কেনার আগে যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি
স্ক্রিন সাইজ
টিভি ঠিক কত বড় জায়গায় কত দর্শকের জন্য রাখা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করতে হয় স্ক্রিন সাইজ। খুব ছোট জায়গায় অতিকায় টিভি যেমন অসঙ্গতিপূর্ণ, ঠিক তেমনি বিশাল ড্রইং রুমে ছোট্ট স্ক্রিনে কোনো কিছু ভালোভাবে দেখা যায় না। অবশ্য এখানে বাজেটকেও আমলে আনা আবশ্যক। স্মার্ট টিভির সর্বাধিক জনপ্রিয় মাপগুলোর মধ্যে রয়েছে ২৪ থেকে ৫৫ ইঞ্চির স্ক্রিন।
ডিসপ্লে
বাংলাদেশে এলইডি এবং কিউএলইডি ডিসপ্লের জনপ্রিয়তার রেশ ধরে নতুন ওএলইডিগুলোও বাজারে বেশ ভালো চলছে। এলইডি (লাইট-এমিটিং ডায়োড) প্রযুক্তির টিভিতে মূলত লাখ লাখ ক্ষুদ্র লাইট অন-অফ হওয়ার মাধ্যমে টিভির চিত্রগুলো তৈরি করে।
কিউএলইডি (কোয়ান্টাম ডট লাইট এমিটিং ডায়োড) টিভিতে সেই এলইডির ক্ষুদ্র লাইটের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় কোয়ান্টাম ডট। এই ডটগুলো এলইডিগুলোর তুলনায় আরও উজ্জ্বল চিত্র তৈরি করে।
আরো পড়ুন: যেসব ভেন্যুতে আয়োজিত হচ্ছে ২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ
এরপরেই সব থেকে উন্নত প্রযুক্তির ওএলইডি (অর্গানিক লাইট-এমিটিং ডায়োড) চিত্র প্রদর্শনের ব্যবহার করে ছোট ছোট বিন্দু, যেগুলো সাব-পিক্সেল নামে পরিচিত। সাব-পিক্সেলগুলোর প্রতিটিই স্বাধীনভাবে চিত্র তৈরি করতে সক্ষম। স্বভাবতই ওএলইডিতে বাকি দুটোর তুলনায় সর্বাধিক প্রাণবন্ত অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে এগুলো বেশ ব্যয়বহুলও বটে। মাঝারি মূল্যের মধ্যে কিউএলইডি সেরা ভিজ্যুয়াল প্রদান করে। ভিডিওর মানের দিক থেকে সবার নিচে এলইডি, আর তাই এগুলোর দাম একটু কম হয়ে থাকে।
রেজ্যুলেশন
সেরা ভিজ্যুয়াল পেতে স্ক্রিন সাইজ ও ডিসপ্লের সঙ্গে যে বৈশিষ্ট্যটির সামঞ্জস্য করতে হয় তা হচ্ছে স্ক্রিন রেজ্যুলেশন। বাংলাদেশে সাধারণত ১ হাজার ৮০পি ও ফোরকে রেজ্যুলেশন বেশি দেখা যায়। অপরদিকে বাজারে এইটকে-এর প্রবেশটা অনেকটা ধীর গতির। কারণ এখন পর্যন্ত এত উচ্চ রেজ্যুলেশনের চলচ্চিত্র বা কন্টেন্টের সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। তাছাড়া এগুলোর দামও আকাশচুম্বী।
তবে মার্কেট সবচেয়ে বেশি দখলে রয়েছে ফোরকে বা আল্ট্রা এইচডি স্ক্রিনগুলোর। কেননা অধিকাংশ স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলো ফোরকে’তেই কন্টেন্ট দিচ্ছে। গুণগত মানদণ্ডে পিছিয়ে থাকলেও ১ হাজার ৮০পি বা ফুল এইচডিগুলো এখনও টিকে আছে।
রিফ্রেশ রেট
একটি দৃশ্যের প্রতিটি সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম উপাদান কত নিখুঁতভাবে প্রদর্শিত হবে তার একটা নিত্যতা হচ্ছে রিফ্রেশ রেট। প্রতি সেকেন্ডে রিফ্রেশের পুনরাবৃত্তিকে হার্ট্জ দিয়ে প্রকাশ করা হয়। ফোরকে স্মার্ট টিভির জন্য একটি আদর্শ রিফ্রেশ রেট হল ৬০ হার্ট্জ। এর অর্থ হচ্ছে- প্রতি সেকেন্ডে ৬০ বার ছবি রিফ্রেশের মাধ্যমে স্ক্রিনটি মসৃণ দৃশ্য প্রদর্শন করতে পারে। সামাজিক মাধ্যমজুড়ে বিশদ চর্চার কারণে এখন অনেকেই ৫০ বা ৬০ হার্ট্জ এবং আগের ৩০ বা ৪০ হার্টজের পার্থক্য ধরতে পারেন। ক্রিকেট খেলায় কোনো উইকেট যাওয়ার সময় ৪০ হার্টজের তুলনায় ৬০ হার্টজে প্রতিটি দৃশ্য সুক্ষ্ম ভাবে লক্ষ্য করা যায়।
আরো পড়ুন: দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
এইচডিআর সাপোর্ট
