খোলা বাজার
খোলা বাজারে ১৫ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) নির্ধারিত হারে ডলার কেনার বিষয়ে সতর্ক করার পর ব্যাংকগুলোতে মার্কিন ডলারের সংকট আরও গভীর হচ্ছে।
খোলা বাজারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রায় ১৫ টাকা বেশিতে অর্থাৎ, প্রতি ডলার ১২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা খোলা বাজারে ডলারের এই রেকর্ড দাম সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তারা জানিয়েছেন, উচ্চ হারে ডলারের লেনদেনের পেছনে থাকা অবৈধ ডলার ব্যবসায়ীদের সন্ধান করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, অতিরিক্ত দামে ডলার কিনতে ব্যাংকগুলোকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তিনি বলেন, ব্যাংক রেট উপেক্ষা করে ব্যাংক ডলার কিনলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর শাস্তি দেবে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৯৭ বিলিয়ন ডলার
অন্যদিকে, খোলা বাজারে লাগামহীনভাবে বাড়ছে মার্কিন ডলারের দাম। তিন দিনের বিপরীতে খোলা বাজারে ডলারের দাম বেড়েছে তিন টাকা। শনিবার খোলা বাজারে প্রতি মার্কিন ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৭ টাকায়।
এর আগে বুধবার (৮ নভেম্বর) খোলা বাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৪ টাকায়।
মানি এক্সচেঞ্জারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করেছে ১১৩ টাকা ৭৫ পয়সা এবং বিক্রয়মূল্য ১১৫ টাকা ২৫ পয়সা। তবে, এই দামে কোনো মানি এক্সচেঞ্জে ডলার লেনদেন হয় না।
মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে ডলারের লেনদেন না হলেও; মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন, ফকিরাপুল এলাকার বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁ থেকে শনিবার ক্রেতারা প্রতি ডলার ১২৮ টাকা দরে কিনেছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হেলাল সিকদার বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত হারে ডলার লেনদেন হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাহক আসে এবং ডলার না পেয়ে ফিরে যায়। তারা অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া দামে ডলার কিনতে বাধ্য হয়।’
আরও পড়ুন: এক মার্কিন ডলার ১২০ টাকা: মানিচেঞ্জাররা বলছেন হাত খালি, নেটওয়ার্কে বিক্রি হচ্ছে ডলার
বাংলদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২১.১৫ বিলিয়ন ডলার, যা বলছেন অর্থনীতিবিদরা
১ বছর আগে
১লা অক্টোবর থেকে খোলা বাজারে আটা বিক্রি করা হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে খোলা বাজারে (ওএমএস) আটা বিক্রি করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পহেলা অক্টোবর থেকে খোলা বাজারে আটা বিক্রি হবে প্যাকেটে। ইতোমধ্যে প্যাকেট করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খোলা আটা বিক্রি হলে সেটি কালোবাজারি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর জন্য দাম একটু বেশি পড়লেও সব আটা প্যাকেটে করা হচ্ছে।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ এ অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, গম শিপিং শুরু হয়েছে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে খোলা বাজারে আটা বিক্রি কার্যক্রম শুরু হবে। সিটি করপোরেশন থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ে যে সব ডিলার আছে, তাদেরকে এক টন করে আটা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন:নিরাপদ ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাবার তৈরির আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, একদিকে কৃষকদের ন্যায্য মূল্য দেয়ার বিষয়টি থাকে, আবার ভোক্তারা যাতে কষ্ট না পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। আবার বৈশ্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়। এর পাশাপাশি আমাদের অস্থির প্রকৃতির মতো, অস্থির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের পাঞ্জা লড়তে হয়। এই নানাবিধ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের এগুতে হয়।
তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম যখন বাড়লো, সেই হিসেবে যদি আমরা দেখি চালের দাম খুব বেশি হলে ৪০ পয়সা থেকে ৫০ পয়সা, না হলে জায়গা বেসিসে সর্বোচ্চ এক টাকা বাড়তে পারে। সেখানে রাতারাতি ৫/৭/৮ টাকা বাড়িয়ে দিলো। আমি বলবো এটা অস্থির মস্তিষ্কের পরিচয় দেয়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সে সময় আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম ১ সেপ্টেম্বর ওএমএসে চাল বিক্রি করা হবে। আমরা এক তারিখ থেকে সারাদেশে মহাসমাবেশে এটার উদ্বোধন করেছি এবং এ কার্যক্রম চালু আছে।
তিনি বলেন, আমাদের গম আসতেছে। গমের সমস্যা হবে না। আমরা এক অক্টোবর থেকে জেলা এবং সিটি করপোরেশন, যেগুলোতে আমরা আটা দিতাম, সব ডিলারকে আমরা দিনে এক টন করে আটা দেয়া শুরু করবো। যাতে মানুষ আটা পায়।
তিনি আরও বলেন, সব আটা প্যাকেট করা যায় কিনা আমরা সেই পরিকল্পনা নিয়েছি। এই আটা আমরা দুই কেজি করে প্যাকেট করার পরিকল্পনা নিয়েছি। কারণ খোলা আটা স্মাগলিং বেশি হয়ে যায়। বাজারের ডিফারেন্সটা (পার্থক্য) অনেক বেশি। আমাদের ১৮ টাকা, আর বাজারে অনেক বেশি।
মন্ত্রী বলেন, ‘যার প্রেক্ষিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সব প্যাকেট করে হয়, আর প্যাকেট করে বিক্রি করলে দাম একটু বেশি থাকবে। তবে এটাও ঠিক বাজার মূল্যের থেকে অর্ধেক দাম পড়বে। আমি মনে করি এখানে থেকে কালোবাজারি বা অসৎ উদ্দেশ্য বন্ধ হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ওএমএসে আমরা আটা প্যাকেট করে বিক্রির চেষ্টা করছি। যদি প্যাকেটজাত সম্পন্ন করতে না পারি, তাহলে খোলা আমরা যে ভাবে বিক্রি করি, সেই ভাবে বিক্রি করবো।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখনো যে খাদ্য মজুদ আছে, তাতে খাদ্যের হাহাকারের কোনো অবস্থা নেই। আমরা সামনের প্রিপারেশন নিচ্ছি। না জানি সামনে বন্য হয় কিনা বা খরায় যদি আমাদের ফসলের ক্ষতি হয়, আমাদের যদি উৎপাদন কম হয়, সে জন্য অগ্রিম প্রিপারেশন নিয়ে আমরা এগুচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গোডাউন থেকে যতটুকু বেরিয়ে যাচ্ছে ওএমএস, রেশন, কাবিখা, ভিজিবি ইত্যাদি মিলে যেটুকু বেরিয়ে যাবে, আমরা যেন সেটা পূর্ণাঙ্গ পরিপূর্ণ করে রাখতে পারি। সব সময় যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারি, এটা আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে আছে।
সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংলাপ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএসআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
আরও পড়ুন:খুচরা বিক্রেতারা চালের দাম বাড়িয়ে আঙ্গুল তুলে মিল মালিকদের দিকে: খাদ্যমন্ত্রী
দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
খোলা বাজারে ডলারের দাম বেড়ে ১০৫ টাকা
খোলা বাজারে ডলার সংকট বেড়েই চলেছে। ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর স্থিতিশীল বিনিময় হারের দাবির মধ্যে প্রতি ডলারের দাম বেড়ে ১০৫ টাকা হয়েছে।
রবিবার থেকে এক টাকা বেড়ে সোমবার খোলা বাজারে এক মার্কিন ডলার বিক্রি হয়েছে ১০৫ টাকায়, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
খোলা বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ মার্কিন ডলার কেনার জন্য ঘুরছেন। তবে এ মুহূর্তে তারা পর্যাপ্ত ফরেক্সের ব্যবস্থা করতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৬৪ বিলিয়ন ডলার
আনোয়ার আলী নামে খোলা বাজারের এক ডলার বিক্রেতা বলেন, সিন্ডিকেটরা ডলার ব্যবসায় সক্রিয়ভাবে জড়িত। তারা কাঙ্ক্ষিত দাম পেলেই কেবল ডলার বিক্রি করবে।
রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় ডলার বিক্রি করা এই ব্যবসায়ী জানান, পর্যটক, ক্ষুদ্র আমদানিকারক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট মানুষজনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ খোলা বাজার থেকে ডলার ক্রয় করছেন।
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার বিক্রি ও নীতি শিথিলের পদক্ষেপ সত্ত্বেও চলরি বছরের জুন থেকে ডলার বাজার এখনও স্থিতিশীল নয়।
২ বছর আগে