ডলার সংকট
ডলার সংকটে সৌদি আরবের কাছে মূল্য পরিশোধের বাড়তি সময় চেয়েছে বাংলাদেশ: সালমান এফ রহমান
সম্প্রতি সৌদি আরব সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বাংলাদেশের ডলার সংকটে মূল্য পরিশোধের বাড়তি সময় চান।
সৌদি আরব থেকে জ্বালানি আমদানির জন্য দীর্ঘ সময়ে অর্থ প্রদানের সুবিধার্থে এই অনুরোধটি করা হয়।
দেশে ফেরার পর মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ৩ দিনের সফরের চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সৌদি আরব থেকে জ্বালানি আমদানির অর্থ পরিশোধের জন্য আমাদের ৪৫ দিনের সময়সীমা রয়েছে। ডলারের ঘাটতি বিবেচনায় এটি এক বছর পর্যন্ত বাড়ানো আমাদের জন্য বেশ সুবিধাজনক হবে। সৌদি কর্মকর্তারা এই প্রস্তাব বিবেচনায় নিতে সম্মত হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না: সালমান এফ রহমান
রহমান ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টার টেরোরিজম কোয়ালিশনের (আইএমসিটিসি) বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান ও এ জাতীয় কাজকে ন্যায্যতা দেওয়ার ক্ষেত্রে ইসলামের অপব্যবহারের বিষয় উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম নেই এবং আইএমসিটিসির মাধ্যমে ইসলামী দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করে আমরা সন্ত্রাসবাদের দ্বারা ইসলামের অবমাননার বিরুদ্ধে লড়াই করার লক্ষ্য রাখছি।’
উপদেষ্টা গাজায় চলমান সংকটের সর্বসম্মত নিন্দার পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে সাক্ষাতের মাধ্যমে সমাধানের জন্য একটি সম্মিলিত আহ্বানের কথা তুলে ধরেন। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্দশার বিষয়টিও সমাধান করার অঙ্গীকার করা হয়।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে রহমান বাংলাদেশে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় সৌদি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সৌদি আরবকে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দ দিতে আগ্রহী। তাদের বিনিয়োগমন্ত্রী এই প্রকল্প নিয়ে উৎসাহ দেখিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: সালমান এফ রহমান আবারও বিজয়ী
১০ মাস আগে
ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মুদ্রাস্ফীতি ও ডলার সংকট স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
মার্কিন ডলার সংকট ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সৃষ্ট অর্থনীতির ওপর চাপ কমাতে আশাবাদ নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনীতি সম্পর্কিত একটি ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণের ওপর জোর দিয়েছে। এতে বলা হয়, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং আর্থিক খাতের অস্থিতিশীলতার কারণে পণ্যের দাম বৃদ্ধি ও সরবরাহ ব্যাহত হওয়াসহ বহিরাগত প্রভাবের কারণে অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে।
বিষয়টি ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং পরিস্থিতি রাতারাতি সমাধান হবে না। সুতরাং, ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভবিষ্যতের আর্থিক পরিকল্পনায় সতর্ক থাকতে হবে, যেমনটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি তিন মাসে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির হালনাগাদ তথ্যসহ এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক ৯% সুদের হার তুলে নিয়ে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের চাপে পড়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব এখনো অর্থনীতিতে পড়েনি। কিন্তু অর্থনীতি চাপের মধ্যে রয়েছে। এক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে।
অর্থনীতির একটি বড় অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের বেশির ভাগই আসে এসব অঞ্চল থেকে। রপ্তানির প্রায় ৮২ শতাংশ যায় এসব দেশে।
