ঘোড়াশাল
ঘোড়াশাল-পলাশ সার কারখানার উদ্বোধন ১২ নভেম্বর
আগামী ১২ নভেম্বর নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় নবনির্মিত ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ উপলক্ষে কারখানা প্রাঙ্গণে শনিবার (৪ নভেম্বর) সার্বিক প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
এসময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ সার কারখানা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বিরাট ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: যা কিছু হবে সংবিধান ও আইনের মধ্যেই হতে হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি সার আমদানির উপর নির্ভরতা হ্রাস পাবে। কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বাড়বে এবং দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. আনোয়ারুল আশরাফ খান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এসএম আলম।
২০১৮ সালের অক্টোবরে নরসিংদী জেলায় ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার কার্যক্রম শুরু হয়। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি গত ২১ এপ্রিল, ২০২২ তারিখে এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
এর বার্ষিক সার উৎপাদন ক্ষমতা ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ২৪ লাখ টন। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে দেশের অভ্যন্তরীণ ইউরিয়া সারের চাহিদা মেটাতে এবং সুলভমূল্যে কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে এটি ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কাজ সম্পন্ন হলে দৈনিক ২৮০০ টন (বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার টন) গ্রানুলার ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন, শক্তি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব গ্রানুলার ইউরিয়া উৎপাদনে সক্ষম এই সার কারখানা দেশে ইউরিয়া সারের স্বল্পতা ও ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে গুরু্ত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
প্রকল্পের বিভিন্ন প্ল্যান্টের কাজ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের অ্যামোনিয়া প্ল্যান্ট, ইউরিয়া প্ল্যান্ট ও ইউটিলিটি দৃশ্যমান।
এছাড়া, পিডিবি থেকে পাওয়ার রিসিভিং, ইমাজেন্সি ডিজেল জেনারেটরের লোড টেন্ট সম্পন্ন হয়েছে, কুলিং ওয়াটার সিস্টেমে ওয়াটার ফ্ল্যাশিং ও কেমিক্যাল ক্লিনিং, নাইট্রোজেন ইউনিটের ইন্সট্রুমেন্ট এয়ার কম্প্রেসারের প্রি-কমিশনিং এবং কমিশনিং কার্যক্রম শেষ হয়েছে এবং পরীক্ষামূলক সার উৎপাদন শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সমবায় শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের আমূল পরিবর্তন সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বিএনপির ভোট চাওয়ার মুখ নেই: রেলমন্ত্রী
১ বছর আগে
ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-৫ পুনরায় চালু
দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিট-৫ পুনরায় চালু হয়েছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক শামীম হাসান ইউএনবিকে বলেন, ‘ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-৫ গতকাল থেকে চালু হয়েছে এবং ক্ষমতার ২১০ মেগাওয়াটের বিপরীতে ১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।’
ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-৫ জাতীয় পর্যায়ে গ্রিড বিপর্যয়ে অন্যান্য ইউনিটের সঙ্গে ৪ অক্টোবর বন্ধ হয়ে যায়।
ইউনিট-৫ ব্যতীত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রায় সব ইউনিট একই দিনে পুনরায় চালু হয়।
ফলে ঢাকা মহানগর ও আশপাশের এলাকাগুলো এই কেন্দ্র থেকে তুলনামূলক কম বিদ্যুৎ পাচ্ছিল। ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বড় ভূমিকা পালন করে।
বড় ধরনের কারিগরি ত্রুটির কারণে ঘোড়াশালের ইউনিট-৫ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে ব্যর্থ হন কর্মকর্তারা। মেরামতের পরে বিপিডিবি’র প্রকৌশলীরা বুধবার কেন্দ্রের ইউনিটটির কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে সক্ষম হন।
আরও পড়ুন: ঘোড়াশালে ৩৬৫ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টের কার্যক্রম বন্ধ
বিপিডিবি’র এক কর্মকর্তা জানান, ইউনিট-৫ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় চালু হলে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে বিস্তর ব্যবধানের কারণে ঢাকা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় এখনও ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে।
বিপিডিবি ডেটা দেখায় যে, প্রায় ১৪ হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের পর থেকে ১১ হাজার থেকে ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২য় ইউনিটের চুল্লি স্থাপনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
লোডশেডিং: ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হবে না
২ বছর আগে
ঘোড়াশালে ৩৬৫ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টের কার্যক্রম বন্ধ
ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) আওতাধীন এলাকায় গ্রাহকরা তিন ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং অনুভব করেছেন এবং ঢাকা পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) আওতাধীন এলাকায় কোনো লোডশেডিং হয়নি।
শনিবার সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ঘোড়াশাল পাওয়ার স্টেশনের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়ায় উত্তরা, গুলশান, বারিধারা, বসুন্ধরা, বনানী, বাড্ডা, উত্তরা খান, দক্ষিণখান, আগারগাঁও, মিরপুর, কাফরুল, কল্যাণপুর, খিলক্ষেত, পল্লবী, রূপনগর ও টঙ্গীসহ ডেসকো এলাকায় দীর্ঘ লোডশেডিং শুরু হয়েছে। ,
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমীর আলী বলেন, ‘ঘোড়াশালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ থাকায় আমরা অন্য দিনের তুলনায় কম সরবরাহ (বিদ্যুৎ) পাচ্ছি বলে বিভিন্ন সময়ে তিন ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং করতে হয়েছে।
তিনি জানান, ঘোড়াশাল পাওয়ার স্টেশন হচ্ছে বিদ্যুতের একটি প্রধান উৎস, যেখান থেকে ডেসকো পাওয়ার সাপ্লাই পায়।
ডেসকোর প্রধান নির্বাহী ইউএনবিকে বলেন, ‘ঘোড়াশাল স্টেশনে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পর শনিবার ডেসকোতে চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুত সরবরাহ এক হাজার ৩৮ মেগাওয়াটের পরিবর্তে ৭৫০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছে।’
ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে ডেসকোকে প্রায় ২৭৮ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার ভোর ৪টা ৪৯ মিনিটে ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩৬৫ মেগাওয়াট ইউনিট-৭ বিপর্যস্ত হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেয়।
বিপিডিবির জনসংযোগ পরিচালক শামীম হাসান জানান, শনিবার বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিস্থিতি ভালো ছিল। এদিন এক হাজার ২৪২ মেগাওয়াটের নির্ধারিত লোডশেডিং অনুমান করা হয়েছিল এবং ১৪ হাজার মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে প্রজেক্টেড উৎপাদন ছিল ১২ হাজার ৭৫৮ মেগাওয়াট।
ডিপিডিসি তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একটি বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের এলাকায় কোন নির্ধারিত লোডশেডিং নেই, যা মূলত ঢাকা শহরের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব, দক্ষিণ-পশ্চিম এবং কেন্দ্রীয় অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
চলমান বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় মঙ্গলবার থেকে সারা বাংলাদেশে দৈনিক এক ঘণ্টা এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়: মঙ্গলবার থেকে দেশে দৈনিক এক ঘণ্টা লোডশেডিং
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে আলোকসজ্জা না করার নির্দেশনা
২ বছর আগে