প্রণয় ভার্মা
মহাত্মা গান্ধী অনেক দেশে উপনিবেশবিরোধী সংগ্রামকে অনুপ্রাণিত করেছেন: ভার্মা
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়নের মতো বর্তমান সময়ের কিছু জরুরি সমস্যার সমাধানে মহাত্মা গান্ধীর সহাবস্থানের দর্শন এবং প্রকৃতি মাতার প্রতি শ্রদ্ধা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
ভারতীয় হাইকমিশন বুধবার (২ অক্টোবর) মহাত্মা গান্ধীর (গান্ধীজয়ন্তী) ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে।
তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধীসহ ভারতের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রয়াস এই আয়োজন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকবে ভারত: প্রণয় ভার্মা
হাইকমিশনার বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী কেবল ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকেই সংগঠিত করেননি, এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশে উপনিবেশবিরোধী সংগ্রামকেও অনুপ্রাণিত করেছিলেন।’
হাইকমিশনার বলেন, শান্তি, অহিংসা, সহনশীলতা ও বোঝাপড়ার প্রতি গান্ধীর অটল বিশ্বাস; যা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় যেমন প্রাসঙ্গিক ছিল, আজও তেমনই প্রাসঙ্গিক।
ভার্মা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতি বছর তার জন্মবার্ষিকী আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবে পালন করে। এটি গান্ধিজির আদর্শ ও মূল্যবোধের সার্বভৌমত্বের প্রতি স্বীকৃতি। বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যেমন- সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় তার শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা আরও স্পষ্ট করে।’
তিনি বলেন, আজকের এই উদযাপন ভারতের দীর্ঘদিনের বিশ্বাসেরও দৃঢ় প্রতিশ্রুতি। কোনো কারণেই হিংসাত্মক ঘটনাকে ন্যায্যতা দেওয়া যায় না এবং মানবতাবাদ সর্বদা বিজয়ী হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতের অংশীদারিত্বের ভবিষ্যৎ কার্যকর বহুমুখী সংযোগে নিহিত: প্রণয় ভার্মা
১ মাস আগে
'স্থিতিশীল, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ' বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত ভারত: প্রণয় ভার্মা
ভারতের সঙ্গে বেশি সম্পৃক্ততার বাড়ানোর পাশাপাশি বাণিজ্য সম্প্রসারণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নতুন মেয়াদে দুই দেশ তাদের অংশীদারিত্বে "অধিক গতিশীলতার" দিকে নজর রাখছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, 'আমরা কানেক্টিভিটি ইস্যুগুলো নিয়ে অনেক গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়েও আলোচনা করেছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত প্রণয় ভার্মার
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে চালু হওয়া মার্কিন ডলারকে উপেক্ষা করে রুপি রপ্তানির সঙ্গে জড়িত ঐতিহাসিক আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য নিষ্পত্তি ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘এটা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। কীভাবে এর সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করা যায় এবং সবার কাছে পৌঁছানো যায় তা আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি তা করা যায়, তাহলে ডলার বা অন্যান্য মুদ্রার ওপর দুই দেশের নির্ভরতা কমে আসবে।’
তিনি বলেন, এই উদ্যোগ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়ক হবে। উভয় পক্ষ সীমান্ত হাট নিয়েও আলোচনা করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের আইটেক কর্মসূচিতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে: প্রণয় ভার্মা
ড. হাছান মাহমুদ গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নবায়নের কাজ শুরুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যার মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে।
তিনি ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত ইস্যুগুলো সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধানের উপরও জোর দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা উত্তর-পূর্ব ভারতে পণ্য পরিবহনের জন্য মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেন এবং এর কার্যকর সম্প্রসারণের জন্য আরও অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস উদযাপন মূল্যবোধের সর্বজনীনতা পুনর্ব্যক্ত করে: প্রণয় ভার্মা
কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা এ নিয়ে বিশেষ আলোচনা করেননি, বরং বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ নিয়ে কথা বলেছেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার প্রথম দ্বিপাক্ষিক ভারত সফরের পরিকল্পনার কথা জানান। তবে সফরের তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি বলেন জানান। পরিকল্পিত সফরের লক্ষ্য কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা। এছাড়া আগামী ১৭ জানুয়ারি উগান্ডায় বহুপাক্ষিক সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে মাহমুদের।
