আ.লীগ নেতা
অবশেষে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেওয়া সেই আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
পুলিশের হাকড়াসহ ছিনিয়ে নেওয়ার দুই সপ্তাহ পর সিলেটের ওসমানীনগরের সেই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আকছার আহমদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে গত ৩১ মার্চ গ্রেপ্তার হওয়ার পর হাতকড়াসহ তাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। গ্রেপ্তার আকছার আহমদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক হত্যা মামলাসহ ৭টি মামলার আসামি।
আকছার ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
জানা গেছে, গত ৩১ মার্চ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আকছার আহমদকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে।
পুলিশের উপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ২ এপ্রিল ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করলেও এতদিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: ছাতক সীমান্তে ভারতীয় ৬৫ দুম্বা ও ছাগল জব্দ
পুলিশের উপর হামলার একটি ভিডিও গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা সৃষ্টি করে। ঘটনার দুই সপ্তাহ পর পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
ওসমানীনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সফিক আহমদ আকছার আহমদকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০ দিন আগে
চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় আ.লীগ নেতা নিহত
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় নুরুল ইসলাম নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
নুরুল ইসলাম তালুকদার উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড মীরেরখীল গ্রামের ইন্নাল আমিন তালুকদারের ছেলে ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি সরফভাটা মীরেরখীল বাজারের নিজ দোকানে ছিলেন। হঠাৎ একদল সন্ত্রাসী তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাকে দোকান থেকে বের করে প্রকাশ্যে বেধড়ক মারধর করে ও কুপিয়ে যখম করে চলে যায়। প্রায় আধাঘণ্টা সড়কে পড়ে থাকার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে সন্ত্রাসীরা তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল বলে শুনেছি।’
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে শ্রমিক দলের দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চালানো হচ্ছে।’
৩৯ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় আ.লীগ নেতা হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার মিরপুরে আওয়ামী লীগের নেতা ও পল্লী চিকিৎসক লুৎফর রহমান সাবুকে হত্যার দায়ে ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুমিয়া খানম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরপরই তাদের পুলিশি পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিরা হলেন— কুষ্টিয়ার মিরপুরের উপজেলা আমবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জাসদের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মিলন। আমবাড়িয়া এলাকার জসিম উদ্দিন বুড়ো, এখলাস আলী, মুরাদ আলী, মাহাবুল হোসেন, রাশেদুল আলী, ওয়াসিম আলী, রফিকুল ইসলাম ও হেলাল উদ্দিন শিলু।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পল্লী চিকিৎসক সাবুকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আদালত সূত্রে জানা গেছে, লুৎফর রহমান সাবু ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোটরসাইকেলে চড়ে মিরপুরের আমবাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে আমবাড়িয়ার কাছে পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা সাবুর মোটরসাইকেল গতিরোধ করে ও এলোপাতাড়িভাবে রামদা দিয়ে তার মাথা, পিঠ, মুখ, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত সাবুর ছোট ভাই হাবিবুর রহমান হাবিব বাদী হয়ে মিরপুর থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত দিনে এ মামলার ৯ জন আসামিকে যাবজ্জীবন ও একজনকে খালাস দেন।
নিহত লুৎফর রহমান সাবু মিরপুরের আমবাড়িয়া গ্রামের মৃত অজিত মোল্লার ছেলে। তিনি মিরপুর উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগদান করেন।
৪২ দিন আগে
জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
পাবনায় জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক পৌর মেয়র ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৮ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের মথুরাপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আব্দুল ওহাব পাবনা সদর থানা ও ঢাকার মোহাম্মদ থানার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার মামলার আসামি।
স্থানীয়রা জানান, বিকালে আব্দুল ওহাবের বাড়ি-সংলগ্ন মথুরাপুর স্কুলের মসজিদ থেকে আসরের নামাজ শেষে বের হলে সুজানগর থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে গাড়িতে ওঠায়। এ সময় বেশ কয়েকজন মিলে গাড়িটি ঘিরে ফেলেন। তারা পুলিশকে আব্দুল ওহাবকে ছেড়ে দিতে বলেন, কিন্তু পুলিশ তাতে রাজি না হলে কয়েকশ লোক জড়ো হয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে তাকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ধস্তাধস্তিতে ৮ পুলিশ সদস্য আহত হন।
এ ঘটনায় সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শেখ মো. আব্দুর রউফ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা পুলিশের দুর্বলতার প্রকাশ। এত কম পুলিশ সদস্য ওখানে যাওয়া ঠিক হয়নি। আরও শক্তিশালী হয়ে সেখানে যাওয়া উচিত ছিল। এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
সুজানগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক হেসাব উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশের গাফিলতিতে তাকে ছাড়িয়ে নিয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা করেনি। অথচ আগে জামায়াত-বিএনপির লোকজনের ওপর কোনো কারণ ছাড়াই লাঠিচার্জ ও গুলি করত। এ ঘটনায় আমরা হতভম্ব হয়ে গেছি।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নদীতে নিখোঁজ অপর দুই বন্ধুরও লাশ উদ্ধার
এ বিষয়ে আব্দুল ওহাবের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশের ৮ জন সদস্য আহত হয়েছে।’
পাবনা পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান বলেন, ‘আব্দুল ওহাব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে মথুরাপুর স্কুল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু কয়েকশ মানুষ তাকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। তাকে পুনরায় ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।’
৯১ দিন আগে
সিলেটে আ.লীগ নেতার মারধরে নিহত ১
সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা ও তার সহযোগীদের মারধরে আহত শেখ উদ্দিন (৫০) মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি সিলেটের জালালাবাদ থানার টুকেরবাজার এলাকার শাহপুর দক্ষিণপাড়ার মৃত ফজর আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন, শিশুসহ নিহত ২
গত শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বাদ জুম্মা মারধরের ঘটনা ঘটে। নিহত শেখ উদ্দিন সিলেট সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জয়নুল আহমদ জয়ের বড় ভাই।
