আগামী সাত দিনের মধ্যে সেলস কমিশন বাড়ানোসহ পাঁচ দফা দাবি পূরণ করা না হলে ৩১ আগস্ট ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন দেশের পেট্রোল পাম্প মালিকরা।
বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর, এজেন্ট ও পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হক এ আল্টিমেটাম দেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হক লিখিত এক বিবৃতিতে বলেন, বিক্রির কমিশন আগে চার শতাংশের বেশি ছিল, বর্তমানে তা এক শতাংশ কমে যাওয়ায় ফিলিং স্টেশনগুলো বন্ধ করা ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাত দিনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আগামী ৩১ আগস্ট সকাল ১১টা থেকে প্রতীকী ধর্মঘট পালন করবে সংগঠনটি।
নাজমুল হক বলেন, তারপরও দাবি না মানা হলে আমরা লাগাতার ধর্মঘট কর্মসূচিতে যাব।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট
তিনি বলেন, ফিলিং স্টেশন মালিকরা চাইলে দেশে অচলাবস্থা তৈরি করতে পারতেন।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমরা তা করিনি। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাওয়ায় এখন আমরা ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’
নাজমুল হক দাবি করেন, ২০১৩ সালে তারা অকটেন ও পেট্রোল বিক্রিতে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ডিজেল বিক্রিতে ৩ দশমিক ২২ শতাংশ কমিশন পেতেন।
তিনি বলেন, এখন এই কমিশন প্রায় ১ শতাংশে নেমে এসেছে।
তারা তাদের কমিশন বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করার দাবি করেন।
পেট্রোল পাম্প মালিকদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- তেল কারচুপি রোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা; নিম্নমানের পণ্য বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযানের সময় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বা জ্বালানি বিপণন কোম্পানির প্রতিনিধিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা; সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে ইজারা নিয়ে যুক্তিসঙ্গত হারে ফি নির্ধারণ; জ্বালানি পরিবহনের সময় ট্যাঙ্ক-লরির কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে পুলিশি হয়রানি বন্ধ।
নাজমুল হক বলেন, তারা তেল পরিমাপে চুরির বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানের বিপক্ষে নয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই বিষয়ে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ, যুগ্ম মহাসচিব মীর আহসান উদ্দিনসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় চলছে ২৪ ঘণ্টার ট্যাংকলরি ধর্মঘট, তেল উত্তোলন-বিপণন বন্ধ
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কাল থেকে চা শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট