বিশ্বকাপ
বৃষ্টিতে ডুবল পাকিস্তানের স্বপ্ন, শেষ আটে যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নিয়েই সুপার এইটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এই স্বপপূরণে নিজেদের শেষ ম্যাচে আইরিশদের বধ করতে হতো তাদের। তবে বৃষ্টি এসে বিনা কষ্টেই যুক্তরাষ্ট্রের স্বপ্নপূরণ করে দিয়েছে।
এতে কপাল পুড়েছে পাকিস্তানের। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে তাদের সুপার এইটে ওঠার সম্ভাবনা জটিল সমীকরণের মধ্যে পড়ে যায়।
শুক্রবার আয়ারল্যান্ড জিতলেই কেবল শেষ আটের স্বপ্ন বেঁচে থাকত পাকিস্তানের। এরপর গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ভাগ্য নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তা পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হতো বাবর আজমের দলের। তবে বৃষ্টিতে ম্যাচটি ভেসে যাওয়ায় তাদের সেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। চার ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার এইটে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃষ্টির কারণে এ ম্যাচে টস হতে দেরি হয়। প্রাথমিকভাবে রাত আটটার পরিবর্তে সাড়ে ৮টায় টস হওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও ভেজা মাঠের কারণে কয়েক ঘণ্টায় বেশ কয়েকবার মাঠের অবস্থা পরীক্ষা করেন দুই আম্পায়ার। তবে শেষ পর্যন্ত খেলার সম্মতি দিতে ব্যর্থ হন তারা।
এর ফলে পাকিস্তানের পাশাপাশি কানাডা ও আয়ারল্যান্ডেরও সব সমীকরণ শেষ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: সুপার এইটের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র
টাইগারদের বোলিং তোপে কাঁপছে দক্ষিণ আফ্রিকা
টস জিতে প্রথমবারের মতো শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে পড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। ২৩ রান তুলতেই প্রথম চার ব্যাটারকে হারিয়ে চোখে সর্ষের ফুল দেখছে প্রোটিয়ারা।
এদিন ইনিংসের শুরুতে রিশাদের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক শান্ত। তার প্রথম বলটি ডট গেলেও পরের দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে রানের খাতা খোলেন কুইন্টন ডি কক। পঞ্চম বলে স্ট্রাইক রোটেট করলে রিশাদের প্রথম বল মোকাবিলা করতে গিয়েই লেগ বিফোর হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রিজা হেনড্রিকস।
প্রথম ওভারে ১১ রান দিলেও ব্রেকথ্রু পান রিশাদ। সফল হয় শান্তর কৌশল।
দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেও তাসকিনকে ছক্কা মারেন ডি কক। তবে তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসা তানজিম সাকিবের কাছে পরাস্ত হন তিনি। ওভারের প্রথম দুটি বল ডট যাওয়ার পর অফ স্ট্যাম্পে রাখা তৃতীয় বলটি স্কয়ার ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন ডি কক। কিন্তু বল কিছুটা নিচে হওয়ায় ব্যাটে সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে অফ স্ট্যাম্প ভেঙে দিয়ে চলে যায় তা। আর এর সঙ্গে উল্লাসে মাতে টাইগার সমর্থকরা। তিনি ১১ বলে দুই ছক্কা ও একটি চারে ১৮ রান করে ফিরলে দলীয় ১৯ রানের মাথায় দুই ওপেনারকে হারায় প্রোটিয়ারা।
পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে তাসকিনকে একটি চার মেরে পঞ্চম বলে বোল্ড হয়ে যান এইডেন মার্করাম। এর ফলে চলমান বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে তার ব্যর্থতা অব্যাহত থাকল।
পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফের গ্যালারির বাংলাদেশি ভক্তদের মাঝে উচ্ছ্বাস। ট্রিস্টান স্টাবসকে আউট করেন তানজিম সাকিব। তানজিমের আউটসাইড অফ স্ট্যাম্পের ডেলিভারিটি কভারের দিকে সজোরে পেটান স্টাবস। কিন্তু চকিতে ঝাঁপিয়ে তা তালুবন্দি করেন সাকিব আল হাসান। ফলে ৫ বলে খালি হাতে ফিরতে হয় তাকে।
২৩ রানের মাথায় তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫ ওভার শেষ চার উইকেটে ২৪ রান করেছে প্রোটিয়ারা। ডেভিড মিলার ১ ও ক্লাসেন শূন্য রানে অপরাজিত থেকে ক্রিজে রয়েছেন।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, জাকের আলী, মাহমুদউল্লাহ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, মুস্তাফিজুর রহমান।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: রিজা হেনড্রিকস, কুইন্টন ডি কক, এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ট্রিস্টান স্টাবস, হাইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নর্টকিয়া, ওটনিয়েল বার্টম্যান।
টি২০ বিশ্বকাপ দেখতে স্মার্ট টিভি খুঁজছেন? জেনে নিন ফিচার ও দাম