অন্যদিকে, আমদানির ৭২ শতাংশ আসে ভারত ও চীন থেকে। এখন সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসছে আমেরিকা থেকে। বর্তমানে যে ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত দেখা দিয়েছে তাতে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভূ-রাজনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের মতবিরোধ সামনে এসেছে। এই দুই দেশের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ খুবই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এছাড়া, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কঠোর সমালোচনা করছে। বাংলাদেশ এর সমালোচনা মানতে রাজি নয়, যদিও বলা হয় যে বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার দিকে মনোনিবেশ করছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি নীতি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় প্রায় ১২ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: গরুর হাটে জাল নোট শনাক্তে ব্যাংকগুলোকে বুথ বসাতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া কিছু বিধিনিষেধ ও সাম্প্রতিক ভিসা নীতিমালার কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স আকারে বাংলাদেশিদের অর্থ দেশে আসছে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে হঠাৎ করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশ এরই মধ্যে মোকাবিলা করছে। এর প্রভাব এখনও আছে।
যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এখনো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আঘাত হানছে। আর্থিক খাতে অস্থিতিশীলতা ছিল। এখন তা সহজ হতে শুরু করেছে। ব্যাংকগুলোতে তারল্য সরবরাহ বাড়ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশাবাদ ব্যক্ত করেছে যে আগামী দিনগুলোতে এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক রেট ক্যাপসহ 'বাজারভিত্তিক' ডলারের বিনিময় হার চালু করেছে
১ বছর আগে
নির্বাচনী বছরের বাজেটের আগে মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব ঘাটতি ও ডলার সংকট অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের প্রস্তুতিকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তের সঙ্গে নির্বাচনী বছরে প্রত্যাশার ভারসাম্য রাখতে হবে এবং মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট এবং রাজস্ব ঘাটতি মোকাবিলা করতে হবে।
এক্ষেত্রে জনসন্তুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখা এবং অর্থনীতি রক্ষা করা একটি প্রধান বিষয়।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, অতীতে দেখা গেছে নির্বাচনী বছরের বাজেটে প্রায়ই অর্থনীতির উন্নতির চেয়ে, জনগণের সন্তুষ্টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) একজন বিশিষ্ট ফেলো এবং সামষ্টিক অর্থনীতিবিদ ওজননীতি বিশ্লেষক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, এবার সন্তোষজনক বাজেট পেশ করার সুযোগ খুবই সীমিত।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সব সরকারই জনগণকে সন্তুষ্ট করে এমন বাজেট দিতে চায়। কিন্তু আর্থিক পরিস্থিতি, রাজস্ব ঘাটতি ও বাণিজ্য ঘাটতির কারণে সরকারের জন্য সেই সুযোগ খুবই সীমিত। যদি এ বিষয়ে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়াও হয়, তা সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে দুটি সরকার এই বাজেট বাস্তবায়ন করবে। এই বাজেটে নমনীয়তাও রক্ষা করতে হবে। কারণ, সরকার যদি বড় কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে তারা কতটা বাস্তবায়ন করতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ৩১ মে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু
১ বছর আগে
রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডলার সংকটের প্রভাব
১৩২০ মেগাওয়াট রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তার আংশিক উৎপাদন পুনরায় শুরু করেছে। তবে কর্মকর্তারা এখনও ডলার সংকটের কারণে এটির নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ প্ল্যান্টের প্রধান জ্বালানি ‘কয়লা’ আমদানি আবার ব্যাহত হতে পারে।
কয়লা ঘাটতির কারণে এক মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে কয়লাভিত্তিক প্ল্যান্টের ইউনিট-১ পুনরায় উৎপাদন শুরু করেছে।
