ফিলিং স্টেশন
লক্ষ্মীপুরের ফিলিং স্টেশনে ফের বিস্ফোরণ, নিহত ২
লক্ষ্মীপুরের গ্রিন লিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে দুই মাসের মাথায় ফের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দ্বিতীয়বার ঘটা এই দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৪টার দিকে বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিলের সময় তা বিস্ফোররিত হয়। এ সময় ঘটনাস্থালেই চালক মো. রুবেল ও গ্যারেজ মেকানিক আবুল কালাম নিহত হন।
ফিলিং স্টেশনটি লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত।
এর আগে, গত ১৪ অক্টোবর একই ফিলিং স্টেশনে গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হন। সেদিনের ঘটনায় আহত হন আরও ৯ জন।
মঙ্গলবার রাতের দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- রামগতির চরবাদাম ইউনিয়নের বাসিন্দা বাসচালক রুবেল এবং সাহাপুরের বাসিন্দা ও গ্যারেজ মেকানিক কালাম।
এছাড়া আহত হয়েছেন নোয়াখালীর কবিরহাট এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন ও লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সাহাপুর এলাকার নাঈম।
আরও পড়ুন: ভিক্টোরিয়া কলেজ ক্যাম্পাসে ‘ককটেল বিস্ফোরণ’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গ্রিন লিফ ফিলিং স্টেশনে আল মদিনা নামের একটি বাস গ্যাস রিফিল করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই কালাম নিহত হন। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করেন। এ সময় রুবেল অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়; তার লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। আহতদের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম রয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে ঢাকায় ও অন্য দুইজনকে নোয়াখালী হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে আরও একজন মারা যায়।’
এদিকে, সকাল দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাজীব কুমার সরকার ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আকতার হোসেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘একই ফিলিং স্টেশনে এর আগেও গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ওই মামলা এখনও চলমান। এখন আবার বিস্ফোরণের ঘটনায় দুইজন মারা গেছে ও দুইজন আহত হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, ‘দুই মাসের ব্যবধানে দুটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ ব্যাপারে এর আগে বৈঠক করেছি। এ ঘটনায় ৫ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন ও ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার।’
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে ১১ শ্রমিক আহত
১ সপ্তাহ আগে
ময়মনসিংহে ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও ১ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহর রহমতপুর বাইপাসে আজাহার ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ তোফাজ্জল হোসেন (৪৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে এই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হলো। অন্য দুইজন হলেন- উপজেলার কিসমত গ্রামের হিমেল আহমেদ (২৭) ও রহমতপুরের আব্দুল কুদ্দুস (৮৫)।
সোমবার (৪ নভেম্বর) ময়মনসিংহ মেডিকেল থেকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে সিএনজি পাম্পে আগুন: দগ্ধ ২ জনের মৃত্যু
তোফাজ্জল রহমতপুর এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে।
এছাড়া সোমবার রাতে অন্য দগ্ধদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
দগ্ধরা হলেন- স্থানীয় খাবার হোটেল ব্যবসায়ী কামরুল হাসান (৩৫) ও তার স্ত্রী সুমি আক্তার (৩০), ফিলিং স্টেশনের ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনিয়ার তোফাজ্জল হোসেন (৪২) ও চায়ের দোকানদার আব্দুল মালেক (৫০)।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান।
ওসি শফিকুল ইসলাম খান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির এক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জানান, গতরাতে ময়মনসিংহ থেকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় নারীসহ পাঁচজনকে আনা হয়েছিল। আনার পরে তোফাজ্জল হোসেন নামে একজনের মৃত্যু হয়। চারজনের মধ্যে কামরুল হাসান ১০০ শতাংশ, সুমি আক্তার ৩২ শতাংশ, তোফাজ্জল হোসেন ১০০ শতাংশ এবং আব্দুল মালেককে ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের সবাইকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবার আজাহার ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। এসময় ঘটনাস্থলে হিমেল আহমেদ ও সন্ধ্যার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু, শিশুসহ আহত ৪
১ মাস আগে
সিলেটে গ্যাসের সংকট, ফিলিং স্টেশনগুলোতে দীর্ঘ লাইন
সিলেটের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক ফিলিং স্টেশন। যেগুলোতে কিছুটা গ্যাস রয়েছে, সেখানে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। নগরজুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের। প্রতিনিয়তই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিক-চালক ও যাত্রীরা।