ছাত্রদল নেতা জয় জানান, গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী শাহ মিয়ার সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক লিলু মিয়ার কাছে বিচার দিতে যান তার বড় ভাই শেখ উদ্দিন। এ সময় বিচারপ্রার্থীর কথা না শুনে শাহ মিয়ার পক্ষ ধরে লিলু মিয়া শেখ উদ্দিনকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে লিলু তার বাহিনী নিয়ে শেখ উদ্দিনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এ সময় হামলাকারীদের মারধরে শেখ উদ্দিন গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৫ দিন সেখানে চিকিৎসা নিয়ে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘ঘটনার পর ২৩ ডিসেম্বর শেখ উদ্দিনের ভাই বাদী হয়ে থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। এখন সেটি হত্যা মামলা হিসেবে নেওয়া হবে। মঙ্গলবার রাত থেকেই অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। আশা করি দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
১৩০ দিন আগে
বিয়ানীবাজারে আ.লীগ নেতা আশরাফুল গ্রেপ্তার
সিলেটের বিয়ানীবাজারে যৌথ বাহিনীর অভিযানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) উপজেলার তিলপারা নামক স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি (তদন্ত) মো. ছবেদ আলি জানান, শুক্রবার রাতে র্যাব- ৯ এর একটি দল বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপারা নামক স্থান থেকে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে, বিয়ানীবাজার থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এখন তাকে সিআইডিতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হওয়ার পর বিকালে একদল লোক বিয়ানীবাজার থানায় হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের নামে মামলা দায়ের করা হয়। এই হত্যা মামলা আশরাফুল ইসলাম এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানা গেছে। এর মধ্যে একটি মামলার বাদি মামলা প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
১৩৪ দিন আগে
হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে আ.লীগ নেতা মিন্টু ও বাবু
পৃথক দুটি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুল করিম মিন্টু ও কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালতের বিচারক রোমানা আফরোজ এ আবেদন মঞ্জুর করেন।
সাইদুল করিম মিন্টু ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু আওয়ামী লীগের ত্রাণ সমাজকল্যাণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন: দুই দিনের রিমান্ডে দেশ টিভির এমডি আরিফ
২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলা শহরের হাটের রাস্তায় জামায়াত নেতা আব্দুস সালাম নিহতের ঘটনায় চলতি বছরের ২৬ আগস্ট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলামসহ ৭০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২০০ জনের নামে সদর থানায় মামলা হয়। এরপর, ২০১৫ সালের ২৯ জুন জেলা শহরের গুলশানপাড়া এলাকায় তরিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা করা হয়।
সিআইডির পক্ষ থেকে আদালতে সালাম হত্যা মামলায় ৭ দিন ও তরিকুল হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে তাদের পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
সাইদুল করিম মিন্টু ও গ্যাস বাবু ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা মামলায় (কোলকাতার সঞ্জিভা গার্ডেনে হত্যার ঘটনা ঘটে) আগে থেকেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাইদুল করিম মিন্টুকে গত ১১ জুন বিকাল ৪টার দিকে ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল। অপরদিকে, একই ঘটনায় গত ৬ জুন রাতে ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়া এলাকা থেকে গ্যাস বাবুকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শিমুল ভূঁইয়ার নিকটাত্মীয় কাজী কামাল আহম্মেদ বাবু।
আরও পড়ুন: রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক মন্ত্রী আমু
১৫২ দিন আগে
ছাতকের আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর গ্রেপ্তার
সুনামগঞ্জে নাশকতা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা ও দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল দিকে ছাতক উপজেলা পরিষদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার’
তিনি উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের সেনপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে খানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সাত্তার বলেন, সুনামগঞ্জ সদর থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া হাসান বলেন, গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যানকে সুনামগঞ্জ সদর থানায় পাঠানো হয়েছে।
তিনি একাধিক মামলার পলাতক আসামি বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
১৫৮ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে আ.লীগ নেতা আব্দুল কাদির গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল কাদিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে তিনি গ্রেপ্তার হন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৩৩৭
আব্দুল কাদির নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর ছোট বোনের স্বামী। দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে বদিউজ্জামান হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোসাম্মৎ আদুরী খাতুন বাদী হয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আসামিরা চাষাঢ়ায় ছাত্র-জনতার ওপর ককটেল বিস্ফোরণ করে ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে। সে সময় তারা নিজেদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালান এবং আন্দোলনে অংশ নেওয়া জনতাকে মারধর করেন।
আসামিদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে আদুরী খাতুনের স্বামী গার্মেন্টস শ্রমিক বদিউজ্জামান গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় আসামিরা বদিউজ্জামানের ব্যবহৃত ১৮ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোনটিও লুট করে নিয়ে যান। পরে বদিউজ্জামানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। সেই মামলায় আব্দুল কাদিরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মার চর দখল নিয়ে প্রতিপক্ষের ‘হামলায়’ নিহত ১, আহত ১৫
১৭৫ দিন আগে
ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় মাদারীপুরে আ.লীগ নেতা আটক
মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদকে (৬৫) ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবির এক খুদে বার্তায় বলা হয়, কুমিল্লার বিবি বাজারসংলগ্ন সীমান্ত এলাকা থেকে শাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে বিজিবি জানতে পারে, তিনি মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের উদ্দেশ্যে ওই এলাকায় থাকার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
বর্তমানে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে বিজিবি।
আরও পড়ুন: ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, শ্যামল দত্তসহ চারজন আটক
২৩০ দিন আগে