গত মাসে বন্ধ হওয়ার আগে আগস্টে শুরু হওয়া প্ল্যান্টটি এখনও পরীক্ষামূলকভাবে চলছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) কর্মকর্তারা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার একটি ব্রিফিংয়ে রামপাল প্লান্টের বিআইএফপিসিএলের প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে বলেন, প্লান্টটি চালু রাখতে হলে কয়লা আমদানির বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: কয়লার অভাবে ৮ দিন ধরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ
তিনি প্ল্যান্ট পরিদর্শনকারী একদল জ্বালানি বিষয়ক সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্ল্যান্টে ব্যবহৃত কয়লা উচ্চমানের এবং উপমহাদেশে পাওয়া যায় না।’
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, কয়লা সরবরাহের ঘাটতির কারণে ১৪ জানুয়ারি ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ইউনিট-১ বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
ডলার সংকটের কারণে কয়লা আমদানির কোনো লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খুলতে পারছে না বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
সরকারের নীতিগত পর্যায়ে অনেক বোঝানোর পর কয়লা আমদানির জন্য এলসি খোলার অনুমতি দেয়া হয় এবং সরবরাহকারী ৩০ হাজার মেট্রিক টনের একটি চালান পাঠায়।
বিআইএফপিসিএল কর্মকর্তারা জানান, প্ল্যান্টের জন্য কয়লা আমদানির পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।
বিআইএফপিসিএল ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এনটিপিসি এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) যৌথভাবে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিক ও পরিচালক।
ওই কর্মকর্তা জানান, ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লার আরেকটি চালানও শিগগিরই দেশে আসছে।
আরও পড়ুন: রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ: প্রণয় ভার্মা
কয়লার বর্তমান মজুদ থাকায় প্ল্যান্টটি চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত চলতে পারে উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, ইউনিট-১ পূর্ণ ক্ষমতার সঙ্গে চালু রাখতে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন।
প্রকল্প কর্মকর্তা বলেন, ‘ইউনিট-২ চলতি বছরের জুন মাসে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং সেই সময়ে প্রতিদিন প্রায় ৯ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হবে।’
তিনি বলেন, ইউনিট-১ এখন পরীক্ষাধীন রয়েছে। কারণ বিআইএফপিসিএলের সঙ্গে বিপিডিবি’র বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) রয়েছে, তারা এখনও প্ল্যান্টের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি দেয়নি।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ চুক্তি জিতল বসুন্ধরা গ্রুপ
১ বছর আগে
ডলার সংকটেও জানুয়ারিতে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৬ কোটি ডলার
অস্থিতিশীল বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক যখন প্রয়োজনীয় পণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) দায়বদ্ধতার সঙ্গে লড়াই করছে এমন সময় জানুয়ারিতে অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো খবর হিসেবে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে বৈধ পন্থায় দেশে ১৯৬ কোটি মার্কিন ডলার এসেছে। ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৯ কোটি ডলার।
চলতি অর্থবছর ২০২২-২০২৩ এ বাংলাদেশ সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) এক হাজার ২৪৫ কোটি ডলারের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স পেয়েছে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে রপ্তানি আয় পাঁচশ’ কোটি ছাড়াল, ডলার সংকট কেটে যাওয়ার আশা