বিশেষ করে প্রতি মাসের শেষদিকে সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সংকট তীব্র হয়। এই অবস্থা চলছে প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও গ্যাস পান না পরিবহন চালকরা।
লোড না বাড়ানোর কারণে মাসের শেষ ১০ দিন চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ করতে পারেন না বলে জানান সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিকরা।
এ নিয়ে তারা বারবার গ্যাস বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ও মৌখিক আবেদন জানালেও কোনো কাজ হয়নি। বরং দিনকে দিন সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিকরা কঠোর আন্দোলনের চিন্তা-ভাবনা করছেন।
আরও পড়ুন: শিল্প কারখানায় গ্যাস সংযোগ পুনরায় চালু করার কথা ভাবছে সরকার
মালিকরা জানান, ২০০৭ সাল থেকে সিলেটে সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে পরিবহনে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে সিলেট বিভাগে রয়েছে ৫৬টি ফিলিং স্টেশন। গত এক দশক ধরে নতুন কোনো পাম্পের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না।
অন্যদিকে ২০০৭ সালের তুলনায় বর্তমানে সড়কে গাড়ি বেড়েছে চারগুণ। অথচ ২০০৭ সালের দেওয়া লোড দিয়েই গ্যাস সরবরাহ করতে হচ্ছে। এ কারণে ফিলিং স্টেশনের মালিকরা প্রতি মাসের শেষ ১০ দিন গ্যাস সংকটে পড়েন।
মালিকরা আরও জানান, বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ প্রতি ফিলিং স্টেশনের মালিকদের জন্য লোড নির্ধারণ করে দিয়েছে। এর বাইরে যেসব পাম্প গ্যাস বিক্রি করেন তাদের জরিমানার মুখে পড়তে হয়।
আরও পড়ুন: গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন কম, সারাদেশে বাড়ছে লোডশেডিং
সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেট নগরীর বিভিন্ন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে দীর্ঘ গাড়ির লাইন। সোমবার নগরীর ইউসুফ আলী সিএনজি ফিলিং স্টেশন, আর রহমান ফিলিং স্টেশন, আল জালালা ফিলিং স্টেশন, কুশিয়ারা ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকার কারণে গ্যাসে তীব্র সংকট দেখা দেয়।
যে কয়েকটা সিএনজি ফিলিং স্টেশন খোলা রয়েছে সেখানে দেখা গেছে প্রায় ১ কিলোমিটার জুড়ে গাড়ির দীর্ঘ লাইন হওয়ায় নগর জুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
রবিবার বন্ধ ছিল সিলেট নগরীর আম্বরখানা জালালাবাদ সিএনজি ফিলিং স্টেশন, টুকেরবাজার ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিলিং স্টেশন, আখালালি শাহজালাল ফিলিং স্টেশন, তেমুখী সফাতউল্লাহ ফিলিং স্টেশন।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিমাসের শেষ দিকে এসে সিলেটে গ্যাসে সংকট হয়। গাড়ির চালকসহ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর সরকারের নির্বাহী ক্ষমতা বাতিল
তারা বলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে গ্যাস নিতে হয়। রোজগারের সময় চলে যায়, আমাদের মালিকের জমা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমাদের পরিবার চালাতে খুব কষ্ট হয়। বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের দাবি সিলেটে যেন গ্যাস সংকটের সমাধান করেন।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিভাগীয় সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী জানান, গ্যাস বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য জালালাবাদ গ্যাসের কাছে বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। বৈঠকও করা হয়েছে। জাতীয় সংকটের দোহাই দিয়ে তারা বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। দেশের প্রায় ৭০ ভাগ গ্যাস সিলেট থেকে গ্রিডে সংযোজন হচ্ছে। কিন্তু সিলেটে গ্যাস সংকটে সিএনজি পাম্পগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে যা খুবই দুঃখজনক।
পাম্পগুলোতে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটের আরেকটি কূপে গ্যাসের সন্ধান
১ মাস আগে
ফিলিং স্টেশন মালিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে সোমবার থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: বিপিসি
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পরিচালক অনুপম বড়ুয়া বলেছেন, সংগঠনটি দেশের পেট্রোলিয়াম জ্বালানি সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং পেট্রোল পাম্প মালিকরা চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহার না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ফিলিং স্টেশন মালিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে এবং সারাদেশে জ্বালানি সরবরাহ ব্যাহত হলে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) নগরীর বিপিসির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান যমুনা অয়েল কোম্পানির বোর্ডরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পেট্রোল পাম্প মালিকদের কিছু দাবি পূরণ হয়েছে এবং বাকিগুলো বিবেচনাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিপিসি’র বর্ধিত কার্যক্রম পরিচালনায় জনবল বাড়ানোর তাগিদ
