সাশ্রয়
সেচ পাম্পের জ্বালানি নবায়নযোগ্য করলে সাশ্রয় হতে পারে ৫০০০ মেগাওয়াট: পরিবেশমন্ত্রী
দেশে কৃষিজমির সেচের পাম্পের জ্বালানি নবায়নযোগ্য করতে পারলে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করছে।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে দ্বিতীয় ঢাকা নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্থায়ন শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, গ্রিন, ক্লিন ও জলবায়ু সহিষ্ণু অর্থনীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার উপর নির্ভরতা কমাতে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, জমির স্বল্পতার কারণে পুকুর বা জলশয়ে ভাসমান সোলার প্যানেল করে নিচে মাছ চাষ করার অথবা বাড়ির ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে: পরিবেশমন্ত্রী
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করেছি। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুতের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য স্থির করেছে। এই লক্ষ্য জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সব খাতের সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন মন্ত্রী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে, সৌর, বায়ু, বায়োমাস ও জলবিদ্যুৎ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ অপরিহার্য।
তিনি আরও বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় বিনিয়োগকারীকে আকৃষ্ট করতে, আমাদের আর্থিক প্রণোদনা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি কেবল কার্বন নির্গমন হ্রাসই করে না বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি ও জীবনমান উন্নত করে।
মন্ত্রী এই রূপান্তরে উদ্ভাবনী আর্থিক উপকরণ যেমন গ্রিন বন্ড, জলবায়ু তহবিল এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের গুরুত্বের উপর জোর দেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা উন্নত বিশ্বের কাছে, ঋণ নয় অনুদান প্রত্যাশা করি। এই খাতে গবেষণা ও উন্নয়নের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার এবং সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে, আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে আমাদের জাতির অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির মূল ভিত্তি করতে পারি।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশেষ রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আবদুল্লাহ খাসেইফ আলহুমুদ, পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের অধ্যাপক এ. কে. এনামুল হক, চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অলটারনেটিভ ল ইক্লেক্টিভের গবেষণা পরিচালক জেইন মৌলভী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করতে আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
৫ মাস আগে
এপোস্টল কনভেনশন সই অনুমোদনে বছরে সাশ্রয় হবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রিসভায় এপোস্টল কনভেনশন সইয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (২০ মে) বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক এই কনভেনশনে সই করা হলে বিদেশগামী শিক্ষার্থী ও মানুষের বিভিন্ন সনদ, দলিল, হলফনামায় নিজ দেশের যথাযথ সত্যায়ন থাকবে। এতে অন্য দেশে গিয়ে পুনরায় সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না। এর ফলে দেশের মানুষের বছরে সাশ্রয় হবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে স্পেনের রাষ্ট্রদূত ও ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই প্রস্তাবটি কার্যকর হলে শিক্ষার্থী, অভিবাসী, কর্মী, পারিবারিক পুনর্মিলন প্রত্যাশীসহ বিদেশগামী সকলের যে নানা ডকুমেন্ট এ দেশে এবং বিদেশের দূতাবাসসহ নানা দপ্তরে সত্যায়নের প্রয়োজন হয়, সেটি শুধু এ দেশে সত্যায়ন করলেই হবে।’
ড. হাছান ব্যাখ্যা করে বলেন, বাংলাদেশে সব দেশের দূতাবাস নেই। ৯০টি দেশের দূতাবাস রয়েছে দিল্লিতে। সেখান থেকে সত্যায়ন করে আনতে আবার ভারতের ভিসা লাগে। এ সবের জন্য যে অর্থ, সময় ও পরিশ্রম ব্যয় হয়, এই কনভেনশনে যুক্ত হলে তা বেঁচে যাবে, বছরে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
এটি কার্যকর হতে প্রায় ৬ মাস লাগবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এপোস্টল কনভেনশনে যুক্ত হতে এর ১২৬টি সদস্য রাষ্ট্রকে জানাতে হয়, কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে।’
এ সময় সাংবাদিকরা হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ মৃত্যুকে মর্মান্তিক ও অত্যন্ত দুঃখজনক বলে বর্ণনা করেন।
নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, হেলিকপ্টারটি জরুরি অবতরণ করেছে, কিন্তু পরে দেখা যায় সেটি ক্র্যাশ করেছে। আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক জানাচ্ছি।’
কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান জানান, এখন পর্যন্ত সেখানে বাংলাদেশি ছাত্রদের কোনো গুরুতর আহত বা হতাহতের খবর নেই।
আরও পড়ুন: সংকট গভীর হওয়ার আগেই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন জরুরি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘পাশের দেশ উজবেকিস্তানের তাসখন্দে অবস্থানরত আমাদের রাষ্ট্রদূতকে সেখানে যেতে বলা হয়েছে। তিনি স্থানীয় সময় বিকালে বিশকেকে পৌঁছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে ক্যাম্পাস ভিজিট করবেন এবং কিরগিজ পররাষ্ট্র ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।’