মারকুটে টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপের জ্বরে ভাসছে গোটা দেশ। আর স্মার্ট টিভিতে বিশ্বকাপ দেখা মানে ঘরের মধ্যেই রীতিমতো মিনি স্টেডিয়ামের আমেজ পাওয়া। এইচডি (হাই-ডেফিনিশন) ডিসপ্লে, কালার কন্ট্রাস্ট এবং ডলবি সাউন্ড সিস্টেমে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে ব্যাট ও বলের যুদ্ধে দামামা। শুধু কি তাই! নজরকাড়া ভঙ্গিমায় প্রিয় খেলোয়ারের ছক্কা হাকানো বা উইকেট নিয়ে বোলারের উল্লাস নৃত্য স্মৃতিতে ধরে রাখতে পারে স্মার্ট টিভি। বিশ্বকাপের উত্তেজনা বেড়ে ওঠার সঙ্গে সমান তালে বাড়তে থাকে অত্যাধুনিক এই টিভি কেনার প্রবণতা। এগুলোর মধ্য থেকে সেরাটা বাছাই করতে হলে টিভি সংক্রান্ত কিছু কারিগরি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। চলুন, সেই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার পাশাপাশি জেনে নেওয়া যাক এ সময়ের মার্কেট কাঁপানো কয়েকটি স্মার্ট টিভির দাম ও ফিচার।
স্মার্ট টিভি কেনার আগে যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি
স্ক্রিন সাইজ
টিভি ঠিক কত বড় জায়গায় কত দর্শকের জন্য রাখা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করতে হয় স্ক্রিন সাইজ। খুব ছোট জায়গায় অতিকায় টিভি যেমন অসঙ্গতিপূর্ণ, ঠিক তেমনি বিশাল ড্রইং রুমে ছোট্ট স্ক্রিনে কোনো কিছু ভালোভাবে দেখা যায় না। অবশ্য এখানে বাজেটকেও আমলে আনা আবশ্যক। স্মার্ট টিভির সর্বাধিক জনপ্রিয় মাপগুলোর মধ্যে রয়েছে ২৪ থেকে ৫৫ ইঞ্চির স্ক্রিন।
ডিসপ্লে
বাংলাদেশে এলইডি এবং কিউএলইডি ডিসপ্লের জনপ্রিয়তার রেশ ধরে নতুন ওএলইডিগুলোও বাজারে বেশ ভালো চলছে। এলইডি (লাইট-এমিটিং ডায়োড) প্রযুক্তির টিভিতে মূলত লাখ লাখ ক্ষুদ্র লাইট অন-অফ হওয়ার মাধ্যমে টিভির চিত্রগুলো তৈরি করে।
কিউএলইডি (কোয়ান্টাম ডট লাইট এমিটিং ডায়োড) টিভিতে সেই এলইডির ক্ষুদ্র লাইটের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় কোয়ান্টাম ডট। এই ডটগুলো এলইডিগুলোর তুলনায় আরও উজ্জ্বল চিত্র তৈরি করে।
আরো পড়ুন: যেসব ভেন্যুতে আয়োজিত হচ্ছে ২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ
এরপরেই সব থেকে উন্নত প্রযুক্তির ওএলইডি (অর্গানিক লাইট-এমিটিং ডায়োড) চিত্র প্রদর্শনের ব্যবহার করে ছোট ছোট বিন্দু, যেগুলো সাব-পিক্সেল নামে পরিচিত। সাব-পিক্সেলগুলোর প্রতিটিই স্বাধীনভাবে চিত্র তৈরি করতে সক্ষম। স্বভাবতই ওএলইডিতে বাকি দুটোর তুলনায় সর্বাধিক প্রাণবন্ত অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে এগুলো বেশ ব্যয়বহুলও বটে। মাঝারি মূল্যের মধ্যে কিউএলইডি সেরা ভিজ্যুয়াল প্রদান করে। ভিডিওর মানের দিক থেকে সবার নিচে এলইডি, আর তাই এগুলোর দাম একটু কম হয়ে থাকে।
রেজ্যুলেশন
সেরা ভিজ্যুয়াল পেতে স্ক্রিন সাইজ ও ডিসপ্লের সঙ্গে যে বৈশিষ্ট্যটির সামঞ্জস্য করতে হয় তা হচ্ছে স্ক্রিন রেজ্যুলেশন। বাংলাদেশে সাধারণত ১ হাজার ৮০পি ও ফোরকে রেজ্যুলেশন বেশি দেখা যায়। অপরদিকে বাজারে এইটকে-এর প্রবেশটা অনেকটা ধীর গতির। কারণ এখন পর্যন্ত এত উচ্চ রেজ্যুলেশনের চলচ্চিত্র বা কন্টেন্টের সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। তাছাড়া এগুলোর দামও আকাশচুম্বী।
তবে মার্কেট সবচেয়ে বেশি দখলে রয়েছে ফোরকে বা আল্ট্রা এইচডি স্ক্রিনগুলোর। কেননা অধিকাংশ স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলো ফোরকে’তেই কন্টেন্ট দিচ্ছে। গুণগত মানদণ্ডে পিছিয়ে থাকলেও ১ হাজার ৮০পি বা ফুল এইচডিগুলো এখনও টিকে আছে।
রিফ্রেশ রেট
একটি দৃশ্যের প্রতিটি সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম উপাদান কত নিখুঁতভাবে প্রদর্শিত হবে তার একটা নিত্যতা হচ্ছে রিফ্রেশ রেট। প্রতি সেকেন্ডে রিফ্রেশের পুনরাবৃত্তিকে হার্ট্জ দিয়ে প্রকাশ করা হয়। ফোরকে স্মার্ট টিভির জন্য একটি আদর্শ রিফ্রেশ রেট হল ৬০ হার্ট্জ। এর অর্থ হচ্ছে- প্রতি সেকেন্ডে ৬০ বার ছবি রিফ্রেশের মাধ্যমে স্ক্রিনটি মসৃণ দৃশ্য প্রদর্শন করতে পারে। সামাজিক মাধ্যমজুড়ে বিশদ চর্চার কারণে এখন অনেকেই ৫০ বা ৬০ হার্ট্জ এবং আগের ৩০ বা ৪০ হার্টজের পার্থক্য ধরতে পারেন। ক্রিকেট খেলায় কোনো উইকেট যাওয়ার সময় ৪০ হার্টজের তুলনায় ৬০ হার্টজে প্রতিটি দৃশ্য সুক্ষ্ম ভাবে লক্ষ্য করা যায়।
আরো পড়ুন: দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
এইচডিআর সাপোর্ট
ছবির উজ্জ্বল এবং অন্ধকার অংশের মধ্যে অধিকতর স্পষ্ট বৈসাদৃশ্য ধরা পড়ে এইচডিআর (হাই ডাইনামিক রেঞ্জ)-এর মাধ্যমে। এতে করে ছায়াতে কিংবা অন্ধকারে এবং অধিক সূর্যালোকে ঘটা দৃশ্যগুলো স্বাভাবিক দৃশ্যের মতোই ভালোভাবে বোঝা যায়।
শুধু তাই নয়, এইচডিআর-এর রঙের ভারসাম্যতার জন্য দৃশ্যে থাকা বিভিন্ন খুটিনাটি বস্তুর উপর আলাদা ভাবে ফোকাস করা যায়। এরকম আলো-আধারীর দৃশ্যগুলো দেখার ক্ষেত্রে এইচডিআর না থাকা টিভিগুলোতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়।
অন্যান্য ডিভাইসের সঙ্গে সংযোগ সুবিধা
একের সঙ্গে দুই বা ততোধিক ডিভাইসের সংযোগ সুবিধার মধ্য দিয়ে প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরও বেশি উন্নত হয়ে ওঠে এলইডি টিভি। এইচডিএমআই ও ইউএসবি পোর্ট, ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ ব্যবস্থা গেমিং কন্সোল, বাহ্যিক সাউন্ড সিস্টেম এবং কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগের সুবিধা দেয়। পূর্বে শুধু বাহ্যিক স্পিকার সংযোগ করা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল এই সংযোগ বৈশিষ্ট্য।
