হাসিনা
এক মাসের মধ্যে হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলার প্রতিবেদন এক মাসের মধ্যে দিতে তদন্ত সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি মো. তাজুল ইসলাম জানান, বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
তিনি বলেন, পলাতক আসামিদের বিষয়ে আদালতকে জানাতে তদন্ত সংস্থাকে নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া এ বিষয়ে শুনানির জন্য ১৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে সকালে নয়জন সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে ট্রাইবুনালে হাজির করা হয় এবং তাদের এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: হাসিনার স্বৈরতন্ত্রকে সহজতর করেছে বিচার বিভাগ: টিআইবির নির্বাহী পরিচালক
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর সোমবার তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এসব আসামির সবাই অন্য মামলায় কারাগারে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ট্রাইব্যুনালের যাদের হাজির হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন-সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শ্রমিক পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।
এছাড়াও রয়েছেন-সাবেক মন্ত্রী ড. দীপু মনি, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা এবং ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম।
সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে হাজির করার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তাকে হাজির করা যায়নি।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর ১৪ আসামিকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে হাজির করার নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়া সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল কাফি, আরাফাত হোসেন, আবুল হাসান ও মাজহারুল ইসলামকে ২০ নভেম্বর আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ ও হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তথ্যপ্রযুক্তিতে জমা পড়ে। জুলাই ও আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ১০০০ এর বেশি মানুষ নিহত এবং বহু মানুষ আহত হন।
আরও পড়ুন: ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনাকে গ্রেপ্তারে আইজিপিকে আইসিটির প্রধান কৌঁসুলির চিঠি
৫৫ মিনিট আগে
ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনাকে গ্রেপ্তারে আইজিপিকে আইসিটির প্রধান কৌঁসুলির চিঠি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মইনুল ইসলামকে চিঠি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) প্রধান কৌঁসুলি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর পাঠিয়েছেন।
গত ১০ নভেম্বর আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ইসলাম জানান, জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িত শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে শিগগিরই রেড নোটিশ জারি করা হবে।
তিনি বলেন, পলাতক ফ্যাসিবাদীর দোসররা বিশ্বের যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের আটক করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, এই লোকদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে।
আসিফ নজরুল অভিযোগ করেন, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সরকারের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার: র্যাব
৫ দিন আগে
হাসিনাসহ পলাতকদের ফেরাতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির পরিকল্পনা: ড. আসিফ
জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি আরও বলেন, সব পলাতক আসামিকে বিচারের মুখোমুখি করতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আরও পড়ুন: দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য বিচার নিশ্চিত করতে চাই: ড. আসিফ নজরুল
রবিবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে আইন উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘খুব দ্রুতই ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হবে। পলাতক ফ্যাসিস্ট চক্র পৃথিবীর যে দেশেই থাকুক তাদের ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তাদের ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের নির্বাচনের ভবিষ্যৎ জনগণ নির্ধারণ করবে: আসিফ নজরুল
১ সপ্তাহ আগে
গণভবনে দুপুরের খাবার রান্না হলেও খাওয়ার ভাগ্য হয়নি হাসিনার: টুকু
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, গণভবনে দুপুরের খাবার রান্না হলেও খাওয়ার ভাগ্য হয়নি শেখ হাসিনার। ভারতে পালিয়ে যেতে হয়েছে না খেয়েই।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছে। তবে এখন তার পরিচিতির কোনো কাগজপত্র নেই এবং তাকে কোনো রাষ্ট্রও গ্রহণ করছে না।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকালে সিরাজগঞ্জের পৌর এলাকার গয়লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ সুমন, লতিফ ও রশিদের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস: বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা আন্দোলনে তার নির্দেশেই ২ হাজার মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। আবু সাঈদ বুক পেতে প্রতিবাদ জানালেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তাকে।
তিনি আরও বলেন, হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে আন্দোলনের জন্য মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারেনি। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরদ্ধে অসংখ্য মামলা দেওয়া হয়েছে এবং নেতাদেরকে জেল জুলুমসহ নির্যাতন করা হয়েছে।
ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, আমাকেও সিরাজগঞ্জে আসামাত্রই গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। সে সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বলত ওপরের নির্দেশে দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়া শেখ হাসিনা হাইকোর্টের আদেশও মানেনি এবং অন্য বেঞ্চে আদেশ পরিবর্তন করে আমাকে ৯ বছর সাজা দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, তার এ সাজা না খেটে বিদেশ পারি দিয়েছিলাম। আল্লাহর রহমতে এখন নিজ জেলা সিরাজগঞ্জে আসতে পেরেছি। স্বৈরাচার সরকারের পাতানো নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে কেউ যায়নি। তারপরেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাদের রাজত্বকালে উন্নয়নের নামে দুর্নীতি ও লুটপাট করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদের সভাপতিত্বে এ স্মরণ সভায় অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান বাচ্চু, সহসভাপতি মুজিবুর রহমান লেবু, আজিজুর রহমান দুলাল, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান ও ভিপি শামিম প্রমুখ।
এ সময় বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে না: বিএনপি
২ সপ্তাহ আগে
হাসিনার মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারে সরকারের বিরুদ্ধে'লুকোচুরি'র অভিযোগ রিজভীর
শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের গ্রেপ্তার নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার 'লুকোচুরি' খেলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার শাসনামলে যারা অপরাধ ও অন্যায় করেছে, তাদের গ্রেপ্তার ও আটকে রাখা নিয়ে আপনারা এত লুকোচুরি খেলছেন কেন?’