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, ডলার সংকটের কারণে অনেক আমদানি পেমেন্ট পিছিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য প্রবাসী আয়ের যে ডলার তা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে কেনা হচ্ছে। ফলে প্রবাসী আয় বেড়েছে। ডলারের মূল্যসীমা অপসারণ করা হলে সংকট কেটে যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেসবাউল হক ইউএনবিকে বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেমিট্যান্সের জন্য মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাড়িয়েছে। রেমিট্যান্সের জন্য ২ দশমিক ৫ শতাংশ ঝামেলামুক্ত প্রণোদনার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা আকৃষ্ট করতে বেশ কয়েকটি ব্যাংক অতিরিক্ত প্রণোদনাও দিয়ে থাকে। বৈধ পন্থায় রেমিট্যান্স পাঠাতে কোনো চার্জ বা ফি কাটবে না ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রবাসী আয়ের ৪০ শতাংশের বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠানো হয় হুন্ডির মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের ডলার সংকট এড়াতে আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে: ধর্মপ্রতিমন্ত্রী
আগামী মাসের মধ্যে ব্যাংকগুলোতে ডলার সংকট দূর হয়ে যাবে: সালমান এফ রহমান
১ বছর আগে
আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
মার্কিন ডলারের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় এবং বিনিময় হারের ওঠানামায় বাংলাদেশি যাত্রীরা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মার্কিন ডলারের দাম স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত আপনার কি দেশের বাইরে বেড়ানোর পরিকল্পনা বাদ দেয়া উচিত? এই ডলার সংকট মোকাবিলা করার কি কোনো উপায় আছে? মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশ ভ্রমণের কিছু বিকল্প উপায় দেখে নেয়া যাক।
কেন আপনার মার্কিন ডলার কেনার বিকল্প মাথায় রাখা উচিত
বিদেশ ভ্রমণ একদিকে যেমন উত্তেজনাপূর্ণ ও অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে; তেমনি এটি ব্যয়বহুলও। আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সবচেয়ে বড় খরচ হল বাংলাদেশি টাকাকে আপনি যে দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, সেই দেশের মুদ্রায় রূপান্তর করার খরচ। তবে ভ্রমণকারীরা সাধারণত যে কোনো দেশে যাওয়ার সময় মার্কিন ডলার সঙ্গে রাখে।
মার্কিন ডলারের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে বেইজ কারেন্সির তোয়াক্কা না করে বিনিময় হারকে উচ্চ করে তুলেছে। তাই ভ্রমণকারীদের বিকল্প উপায়গুলো বিবেচনা করাই বুদ্ধিমানের কাজ ও সাশ্রয়ী হবে।
আরো পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণের উপায়
• ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি আন্তর্জাতিক কার্ডের (ডলার-সমর্থিত ভিসা/মাস্টারকার্ড) মাধ্যমে ডলার নেয়ার পরামর্শ দেয়। ক্রমবর্ধমান বিনিময় হার এবং ব্যাংক ও খোলা বাজারে সরবরাহ ঘাটতির কারণে তারা এই পরামর্শ দিয়েছে। খোলাবাজারে নগদ ডলারের দামের সঙ্গে বর্তমানে ব্যাংকের ব্যবধান ১০ টাকার বেশি।
আপনার ক্রেডিট কার্ডে ডলার অনুমোদন (এনডোর্স) করা সাশ্রয়ী। বর্তমান পরিস্থিতিতে এতে আপনার প্রতি মার্কিন ডলারে কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ টাকা সাশ্রয় করতে পারে। তবে বর্তমানে নগদ ও কার্ড অনুমোদনের বিনিময় হার একই ১০৬ টাকা (১২ জানুয়ারি পর্যন্ত)।
২০২২ সালের আগস্ট মাসের একটি খবর অনুযায়ী, খোলা বাজারে তখন ১ ডলার কিনতে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত খরচ হতো, অন্যদিকে ব্যাংক বা কার্ডের মাধ্যমে ডলার কিনতে ৯৫ টাকা লাগতো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সে সময় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ কারণেই আমরা ভ্রমণকারীদের পরামর্শ দিচ্ছি যে তারা তাদের ব্যাংক থেকে নগদ টাকার পরিবর্তে ট্রাভেল কার্ড দিতে অনুরোধ করুন। যাতে তাদের কম টাকা খরচ হয়।’
আরো পড়ুন: ঘুরে আসুন মালদ্বীপ: অপরূপ এক দ্বীপদেশ ভ্রমণ গাইড
• আপনার ভ্রমণ গন্তব্যের স্থানীয় মুদ্রা কিনুন
আপনি যে দেশে ভ্রমণ করছেন সেখানকার স্থানীয় মুদ্রা কেনা আপনার বিনিময় খরচ কমাতে পারে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে বিভিন্ন মুদ্রার বিনিময় হারও বেড়েছে।