কিন্তু বর্তমানে কম্পিউটারসহ বিভিন্ন মোবাইল ডিভাইস সংযুক্ত করা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এমনকি অতিরিক্ত পাওয়ার অ্যাডাপ্টারেরও প্রয়োজন পড়ে না। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, অল্প অল্প করে এমন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি টিভির দামটাও বাড়তে থাকে।
আরো পড়ুন: আপনার মোবাইলটি অবৈধ নয়তো? অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়
বিল্ট-ইন সাউন্ড সিস্টেম
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারী সিআরটি মনিটরের জায়গায় স্থান পেয়েছে এলইডি স্ক্রিন। টিভির এই ওজন কমার সঙ্গে ভিজ্যুয়াল কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিকই; কিন্তু ক্ষতি হয়েছে সাউন্ড সিস্টেমের দিক থেকে। এখন সাধারণত ডিসপ্লের ফিজিক্যাল ফ্রেমের ভেতরে সাদামাটা স্পিকার দেওয়া হয়। এতে করে টিভি দেখার অভাবনীয় অভিজ্ঞতার কাছে শোনার অভিজ্ঞতা নিছক নগণ্য বনে যায়।
বিশেষ করে মিউজিক সাউন্ডট্র্যাক এবং মুভি সাউন্ড এফেক্টগুলো ভালোভাবে বোঝা যায় না। তাই টিভি কেনার সময় সাউন্ড সিস্টেমের দিকেও নজর দেওয়া উচিৎ।
ন্যূনতম ডলবি অডিও হলে প্রাথমিকভাবে আলাদা করে স্পিকার লাগানোর প্রয়োজন পড়ে না। আর বিল্ট-ইন ডলবি ডিজিটাল প্লাস সম্পূর্ণ না হলেও এর বর্ধিত সাউন্ড ঘর জুড়ে কিছুটা হোম থিয়েটারের আমেজ দিবে।
উন্নত প্রযুক্তি
এখন স্মার্ট টিভি মানেই পুরোদস্তুর একটি কম্পিউটার, যেখানে আছে অপারেটিং সিস্টেম, আভ্যন্তরীণ অ্যাপ এবং ইন্টারনেট-ভিত্তিক পরিষেবা। বর্তমানে ভয়েস কন্ট্রোল বৈশিষ্ট্যও বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে গ্রাহকদের মাঝে। এছাড়া ফেসবুক ব্রাউজের পাশাপাশি নেটফ্লিক্স মুভি স্ট্রিমিং এখনকার অ্যান্ড্রয়েড টিভিগুলোর সাধারণ বৈশিষ্ট্য।
আরো পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
ভারতের বোলিং বিষে নীল আয়ারল্যান্ড
টসের সময় ব্যাটারদের যে ফর্ম ও লড়াই করার প্রত্যয় জানিয়েছিলেন পল স্টার্লিং, মাঠের খেলায় তা যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারল না দলটি।
টস হেরে আগে ব্যাট করে ১৫.৫ ওভারে মাত্র ৯৬ রানেই গুটিয়ে গেছে তাদের ইনিংস।
দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ২৬। দুটি করে ছক্কা ও চারের মারে এ রান করেন তিনি। এর পরবর্তী স্কোর ১৫ যা এসেছে অতিরিক্ত থেকে।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া। এছাড়া আর্শদীপ সিং ও জসপ্রীত বুমরাহ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। এদিন তিন ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে সবচেয়ে কিপটে ছিলেন বুমরাহ।
আরও পড়ুন: টস জিতে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ভারত
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই দুই ওপেনারকে হারায় আয়ারল্যান্ড। আর্শদীপ সিং ও মোহাম্মদ সিরাজের প্রথম দুই ওভার দেখেশুনে খেলে তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে।
ইনিংসের তৃতীয় ও আর্শদীপের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম ডেলিভারিটি ছিল লেগ স্ট্যাম্পে। বল কিছুটা লাফিয়ে উঠলে তা স্লগ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে উপরে উঠে যায়। উইকেটের পেছন থেকে তা গ্লাভসবন্দি করেন ঋষভ। এরপর ওই ওভারেই আর্শদীপের মিডল উইকেটে রাখা শেষ ডেলিভারিটি থামাতে ব্যর্থ হয়ে বোল্ড হয়ে যান অ্যান্ডু বালবির্নিও।
মাত্র ৯ রানে দুই উইকেটে হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় আয়ারল্যান্ড। এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ ব্যাটার লোরকান টাকার ও হ্যারি টেক্টর বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বুমরাহ, সিরাজ, আর্শদীপদের বোলিং আক্রমণের সামনে খুব বেশি সুবিধা করতে পারছিলেন না তারা। এর প্রভাব পড়ে স্কোরবোর্ডেও। প্রথম পাওয়ার প্লেতে আর উইকেট না হারালেও মাত্র ২৬ রান তোলে আয়ারল্যান্ড।
তবে পাওয়ার প্লের পরেই ফের আসে ধাক্কা। ব্রেকথ্রুর আশায় সপ্তম ওভারে হার্দিককে বোলিং করতে পাঠান রোহিত । ওই ওভারের পঞ্চম বলেই টাকারকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান হার্দিক। ফেরার আগে ১৩ বল মোকাবিলা করে দুই চারের সাহায্যে মাত্র ১০ রান করেন তিনি। এরপর শুরু হয় উইকেটে রক্তক্ষরণ।
আরও পড়ুন: বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটারের লড়াই
পরের ওভারে বুমরাহর শেষ ডেলিভারিতে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান হ্যারি টেক্টর। ফেরার আগে ১৬ বলে মাত্র চার রান করেন তিনি। পরের ওভারটি ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করলেও হার্দিকের শেষ বলে আউট হন ৮ বলে ১২ রান করা কার্টিস ক্যাম্ফার। এর পরের ওভারের চতুর্থ বলে ফের উইকেট। এবার সিরাজের শিকার হন জর্জ ডকরেল। ফলে ১০ ওভার খেলার আগেই ৬ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।
