শাপলা
পাবনায় ডোবায় শাপলা তুলতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু
পাবনার সাঁথিয়ায় ডোবার পানিতে শাপলা তুলতে গিয়ে একই পরিবারে রুহান (৩) ও ইয়ামিন (৪) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১২ আগষ্ট) সকাল ১১টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে পানিতে ডুবে কিশোর নিহত
রুহান ধুলাউড়ি পূর্বপাড়া গ্রামের ইমরান হোসেনের ছেলে এবং ইয়ামানি একই গ্রামের শাহিন আলমের ছেলে। নিহত দুই শিশু সম্পর্কে চাচা ও ভাতিজা।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রুহানের মা রত্না খাতুন বাড়ির পাশে ইছামতি নদীতে কাপড় কাচতে গেলে তার সঙ্গে রুহান ও ইয়ামিন যায়। তার মায়ের অজান্তে তারা পাশেই একটি ডোবায় শাপলা ফুল তুলতে যায়। রুহানের মা কাপড় কাচা শেষে দেখতে পান তার ছেলে রুহান ও ইয়ামিন নেই। স্বজনেরা তাদের খোঁজাখুঁজির পর দেখতে পান বাড়ির পাশে ডোবায় ইয়ামিন পানিতে ভেসে আছে।
তারা পানিতে নেমে রুহানকে পানির নিচ থেকে উদ্ধার করে। দুজনকেই সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ধুলাউড়ি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ময়েন উদ্দিন বিশ্বাস শিশু দুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পানিতে ডুবে শিশু দুটির মৃত্যুর ব্যাপারে শুনেছি।’
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
নড়াইলে বালতির পানিতে ডুবে ১৫ মাস বয়সি শিশুর মৃত্যু
৩ মাস আগে
গাইবান্ধায় শাপলা তুলতে গিয়ে ২ শিশুর মৃত্যু
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বাড়ির পাশে শাপলা তুলতে গিয়ে বিলের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের রাঘবেন্দপুর কানিপাড়া গ্রামের ধারাই চতরা বিলে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটের বুগইল বিলে লাল শাপলার সমারোহ
মৃত শিশুরা হলো- শিশু রিয়ন (৬) ও তামিম মিয়া (৭)। রিয়ন ওই গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে এবং তামিম একই গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে বাড়ির পাশেই খেলছিল রিয়ন ও তামিম। পরে তারা বিলে শাপলা ফুল তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে যায়। এরপর খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বিল থেকে তাদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম বলেন, বিলের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। লাশ তাদের স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নদীতে শাপলা তুলতে গিয়ে ২ শিশুর মৃত্যু
নাটোরে বাবার সঙ্গে চলনবিলে শাপলা তুলতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
১ বছর আগে
চুয়াডাঙ্গায় নদীতে শাপলা তুলতে গিয়ে ২ শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নদীতে শাপলা তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার বন্দরভিটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাব্বির হোসেন (৮) বন্দভিটা গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে ও হোসাইন (৭) একই গ্রামের রানা মিয়া ছেলে।
নিহত স্কুলছাত্র সাব্বিরের চাচা বহুলুল বলেন,সাব্বির ও হোসাইন বেলা ১১টার দিকে একবার শাপলা তুলে নিয়ে এসেছে। দুপুরের পর আবারও তারা শাপলা তুলতে যায়। এরপর বিকাল হয়ে এলেও সাব্বির ও হোসাইনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গ্রামের মধ্যে খোঁজাখুজি করেও না পেয়ে নদীর ধারে দেখতে যায় সাব্বির ও হোসাইনের বাড়ির লোকজন। এ সময় সন্দেহের কারণে নদীর পানিতে খোঁজ করার সময় বিকাল ৪টার দিকে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: নাটোরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আব্দুর বারী বলেন, ‘মরা গাংয়ের শ্মশান ঘাটে শাপলা তুলতে গিয়ে দুই শিশুর ডুবে মারা গেছে। বিকালে পরিবারের লোকজন পানির মধ্যে তাদের লাশ খুঁজে পায়। একসঙ্গে দুই শিশুর মৃত্যুতে গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ‘বন্দরভিটা গ্রামে শাপলা ফুল তুলতে গিয়ে পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুর হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নাটোরের বড়াইগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
