গণতন্ত্র মঞ্চ
প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান গণতন্ত্র মঞ্চের
দেশের ইতিহাসে নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড চালিয়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য সরকারকে দায়ী করে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
সোমবার (২৯ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী জোটটি এই আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীদের হত্যাসহ পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তসহ ছয় দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
রাজধানীর মেহরাবাবা প্লাজায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেল বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক দাবিগুলো তুলে ধরেন।
সাইফুল ইসলাম বলেন, 'অব্যাহত রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়ার সম্পূর্ণ দায় নিয়ে আমরা অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে, যা পুরো সরকারের পদত্যাগের পথ সুগম করবে। ‘এই সংবাদ সম্মেলন থেকে আমরা এই দাবি জানাচ্ছি।’
সাইফুল হক বলেন, ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ সমাধানে ব্যর্থ হয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সরকার ও ক্ষমতাসীন দল সম্পূর্ণরূপে দায়ী।
আরও পড়ুন: দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির উদ্দেশ্যেই 'গণতন্ত্র মঞ্চ' পুলিশের ওপর চড়াও হয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে সরকার দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। জীবন ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির দায় নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা।’
তিনি বলেন, হত্যা, গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও মিথ্যাচার করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান সংকটের সমাধান সরকার কোনোভাবেই করতে পারবে না। ‘এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সরকারকে রাজনৈতিক সমাধানের পথ বেছে নিতে হবে। তা না হলে দেশের মানুষের নিজের ও দেশকে রক্ষার জন্য সরকারকে উৎখাত করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’
কয়েকটি বিরোধী দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- দ্রুত কারফিউ প্রত্যাহার এবং বিজিবিসহ সশস্ত্র বাহিনী ও বিশেষ বাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া, ইন্টারনেট সেবা সম্পূর্ণরূপে সচল করা, গণমাধ্যমে সরকারি হস্তক্ষেপ বন্ধ করা, যারা আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর গুলি চালিয়েছে এবং যারা হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দিয়েছে এবং তা কার্যকর করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনা, গ্রেপ্তার বিরোধী দলের নেতা ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাদের মুক্তি দেওয়া, ডিবি পুলিশের হেফাজতে থাকা ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের মুক্তি দেওয়া, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া;, ঢাকায় ব্লক রেইড বন্ধ করা এবং শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া।
সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের উসকানি ও বিদ্বেষপূর্ণ নাশকতামূলক প্রচেষ্টা পরিহার করে বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকল গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলসহ সকল সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানান সাইফুল হক।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা ফখরুলের
৩ মাস আগে
গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা ফখরুলের
বুধবার গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশি পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতি দেন।
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো ক্ষুণ্ণ করে জনগনসহ বিরোধী দলগুলোর ওপর আরও তীব্র মাত্রায় দমনপীড়ন চালাচ্ছে, নির্মম নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল আ. লীগ সরকার: রিজভী
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে আরও একটি নির্মম বহিঃপ্রকাশ ঘটল গণতন্ত্র মঞ্চের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বর্বরোচিত হামলা, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকিসহ ৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে আহত করা এবং একজন নেতাকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করার মধ্যে দিয়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এহেন পুলিশি হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গ্রেপ্তারদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’
বিএনপি মহাসচিব আহত জোনায়েদ সাকিসহ নেতা-কর্মীদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: পিলখানা বিদ্রোহের বিচার দীর্ঘায়িত হওয়ায় প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি
সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
৮ মাস আগে