একাদশ ওভারের প্রথম বলেই মার্ক অ্যাডায়ারকে ফিরিয়ে ওই ওভার মেইডেন নেন হার্দিক। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল। তিনি ব্যারি ম্যাকার্থিকে ফেরালে ৫০ রানে ৮ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।
এর পর দুটি ২০ ছাড়ানো জুটি গড়ে স্কোরবোর্ড শতরানের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন শেষের ব্যাটাররা। তবে ৭০ রানের মাথায় বুমরাহ বলে জশুয়া লিটল ও ৯৬ রানে ডিলানি রান আউট হলে সেখানেই গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত স্কটল্যান্ডের
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বর্তম্যান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কিছুক্ষণ পর মাঠে নামছে স্কটল্যান্ড।
বার্বাডোসের ব্রিজটাউনে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্কটিশ অধিনায়ক রিচি বেরিংটন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটি স্কটল্যান্ডের প্রথম আন্তর্জাতিক টে-টোয়েন্টি ম্যাচ, তাও আবার বিশ্বকাপে।
দুই দলের সর্বশেষ দেখা হয় ২০১৮ সালে একদিনের ম্যাচে। ওই ম্যাচে ৩৭১ রান করেও মাত্র ৬ রানে ইংল্যান্ডকে হারায় যুক্তরাজ্যের অপর এই দেশটি। তাই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারাতে শেষ ওই ম্যাচটিই প্রেরণা জোগাবে স্কটল্যান্ডকে।
আরও পড়ুন: জিততে ঘাম ঝরল দক্ষিণ আফ্রিকার
অন্যদিকে, চোট কাটিয়ে দলে ফিরেই গা গরমের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ ফর্মে ফেরা জোফরা আর্চার ইংল্যান্ডের শক্তি বাড়িয়েছে। এছাড়া একাধিক খেলোয়াড় আইপিএল খেলে আসায় পুরো স্কোয়াডই ফর্মে থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
টসের পর স্কটিশ অধিনায়ক বলেন, ‘উইকেট শুষ্ক দেখা যাচ্ছে, যা পরে বদলে যেতে পারে। তবে আমাদের দ্রুত (পরিস্থিতির সঙ্গে) মানিয়ে নিতে হবে। আগে ব্যাট করে একটি ভালো লক্ষ্য দাঁড় করাতে চাই। দল হিসেবেই আমরা চ্যালেঞ্জটি নিয়েছি।’
জশ বাটলার বলেন, ‘আর্চারকে (দলে) পেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। সম্প্রতি সে ভালো করেছে। দলে একজন অতিরিক্ত পেসার নিয়েছি। (মার্ক) উড ও (ক্রিস) জর্ডান বোলিংয়ে থাকছে।’
ইংল্যান্ড দল: জস বাটলার (অধিনায়ক), ফিলিপ সল্ট, উইল জ্যাকস, জনি বেয়ারস্টো, হ্যারি ব্রুক, মঈন আলী, লিয়াম লিভিংস্টোন, ক্রিস জর্ডান, জোফরা আর্চার, আদিল রশিদ, মার্ক উড।
স্কটল্যান্ড দল: জর্জ মুনসি, মাইকেল জোন্স, ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন, রিচি বেরিংটন (অধিনায়ক), ম্যাথিউ ক্রস, মাইকেল লিস্ক, ক্রিস গ্রিভস, মার্ক ওয়াট, ক্রিস্টোফার সোল, ব্র্যাড হুইল, ব্র্যাডলি কুরি।
যেসব ভেন্যুতে আয়োজিত হচ্ছে ২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ
১ জুন থেকে শুরু হয়েছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। সর্বমোট ৫৫টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের এই টুর্নামেন্ট চলবে আগামী ২৯ জুন পর্যন্ত। যৌথভাবে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নির্ধারিত ৯টি ভেন্যুর মধ্যে ৩টি ইউএসএর- টেক্সাস, নিউইয়র্ক, এবং ফ্লোরিডায়। আর ৬টি ক্যারিবিয়ান ভেন্যু- অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা, বার্বাডোস, গায়ানা, সেন্ট লুসিয়া, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন্স। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপভোগের পাশাপাশি শহরগুলোর দর্শনীয় স্থানগুলোও আকৃষ্ট করছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। চলুন, আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ ২০২৪ আয়োজনকারী স্টেডিয়ামগুলোর অবস্থান ও এর আশেপাশের পর্যটন স্থানগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-
যে স্টেডিয়ামগুলোতে বসছে ২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপের আসর
গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়াম, টেক্সাস
২০০৮ সালে চালু হওয়া এই স্টেডিয়ামটি ২০১৯ সাল পর্যন্ত বেসবল খেলার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এর মাঝে ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সকার ইউনাইটেড সকার লিগ-২ এখানে তাদের ম্যাচগুলো মঞ্চস্থ করে। এরপর সংস্কারের পর ২০২৩ সালে মাঠটিতে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ। টেক্সাসের ডালাস কাউন্টির গ্র্যান্ড প্রেইরি শহরের লোন স্টার পার্কওয়েতে অবস্থিত মাঠটির বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৫ হাজার।
হলিউডের ওয়েস্টার্ন ছবির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পাওয়া ডালাস কাউবয়ের দেখা মিলবে ডাউনটাউন থেকে ১৩ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বের টেক্সাস হর্স পার্কে। অদ্ভূত এক ঐতিহাসিক দিগন্তের দেখা পাওয়া যাবে ডিলি প্লাজার ষষ্ঠ তলা জাদুঘর, জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরি ও মিউজিয়ামে। এছাড়া রিইউনিয়ন টাওয়ার জিও-ডেকের ১৭০-মিটার-উচ্চতার ওয়াচ টাওয়ার থেকে সমগ্র ডালাসের দৃশ্য সত্যিই শ্বাসরুদ্ধকর!
পেরোট মিউজিয়াম অব ন্যাচার অ্যান্ড সায়েন্সের অসাধারণ রত্ন সংগ্রহ এবং ডাইনোসর একচেটিয়াভাবে আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, নিউ ইয়র্ক
৩৪ হাজার দর্শকের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সদ্যনির্মিত এই ক্রিকেট গ্রাউন্ড মূলত সর্বাঙ্গীনভাবে একটি মডুলার স্টেডিয়াম। ৩ জুন শ্রীলঙ্কা বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট লড়াইয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে এই ভেন্যুর প্রথম ম্যাচ। মডুলার অবকাঠামোর এই অতিকায় মাঠটির অবস্থান নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডের ইস্ট মেডোতে আইজেনহাওয়ার পার্কের মাঠে।
এর আশেপাশে ভ্রমণের জন্য প্রথমেই যাত্রা শুরু করতে হবে লং বিচ থেকে। এই সৈকতে পাওয়া যাবে সার্ফিংসহ বিভিন্ন রোমাঞ্চকর কার্যকলাপের সুযোগ। ক্যাপট্রি স্টেট পার্কে নৌকা ভাড়া ফায়ার আইল্যান্ড ভ্রমণের সময় মাছ ধরা যায়। তবে রোমাঞ্চের ষোল আনা পূর্ণ হবে পায়ে হেঁটে ৩০০ বছরের পুরনো বন সানকেন পেরুনোর সময়।
সামার হোয়াইট হাউস, ওয়াশিংটন স্পাই ট্রেইল এবং গোল্ড কোস্ট ম্যানশনগুলোকে অনুসরণ করার সময় পশ্চিমের পুরো অতীতটা রীতিমতো লাফ দিয়ে চোখের সামনে এসে দাঁড়াবে। বলাবাহুল্য যে, স্ট্যাচু অব লিবার্টি এবং এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং দেখে না এলে এই ভ্রমণটা পুরো বৃথাই যাবে।
সেন্ট্রাল ব্রোওয়ার্ড পার্ক এবং ব্রোওয়ার্ড কাউন্টি স্টেডিয়াম, ফ্লোরিডা
এই লডারহিল ভেন্যু হলো সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত ইউএস ক্রিকেট ভেন্যু, যা উন্মুক্ত করা হয়েছিল ২০০৭ সালের ৯ নভেম্বর। এটি ফ্লোরিডার লডারহিলের একটি বৃহৎ কাউন্টি পার্ক এবং ইউএসএর প্রধান দুটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মধ্যে একটি। স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার।
গ্রেটার ফোর্ট লডারডেলের ৩৭ কিলোমিটার সোনালি তীরবর্তী অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করা যায় ৮টি উপকূলবর্তী শহরে। এখানকার আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ঘাসের নদী’ নামে খ্যাত জলাবদ্ধ তৃণভূমিতে কুমির দেখা, বাটারফ্লাই ওয়ার্ল্ডের বিশ্বের বৃহত্তম প্রজাপতি বাগান এবং হামিংবার্ড।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারেন যারা
দক্ষিণে গেলে চোখে পড়বে প্রাণবন্ত মিয়ামি শহরের আদিম সমুদ্র সৈকত। এ পথে হাজির হবে আফ্রো-অ্যামেরিকান ইতিহাস সমৃদ্ধ ওভারটাউন, সাউথ ডেডের মিকোসুকি নেটিভ-আমেরিকান সংস্কৃতি এবং লিটল হাভানার কিউবান সম্প্রদায়।
স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম, অ্যান্টিগুয়া এবং বার্বুডা
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ নাম স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের নামানুসারে নামকরণ হয়েছে এই স্টেডিয়ামটির। এর গোড়াপত্তন হয়েছিল ২০০৭ সালে তৎকালীন ৫০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপকে উদ্দেশ্য করে। সেন্ট জর্জের নর্থ সাউন্ডে অবস্থিত স্টেডিয়ামটিতে ১০ হাজার লোকের জায়গা দিতে পারে।
এর আশেপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে পর্যটকদের প্রথম আকর্ষণ হচ্ছে সেন্ট জর্জ প্যারিস চার্চ। এই অ্যাংলিকান চার্চটি স্থাপিত হয়েছিল ১৭৮৪ সালে। এরপরেই দেখা যেতে পারে ২০ হাজারেরও বেশি প্রজাতির অর্কিডসমৃদ্ধ অর্কিড ওয়ার্ল্ড। প্রশান্তিদায়ক বাগানগুলো প্রদর্শন করতে প্রায় এক ঘণ্টা লেগে যায়। পুরনো আমলে ঘরবাড়ি দেখার জন্য সেরা জায়গা হচ্ছে ফ্রান্সিয়া প্ল্যান্টেশন হাউস। এটি প্রাচীনতম মানচিত্র সংগ্রহের জন্য বিখ্যাত।
কেন্সিংটন ওভাল, বার্বাডোস
১৮৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কেন্সিংটন ওভালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ১৮৯৫ সালে। বার্বাডোসের ব্রিজটাউনের পশ্চিম অংশে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে ২৮ হাজার লোকের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এই ধারণক্ষমতা ওভালকে ক্যারিবীয় অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ভেন্যুতে পরিণত করেছে।
এই দ্বীপাঞ্চলটির পশ্চিম দিকে রয়েছে কার্লাইল বে, যেটি সূর্যাস্ত দেখার জন্য জনপ্রিয় স্থান। তুষার-শুভ্র বালি ও ঢেউ খেলানো তালগাছের এই সৈকত ইউনেস্কো মনোনীত মেরিন পার্কের অংশ।
বার্বাডোসের এই অঞ্চলটাতে পাওয়া যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা সব খাবারগুলো। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশতেই রয়েছে মাছের আধিক্য। বিশেষ করে বাজান এবং গ্রিলড মাহি মাহি এখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবার।
বার্বাডোস মিউজিয়াম ও হিস্টোরিক্যাল সোসাইটি ভ্রমণের সময় দেখা মিলবে ৫ লক্ষেরও বেশি পুরনো স্থাপত্যের নিদর্শন।
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ আসরের সমাপনী খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে।
প্রোভিডেন্স স্টেডিয়াম, গায়ানা
২০০৭ সালে বোর্ডা বা জর্জটাউন ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডটি পুনর্স্থাপন করে বানানো হয় প্রোভিডেন্স স্টেডিয়াম। এটি নির্মিত হয়েছিল তৎকালীন ক্রিকেট বিশ্বকাপের সুপার এইট ম্যাচ আয়োজনের জন্য। গায়ানার ডেমিরারা-মাহাইকা অঞ্চলের প্রোভিডেন্সে অবস্থিত এই ভেন্যুতে ২০ হাজার আসনের ব্যবস্থা রয়েছে।
গায়ানার অত্যাশ্চর্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে সেন্ট জর্জ ক্যাথেড্রাল, যেটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু কাঠের বিল্ডিংগুলোর একটি। এর গথিক-শৈলী, সূক্ষ্ম নকশার কাঁচের জানালা, অদ্ভুত বেদী এবং কাঠের খিলানযুক্ত সিলিং দর্শনার্থীদের বিস্ময়ের খোরাক জোগায়।