তাই আপনি পরীক্ষা করতে পারেন যে আপনার গন্তব্য দেশের মুদ্রা কেনার খরচ কমছে কি না। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ভারতে ভ্রমণ করেন, বাংলাদেশ থেকে রুপি কিনলে আপনি মার্কিন ডলারে রূপান্তরিত করার চেয়ে বেশি মুদ্রা পেতে পারেন।
• ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহার করুন
অনেক দেশ এখন ডিজিটাল ওয়ালেট গ্রহণ করে। যেমন- অ্যাপল পে ও গুগল ওয়ালেট। আপনি যদি এই ধরনের লেনদেন চলে এমন কোনো দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে আপনার মুদ্রাকে সম্পূর্ণরূপে রূপান্তর করার প্রয়োজন পড়বে না। একটি তৃতীয় পক্ষের পরিষেবা ব্যবহার করে আপনি মুদ্রা লোড করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ গাইড: দর্শনীয় স্থান সমূহ, খরচ
• বিদেশি এটিএম এর সুবিধা নিন
আপনি যখন অন্য কোনো দেশে থাকেন, তখন এটিএম থেকে নগদ টাকা তোলা, ব্যাংক বা কারেন্সি এক্সচেঞ্জের দোকানে কারেন্সি কনভার্ট করার চেয়ে বেশি সাশ্রয়ী হতে পারে। আপনার যদি বাংলাদেশ থেকে ডলার-সমর্থিত কার্ড থাকে, তাহলে আপনি স্থানীয় এটিএম ব্যবহার করে যে দেশে ভ্রমণ করছেন সেখানে টাকা তুলতে পারবেন।
তবে, আপনি যে দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন সেখানে আপনার কার্ড কাজ করবে কিনা তা নিশ্চিত করতে আপনার ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং বিদেশি এটিএম ব্যবহার করার জন্য ফি আছে কিনা তা জেনে নিন।
১ বছর আগে
নভেম্বরে রপ্তানি আয় পাঁচশ’ কোটি ছাড়াল, ডলার সংকট কেটে যাওয়ার আশা
পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধিতে নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে। যা এক মাসে রেকর্ড পরিমাণ আয়। কর্মকর্তাদের পরিসংখ্যান এ তথ্য তুলে ধরেছে।
বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রতিবেদনে নভেম্বরের রপ্তানি আয় পাঁচ দশমিক ০৯ বিলিয়ন যা গত জুনে আগের মাসিক সর্বোচ্চ চার দশমিক ০৯৮ বিলিয়ন আয়কে ছাড়িয়ে গেছে।
ইপিবি জানিয়েছে, নভেম্বরে অর্জিত পাঁচ দশমিক ০৯ বিলিয়ন আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি আয়ের ঊর্ধ্বগতি এমন এক সময়ে হলো যখন পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের পোশাকের প্রধান ক্রেতা। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি সংকটে হতাশাজনক চাহিদার সঙ্গে লড়াই করছে।
চলতি বছরের জুলাই থেকে বাংলাদেশ ডলার সংকটে ভুগছে। সেই সময়ে এই অর্জন ক্রমবর্ধমান বৈদেশিক মুদ্রার সংকট লাঘবের আশা জাগিয়েছে।
আরও পড়ুন: মোবাইলে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন
সাম্প্রতিক ইপিবি তথ্য দেখায়, ২০২৩ অর্থবছরে একটি ইতিবাচক প্রবণতায় প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের রপ্তানি আয় এক মাসে পাঁচ বিলিয়ন বিলিয়ন অতিক্রম করেছে কারণ প্রস্তুতকারকরা, বিশেষ করে পোশাক, পশ্চিমা ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি অর্ডার এবং রপ্তানি চালান পেয়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান ইউএনবিকে বলেছেন যে পোশাকের অর্ডার, যা গত কয়েক মাসে কমছে, পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ এবং দক্ষিণ কোরিয়া, নন-ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সদস্য দেশ এবং কিছু আফ্রিকান দেশের এর মতো নতুন রপ্তানি গন্তব্য যুক্ত হওয়ার কারণে এটি একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশের সরবরাহ ক্ষমতা ভালো এবং কাপড়ের দাম এখন পর্যন্ত খুবই সাশ্রয়ী হওয়ায় শীত ও ক্রিসমাস উদযাপনের সময় অর্ডার আরও বাড়বে।
বিজিএমইএ সভাপতি উল্লেখ করেন যে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি সত্ত্বেও স্থগিত চালানের শিপমেন্ট পুনরায় শুরু করা এবং বৈচিত্র্যকরণের ওপর বেশি মনোযোগ দেয়া বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সব ধরণের ক্রেতাদের জন্য একটি ভালো বিকল্প তৈরি করছে।