একজন শিক্ষার্থীর দেশে ফেরার জন্য খোলা চিঠি দেওয়া প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ ধরনের কোনো আবেদন করেননি।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওঙের ঢাকা সফরকালে মঙ্গলবার বিকালে তার সঙ্গে বৈঠক হবে।
এ সাক্ষাতে দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলোর মধ্যে বিশেষত বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগ, বাংলাদেশিদের অভিবাসন, মৌসুমি কর্মসংস্থান, সেখানে প্রবাসীদের কল্যাণ, জ্বালানি ও পরিবেশ সংরক্ষণে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা প্রাধান্য পাবে বলে জানান তিনি।
এর আগে দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ওলামা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় যোগ দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সেখানে তিনি বলেন, ‘দেশে আলেম-ওলামাদের জন্য এ পর্যন্ত যা কিছু কল্যাণের সবই আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই হয়েছে। বিএনপির এবং তাদের দোসরেরা আলেম-ওলামাদের ব্যবহার করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে রাজনীতি করে কিন্তু আলেমদের জন্য কিছুই করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমনকি আওয়ামী লীগের সকল সংগঠন ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংস হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেও বিএনপি ও তাদের দোসরেরা কোনো প্রতিবাদ জানায়নি। অর্থাৎ বিএনপি ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৬ মাস আগে
ব্যয়বহুল ডলার সাশ্রয়ে প্রথমবারের মতো স্থানীয় কারেন্সি কার্ড 'টাকা পে' উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভিসা’ ও ‘মাস্টারকার্ডের’ মতো আন্তর্জাতিক কার্ড স্কিমের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং অতি প্রয়োজনীয় মার্কিন ডলার সাশ্রয় করতে স্থানীয় মুদ্রা কার্ড ‘টাকা পে’ চালু করেছেন।
দেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের কার্ড চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই কার্ডের উদ্বোধন করেন। তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক, বেসরকারি সিটি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহযোগিতায় এই ৩ ব্যাংককে টাকা পে কার্ড ইস্যু করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত ইলেকট্রনিক পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম 'দ্য ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ অব বাংলাদেশ' ব্যবহারের মাধ্যমে 'টাকা পে' জাতীয়ভাবে একই সেবা প্রদান করবে।
প্রাথমিকভাবে, কার্ডটি দেশের মধ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘টাকা-রুপি’ কার্ড চালু করবে যা প্রতিবেশি দেশ ভারতে কেনাকাটার জন্য ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের জন্য বেলজিয়াম সফরকে সফল বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ভিসা ও মাস্টারকার্ড পেমেন্ট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টাকার ইলেকট্রনিক ট্রান্সফার করা হয়।
এই মাধ্যমগুলো ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রিপেইড কার্ডের জন্য ব্র্যান্ডেড পেমেন্ট প্রসেসিং পরিষেবা সরবরাহ করে। অভ্যন্তরীণ কার্ড 'টাকা পে' একই সেবা দেবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।
বিদেশি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করলে এটি বিদেশে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ কমবে। কারণ বিদেশি কোম্পানিগুলোকে সার্ভিস চার্জবাবদ অনেক অর্থ খরচ করতে হয়।
শুরু থেকেই দেশের সব এটিএম, পয়েন্ট অব সেলস এবং অনলাইন প্লাটফর্মে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
প্রাথমিকভাবে এটি ডেবিট কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হলেও ভবিষ্যতে টাকা পে ক্রেডিট কার্ডও আসবে।
এই কার্ডের নিরাপত্তার জন্য ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এখন সব ব্যাংকের কার্ডে বাড়তি নিরাপত্তাসহ নতুন ইএমভি প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ইএমভি প্রযুক্তির সঙ্গে টাকা পে কার্ডও চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
প্যারিস ভিত্তিক কনসালটেন্সি ‘ফাইম’ কার্ডটি তৈরি করেছে।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশগুলোতেও তাদের কারেন্সি কার্ড রয়েছে। ভারতের কার্ড 'রুপি', পাকিস্তানের 'পাকপে', শ্রীলঙ্কার 'লঙ্কাপে', সৌদি আরবের 'মাদা'।
অনুষ্ঠানের শুরুতে টাকা পে'র ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
সোনালী ব্যাংকের মুক্তিযোদ্ধা দুই গ্রাহক টাকা পে কার্ড ব্যবহার করে সিটি ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন করেন।
গণভবনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি তহবিল সম্পূর্ণরূপে চালু করুন: ধনী দেশগুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
১ বছর আগে
গ্রাহকদের কেনাকাটার সাশ্রয়ে শুরু হলো নতুন ক্যাম্পেইন ‘দারাজ এর চেরাগ’
প্রতি মাসের ৪ তারিখ থেকে ‘জাদুকরী সেভিংসে, সবই কিনুন দারাজে’ ট্যাগলাইন নিয়ে শুরু হলো ব্র্যান্ড নিউ ক্যাম্পেইন 'দারাজ-এর চেরাগ'।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস, দারাজ বাংলাদেশের এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রাহকরা নিজের ও প্রিয়জনদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে কেনাকাটার সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