জর্জটাউন বোটানিক্যাল গার্ডেনে স্বাগত জানাবে বিচিত্র ধরনের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় উদ্ভিদ। শাপলা পুকুর, পাম এবং অর্কিড দেখতে দেখতে হেঁটে যাওয়ার সময় চমকে দিতে পারে নাম না জানা পাখিরা।
গায়ানার স্থানীয় সঙ্গীতের সুধা নিতে যেতে হবে রয় গেডেস স্টিল প্যান মিউজিয়ামে। এখানকার স্টিলের প্যানের সংগ্রহে মিশে রয়েছে গায়ানার বিবর্তনের ইতিহাস।
ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট গ্রাউন্ড, সেন্ট লুসিয়া
এই মাঠটির সঙ্গে মিশে রয়েছে ২০১২ এবং ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরপর ২ বার আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাস। প্রথমে ২০০২ সালে উদ্বোধনের সময় পার্শ্ববর্তী পাহাড়গুলোর নামানুসারে এর নাম রাখা হয়েছিল বিউসজোর ক্রিকেট গ্রাউন্ড। কিন্তু পরবর্তীতে সেই দুটি বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক অলরাউন্ডার ড্যারেন স্যামির সম্মানে ২০১৬ সালে মাঠটির নাম পরিবর্তন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝড়ে ক্ষতবিক্ষত টি-২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের স্টেডিয়াম
সেন্ট লুসিয়ার গ্রস আইলেটের কাছে অবস্থিত এই মাঠটির ধারণক্ষমতা ১৫ হাজার। স্টেডিয়ামটি রডনি বে-এর পর্যটন রিসোর্টের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। বিলাসবহুল ইয়ট এবং পালতোলা জাহাজে সব সময়ই ব্যস্ত থাকে রডনি বে মেরিনা। এখানে রয়েছে স্থানীয় রন্ধনশিল্পের দর্শনধারী বাহারি সব রেস্তোরাঁ।
পিজিয়ন আইল্যান্ড ন্যাশনাল পার্কে ঢোকার পর থেকে সামনে পড়বে ফোর্ট রডনিসহ ঐতিহাসিক সব সামরিক ধ্বংসাবশেষ। এর সঙ্গে উপকূলের নজরকাড়া দৃশ্যে চোখ রেখে নৈসর্গিক ট্রেইল ধরে চলে যাওয়া যাবে সিগন্যাল পিক পর্যন্ত।
ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমি, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
২০১৭ সালে চালু হওয়া এই স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন অধিনায়ক ব্রায়ান লারার নামে। লারা ২০০৮ সালের ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকালের শীর্ষস্থানীয় রান সংগ্রহকারী ছিলেন। দক্ষিণ ত্রিনিদাদের সান ফার্নান্দোর উপকণ্ঠের তারৌবাতে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে আসন রয়েছে মোট ১৫ হাজার।
ত্রিনিদাদের নান্দনিক সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে ওয়েস্টার্ন মেইন রোড ধরে গেলে। এখানে রাস্তার পাশের খাবারের দোকানসহ রয়েছে রঙিন বাজার। স্থানীয় খাবারের পাশাপাশি এই দোকানগুলো স্যুভেনির কেনার জন্যও বেশ উপযুক্ত।
কুইন্স পার্ক সাভানার চারপাশ জুড়ে গাছ-গাছালি এবং নানা ঐতিহাসিক নিদর্শনের বেষ্টনী। এছাড়াও রয়েছে ঔপনিবেশিক যুগের প্রাসাদ এবং রাজকীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন।
আর্নোস ভ্যালে স্টেডিয়াম, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন্স
১৯৮১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইংল্যান্ডের একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হয় স্টেডিয়ামটি। সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনের কাছেই অবস্থিত আর্নোস ভ্যালের ধারণক্ষমতা ১৮ হাজার।
এখানকার কাছাকাছি পর্যটন স্থানের মধ্যে রয়েছে কিংসটাউন বোটানিক্যাল গার্ডেন। বেশ পুরনো আমলের হলেও এখানে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় গাছপালা এবং ফুলগুলো সুবিন্যস্ত করে সাজানো। এগুলোর মাঝে শোভা পায় বিখ্যাত ব্রেডফ্রুট গাছ।
১৮ শতকের একটি সুসংরক্ষিত ঐতিহাসিক দুর্গ কিংসটাউনের ফোর্ট শার্লট। অদূরে উপকূলরেখার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য হাতছানি দিয়ে ডাকে। অন্যদিকে প্রাচীর এবং কামানগুলো মনে করিয়ে দেয় দ্বীপের ঔপনিবেশিক অতীতের কথা। সেই আবহ হৃদয়ে ধারণ করেই প্রবেশ করা যেতে পারে সামরিক যাদুঘরে।
শেষাংশ
২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজনকারী এই স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে সর্বাধিক প্রাচীন কেন্সিংটন ওভাল। আশির দশকে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের তীর্থস্থান হিসেবে স্থানীয় সংস্কৃতিকে বহন করে চলেছে আর্নোস ভ্যালে। সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামির ধূলোতে লেগে রয়েছে বিংশ শতকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঐতিহাসিক অর্জনের পরশ। ২০০৭ সাল স্মরণীয় হয়ে আছে একই সঙ্গে সাথে প্রোভিডেন্স, স্যার ভিভ রিচার্ডস, এবং সেন্ট্রাল ব্রোওয়ার্ড পার্কের উদ্বোধনের বর্ষ হিসেবে। আর পরের বছরেই চালু হওয়া গ্র্যান্ড প্রেইরি সবচেয়ে দর্শনীয় জায়গাগুলোর সান্নিধ্যে রয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর আমেরিকান দেশটির ল্যান্ডমার্কে পরিণত হয়েছে ব্রায়ান লারা ক্রিকেট একাডেমি। অতঃপর আদ্যোপান্ত মডুলার স্টেডিয়াম হিসেবে সর্বপ্রথম ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করল নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারেন যারা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দোরগোড়ায়। শিরোপার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে লড়াই চলবে ২০টি দেশের। ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে না পারলেও নিজেদের যোগ্যতার ছাপ রাখতে বদ্ধপরিকর টাইগাররা। বাংলাদেশ দলে এমন কয়েকজন তারকা খেলোয়াড় আছেন যারা যে কোনো মুহূর্তে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে নিজেদের পক্ষে নিতে পারেন।
এদিকে মূল আসরের ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিতে যাওয়া অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও দলের জন্য বিশ্বকাপের আগে এই হার এক প্রকার সতর্কবার্তাই বলা যায়।
