গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, জুলাই-আগস্টে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ হয়েছিল। এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, সরকারের সকল কাজে যে দেশের মানুষ সন্তুষ্ট হবে এমনটা কিন্তু নয়। আমাদের বুঝতে হবে কোন পরিস্থিতিতে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা অনেক।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে সিলেট মহানগরের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার গণসংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন ন্যায় বিচার চায়। আশাকরি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ন্যায় বিচারের কাজটি করবেন।
সাকী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন হবে। তবে নির্বাচনের আগে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। ইতোমধ্যেই অনেকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের আগে ও পরে কি কি সংস্কার প্রয়োজন সেটি দেখতে হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে এমভি আল বাকেরার ঘটনায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন
তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের রায় একটি ন্যূনতম রাজনৈতিক ব্যবস্থা। এছাড়া আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়াটা কোনো অবস্থাতেই যুক্তিসঙ্গত কাজ নয়। মুক্তিযোদ্ধাকে অসম্মান করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যারা এ কাজ করেছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, ভেঙে পড়া রাষ্ট্র হাতে পাওয়ার ৪ মাস পূর্ণ হলো। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না সেভাবে। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সেই জায়গাগুলোতে কাজ করতে হবে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফ্যাসিবাদী শক্তি এখনও বিদ্যমান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে সরকারকে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।