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা প্রথমে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করার কথা শুনেছেন এবং পরে শুনেছেন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাকসন হাইটসে ঘোরাঘুরি করছেন।
আরও পড়ুন: সাবের হোসেনের জামিন পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন রিজভীর
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী আরও বলেন, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তারা প্রথমে শুনলেও দুই-তিন দিন পর জানতে পারেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ‘কেন আপনারা জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছেন? এই লুকোচুরি খেলছেন কেন? এটাই জনগণ জানতে চায়।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে বিলম্বের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই বিলম্ব আওয়ামী লীগের মিত্রদের নীল নকশার অংশ।
তিনি বলেন, এমনকি মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনও (২০০৭-০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানের নাম জড়াতে পারেননি।
‘এই মামলা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বহির্ভূত। তারপরও কেন তার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না? দেশের মানুষ এর কারণ জানতে চায়,’প্রশ্ন তোলেন রিজভী।
রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থী উপ-পরিদর্শকদের (এসআই) চাকরিচ্যুত প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া ২৪২ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে, যদিও সেখানে ৮০৩ জন কর্মকর্তা বাদ দেওয়ার কথা ছিল।
এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দ্রুত দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি রিজভীর
৩ সপ্তাহ আগে
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সাপেক্ষে হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এইমাত্র এটা জানতে পেরেছি। আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, তাদের হাতে এক মাস সময় আছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’
একইসঙ্গে শেখ হাসিনাসহ ৪৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
১ মাস আগে
হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলেন মাহমুদুর রহমান
কুষ্টিয়া আদালত চত্বরে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে মাহমুদুর রহমান বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, কুষ্টিয়ার সাবেক এসপি মেহেদী হাসান, মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীসহ মোট ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে।
আরও পড়ুন: বরিশালে শেখ হাসিনাসহ ৫৫৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর হক চৌধুরী বলেন, কুষ্টিয়া আদালত চত্বরে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ৪৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুর রহমান বলেন, আমার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছি। ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
২০১৮ সালের ২২ জুলাই কুষ্টিয়ায় আদালত থেকে মানহানির মামলায় জামিন নিয়ে বের হওয়ার সময় মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা করা হয়। আদালত চত্বর ছাড়ার সময় লাঠি ও ইটের আঘাতে তিনি আহত হন। তাকে বহনকারী গাড়ির গ্লাসও ভেঙে ফেলা হয়।
আরও পড়ুন: সহকারী কমিশনার উর্মির বিরুদ্ধে মানহানি মামলার আবেদন
১ মাস আগে
ভারত বন্ধুত্ব চায় শুধু স্বৈরশাসক হাসিনার সঙ্গে, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়: রিজভী
মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ফজলে এলাহী আকবরের নেতৃত্বে সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে নিহত লেফটেন্যান্ট তানজিম সরওয়ার নির্ঝনের বাড়িতে গিয়ে শোকার্ত পরিবারকে সান্তনা দিয়েছেন।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা তানজিমের টাঙ্গাইলের বাড়িতে যান।
আরও পড়ুন: হাসিনার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: রিজভী
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনার সময় ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন লেফটেন্যান্ট তানজিম।
সাবেক সেনা কর্মকর্তারা টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের কোরের বেতকা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তানজিমের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এরপর সফররত প্রতিনিধি দল ও বিএনপি নেতারা শহীদ সেনা কর্মকর্তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
প্রতিনিধি দলের অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তারা হলেন- কর্নেল শামসুজ্জামান খান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সিদ্দিকুর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইদুল আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মেজর সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক ও মেজর মো.গোলাম মান্নান চৌধুরী।
এ সময় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির বিএনপি নেতা হাসানুজ্জামান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালসহ স্থানীয় বিএনপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য ইসি দায়ী: রিজভী