যদিও তরুণ প্রতিভা এবং অভিজ্ঞ সঙ্গীদের নিয়ে গড়া শান্তর এই দল, যে খেলোয়াড়রা এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের দক্ষতা প্রমাণ করেছে।
ব্যাটিংয়ে চোখ রাখলে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হতে পারেন তানজিদ হাসান তামিম, যিনি ইনিংসের শক্ত ও গতিময় শুরু দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শনিবার শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ
৭টি টি-টোয়েন্টিতে ১২০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ৩টি হাফ সেঞ্চুরি তার। এই অল্প সময় হয়তো তার সম্ভাবনাকে পুরোপুরি মূল্যায়ন করার জন্য যথেষ্ট নয়, কিন্তু বিশ্বমঞ্চে মূল্যবান সম্পদ হয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছেন তানজিদ। ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
টপ অর্ডারে তানজিদের পর লিটন দাসও হয়ে উঠতে পারেন বিধ্বংসী শক্তি। বিগত কিছু খেলায় ফর্মের অবনতি দেখা গেলেও এই ডানহাতি ব্যাটার আত্মবিশ্বাসী যে একটি ভালো ইনিংস তাকে তার ছন্দে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ হোম সিরিজেও ফর্মে ফিরতে লড়াই করেছেন লিটন। ছন্দে ফিরতে লড়াইয়ের পরও মনে রাখতে হবে, ৮২টি টি-টোয়েন্টিতে ১২৫ ওভার স্ট্রাইক রেটে ১৮০০-র বেশি রান করেছেন লিটন। শুরুটা ভালো করতে পারলে নিজের দিনটিতে যেকোনো বোলিং রক্ষণভাগ গুঁড়িয়ে দিতে পারেন তিনি।
ব্যাটিং অর্ডারে আরেক সম্ভাবনাময় তারকা তৌহিদ হৃদয়। ডানহাতি এই ব্যাটার এরই মধ্যে তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে কিছু দুর্দান্ত খেলেছেন এবং সুযোগ পেলেই এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় দেখিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে সাকিব-মাহমুদউল্লাহকে ‘উপহার’ দেওয়ার আশা শান্তর
টপ অর্ডার ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের পরবর্তী ভরসা হয়ে উঠতে পারেন তৌহিদ। তিনি ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারলে আগামীতে অনেকবারই সুদিনের দেখা মিলতে পারে বাংলাদেশ দলের। ২২টি টি-টোয়েন্টিতে ১৩০-এর বেশি স্ট্রাইক রেট তৌহিদের, নামের পাশে রয়েছে দুটি হাফসেঞ্চুরি।
লোয়ার অর্ডারে ব্যাট ও বল দুই হাতেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন রিশাদ হোসেন। জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা অল্প কয়েকজন লেগ স্পিনারের মধ্যে তিনি একজন এবং তার ভালো খেলার প্রমাণ অনেকবারই দিয়েছেন তিনি। তার সবচেয়ে বড় সম্পদ ক্লিন শট মারার ক্ষমতা।
১৭ ম্যাচে ৭ ইনিংসে ১৩৫-এর বেশি স্ট্রাইক রেটের ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলার হিসেবে ১৫ উইকেটও নিয়েছেন রিশাদ। লেট অর্ডারে প্রতিপক্ষ বোলারদের দুঃস্বপ্ন হতে পারেন তিনি। আবার বল হাতে যেকোনো সময় উইকেটে ধস নামাতে পারেন। কিছু খরুচে হলেও অনন্য প্রতিভা বলা যায় তাকে।
এবারের বিশ্বকাপে মুস্তাফিজুর রহমানের ওপরও চোখ থাকবে সবার। কেন না সম্প্রতি চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ফিজ প্রমাণ করে দিয়েছেন যে এখনো ফুরিয়ে যাননি তিনি, এখনো দেওয়ার আছে অনেক কিছু। আইপিএলে প্রথমবারের মতো নিয়েছেন চার উইকেট।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজে ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিং ফিগারের নতুন রেকর্ড গড়েন। এই সফল পারফরম্যান্স বিশ্বকাপে তাকে অনুপ্রাণিত করবে।
বিশ্বকাপের ময়দানে পা রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল ও কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দুজনই সতর্ক অবস্থানে থেকে নিজেদের নিয়ে আশা জানিয়েছিলেন। তবে এই তারকারা যদি তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশের জন্য এবারের বিশ্বকাপ দারুণ একটি টুর্নামেন্ট হতে পারে।
আরও পড়ুন: সীমিত প্রত্যাশা নিয়ে দেশ ছেড়েছে টাইগাররা
বিশ্বকাপে সাকিব-মাহমুদউল্লাহকে ‘উপহার’ দেওয়ার আশা শান্তর
বিশ্বকাপের জন্য টাইগারদের স্কোয়াডে সবচেয়ে অভিজ্ঞ নাম সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শুধু টাইগার শিবিরে কেন, বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম এ সংস্করণে সবচেয়ে অভিজ্ঞদের তালিকায় রয়েছেন এ দুজন।
এমন দুই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার দলে থাকায় তাই কিছুটা বাড়তি অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আবার আসন্ন বিশ্বকাপই এ দুজনের শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না টাইগার অধিনায়ক। তাই বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করে সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর জন্য তা স্মরণীয় করে রাখতে চান শান্ত। এ জন্য দলের তরুণ খেলোয়াড়দের তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: তাসকিনকে সহ-অধিনায়ক করে টাইগারদের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৮টি আসরের সবগুলো খেলেছেন সাকিব। এবার নবম আসর খেলতে দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছেন তিনি। সাকিব ছাড়া এখন পর্যন্ত হওয়া সবকটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে যাওয়া ক্রিকেটার আছেন কেবল রোহিত শর্মা। এদের পাশে আছেন মাহমুদউল্লাহও। ২০২২ বিশ্বকাপ ছাড়া ৭টি আসরেই অংশ নিয়েছেন তিনি।
বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ার আগে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এই দুজনের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপের কথা উঠতেই শান্ত বললেন, ‘আমি জানি না এটা তাদের (মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব) শেষ বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে কি না, এটা কেবলই অনুমান।