তেজগাঁওয়ে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ বিরোধী দলকে দমন-পীড়ন করার ষড়যন্ত্র: গণতন্ত্র মঞ্চ
চলমান এক দফা আন্দোলন দমনে সরকারি চক্রান্তের অংশ হিসেবে রাজধানীতে একটি ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে কয়েকটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।
মঙ্গলবার(১৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, 'আমরা এখন দেখছি এই সরকার কতটা ষড়যন্ত্র করতে পারে। আজ (মঙ্গলবার) তেজগাঁওয়ে একটি চলন্ত ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে, এতে কয়েকজন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, চলমান আন্দোলনের সঙ্গে এ ধরনের নাশকতার কোনো সম্পর্ক নেই।’
সাকি বলেন, সরকার নাশকতার মাধ্যমে বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে। ‘তারা (সরকার) নাশকতা সৃষ্টি করে আন্দোলন দমন করতে চায়।’
তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে উসকানি দিয়ে গত ২৮ অক্টোবর সরকারের এজেন্ট ও সমর্থকদের মাধ্যমে সহিংসতা সৃষ্টি ও নৃশংসভাবে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যার পর বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপিয়ে সর্বাত্মক দমন-পীড়ন শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তফসিলের নিন্দা করে 'লাল কার্ড' দেখাল এবি পার্টি
সাকি বলেন, আন্দোলন দমনে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের শত শত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমরা আগেও বলেছি, তারা (সরকার) বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের জেলে রেখে আন্দোলন দমন করতে চায়। এখন ক্ষমতাসীন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ঠান্ডা মাথায় বলেছেন, তারা সুপরিকল্পিতভাবে বিএনপিসহ আমাদের বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের কারাগারে রেখেছে।’
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য চলমান আন্দোলনকে কোনো শক্তি ও দমন-পীড়ন থামাতে পারবে না বলে সতর্ক করেন সাকি।
তিনি বলেন, 'আমরা রাস্তায় নামব এবং যদি আপনাদের (সরকারের) সাহস থাকে তাহলে আমাদের বাধা দিন। আমরা আপনাদের বাধাকে ভয় পাই না এবং আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আমরা যথাসময়ে কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
আরও পড়ুন: যুক্তফ্রন্ট গঠন করে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা সৈয়দ ইব্রাহিমের
নির্বাচন কে সামনে রেখে বিরোধী দলের সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিজয়নগর থেকে তোপখানা সড়ক পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল বের করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। পরে তারা জেপিসির সামনে সমাবেশ করেন।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এর নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।
ভিক্ষুকের মতো ক্ষমতাসীন দলের কাছ থেকে আগাম ২৫ থেকে ২৬টি আসন নিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় জাতীয় পার্টির সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতীয় সংসদে কে বিরোধী দল হবে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটা খুবই স্পষ্ট যে জনগণ এটাকে নির্বাচন হিসেবে দেখছে না। এই নির্বাচনে জনগণের আগ্রহ নেই।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা আরব বসন্তের আদলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে রাশিয়ার অভিযোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বাঙালি বসন্ত হবে।
বাংলাদেশের বসন্তের জন্য মানুষ প্রস্তুত হচ্ছে। জনগণের তীব্র ক্ষোভ বাংলাদেশে যে কোনো সময় গণঅভ্যুত্থানের কারণ হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বিএনপি, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, লেবার পার্টি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতালের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করেছে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে জামায়াতের মানববন্ধন ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ
১০ মাস আগে
আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি গণতন্ত্র মঞ্চের
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিলের প্রতিবাদে দেশব্যাপী হরতাল ডেকেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে জোট।
মিছিল শেষে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতালের ডাক দেয় সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার বাম জোটের অর্ধদিবস হরতাল
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচন আয়োজনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করছি। গণদাবির বিপক্ষে গিয়ে প্রহসনের তফসিল ঘোষণায় গণতন্ত্র মঞ্চ এই নির্বাচন কমিশনকেও প্রত্যাখ্যান করছে।’
তিনি নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ মিছিলে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা করেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হরতালে বাসে আগুন
আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক বিএনপির