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকার ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় নিয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে কোনো আন্দোলন গ্রহণযোগ্য নয়।
এদিকে, বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিপিওএ) একটি অংশের নেতারা দাবি করেছেন, অন্য উপদলের নেতারা যারা ধর্মঘট ডেকেছে তারা সংগঠনের কেউ নয়।
ধর্মঘটের বিরোধিতাকারী বিপিপিওএ-এর সভাপতি নাজমুল হক বলেন, তহবিলের অপব্যবহার করার জন্য ওই নেতাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
নগরীর যমুনা অয়েলের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যেহেতু সরকার ইতোমধ্যে আমাদের তিনটি দাবির একটি পূরণ করেছে এবং ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকি দুটি পূরণের আশ্বাস দিয়েছে তাই আমরা এই ধর্মঘটকে সমর্থন করি না।
এর আগে ২৭ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল ও সভাপতি ও মহাসচিব মিজানুর রহমান রতনের নেতৃত্বে বিপিপিওএ’র উপদল হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে।
তারা জানান, ৩১ আগস্টের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করবে সংগঠনের সদস্যরা।
ফলে জ্বালানি বিক্রির কমিশন বাড়ানোসহ তাদের তিন দফা দাবি আদায়ে রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩) সকাল থেকে খুলনায় জ্বালানি ব্যবসায়ীদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে।
সকাল ৮টা থেকে পদ্মা, যমুনা ও মেঘনা তেল ডিপো থেকে জ্বালানি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ ট্যাঙ্ক-লরি মালিক সমিতি, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ধর্মঘট পালন করছে।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
জ্বালানি বিক্রির কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করা, ট্যাঙ্ক-লরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর নির্ধারণ করা এবং পূর্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জ্বালানি ব্যবসায়ীদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে উল্লেখ করে গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা।
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিপিসি কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বিপিসির দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির দরকার হতো না: সিপিডি
১ বছর আগে
২৪ জুন থেকে ১৩ দিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে
ঈদের ছুটিতে সারাদেশে মোটরযান চলাচলের সুবিধার্থে ২৪ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত ১৩ দিন সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে।
বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এক অফিস আদেশে সিএনজি স্টেশন মালিকদের এ নির্দেশনা দেয়।
আদেশে বলা হয়, ঈদুল আযহার আগের ৫ দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পর সাত দিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে।
বর্তমানে, গ্যাস সংকটের কারণে গ্যাস রেশনিং পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সিএনজি পাম্পগুলো প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত মোট ৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ভাঙচুরের প্রতিবাদে দিনব্যাপী ধর্মঘটের ডাক
রমজানে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সিএনজি স্টেশন বন্ধ
সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকবে
১ বছর আগে
গাজীপুরে ফিলিং স্টেশনে আগুন: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪
গাজীপুর ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারজনে।
মৃত ফিলিং স্টেশন কর্মী সিরাজুল ইসলাম (২৮)।
হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান,
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ফিলিং স্টেশনে আগুন: নিহত বেড়ে ২
৪০ শতাংশ দগ্ধ সিরাজুল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
তিনি বলেন, একই অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ আনোয়ার (৩০) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এর আগে, মঙ্গলবার একই হাসপাতালে আল আমিন (৩০) নামে আরেক শ্রমিক মারা যান। এছাড়া সোমবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পারভেজ (৩৩) , মিঠু মিয়া (২৬) মারা যায়।
গত ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় গাজীপুরের বড়বাড়ি এলাকায় ওয়াহেদ আলী ফিলিং স্টেশনে গ্যাস ভরতে গিয়ে একটি সিলিন্ডার বোঝাই ভ্যানে বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আগুনে পুড়ে আহত সাতজন সবাই কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ছিলেন। দগ্ধদের প্রথমে তাহিরুন্নেসা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (টিএমএমসি) নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে এদের মধ্যে পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধা ও শিশুর মৃত্যু
রাজধানীতে গায়ে আগুন দিয়ে রিকশাচালকের আত্মহত্যা!