সঙ্গে থাকবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এক্সক্লুসিভ ডিসকাউন্ট এবং বিভিন্ন ডিল অফার।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন দারাজ বাংলাদেশের
৪ থেকে ৮ মে ২০২৩ পর্যন্ত, 'দারাজ এর চেরাগ'-এ গ্রাহকরা বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফার উপভোগ করতে পারবেন।
যার মধ্যে থাকছে নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য ৮০ টাকা পর্যন্ত ফ্রি শিপিং, ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত হট ডিল, প্রথম বারের অনলাইন পেমেন্টে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভাউচার এবং দারাজ ক্লাবের সদস্যদের জন্য ১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাউচার।
এছাড়াও দারাজ ক্লাবের সদস্য নয় এমন গ্রাহকদের জন্য থাকছে এক দশমিক দুই গুণ এবং সদস্যদের জন্য এক দশমিক পাঁচ গুণ কয়েন বৃদ্ধির মতো সুবিধা।
এই ক্যাম্পেইন চলাকালীন গ্রাহকরা ফায়ারওয়ার্ক ভাউচার এবং মিস্ট্রি বক্সও জিততে পারবেন।
দারাজ বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার তালাত রহিম বলেন, 'গ্রাহকদের মাসিক বাজেট বরাদ্দ করার গুরুত্ব আমরা বুঝি। সেজন্যই আমরা তাদের মাসিক কেনাকাটার খরচ কমানোর জন্য 'দারাজ-এর চেরাগ' ক্যাম্পেইনটি ডিজাইন করেছি। আশা করছি এই উদ্যোগে আমাদের গ্রাহকরা আর্থিক সীমাবদ্ধতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা বাজেটের মধ্যেই করতে পারবেন।'
এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রাহকরা বিভিন্ন ক্যাটাগরির পণ্যে ছাড় উপভোগ করবেন, যেমন গ্রোসারি, পুরুষ এবং নারীদের ট্রেন্ডি ফ্যাশন আইটেম, ঘর সাজানোর জন্য হোম অ্যান্ড লিভিং আইটেম, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস এবং বিউটি এসেনশিয়ালস আইটেম, পছন্দের মেকআপ আইটেম এবং আরও অনেক কিছু।
দারাজ-এর চেরাগ ক্যাম্পেইনটির লক্ষ্য শুধু গ্রাহকদের মাসিক সঞ্চয়েই সাহায্য করা নয়, এর পাশাপাশি তাদের একটি আনন্দময় কেনাকাটার অভিজ্ঞতা প্রদান করা।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে মেগা ডিল এবং অফার নিয়ে এলো দারাজ
‘রমজান বাজার’ ক্যাম্পেইন নিয়ে এলো দারাজ বাংলাদেশ
১ বছর আগে
হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রাত ১০টার পর বন্ধ থাকবে: ডিএসসিসি
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য শপিংমল, সব ধরনের দোকানপাট, ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, কাঁচাবাজার, মার্কেট ও স্থাপনা রাত আটটায় বন্ধ করতে বলেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এছাড়া খাবার দোকান ও রেস্টুরেন্ট রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। তবে রাত ১১টা পর্যন্ত খাবার সরবরাহ করা যাবে।
সোমবার ডিএসসিসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিনেমা হল ও চিত্তবিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠান রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
আরও পড়ুন: ২৪ বছর ধরে হোল্ডিং ট্যাক্স না দেয়ায় গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ডিএসসিসির অভিযান
এছাড়া, সাধারণ ওষুধের দোকান রাত ১২টা পর্যন্ত এবং হাসপাতাল সংলগ্ন নিজস্ব ওষুধের দোকান রাত দুইটা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
উল্লেখ্য, এর আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে গত ১৬ জুন দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে রাত আটটার মধ্যে শপিংমল ও কাঁচা বাজার বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়য়ের মহাপরিচালক (প্রসাশন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী রাত আটটার মধ্যে দোকানপাট, শপিং মল, খাবারের দোকানসহ স্থাপনাগুলো বন্ধ রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ডিএসসিসির অভিযান
২ বছর আগে
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শাবিপ্রবিতে সপ্তাহে ১ দিন অনলাইন ক্লাস
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের কথা বিবেচনা করে সপ্তাহের একদিন অনলাইনে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সপ্তাহের বৃহস্পতিবার অনলাইনে এবং অন্য চারদিন সরাসরি ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এছাড়া ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে এবং অন্যান্য দিনেও কিছু পরিবহন সেবা কিছুটা হ্রাস করা হবে।
সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সমস্যার কারণে সৃষ্ট জাতীয় এ সমস্যায় আমরা দেশবাসীর পাশে থাকতে চাই। আমাদেরকে দেশপ্রেমের সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয় করোনা মহামারিতে ক্যাম্পাসে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেশের মানুষের পাশে ছিল। এবারও ২০ শতাংশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে তাদের পাশে থাকবো।’
তবে কোনকিছুতেই যাতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকার জন্য বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকদের প্রতি তিনি অনুরোধ করেন তিনি।
সভায় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঈদে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের প্রীতিভোজ আয়োজন
ঈদের ছুটির পর শাবিপ্রবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত
২ বছর আগে