১১ মাস আগে
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে মন্ত্রী-এমপিদের বক্তব্য নিষ্ঠুর: গণতন্ত্র মঞ্চ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা নিয়ে মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের বক্তব্যকে নিষ্ঠুর ও নৃশংস আখ্যায়িত করেছে কয়েকটি বিরোধী দল ও সংগঠনের রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গণতন্ত্র মঞ্চ।
গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ না দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে বলা হয়, চিকিৎসা পাওয়া তার নাগরিক ও মানবাধিকার। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনৈতিক দরকষাকষির কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সংকট: ১৯ জুন মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার অধিকার কেড়ে নিলে যেকোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকির পুরো দায় সরকারকেই নিতে হবে।
সোমবার (২ অক্টোবর) ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু'র সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব গণতন্ত্র মঞ্চের পরবর্তী সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও রাষ্ট্রসংস্কর আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে করা আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি আবেদন পাওয়ার পর আইন মন্ত্রণালয় এ অভিমত ব্যক্ত করে।
এর আগে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দেন।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: একতরফাভাবে আগামী নির্বাচন করতে আরপিও সংশোধন করেছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
১৯-২১ জুলাই চট্টগ্রাম অভিমুখে পদযাত্রা করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
১ বছর আগে
একতরফাভাবে আগামী নির্বাচন করতে আরপিও সংশোধন করেছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
একতরফাভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন করতে সরকার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করেছে বলে অভিযোগ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
শনিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ-এর বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক একটি গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে অবিলম্বে আরপিওর সাম্প্রতিক সংশোধনী প্রত্যাহার করার দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘সরকার আরেকটি কারচুপি ও একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেই নির্বাচন কমিশনের ভোট স্থগিত করার ক্ষমতা রোধ করা সম্পূর্ণ একটি অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ।’
তিনি বলেন, আরপিও সংশোধন কোনোভাবেই দেশবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ‘আমরা অবিলম্বে সংশোধনী প্রত্যাহারের আহ্বান জানাই।’
অন্যথায়, তারা সরকারকে আরপিও সংশোধনী বাতিল এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পরিপন্থী সমস্ত পদক্ষেপ এবং আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
গত মঙ্গলবার সংসদে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) (সংশোধনী) বিল, ২০২৩' পাস হয়। মূল সংশোধনীর মাধ্যমে ভোটের দিন নির্বাচন কমিশন যে কোনো সংখ্যায় ভোটকেন্দ্রের ফলাফল বা ভোট স্থগিত বা বাতিল করতেক পারবে; তবে পুরো নির্বাচনী এলাকা বা পুরো নির্বাচন বাতিল করতে পারবে না।
আরপিও সংশোধনী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) যে দায়িত্ব দিয়েছে তার পরিপন্থী বলে দাবি করেন সাইফুল হক।
আরও পড়ুন: ১৯-২১ জুলাই চট্টগ্রাম অভিমুখে পদযাত্রা করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
তিনি বলেন, ‘এই সংশোধনীর মাধ্যমে সরকার নির্বাচন কমিশনের হাত-পা বেঁধেছে। সরকারের এই পদক্ষেপ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন দলের স্বেচ্ছাচারিতা, আধিপত্য ও কর্তৃত্বকে আরও বাড়াবে।’
হক বলেন, আমরা মনে করি আরপিও সংশোধনী বিল পাশ করে নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতাহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, সরকার ভোট চুরির জন্য এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি মনে করেন, গাইবান্ধা উপ-নির্বাচন নিয়ে কমিশনের পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে যেকোনো আসনের নির্বাচন বাতিলের ইসির অধিকার সরকার কেড়ে নিয়েছে।
রব বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) বুঝতে পেরেছে যে তারা যদি কোথাও হারে তবে নির্বাচন কমিশন তা মেনে নেবে। তাই, তারা এই সংশোধনী এনেছে। যাতে কমিশন ভবিষ্যতে এটি করতে না পারে এবং তারা ভোট কারচুপি, জালিয়াতি ও ডাকাতির নির্বাচন করতে পারে।’
তিনি বলেন, একজন পাগলও বিশ্বাস করে না যে এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আরপিও সংশোধনের পর ইসি এখন কিছু ভোটকেন্দ্রে ভোট বাতিল করতে পারবে, তবে পুরো ভোট বাতিল করতে পারবে না।