২ বছর আগে
গাজীপুরে ফিলিং স্টেশনে আগুন: ঢামেকে অগ্নিদগ্ধ একজনের মৃত্যু
গাজীপুরের এক ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত সাতজনের মধ্যে একজন শুক্রবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন।
নিহত মিঠু (২৬) মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা।
হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, শতভাগ দগ্ধ মিঠু সকাল ৮টায় ঢামেক হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের বড়বাড়ি এলাকায় ওয়াহেদ আলী ফিলিং স্টেশনে গ্যাস ভরতে গিয়ে একটি সিলিন্ডার বোঝাই ভ্যানে বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত হয়।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ইকবাল হোসেন জানান, রাত ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৪ বছরের শিশুর মৃত্যু
আগুনে পুড়ে আহত সাতজন সবাই কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাদের দ্রুত তায়রুন্নেসা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (টিএমএমসিএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়।
টিএমএমসিএইচের আবাসিক চিকিৎসক মাইনুল ইসলাম জানান, আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্য আহতরা হলেন-আল আমিন (২৫), আনোয়ার (৩০), সিরাজুল ইসলাম (২৮) ও পারভেজ (৩৩)।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৪ জন অগ্নিদগ্ধ
লঞ্চে অগ্নিদগ্ধদের হাসপাতালে দেখতে গেলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
ধর্মঘটের হুমকি পেট্রোল পাম্প মালিকদের
আগামী সাত দিনের মধ্যে সেলস কমিশন বাড়ানোসহ পাঁচ দফা দাবি পূরণ করা না হলে ৩১ আগস্ট ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন দেশের পেট্রোল পাম্প মালিকরা।
বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর, এজেন্ট ও পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হক এ আল্টিমেটাম দেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হক লিখিত এক বিবৃতিতে বলেন, বিক্রির কমিশন আগে চার শতাংশের বেশি ছিল, বর্তমানে তা এক শতাংশ কমে যাওয়ায় ফিলিং স্টেশনগুলো বন্ধ করা ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাত দিনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আগামী ৩১ আগস্ট সকাল ১১টা থেকে প্রতীকী ধর্মঘট পালন করবে সংগঠনটি।
নাজমুল হক বলেন, তারপরও দাবি না মানা হলে আমরা লাগাতার ধর্মঘট কর্মসূচিতে যাব।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট
তিনি বলেন, ফিলিং স্টেশন মালিকরা চাইলে দেশে অচলাবস্থা তৈরি করতে পারতেন।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমরা তা করিনি। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাওয়ায় এখন আমরা ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’
নাজমুল হক দাবি করেন, ২০১৩ সালে তারা অকটেন ও পেট্রোল বিক্রিতে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ডিজেল বিক্রিতে ৩ দশমিক ২২ শতাংশ কমিশন পেতেন।
তিনি বলেন, এখন এই কমিশন প্রায় ১ শতাংশে নেমে এসেছে।
তারা তাদের কমিশন বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করার দাবি করেন।
পেট্রোল পাম্প মালিকদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- তেল কারচুপি রোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা; নিম্নমানের পণ্য বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযানের সময় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বা জ্বালানি বিপণন কোম্পানির প্রতিনিধিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা; সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে ইজারা নিয়ে যুক্তিসঙ্গত হারে ফি নির্ধারণ; জ্বালানি পরিবহনের সময় ট্যাঙ্ক-লরির কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে পুলিশি হয়রানি বন্ধ।
নাজমুল হক বলেন, তারা তেল পরিমাপে চুরির বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানের বিপক্ষে নয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই বিষয়ে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ, যুগ্ম মহাসচিব মীর আহসান উদ্দিনসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় চলছে ২৪ ঘণ্টার ট্যাংকলরি ধর্মঘট, তেল উত্তোলন-বিপণন বন্ধ
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কাল থেকে চা শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট
২ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় ফিলিং স্টেশনে আগুন, নিহত ২
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় একটি ফিলিং স্টেশনে আগুন লেগে দুই শ্রমিক নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকার দফাদার ফিলিং স্টেশনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-দৌলতপুর উপজেলার রিফায়েতপুর ইউনিয়নের দিঘলকান্দি গ্রামের শাহাজুল (৩৫) এবং একই এলাকার তৌহিদুল ইসলামের ছেলে বিজয় (১৬)।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, তেলবাহী ট্যাংকার থেকে জ্বালানি তেল আনলোড করার সময় অসাবধানতায় আগুন ধরে। এতে অগ্নিদদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয় এবং এক শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পাটের গুদামে আগুন
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক জানে আলম জানান, স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। কীভাবে আগুন লেগেছে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
২ বছর আগে