তিনি উগান্ডার কাম্পালায় ১৯ থেকে ২০ জানুয়ারি জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের কাছে যোগ হলো ভারতের উপহার: প্রণয় ভার্মা
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের নতুন মেয়াদে দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বে আরও গতি অর্জন করবে এবং জাতীয় উন্নয়নে আরও জোরালো অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, 'সামগ্রিকভাবে আমি মনে করি, আমরা খুবই আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী, এই সরকারের নতুন মেয়াদে আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব আরও বেশি গতিশীল হবে। উন্নয়ন অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে আমাদের জাতীয় উন্নয়নে আরও জোরালোভাবে অবদান রাখতে সক্ষম হব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর হাইকমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, তারা সবসময় বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত অভিন্ন আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে পরিচালিত একটি 'স্থিতিশীল, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ' সমাজের জন্য বাংলাদেশের জনগণকে সহায়তা করতে এবং তাদের সঙ্গে কাজ করতে ভারত সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন অংশীদারিত্বে বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে ঢাকা ও দিল্লির সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা: প্রণয় ভার্মা
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক 'খুবই ভালো' হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রণয় ভার্মা। কূটনীতিক বলেন, দুই দেশের জন্য 'অত্যন্ত ইতিবাচক এজেন্ডা' এগিয়ে নিতে তিনি আগামী দিনগুলোতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রত্যাশায় রয়েছেন তিনি।
যদিও এটি একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল, হাইকমিশনার বলেছিলেন যে তারা সম্পর্কের বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। ‘আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে এবং আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আগ্রহী।’
তিনি বলেন, গত এক দশকে দুই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সম্পর্ক কীভাবে 'অভূতপূর্ব গতি ও প্রবৃদ্ধি' অর্জন করেছে এবং কীভাবে এটি জনকেন্দ্রিক সম্পর্কে পরিণত হয়েছে তা নিয়ে তারা আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রণয় ভার্মা দম্পতি
উভয় পক্ষ সম্পর্কের সাম্প্রতিক কিছু অগ্রগতি ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব কীভাবে দুই দেশের জনগণকে উপকৃত করছে এবং কীভাবে এই সহযোগিতা উভয় পক্ষের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে তা নিয়েও আলোচনা করেছে।
হাইকমিশনার ২০২৩ সালে অনেক ইতিবাচক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন। সে সময় দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি পাইপলাইন, দুটি রেলপ্রকল্প, একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ভারতীয় রুপিতে বাণিজ্য ব্যবস্থা চালু এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমসহ বড় বড় প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: রমজানে আগাম পণ্য ক্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
এক্স (পূর্বে টুইটার নামে পরিচিত) অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা একটি বার্তায় তিনি বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী (বন্ধুত্ব) আরও গভীর করার জন্য কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।
১০ মাস আগে
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ভারত-বাংলাদেশের বিশেষ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে: হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশের জাতি গঠন ও স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কারণ দুই দেশ তাদের জনগণের জন্য উজ্জ্বল ও আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে একসঙ্গে কাজ করছে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি’র (বিআইএফএস) মাধ্যমে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন হাইকমিশনার।
শনিবার (১৯ আগস্ট) বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির পক্ষ থেকে হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আরও পড়ুন: জাহাজের শুভেচ্ছা সফর ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক: প্রণয় ভার্মা
সেপ্টেম্বরে ভারতের সহায়তাপুষ্ট ৩ মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন: হাইকমিশনার
বাংলাদেশ ও ভারতের মুদ্রায় বাণিজ্য লেনদেন রিজার্ভের ওপর চাপ কমাবে: হাইকমিশনার
১ বছর আগে
বাংলাদেশ ও ভারতের মুদ্রায় বাণিজ্য লেনদেন রিজার্ভের ওপর চাপ কমাবে: হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, প্রাথমিকভাবে মনোনীত ভারতীয় ও বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ভারতীয় রুপিতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে৷