তিনি বলেন, দিনের বেলায় ভোট চুরি করে তাদের বিজয় নিশ্চিত করতে সরকার এটি একটি সুন্দর ব্যবস্থা করেছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সংকট: ১৯ জুন মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
বগুড়ায় গণতন্ত্র মঞ্চের রোডমার্চের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ
১ বছর আগে
১৯-২১ জুলাই চট্টগ্রাম অভিমুখে পদযাত্রা করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ ১৪ দফা দাবি জানাতে আগামী ১৯-২১ জুলাই রাজধানী থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে পদযাত্রা করবে সাত সমমনা দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।
রোডমার্চের আগে বিরোধী জোট তাদের দাবির পক্ষে জনসমর্থন জোগাতে জেলা শহর ও মহানগরে সমাবেশ এবং রাজধানীতে রোডমার্চ করবে।
জোটের অন্যতম সংগঠন রাষ্ট্রসংস্কর আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম সোমবার সচিবালয়ের দিকে বিক্ষোভ করার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আমরা সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন এবং সংবিধান সংস্কারসহ আমাদের ১৪ দফা দাবি আদায়ে ১৯ থেকে ২১ জুলাই আমরা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোডমার্চ করব।
এর আগে, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা ৪-৭ জুন ঢাকা থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত চার দিনব্যাপী রোডমার্চ করেন, সেই সময় বিভিন্ন এলাকায় হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ করেন তারা।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সংকট: ১৯ জুন মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
১ বছর আগে
বিদ্যুৎ সংকট: ১৯ জুন মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ
অসহনীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট সমাধানের দাবিতে ১৯ জুন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ।
এছাড়া, বিরোধী দলীয় এই প্ল্যাটফর্মটি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে দিনাজপুর অভিমুখে তাদের সাম্প্রতিক রোডমার্চে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভ করবে।
রবিবার নগরীর পুরানপল্টন এলাকার মেহরাবা প্লাজায় এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ-এর বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অভাবে সারাদেশে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
হক বলেন, গত ৪-৭ মার্চ দিনাজপুরে যাওয়ার পথে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তাদের রোডমার্চ কাফেলার ওপর হামলা চালায়।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘এসব হামলা প্রমাণ করেছে যে আওয়ামী লীগ সরকার এখন জনরোষের সম্মুখীন হওয়ার ভয়ে ভুগছে। তারা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।’
আরও পড়ুন: বগুড়ায় গণতন্ত্র মঞ্চের রোডমার্চের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ
হক বলেন, সরকার এখনও দমন ও পীড়ণমূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিয়ে এবং প্রশাসন ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।
তিনি দাবি করেন, সরকার, পুলিশ প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের এত বাধা, হামলা, উসকানি সত্ত্বেও তাদের রোডমার্চ সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন পেয়েছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা বলেন, রোডমার্চের সময় হাজার হাজার মানুষ প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও তাদের সমাবেশে অংশ নিয়েছিল, বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসনের দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে শক্তিশালী লড়াই করার চেতনা প্রদর্শন করেছিল।
তিনি বলেন, ‘মানুষ তাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া বর্তমান দুর্নীতিবাজ, গণবিরোধী, দখলদার সরকারের হাত থেকে অবিলম্বে মুক্তি চায়। জনগণ এই সরকারকে আর নিতে পারবে না। তারা অধীর আগ্রহে পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছে।’
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয়ের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
সরকারবিরোধী আন্দোলন: গণতন্ত্র মঞ্চের ৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
১ বছর আগে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয়ের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
কয়েকটি বিরোধী দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি এমন এক সময়ে বর্তমান সরকারকে নাড়িয়ে দিয়েছে,যখন তারা আরেকটি অগ্রহণযোগ্য উচ্ছ্বাস পোষণ করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে।
রবিবার রাজধানীর মালিবাগে রোডমার্চ কর্মসূচির আগে তারা আরও বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ব্যাপক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
তারা বলেন, বর্তমান সরকার ২০১৪ সাল থেকে জোর করে ক্ষমতায় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি শুধু এই সরকারের কারণেই দেশের মানুষের মুখে চুন ঢেকে দিয়েছে।
জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এই ভিসা নীতি সরকারের নীতিনির্ধারকদের হৃদয়কে নাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি 'প্রহসনমূলক' নির্বাচন করতে চায়।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, 'আওয়ামী লীগের নেতারা এখন বুকে দুঃখ-বেদনা নিয়ে হাসছেন এবং বলছেন,এই ভিসা নীতি বিরোধীদের জন্য। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভরাডুবির সম্মুখীন হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে আ. লীগ সরকার বাধা: বিএনপি নেতা মোশাররফ
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ ১৪ দফা দাবিতে মালিবাগ রেলগেট থেকে বাড্ডা অভিমুখে পদযাত্রা করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
নেতারা আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের ৭ মাস আগে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, কারণ তারা উপলব্ধি করতে পারে যে আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ভোট জালিয়াতির চেষ্টা করছে। 'বিশ্বের কোনো দেশই এখন এই সরকারকে বিশ্বাস করে না'
তারা বলেন, ১৪ দফা দাবি আদায়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আগামী ৪ থেকে ৭ জুন ঢাকা থেকে দিনাজপুর অভিমুখে রোডমার্চ করবে জোট। আগামী ৪ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এই রোড মার্চ শুরু হবে। ঈদুল আজহার আগে আন্দোলনকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমরা ধারাবাহিকভাবে আরও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তাদের চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। 'আমি বিশ্বাস করি আমরা বিজয়ী হব'
মার্কিন ভিসা নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের কারচুপির চেষ্টা ব্যর্থ করতে গোপনে কাজ চলছে।
মান্না বলেন, ভোট কারচুপি, জালিয়াতি, প্রতারণা ও দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। আপনাদের (সরকারকে) এখনই যেতে হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর নির্বাচন দেশের প্রকৃত ভোটের চিত্র তুলে ধরে: খসরু
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমান সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে বিরোধী দলগুলো বিপাকে পড়েছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের করা মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ভেসে যাবে। দেশের জনগণকে বোকা মনে করে তারা এ ধরনের মন্তব্য করছে।
১ বছর আগে
সরকারবিরোধী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বৈঠক করেছে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চ
সরকার হটানোর যুগপৎ আন্দোলনে করণীয় ঠিক করতে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ ও বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির এই বৈঠক হয়।
দুই ঘন্টার বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসুর মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বৈঠকে চলমান আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুগপৎ আন্দোলন অব্যাহতভাবে চলছে সেটা আপনারা দেখতে পারছেন এবং এই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যেসমস্ত কর্মসূচি নেওয়া প্রয়োজন আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ আমরা সকলে মিলে একটা জয়েন্ট স্টেটমেন্ট (যৌথ ঘোষণা) করব, এ ব্যাপারেও আমরা সিদ্ধান্ত আমরা দিয়েছি। গণতন্ত্র মঞ্চসহ অন্যান্য যতগুলো দল ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের সাথে যুগপৎ আন্দোলনে আছে সকলে মিলে আমরা একটি যৌথ ঘোষণা দেবো জাতির সামনে। এটা খুব তাড়াতাড়ি হবে।’
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘আলোচনার একটা জায়গা হচ্ছে- অতীতে যেভাবে আন্দোলনে সরকার পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশে, বর্তমানের আন্দোলন এর চাইতে আলাদা। এটা আপনাদেরকে সুনির্দিষ্টভাবে বলছি। আমরা কেবলমাত্র সরকার পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করছি না, আমরা এই সরকার বদল এবং এই যে স্বৈরতান্ত্রিক সরকারগুলো ক্ষমতায় আসীন হয় তাদের কাঠামো বদলের জন্য আমরা রাষ্ট্রের সংস্কার কিংবা মেরামতের জন্য সরকার পরিবর্তনে আমরা কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই লক্ষ্যে আমরা অল্পদিনের মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ, বিএনপিসহ অপরাপর বাংলাদেশকে নিয়ে যারা ভাবেন, বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে যারা ভাবেন তাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে- সেটার রুপরেখা আমরা আপনাদের সামনে যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে তুলে ধরবো- সেই বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐক্যমত হয়েছে। খুব সময়ের মধ্যে সেটা আমরা তুলে ধরবো বলে আশা করছি।’
বৈঠকে গণতন্ত্র মঞ্চের নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারি পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির আমির খসরুর সঙ্গে ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে সরকার: খসরু
গণফোরাম ও পিপলস পার্টির সঙ্গে আন্দোলনের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছে বিএনপি
১ বছর আগে