ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়নের মতো বর্তমান সময়ের কিছু জরুরি সমস্যার সমাধানে মহাত্মা গান্ধীর সহাবস্থানের দর্শন এবং প্রকৃতি মাতার প্রতি শ্রদ্ধা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
ভারতীয় হাইকমিশন বুধবার (২ অক্টোবর) মহাত্মা গান্ধীর (গান্ধীজয়ন্তী) ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে।
তিনি বলেন, মহাত্মা গান্ধীসহ ভারতের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রয়াস এই আয়োজন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকবে ভারত: প্রণয় ভার্মা
হাইকমিশনার বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী কেবল ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকেই সংগঠিত করেননি, এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশে উপনিবেশবিরোধী সংগ্রামকেও অনুপ্রাণিত করেছিলেন।’
হাইকমিশনার বলেন, শান্তি, অহিংসা, সহনশীলতা ও বোঝাপড়ার প্রতি গান্ধীর অটল বিশ্বাস; যা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় যেমন প্রাসঙ্গিক ছিল, আজও তেমনই প্রাসঙ্গিক।
ভার্মা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতি বছর তার জন্মবার্ষিকী আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবে পালন করে। এটি গান্ধিজির আদর্শ ও মূল্যবোধের সার্বভৌমত্বের প্রতি স্বীকৃতি। বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যেমন- সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় তার শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা আরও স্পষ্ট করে।’
তিনি বলেন, আজকের এই উদযাপন ভারতের দীর্ঘদিনের বিশ্বাসেরও দৃঢ় প্রতিশ্রুতি। কোনো কারণেই হিংসাত্মক ঘটনাকে ন্যায্যতা দেওয়া যায় না এবং মানবতাবাদ সর্বদা বিজয়ী হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারতের অংশীদারিত্বের ভবিষ্যৎ কার্যকর বহুমুখী সংযোগে নিহিত: প্রণয় ভার্মা