ইউরোপীয় বাণিজ্য গবেষক ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ কমমূল্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পোশাক রপ্তানি করছে, যার চাহিদা ইউরোপের বাজারে কিছুটা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ইউরোপে পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের
ইউরোপে সাশ্রয়ী মূল্যে পোশাকের চাহিদা বেড়েছে যেখানে মূল্যস্ফীতি-আক্রান্ত ক্রেতারা চড়া দামের সঙ্গে লড়াই করছে।
রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ নিয়মিত পরিধান এবং বাড়িতে বুনন কাপড় আইটেম তৈরি করে এবং এটি ইইউ বাজারে তার রপ্তানিতে প্রাধান্য পায়।
এছাড়া ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ফল, সবজি, হিমায়িত মাছ, পাট ও চামড়াজাত পণ্য এবং হস্তশিল্পের রপ্তানিও বেড়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের লক্ষণ দৃশ্যমান হওয়ায় ইইউ প্লাস দেশ, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি গন্তব্য ক্রমাগত বাড়বে।
ঢাবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ রাজ্জাকের আশাবাদের উল্লেখ করে বলেছেন যে ইইউ বাজার বাংলাদেশের জন্য খুবই সম্ভাবনাময়।
তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোতে প্রতিবছর বাংলাদেশি পোশাকের চাহিদা ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নভেম্বরে সেই ফলাফল দেখতে পাচ্ছি, যেখানে প্রথমবারের মতো রপ্তানি আয় পাঁচ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে এবং এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: মাছের আঁশ: রপ্তানি বৈচিত্র্যে আশা জাগানো নতুন পণ্য
২ বছর আগে
আগামী মাসের মধ্যে ব্যাংকগুলোতে ডলার সংকট দূর হয়ে যাবে: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, আগামী মাসের মধ্যে ব্যাংকগুলোতে বিদ্যমান ডলার সংকট দূর হয়ে যাবে।
শনিবার মেহেরপুরে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যে জিনিসগুলো আমাদের আমদানি করা প্রয়োজন, সেগুলো রমজানের আগেই আমদানি করা হবে। রমজানে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না।’
আরও পড়ুন: মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: সালমান এফ রহমান
তিনি আরও বলেন যে আন্তর্জাতিক বাজারে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। আমদানি করতে গিয়ে আমাদের দেশের (অর্থনীতিতে) ওপরেও চাপ পড়েছে।
সালমান এফ রফমান বলেন, ‘তারপরও আমরা টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি পরিবারের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কম মূল্যে বিক্রি করছি। এতে অন্তত চার থেকে পাঁচ কোটি মানুষ উপকৃত হওয়ায় বড় কোনো সমস্যা থাকবে না।’
আরও পড়ুন: জ্বালানি সরবরাহের উৎসগুলোকে বিস্তৃত করেছে বাংলাদেশ; ডলারের অভাব নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
খোলা বাজারে ডলারের দাম বেড়ে ১০৫ টাকা
খোলা বাজারে ডলার সংকট বেড়েই চলেছে। ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর স্থিতিশীল বিনিময় হারের দাবির মধ্যে প্রতি ডলারের দাম বেড়ে ১০৫ টাকা হয়েছে।
রবিবার থেকে এক টাকা বেড়ে সোমবার খোলা বাজারে এক মার্কিন ডলার বিক্রি হয়েছে ১০৫ টাকায়, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
খোলা বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ মার্কিন ডলার কেনার জন্য ঘুরছেন। তবে এ মুহূর্তে তারা পর্যাপ্ত ফরেক্সের ব্যবস্থা করতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৬৪ বিলিয়ন ডলার
আনোয়ার আলী নামে খোলা বাজারের এক ডলার বিক্রেতা বলেন, সিন্ডিকেটরা ডলার ব্যবসায় সক্রিয়ভাবে জড়িত। তারা কাঙ্ক্ষিত দাম পেলেই কেবল ডলার বিক্রি করবে।
রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় ডলার বিক্রি করা এই ব্যবসায়ী জানান, পর্যটক, ক্ষুদ্র আমদানিকারক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট মানুষজনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ খোলা বাজার থেকে ডলার ক্রয় করছেন।
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার বিক্রি ও নীতি শিথিলের পদক্ষেপ সত্ত্বেও চলরি বছরের জুন থেকে ডলার বাজার এখনও স্থিতিশীল নয়।
২ বছর আগে