চিরনিদ্রা
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ইউএনবির চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খান
রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে ইউনাইটেড নিউজ অফ বাংলাদেশের (ইউএনবি) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খানকে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাদ জুমা উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের বায়তুন নূর জামে মসজিদে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
আগামী সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর ৬ নম্বর সেক্টরের রোড-৩-এর ২২ নম্বর বাড়িতে আমানউল্লাহ খানের কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে বিকাল ৫টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কসমস গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খান। বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
তিনি স্ত্রী, ভাই, আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের ফেলো ছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব পাকিস্তান থেকে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস হিসেবে ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ইউনাইটেড নিউজ অফ বাংলাদেশের (ইউএনবি) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। ইউএনবি দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ সংস্থা যা, ১৯৮৮ সালে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সঙ্গে সংবাদ বিনিময়ের প্রধান অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
তিনি কসমস প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিং লিমিটেডের চেয়ারম্যানও ছিলেন। এটি বাংলাদেশের অন্যতম পুরোনো ইংরেজি সাপ্তাহিক ঢাকা কুরিয়ারসহ নানা ধরনের বই প্রকাশ করে।
পেশাগত কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি তিনি জাতীয় দৈনিক ও সংবাদ ম্যাগাজিনে বিভিন্ন বিষয়ে নিবন্ধ লেখার জন্য পরিচিত ছিলেন।
তিনি কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন।
খান কমনওয়েলথ প্রেস ইউনিয়ন, অর্গানাইজেশন অব এশিয়া-প্যাসিফিক নিউজ এজেন্সিস, এশিয়ানেট, ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট এবং এশিয়ান মিডিয়া ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন সেন্টারের মতো প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত অনেক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও সেমিনারে অংশ নিয়েছেন।
অ্যাডভোকেসি গ্রুপ আধুনিকের (জাতীয় ধূমপানবিরোধী সংস্থা) সম্মানিত সদস্য এবং সন্ধানী ন্যাশনাল আই ডোনেশন সোসাইটির আজীবন সদস্য ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইউএনবির চেয়ারম্যান আমানউল্লাহ খান আর নেই
১ মাস আগে
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আকবর আলী খান
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলী খানকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শুক্রবার বিকালে দাফন করা হয়েছে।
জুমার নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে মসজিদ প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
জানা যায়, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের (জিকে) প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: আকবর আলী খানের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
আগের দিন আকবর আলি খানের মরদেহ গুলশানে তার বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার আত্মীয়স্বজন, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সর্বস্তরের মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানান।
আকবর আলী দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর গতকাল রাতে ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
তার মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ(টিআইবি) ও বাংলাদেশ ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠন শোক ও গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আকবর আলী খান ১৯৪৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্সের উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এরপর তিনি কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেন এবং অর্থনীতিতে এমএ এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: আকবর আলী খানের মৃত্যুতে জিএম কাদেরের শোক প্রকাশ
কর্মজীবনে ড. আকবর আলী খান টানা তিন সরকারের মেয়াদে সাড়ে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় অর্থ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০১ সালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিযুক্ত হয়ে ২০০২ সালে এই পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
চাকরি জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ, পরিকল্পনা, বাণিজ্য, ডাক, টেলিগ্রাফ এবং টেলিফোন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নিযুক্ত হন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ব্যর্থতার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। এরপর ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সময়কালে তিনি রেগুলেটরি রিফর্ম কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ইতিহাসে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০১০ সালে বাংলা একাডেমির ফেলো নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীদের স্বীকৃতি দেয়া উচিৎ: আকবর আলী খান
২ বছর আগে
মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জন চিরনিদ্রায় শায়িত
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেনের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত ১১ তরুণ পর্যটকের নামাজে জানাযা শেষে নিজ নিজ এলাকায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (৩০ জুলাই) সকালে সাড়ে ১০টায় হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার খন্দকিয়া ছমুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঁচ জনের জানাযা সম্পন্ন হয়। এছাড়া আরও চার জনের জানাযা নিজ নিজ এলাকায় পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে দু’জনের জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানাজা শেষে দুর্ঘটনায় নিহত ১১ তরুণ শিক্ষার্থীকে তাদেরকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জানাজায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীদুল আলম জানান, শুক্রবার রাতে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১১ জনের জানাজা শেষে তাদের নিজ নিজ এলাকায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
নিহত ১১ জন হলেন-উপজেলার আজিম সাবরেজিস্ট্রার বাড়ির হাজী মো. ইউসুফের ছেলে মাইক্রোবাস চালক গোলাম মোস্তফা নিরু (২৬), চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইলিয়াছ ভুট্টোর ছেলে মোহাম্মদ হাসান (১৭), একই ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়ার আবদুল হামিদের ছেলে জিয়াউল হক সজীব (২২), ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজ মেম্বার বাড়ির জানে আলমের ছেলে ওয়াহিদুল আলম জিসান (২৩), মজিদ আব্বাস চৌধুরী বাড়ির বাদশা চৌধুরীর ছেলে শিক্ষক রিদুয়ান চৌধুরী (২২), পারভেজের ছেলে সাগর (১৭) ও একই এলাকার আবদুল ওয়াদুদ মাস্টার বাড়ির আবদুল মাবুদের ছেলে ইকবাল হোসেন মারুফ (১৭), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোজাফফর আহমেদের ছেলে মোসহাব আহমেদ হিসাম (১৬), আব্দুল আজিজ বাড়ির মৃত পারভেজের ছেলে তাসমির হাসান (১৭), মনসুর আলমের ছেলে মো. মাহিম (১৭), ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবু মুসা খান বাড়ির মোতাহের হোসেনের ছেলে মোস্তফা মাসুদ রাকিব (১৯)।
এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে আছে এলাকার পরিবেশ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে মিরসরাইয়ের বড় তাকিয়া রেলস্টেশনের কাছে খৈয়াছড়া ঝরণা এলাকায় রেললাইন পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জন নিহত হন।
পড়ুন: ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৯ জনের পরিচয় মিলেছে
মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা: ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
চট্টগ্রামে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ১১
২ বছর আগে