অপরাধীদের ক্ষমা নয়, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত: রিজভী
১ মাস আগে
হাসিনার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: রিজভী
পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগী হিসেবে সচিবসহ বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা সারা দেশে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ও সহযোগীদের এখনো সরানো হয়নি। তারা এখনো প্রশাসনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রয়েছেন।’
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দায়িত্ব পালন করা কিছু সচিব ও কর্মকর্তা এখনো তাদের প্রভাবসহ প্রশাসনে রয়েছেন। ‘তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে এবং নানাভাবে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শেখ হাসিনার সহযোগীদের দেশকে অস্থিতিশীল করার যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে এবং সতর্ক থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংসদ ভেঙে দেয় এবং ইউনিয়ন পরিষদ ব্যতীত স্থানীয় সরকার সংস্থায় নির্বাচিতদের অপসারণ করেছে।আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
তিনি বলেন,‘ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা এখনো বহাল আছেন কেন? এই চেয়ারম্যানরা আওয়ামী লীগের সহযোগী, যারা গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত। তাদের কেউই শেখ হাসিনা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কেউ নির্বাচিত হননি। তাহলে এই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা কীভাবে এখনও পদে রয়েছেন?’
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনে ঢাকার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও বহু মানুষ নিহত হয়েছেন এবং এসব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। পুলিশি নিরাপত্তায় তারা আমাদের দলের সদস্যদের ওপর গুলি চালায়। তারা কীভাবে তাদের পদে রয়েছেন?'
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ আহমেদ আলী মুকিবকে সঙ্গে নিয়ে জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রিজভী।
দেশের টাকাশেখ হাসিনার নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং তা বিদেশে পাচার করেছেন।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, তার (শেখ হাসিনা) শাসনামলে নিজের আত্মীয়-স্বজন, এমপি, মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দল যাতে জনগণের ওপর জুলুম ও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে না পারে সেজন্য শেখ হাসিনার দুর্নীতি ও গুম ও হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা এস আলমের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের সুবিধা দিয়েছিলেন এটা জেনেই যে তাকে যদি কখনো পালাতে হয় তাহলে সেই অর্থ তার কাছে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সহায়তায় নগদ ২০ কোটি টাকা ও ত্রাণ সংগ্রহ বিএনপির
১ মাস আগে
ফারহান হত্যার ঘটনায় হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে গত ১৮ জুলাই পুলিশের গুলিতে রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র ফারহান ফাইয়াজ হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হকসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ফারহানের বাবা শহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ অভিযোগ দাখিল করেন।
তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক (প্রশাসন) আতাউর রহমান বলেন, অভিযোগটি প্রসিকিউশনে জমা দেওয়া হয়েছে। পরে আমাদের কাছে আসবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে শেখ হাসিনাসহ ৯১ জনের নামে হত্যা মামলা
মামলার অন্য আসামিরা হলো- সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনান, পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমারসহ ৩৪ জন।
তাদের বিরুদ্ধে হত্যা ও গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ দাখিলকালে ফারহানের বাবা-মা ও বোন সায়মা ইসলাম ফারিন উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের বোন সায়মা ইসলাম ফারিন বলেন, ভাই আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আমি আর সাধারণ জীবনযাপনে ফিরতে পারিনি। প্রতিটি ক্ষণে ভাইয়ের স্মৃতি ভেসে ওঠে। ওর জন্য আমার মন সারাক্ষণ কাঁদে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত পড়ালেখা শুরু করতে পারিনি। আদালতে এসেছি ভাইয়ের হত্যার যেন বিচার হয়। বিচার যেন ঝুলে না থাকে।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ৩(২) ও ৪(১) (২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন ফারহান ফাইয়াজ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর গণহত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত তদন্ত সংস্থায় মোট ১২টি অভিযোগ জমা হয়েছে।
এর মধ্যে ১১টি সাম্প্রতিক সময়ের গণহত্যার ঘটনায় ও একটি ২০১৩ সালে ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের ঘটনায়।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা চাইলে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারেন: চিফ প্রসিকিউটর
ফেনীতে ৮ হত্যা মামলায় হাসিনাসহ আসামি ৩০৩৭ জন
২ মাস আগে