তিনি বলেন, ‘এই নতুন প্রক্রিয়ার সুস্পষ্ট সুবিধা রয়েছে। এটি বাণিজ্য নিষ্পত্তির জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর কিছুটা চাপ কমাবে। যেখানে ব্যবসায়ীদের বিনিময় খরচেও কিছুটা সঞ্চয় হবে। মূলত, এই প্রক্রিয়াটি আমাদের নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেনের নিশ্চিয়তা আনতে সাহায্য করবে,।’
মঙ্গলবার ভারতীয় রুপিতে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সূচনা উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে হাইকমিশনার এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বর্তমানে নির্ধারিত ভারতীয় ব্যাংকগুলো হলো-স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই ব্যাংক। এবং মনোনীত বাংলাদেশি ব্যাংকগুলো হলো সোনালী ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড।
রুপিতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য করার জন্য মনোনীত বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোর প্রত্যেককে মনোনীত ভারতীয় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বাধ্যতামূলক একটি বিশেষ রুপি ভোস্ট্রো অ্যাকাউন্ট (এসআরভিএ) খুলতে হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সৃষ্ট প্রতিকূলতা সত্ত্বেও উভয় পক্ষের সংকল্প ও ইচ্ছার কারণে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কে নতুন গতি এসেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোভিড মহামারির কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি এবং এর মাধ্যমে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছি। বর্তমান গ্লোবাল হেডওয়াইন্ড যা সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে, তা আরেকটি চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করছে।’
আরও পড়ুন: কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রি পরিদর্শনে ভারতীয় হাইকমিশনার
তিনি আরও বলেন, ‘এটি অত্যন্ত আনন্দদায়ক এবং আমাদের দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বের স্থিতিস্থাপকতার একটি প্রতীক যে আমরা এই উদ্ভাবনী ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ক এবং আমাদের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগগুলোকে আবারও খাপ খাইয়ে নিচ্ছি।’
এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এবং বাণিজ্য ও চেম্বার সংস্থার সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আজ এই যুগান্তকারী আয়োজনে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এখানে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় রুপিতে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য শুরুর ঘোষণা দিচ্ছি।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গত এক দশকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এবং সেই রূপান্তরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশগুলোর মধ্যে একটি হলো আমাদের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক যোগাযোগ।’
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার এবং বিশ্বব্যাপী পঞ্চম বৃহত্তম। গত পাঁচ বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।
গত তিন বছরে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। গত অর্থবছরে তা প্রথমবারের মতো দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
ভারত, তার বৈচিত্র্যময় বাজার সহ এশিয়ায় বাংলাদেশের জন্য শীর্ষ রপ্তানি গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পরিকাঠামো নির্মাণে অগ্রাধিকার দেয়: হাইকমিশনার
‘মিলেট’ সংক্রান্ত বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতা করতে পারে: হাইকমিশনার
১ বছর আগে
কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রি পরিদর্শনে ভারতীয় হাইকমিশনার
চট্টগ্রাম কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রি পরিদর্শন করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকাল ১০টায় তিনি সেখানে যান।
এ সময় চট্টগ্রামে শুভেচ্ছা সফররত ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস কিলতানের কমান্ডিং অফিসার কমান্ডার অরিজিত পান্ডে তার সঙ্গে ছিলেন।
কমনওয়েলথ ওয়ার সিমেট্রিতে হাইকমিশনার পুষ্পস্তবক দিয়ে অবিভক্ত ভারতের ২০৭ জন সৈনিককে সম্মান জানান। যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাতির সেবায় তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
এর মধ্যে বর্তমান পাকিস্তানের ৭৭ জন এবং বাংলাদেশের ১০ জন সৈন্য রয়েছে।
শহীদ সেনাদের সম্মানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি অনার গার্ড প্যারেড করা হয়।
১ বছর আগে
বিশ্বের কাছে যোগ হলো ভারতের উপহার: প্রণয় ভার্মা
ভারতীয় হাইকমিশন বুধবার (২১ জুন) ঢাকার মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের যোগব্যায়ামপ্রেমীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপন করেছে।
উক্ত আয়োজনে বিশাল জনসমাগম ঘটে, যেখানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের অংশগ্রহণকারীগণ ভারতে উদ্ভূত যোগের প্রাচীন এই বিজ্ঞান উদযাপন করতে একত্রিত হয়েছিলেন।
হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা তার বক্তব্যে বিশ্বের কাছে ভারতের উপহার হিসেবে যোগের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: করোনা: উদ্বেগ দূর আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে পারে যোগব্যায়াম
১ বছর আগে
ঢাকা-দিল্লি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পরিকাঠামো নির্মাণে অগ্রাধিকার দেয়: হাইকমিশনার
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বুধবার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ পরিকাঠামো নির্মাণে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের দেওয়া অগ্রাধিকার তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে সকল ক্ষেত্রেই নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং বাংলাদেশ মূল্যমান ও প্রকল্পের সংখ্যা উভয় দিক থেকেই ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার, যাকে রেয়াতি অর্থায়নের আওতায় প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যমানের চুক্তি হয়েছে এবং প্রদত্ত অর্থের পরিমাণ ২০২২ সালের মধ্যে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
তিনি প্রশংসা করে বলেন, অতিমারির সবচেয়ে সংকটপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে ভারত দ্রুততম ও বৃহত্তম সহায়তাকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
বুধবার ‘বারৈয়ারহাট-হেঁকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ’- প্রকল্পের জন্য একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
প্রকল্পটি ভারত সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারকে দেওয়া ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৃতীয় কনসেশনাল লাইন অব ক্রেডিট-এর আওতায় গৃহীত হচ্ছে।
সড়ক ভবনে অনুষ্ঠিত এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা ও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ.বি.এম. আমিন উল্লাহ নূরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত
প্রকল্পস্থলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ওয়ার্ক প্যাকেজ ১-এর জন্য বাস্তবিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
হাই কমিশনার সড়ক ও মহাসড়ক খাতের প্রকল্পসমূহের গুরুত্বের ওপর জোর দেন, যেখানে রয়েছে ৯৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের পাঁচটি প্রকল্প; যা সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মোট প্রতিশ্রুতির ১২ শতাংশ।
এছাড়াও ডাবল-ডেকার, সিঙ্গেল-ডেকার, এসি ও নন-এসি বাস এবং হেভি-ডিউটি ট্রাক সরবরাহের জন্য ৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যমানের তিনটি সরবরাহ প্রকল্প ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। যার ফলে সড়ক ও মহাসড়ক খাতে ভারতের মোট প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে।
‘বারৈয়ারহাট-হেঁকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প’- ভারত সরকারের লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় মোট ৮০ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে খাগড়াছড়ি জেলার অন্তর্গত রামগড় উপজেলার বারৈয়ারহাট-হেঁকো-রামগড় সড়কের প্রায় ৩৮ কিলোমিটার অংশ প্রশস্তকরণের পরিকল্পনা করছে। যা চট্টগ্রাম বন্দর ও রামগড় স্থলবন্দরের মধ্যে সড়ক নেটওয়ার্কের উন্নতিতে অবদান রাখবে।
এছাড়াও ভারত সরকারের অর্থায়নে ফেনী নদীর ওপর ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে, এই সড়ক প্রকল্পটি সাব্রুম-রামগড় এলসিএস-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছে। ভারতীয় পক্ষ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বড় আকারের বিনিয়োগ করতে চায় সৌদি আরব: প্রধানমন্ত্রীকে দেশটির দুই মন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী কাতার: দেশটির প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যত সম্পর্ক বহুমুখী সংযোগের দ্বারা নির্মিত হবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ভবিষ্যত সম্পর্ক বহুমুখী সংযোগের দ্বারা নির্মিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যত সংযোগ সড়ক ও রেলপথ, অভ্যন্তরীণ নৌপথ, উপকূলীয় শিপিং এবং একই সঙ্গে জ্বালানি ও ডিজিটাল সংযোগসহ বহুমুখী সংযোগের দ্বারা নির্মিত হবে।
মঙ্গলবার (২মে) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে ‘মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি বিটউইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড বাংলাদেশ’-শীর্ষক সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় হাইকমিশনার ভার্মা তার বক্তব্যে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও মানুষে-মানুষে সম্পর্ক উন্নয়নের সুবিধার্থে সংযোগের দীর্ঘমেয়াদী তাৎপর্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য, ঐতিহাসিক সম্পর্ক, এবং ভৌগলিক নৈকট্যের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাগুলো বাস্তবে রূপ দিতে হবে।
এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই দুই দেশের সরকার ও অন্যান্য অংশীজনেরা পারস্পরিক বাণিজ্য বেগবান করতে সংযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে মনযোগি হয়েছেন এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এক্ষেত্রে বেশ কিছু সাফল্য এসেছে বলেও মনে করেন তিনি।