ছবির উজ্জ্বল এবং অন্ধকার অংশের মধ্যে অধিকতর স্পষ্ট বৈসাদৃশ্য ধরা পড়ে এইচডিআর (হাই ডাইনামিক রেঞ্জ)-এর মাধ্যমে। এতে করে ছায়াতে কিংবা অন্ধকারে এবং অধিক সূর্যালোকে ঘটা দৃশ্যগুলো স্বাভাবিক দৃশ্যের মতোই ভালোভাবে বোঝা যায়।
শুধু তাই নয়, এইচডিআর-এর রঙের ভারসাম্যতার জন্য দৃশ্যে থাকা বিভিন্ন খুটিনাটি বস্তুর উপর আলাদা ভাবে ফোকাস করা যায়। এরকম আলো-আধারীর দৃশ্যগুলো দেখার ক্ষেত্রে এইচডিআর না থাকা টিভিগুলোতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়।
অন্যান্য ডিভাইসের সঙ্গে সংযোগ সুবিধা
একের সঙ্গে দুই বা ততোধিক ডিভাইসের সংযোগ সুবিধার মধ্য দিয়ে প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরও বেশি উন্নত হয়ে ওঠে এলইডি টিভি। এইচডিএমআই ও ইউএসবি পোর্ট, ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ ব্যবস্থা গেমিং কন্সোল, বাহ্যিক সাউন্ড সিস্টেম এবং কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগের সুবিধা দেয়। পূর্বে শুধু বাহ্যিক স্পিকার সংযোগ করা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল এই সংযোগ বৈশিষ্ট্য।
কিন্তু বর্তমানে কম্পিউটারসহ বিভিন্ন মোবাইল ডিভাইস সংযুক্ত করা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এমনকি অতিরিক্ত পাওয়ার অ্যাডাপ্টারেরও প্রয়োজন পড়ে না। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, অল্প অল্প করে এমন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি টিভির দামটাও বাড়তে থাকে।
আরো পড়ুন: আপনার মোবাইলটি অবৈধ নয়তো? অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়
বিল্ট-ইন সাউন্ড সিস্টেম
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারী সিআরটি মনিটরের জায়গায় স্থান পেয়েছে এলইডি স্ক্রিন। টিভির এই ওজন কমার সঙ্গে ভিজ্যুয়াল কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিকই; কিন্তু ক্ষতি হয়েছে সাউন্ড সিস্টেমের দিক থেকে। এখন সাধারণত ডিসপ্লের ফিজিক্যাল ফ্রেমের ভেতরে সাদামাটা স্পিকার দেওয়া হয়। এতে করে টিভি দেখার অভাবনীয় অভিজ্ঞতার কাছে শোনার অভিজ্ঞতা নিছক নগণ্য বনে যায়।
বিশেষ করে মিউজিক সাউন্ডট্র্যাক এবং মুভি সাউন্ড এফেক্টগুলো ভালোভাবে বোঝা যায় না। তাই টিভি কেনার সময় সাউন্ড সিস্টেমের দিকেও নজর দেওয়া উচিৎ।
ন্যূনতম ডলবি অডিও হলে প্রাথমিকভাবে আলাদা করে স্পিকার লাগানোর প্রয়োজন পড়ে না। আর বিল্ট-ইন ডলবি ডিজিটাল প্লাস সম্পূর্ণ না হলেও এর বর্ধিত সাউন্ড ঘর জুড়ে কিছুটা হোম থিয়েটারের আমেজ দিবে।
উন্নত প্রযুক্তি
এখন স্মার্ট টিভি মানেই পুরোদস্তুর একটি কম্পিউটার, যেখানে আছে অপারেটিং সিস্টেম, আভ্যন্তরীণ অ্যাপ এবং ইন্টারনেট-ভিত্তিক পরিষেবা। বর্তমানে ভয়েস কন্ট্রোল বৈশিষ্ট্যও বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে গ্রাহকদের মাঝে। এছাড়া ফেসবুক ব্রাউজের পাশাপাশি নেটফ্লিক্স মুভি স্ট্রিমিং এখনকার অ্যান্ড্রয়েড টিভিগুলোর সাধারণ বৈশিষ্ট্য।
আরো পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
৫ মাস আগে
ভারতের বোলিং বিষে নীল আয়ারল্যান্ড
টসের সময় ব্যাটারদের যে ফর্ম ও লড়াই করার প্রত্যয় জানিয়েছিলেন পল স্টার্লিং, মাঠের খেলায় তা যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারল না দলটি।
টস হেরে আগে ব্যাট করে ১৫.৫ ওভারে মাত্র ৯৬ রানেই গুটিয়ে গেছে তাদের ইনিংস।
দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ২৬। দুটি করে ছক্কা ও চারের মারে এ রান করেন তিনি। এর পরবর্তী স্কোর ১৫ যা এসেছে অতিরিক্ত থেকে।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া। এছাড়া আর্শদীপ সিং ও জসপ্রীত বুমরাহ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। এদিন তিন ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে সবচেয়ে কিপটে ছিলেন বুমরাহ।
আরও পড়ুন: টস জিতে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ভারত
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই দুই ওপেনারকে হারায় আয়ারল্যান্ড। আর্শদীপ সিং ও মোহাম্মদ সিরাজের প্রথম দুই ওভার দেখেশুনে খেলে তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে।
ইনিংসের তৃতীয় ও আর্শদীপের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম ডেলিভারিটি ছিল লেগ স্ট্যাম্পে। বল কিছুটা লাফিয়ে উঠলে তা স্লগ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে উপরে উঠে যায়। উইকেটের পেছন থেকে তা গ্লাভসবন্দি করেন ঋষভ। এরপর ওই ওভারেই আর্শদীপের মিডল উইকেটে রাখা শেষ ডেলিভারিটি থামাতে ব্যর্থ হয়ে বোল্ড হয়ে যান অ্যান্ডু বালবির্নিও।
মাত্র ৯ রানে দুই উইকেটে হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় আয়ারল্যান্ড। এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ ব্যাটার লোরকান টাকার ও হ্যারি টেক্টর বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বুমরাহ, সিরাজ, আর্শদীপদের বোলিং আক্রমণের সামনে খুব বেশি সুবিধা করতে পারছিলেন না তারা। এর প্রভাব পড়ে স্কোরবোর্ডেও। প্রথম পাওয়ার প্লেতে আর উইকেট না হারালেও মাত্র ২৬ রান তোলে আয়ারল্যান্ড।
তবে পাওয়ার প্লের পরেই ফের আসে ধাক্কা। ব্রেকথ্রুর আশায় সপ্তম ওভারে হার্দিককে বোলিং করতে পাঠান রোহিত । ওই ওভারের পঞ্চম বলেই টাকারকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান হার্দিক। ফেরার আগে ১৩ বল মোকাবিলা করে দুই চারের সাহায্যে মাত্র ১০ রান করেন তিনি। এরপর শুরু হয় উইকেটে রক্তক্ষরণ।
আরও পড়ুন: বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটারের লড়াই
পরের ওভারে বুমরাহর শেষ ডেলিভারিতে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান হ্যারি টেক্টর। ফেরার আগে ১৬ বলে মাত্র চার রান করেন তিনি। পরের ওভারটি ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করলেও হার্দিকের শেষ বলে আউট হন ৮ বলে ১২ রান করা কার্টিস ক্যাম্ফার। এর পরের ওভারের চতুর্থ বলে ফের উইকেট। এবার সিরাজের শিকার হন জর্জ ডকরেল। ফলে ১০ ওভার খেলার আগেই ৬ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।
একাদশ ওভারের প্রথম বলেই মার্ক অ্যাডায়ারকে ফিরিয়ে ওই ওভার মেইডেন নেন হার্দিক। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল। তিনি ব্যারি ম্যাকার্থিকে ফেরালে ৫০ রানে ৮ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।
এর পর দুটি ২০ ছাড়ানো জুটি গড়ে স্কোরবোর্ড শতরানের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন শেষের ব্যাটাররা। তবে ৭০ রানের মাথায় বুমরাহ বলে জশুয়া লিটল ও ৯৬ রানে ডিলানি রান আউট হলে সেখানেই গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস।
৫ মাস আগে