১ বছর আগে
নাটোরে বাবার সঙ্গে চলনবিলে শাপলা তুলতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
নাটোরে পানিতে পড়ে ৪ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) সিংড়ায় বাবার সঙ্গে চলনবিলে শাপলা তুলতে গিয়ে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: কুতুবদিয়ায় ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
নিহত শিশু আরমান সিংড়া উপজেলার কৃঞ্চনগর গ্রামের জেলে আলামিনের ছেলে।
সিংড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, দুপুরে শিশু আরমানকে নিয়ে নৌকায় চলনবিলে শাপলা তুলতে গিয়ে শিশুটি নৌকা থেকে পানিতে পড়ে তলিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, আশপাশের লোকজনের সহায়তায় বিলের পানিতে নেমে তল্লাশি চালিয়ে আধঘণ্টা পর আরমানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু
রাজধানীতে মায়ের কোল থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
১ বছর আগে
শাপলা তুলে জীবিকা চলে মাগুরার রহিতোষ মল্লিকদের
মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের নরপতি গ্রামের তালতলা পাড়ার রহিতোষ মল্লিক। তিনি প্রতি বুধবারে ভোর না হতেই বাড়ির পাশের নরপতির বিলে নেমে পড়েন। নৌকায় চড়ে একটি একটি একটি করে শাপলা তোলেন। এক সাথে পাঁচটি করে এক আঁটি বাঁধেন।
প্রতিদিনি প্রায় ২০০ থেকে ৫০০ শাপলা তোলা হলেই উপজেলা সদর আড়পাড়ার হাটে নিয়ে আসেন এবং বিক্রি করেন। আর এই টাকা দিয়েই স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ পরিবারের ভরণপোষণ ও স্ত্রী সন্তানদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে থাকেন।
আরও পড়ুন: এক পায়ে দড়ি লাফে জোড়া বিশ্ব রেকর্ড ঠাকুরগাঁওয়ের রাসেলের
রহিতোষ মল্লিক বলেন, ‘আমার জমিজমা তেমন একটা নাই। সারা বছর পরের ক্ষেতে কামলা করে সংসার চালাই। তবে বর্ষাকাল হলে নরপতির বিল থেকে নাইল (শাপলা) তুলে মোটামুটি কিছু পয়সা আয় করে পরিবারের ভরণ-পোষণের চেষ্টা করি।’
এমনই অপর একজন হলেন সীতারানী বিশ্বাস, যিনি উত্তর ধর্মসীমা গ্রামের প্রতিবন্ধী চিতেন বিশ্বাসের স্ত্রী। দুই মেয়েসহ এই পরিবারে মোট চারজন সদস্য।
তিনিও হাটবার হলেই রাত না পোহাতেই নৌকায় করে নেমে পড়েন বাড়ির পাশে বুরুলিয়ার বিলে। বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেন কয়েক শ’ শাপলা। একসাথে পাঁচটি করে বাধেন এক আঁটি। প্রতি আঁটি বাজারে বিক্রি করেন ৫ টাকা করে। এভাবেই কোনরকম চলে তার সংসার।
আরও পড়ুন: প্রধান শিক্ষক এখন চায়ের দোকানদার
সীতারানী বিশ্বাস বলেন, ‘অভাবের সংসার, স্বামীটা প্রতিবন্ধী হওয়ায় জীবনের শেষ বয়সে নেমে পড়লাম জীবন যুদ্ধে। তবে সরকারি কোনও সহযোগিতা পেলে স্বামী-সন্তান নিয়ে দু’বেলা কিছু খেয়ে বেঁচে থাকতে পারতাম।’
৩ বছর আগে
সিলেটের বুগইল বিলে লাল শাপলার সমারোহ
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার গহড়া গ্রামটির দক্ষিণ পাশেই রয়েছে বুগইল বিল। এই বিলটিই এখন গোয়াইনঘাটের পর্যটন সম্ভাবনার নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে। গোয়াইনঘাটের ২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের ছোটখেল মৌজাধীন গহড়া বুগইল বিলটি এখন প্রকৃতি কন্যার বুকে স্থান পেতে যাচ্ছে। বর্তমানে পুরো বিল জুড়ে শাপলা ফুটে আছে। এ যেন এক অন্য রকম দৃশ্য।
৪ বছর আগে