‘তারা এত লম্বা সময় ধরে খেলছেন, তরুণ ক্রিকেটার আমরা যারা আছি, তারা অবশ্যই চেষ্টা করব তাদের ভালো স্মৃতি উপহার দিতে। ভালো একটি বিশ্বকাপ শেষ করে আমরা তাদের উপহার দিলাম…. আমাদের (তরুণদের) জন্য এটি অবশ্যই দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন: সাইফউদ্দিনের বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়া নিয়ে বিতর্ক
সাকিব-মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে প্রত্যাশা জানতে চাইলে শান্ত বলেন, ‘আমরা সাকিব ভাই ও রিয়াদ ভাইয়ের কাছ থেকে বাড়তি কিছু চাই না। তারা যদি তাদের ভূমিকা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেন, দল অবশ্যই সুবিধা পাবে। আমরা চাই, তারা তাদের অভিজ্ঞতা অন্য খেলোয়াড়দের মাঝে বিলিয়ে দিক, যেন দলের উন্নতি হয়।’
দলের ভারসাম্য রক্ষায় সাকিব এখনও মহাগুরুত্বপূর্ণ। ব্যাট হাতে সেরা সময় এখন আর না থাকলেও বল হাতে তাকে এখনও বলা যায় দেশের সেরা। মাহমুদউল্লাহও গত কয়েক মাসে নিজের ক্যারিয়ার পুনরুজ্জীবিত করেছেন দারুণভাবে। তাই শান্তর মতো দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও বিশ্বকাপে তাদের দিকে অনেকটাই চেয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আগে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে: বাংলাদেশ অধিনায়ক
সাইফউদ্দিনের বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়া নিয়ে বিতর্ক
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্কোয়াডে নেই অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এ নিয়ে ক্রিকেট মহলে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এক বছর বিরতির পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৮ উইকেট নিলেও দলে জায়গা মেলেনি সাইফউদ্দিনের।
তার পরিবর্তে স্কোয়াডে নাম উঠেছে ডানহাতি পেসার তানজিম হাসান সাকিবের।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন বলেন, 'সাইফউদ্দিনের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে আমাদের মনে হয়েছে প্রত্যাশা পূরণের জন্য তানজিমই ভালো পছন্দ।’
পিঠের ইনজুরি থেকে সেরে ওঠা সাইফউদ্দিনের ফিরে আসা ছিল দারুণ। ফরচুন বরিশালের প্রথম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি।
আরও পড়ুন: তাসকিনকে সহ-অধিনায়ক করে টাইগারদের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা
জিম্বাবুয়ে সিরিজেও তিনি ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন শুধুমাত্র ফাইনাল ম্যাচে ৫০-এর রান দেওয়া ছাড়া। শেষ ম্যাচে এসে ফর্মের এই অবনমন তার বাদ পড়ার পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে।
চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচে সাইফউদ্দিনের তিন উইকেট নেওয়া প্রসঙ্গে গাজী আশরাফ বলেন, 'শুধু উইকেট সংখ্যা দেখে কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায় না। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে উইকেট নেওয়ার সময়, পদ্ধতি ও প্রেক্ষাপট বিবেচনা করতে হবে। চট্টগ্রামে টপ অর্ডার ব্যাটাররা দ্রুত আউট হয়ে যায়।’
সিরিজে সাইফুদ্দিনের শর্ট-পিচ ডেলিভারিগুলোর অসঙ্গতির বিষয়টিও তুলে ধরেন গাজী আশরাফ। তিনি বলেন, সাইফের কিছু বল খুব নিচ দিয়ে যাচ্ছিল আর কিছু ব্যাটারদের মাথা উপর দিয়ে।
গাজী আশরাফ বলেন, 'আমরা সাইফউদ্দিনকে যে ভূমিকায় প্রয়োজন মনে করেছি, সেখানে তাকে পরীক্ষা করেছি। গত ম্যাচে আমরা মাত্র দুজন পেসার মাঠে নামিয়েছিলাম যাতে সাইফউদ্দিন পুরো চার ওভার বোলিং করতে পারে। এখন সে যদি দুটিতে বাজে বোলিং করে, সেটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আগে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে: বাংলাদেশ অধিনায়ক
বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল ঘোষণার আগে আইসিসির কাছে প্রাথমিক দল জমা দিয়েছিল বাংলাদেশ। গাজী আশরাফ জানালেন, সেই দলে একমাত্র পরিবর্তন সাইফউদ্দিনের বাদ পড়া।
তানজিমকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, সাইফউদ্দিনের চেয়ে তানজিমের খেলায় ভালো মনোযোগ রয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজেও আমরা তানজিমকে পর্যবেক্ষণ করেছি। তার মনোযোগ ও সেরা পারফরম্যান্স দেওয়ার ইচ্ছা তাকে সাইফউদ্দিনের চেয়ে এগিয়ে রেখেছিল।
বুধবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের।
যুক্তরাষ্ট্রে পা রেখে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর নিউইয়র্কে ভারতের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে।
আরও পড়ুন: যে কারণে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণায় দেরি
বিশ্বকাপের হতাশা ভুলে টাইগাররা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: জি এম কাদের
নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) এক অভিনন্দন বার্তায় ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ক্রিকেট কোচ ও ক্রিকেট বোর্ড সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
অভিনন্দন বার্তায় জি এম কাদের বলেন, বিজয়ের মাসে এই বিজয় প্রত্যাশিত ছিল। বোলিং, ব্যাটি ও ফিল্ডিংয়ে টাইগাররা যে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন তা অসাধারণ।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বকাপের হতাশা ভুলে টাইগাররা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, পরবর্তী টেস্টেও টাইগারদের বিজয়ের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে একইভাবে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।
আরও পড়ুন: টাকা বা ক্ষমতার জন্য নিজেকে বিক্রি করতে পারব না: জিএম কাদের
রংপুর-৩ আসনে জাপার মনোনয়ন ফরম নিলেন জিএম কাদের