সেমিনারে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিডি’র ডিস্টিঙ্গুইশড ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর নির্বাহী পরিচালক টি.আই.এম. নুরুল কবির, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সিইও আহসান খান চৌধুরী, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট শোয়েব চৌধুরী, এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইবিএ-এর অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক: ভারতীয় হাইকমিশনার
মূল নিবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. আতিউর রহমান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশ একে অপরের বৃহত্তম বাণিজ্য সহযোগী হলেও পরস্পরের সঙ্গে যতোটা বাণিজ্য হওয়া সম্ভব তাদের মধ্যে তা দেখা যাচ্ছে না। এজন্য পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহনের জন্য এককভাবে সড়ক বা রেল বা জলপথে পণ্য পরিবহনের দিকে না গিয়ে মিশ্র পদ্ধতিতে পণ্য পরিবহন করা গেলে তা বিশেষ সুফল দিবে।
তিনি আরও বলেন, যোগাযোগ অবকাঠামো ও লজিস্টিকস-এর ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা গেলে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ১৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব।
এসময় ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করতে স্বাধীনতার পর ৪৭ বছর কেটে গেলেও পরের মাত্র ৩ বছরেই এই পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ করা সম্ভব হয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে পুরো সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে বন্দরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নকে আরও গতিশীল করা দরকার বলে তিনি মনে করেন।
ভারতের অন্যান্য অংশের তুলনায় উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সংযোগ বৃদ্ধির দিকে বাংলাদেশের বিশেষ মনযোগ দেওয়া দরকার বলে মনে করেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সিইও আহসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, ভারতের ত্রিপুরার ব্যবসায়িদেরকে সহজে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার ব্যবস্থা দ্রুততম সময়ের মধ্যে করে দেয়া গেলে উভয় দেশের জনগণই এর সুফল ভোগ করবেন।
এছাড়াও বক্তারা ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে জ্বালানি বাণিজ্য, তথ্য-প্রযুক্তি-নির্ভর উদ্যোগে পারস্পরিক সহযোগিতা, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে সাধারণ নীতিমালা নিশ্চিতকরণের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সবসময় ভারতের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়: প্রধানমন্ত্রীকে ভারতীয় হাইকমিশনার
সিইপিএ বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে পারে: হাইকমিশনার
১ বছর আগে
ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনে ইফতার অনুষ্ঠান
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ইফতার অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে সরকার, আইনসভা, রাজনৈতিক দল, সশস্ত্র বাহিনী, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীমহল, একাডেমিয়া, মিডিয়া ও সাংস্কৃতিকমহলসহ বাংলাদেশের সর্বস্তরের বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা মানবতা ও ভ্রাতৃত্বের চেতনা বৃদ্ধিতে ইফতারের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে আবারও ক্ষমতা দখল করতে চায় সরকার: বিএনপি
তিনি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার গভীর বন্ধনের ওপর জোর দেন এবং ১৯৭১ সালের যৌথ আত্মত্যাগের মূলে নিহিত আমাদের বিশেষ ও বহুমুখী সম্পর্ককে আরও সমৃদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
১ বছর আগে
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রণয় ভার্মা দম্পতি
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ও তার সহধর্মিণী মিসেস ভার্মা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া সফর করেছেন।
শুক্রবার এই সফরে তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন রাষ্ট্রপতি
সমাধি সৌধে লিখিত মন্তব্যে হাইকমিশনার বাংলাদেশের ইতিহাসে মার্চ মাসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং ভারত ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্বমূলক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর দর্শনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও গৌরবময় পরম্পরা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অগ্রগতির জন্য তার অনন্য ত্যাগস্বীকারের চিত্রকর্ম পরিদর্শন করেন।
গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম সারা বিশ্বের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।
তার গৌরবময় পরম্পরা ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য একটি আলোর দিশা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির যাত্রায় অবিচল অংশীদারিত্বের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন আ.লীগের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের
১ বছর আগে