পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সফরকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ সফরে আসছেন এটা একটা 'ভালো বিষয়' বলে মনে করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এটা একটা ভালো ব্যাপার যে তারা পরিদর্শন করছে। তারা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন কী ঘটছে।’
তিনি বলেন, 'তারা মনে করে বাংলাদেশ খুবই দরিদ্র একটি দেশ। তারা মনে করে আমাদের দেশে খ্রিস্টান ও হিন্দু জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে, যা সত্য নয়। তারা যদি পরিদর্শনে আসে, তারা নিজেরাই দেখতে পাবে যে আমাদের দেশে এসব ঘটছে কি না, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে: ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, তারা প্রধানত রোহিঙ্গা সংকট, সার্বিক অবস্থা ও তহবিলসংক্রান্ত বিষয় পর্যবেক্ষণ করতে এখানে আসেন।
এ ছাড়া বিরোধীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের কারণেই বিদেশিরা আসে বলেও ইঙ্গিত দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
‘আমাদের বিরোধী দলের সদস্যরা এবং কিছু প্রবাসী বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করে। সে কারণেই এই সমস্যাগুলো আলোচনা আসে’ বলেও মন্তব্য তিনি।
আরও পড়ুন: অনেক বৈশ্বিক নেতৃত্ব এই মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন চান না: মোমেন
১ বছর আগে
পবিত্র কোরআন অবমাননা নিয়ে বাংলাদেশ ও সুইডেনের আলোচনা
সাম্প্রতিক সময়ে সুইডেনে পবিত্র কোরআনের কপি পুড়িয়ে ফেলার পুনরাবৃত্তির ঘটনায় বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন।
রবিবার সুইডেনের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপের সময় এ উদ্বেগের কথা জানান। তিনি এই বিষয়ে সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী টোবিয়াস বিলস্ট্রোমের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন।
যেকোনো পরিস্থিতিতে পবিত্র কুরআনের অবমাননা ও পুড়িয়ে ফেলার মতো ঘটনায় বাংলাদেশ তীব্র নিন্দা করে বলে জানান মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বার্থে এ ধরনের অযৌক্তিক উস্কানি বন্ধ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি বাংলাদেশের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
সুইডেনকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু উল্লেখ করে মোমেন আশা প্রকাশ করেন, সুইডেনে এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ আর হবে না।
সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যেকোনো ইসলামবিরোধী কাজের নিন্দা জানায় সুইডিশ সরকার।
তিনি বলেন, পবিত্র কোরআন বা অন্য কোনো ধর্মগ্রন্থের অবমাননা একটি আপত্তিকর ও অসম্মানজনক কাজ।
তিনি বলেন, যে সুইডেনের সরকারি সংস্থাগুলো স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই অনুযায়ী, সুইডিশ পুলিশ কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভের অনুমতি দেয়। তবে এটি পবিত্র কুরআন বা অন্য কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর অনুমতি দেয় না।
সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে এবং বলেন, ধর্মের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং বিক্ষোভের স্বাধীনতার সুইডিশদের সাংবিধানিক অধিকার। ধর্মের পবিত্র মূল্যবোধের অবমাননা করা স্বাধীনতার অপব্যবহার।
তিনি আরও বলেন, সুইডিশ বিচারমন্ত্রী সাম্প্রতিক ঘটনার আলোকে পাবলিক অর্ডার অ্যাক্টের একটি বিশ্লেষণ শুরু করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন ও পালন করে।
সুইডিশ কর্তৃপক্ষ সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। সুইডিশ মন্ত্রী বাংলাদেশি সমাজকে সহনশীল বলে অভিহিত করেন এবং বাংলাদেশে বিরাজমান ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রশংসা করেন।
দেশের সংবিধানের বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন পরিচালনা করবে।
তিনি সুইডেনকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর অনুরোধ করেন। সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুইডেনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমন্ত্রণ জানানোর আশ্বাস দেন।
১ বছর আগে
খাদ্য-জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সামনের খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে বিচক্ষণতা অবলম্বন করেছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক নির্দেশনার কথা উল্লেখ মোমেন এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামনে আরও চ্যালেঞ্জের পূর্বাভাস দিয়ে যুদ্ধের কারণে অনেক দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
এর আগে তিনি শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বক্তব্য দেন।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেখতে চায় না এবং প্রতিটি শিশুর জন্য একটি উন্নত বিশ্ব নিশ্চিত করতে চায়।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে বিতর্কের চর্চা করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কিরগিজস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ড. মোমেনের বৈঠক
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি অবহিত করলেন মোমেন
২ বছর আগে
শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে বিতর্কের চর্চা করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠ্যবই পড়াই যথেষ্ট নয়, এর বাইরে শিক্ষার্থীদের মননশীলতা, ভালো মানসিকতা, মেধার বিকাশ, জ্ঞানার্জন ও তথ্যানুসন্ধানের জন্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা সহায়ক ভূমিকা রাখে। এজন্য শিক্ষার্থীদের বিতর্কের চর্চা করতে হবে।
রবিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটরিয়ামে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি আয়োজিত ১৪তম নাফিয়া গাজী আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিতর্কের ক্ষেত্রে যুক্তি, নির্ভরযোগ্য তথ্য, প্রাসঙ্গিক উদাহরণ, তথ্য-উপাত্তের সমাহার ঘটিয়ে সুন্দর উপস্থাপনা করতে পারলে তবেই বিতর্কে জয়ী হওয়া যায়।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োজিত থাকাকালীন নিজের অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশের জন্য বয়ে আনা সফলতার বর্ণনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের যেগুলো লক্ষ্য ছিল তার সবগুলোই জাতিসংঘের বিভিন্ন রেজ্যুলিউশনে অনুমোদন করা সম্ভব হয়েছিল। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন-এগুলোর পক্ষে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার যখন এসডিজির ১১টি প্রস্তাব পাঠায়, তখন তার সবগুলোই জাতিসংঘের ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ ডিবেটের কৌশলের উদাহরণ দিয়ে বলেন, বিতর্কের ক্ষেত্রে প্রথমত ভালো ভালো শব্দ ব্যবহার করতে হবে যেটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও উপযুক্ত হয়। আর তথ্য জানতে হবে এবং যুক্তি দিয়ে তথ্যের ন্যায্যতা প্রমাণ করতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- রুলস অব প্রসিডিওর জানতে হবে এবং কখন পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিতে হবে সেটাও জানতে হবে।
বিতর্কের ক্ষেত্রে জ্ঞানার্জনের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, জ্ঞানার্জন এমনিতেই হয় না, সেজন্য শ্রম দিতে হয়। পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। তিনি শিক্ষার্থীদের সাফল্য অর্জনের জন্য সময়ের উপযুক্ত ব্যবহার এবং কঠোর পরিশ্রমের পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতর্ক চর্চা শুরু করতে চাই: শিক্ষামন্ত্রী
উন্নতবিশ্বে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য কী কী কর্মকাণ্ড করেছে সেটাও সেখানে দেখা হয় এবং এক্ষেত্রে বিতর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এছাড়া খেলাধুলা, সাংগঠনিক দক্ষতা এগুলো দেখা হয়। শিক্ষার্থীর বই পড়ার ব্যাপকতা কেমন সেটাও দেখা হয়, এটা শুধু পাঠ্য বই নয়, পাঠ্য বইয়ের বাইরেও অন্যান্য বই পড়ার বিষয়টি মূল্যায়ন করা হয়।
‘বৈচিত্র্যে ধ্বনিত হোক সৌন্দর্যের জয়গান, মৃত্যু উপত্যকার মিছিল পেরিয়ে সড়কে নেমে আসুক জীবনের ঐকতান।’ - এই স্লোগানকে ধারণ করে পরিচালিত এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য ছিল নিরাপদ সড়ক ও পরিবহন ব্যবস্থা, লিঙ্গের সমতা এবং সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বৈচিত্র্য ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য পূরণে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে গণসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রচলিত আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বিতার্কিক ও শিক্ষার্থী নাফিয়া গাজীর স্মরণে ১৯৯২ সাল থেকে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি এই বিতর্ক আয়োজন করে আসছে। দু’দিন ব্যাপী এবারের প্রতিযোগিতা আয়োজনে সহায়তা করেছে ‘জেন্ডার রেসপন্সিভ রেজিলিয়েন্স এন্ড ইন্টারসেকশনালিটি ইন পলিসি এন্ড প্রাক্টিস (জিআরআরআইপিপি- গ্রিপ) এবং জেন্ডার এন্ড ডিজাস্টার নেটওয়ার্ক (জিডিএন)। দেশি ও বিদেশি ১৬টি দল এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে যার মধ্যে ৯টি বিদেশি ও ৭টি দেশি বিতার্কিক দল অংশ নেয়।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ইন্টারন্যাশনাল ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতের আই আই টি এবং রানার আপ হয়েছে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৪তম নাফিয়া গাজী আন্তঃবিভাগ সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনাল বিতর্কের প্রস্তাব ছিল, ‘এই সংসদ আদিবাসী নৃগোষ্ঠেী সংস্কৃতিকে পর্যটন বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করায় অনুতপ্ত।’ প্রতিযোগিতায় সরকারি দল ছিল- ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার এন্ড রিসার্চ। বিতর্কে বিরোধী দল ছিল- নৃবিজ্ঞান বিভাগ। ফলাফল: প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় নৃবিজ্ঞান বিভাগ। ডিবেটার অব দ্য ফাইনাল হন সরকার দলের এস এম ফরহাদ।আর ডিবেটার অব দ্য টুর্নামেন্ট হন জুবায়েদ হোসেন শাহেদ।
ড. মোমেন প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ উভয় দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চ্যাম্পিয়ন, রানারআপ দল ও প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান। ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি’র সভাপতি শেখ মো. আরমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি’র চিফ মডারেটর অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এন্ড ভালনারাবিলিটি স্টাডিজ-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. দিলারা জাহিদ।
আরও পড়ুন: টাইমস হায়ার এডুকেশন ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং: শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাবি, এনএসইউ
স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবি: অধ্যক্ষের আশ্বাসে সড়ক ছাড়লো ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীরা
২ বছর আগে
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শোকবইয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্য খোলা শোকবইয়ে সাক্ষর করছেন।
বুধবার বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন নিজ বাসভবনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, রানি ‘মানব ইতিহাসে অতুলনীয় উত্তরাধিকার রেখে গেছেন এবং সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে ছিলেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’বার রানির সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন। একবার ১৯৬১ সালে যখন রানি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সফর করেছিলেন এবং পরে ২০১০ সালে যখন রানি নিউইয়র্কে জাতিসংঘে সফর করেছিলেন।
হাইকমিশনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তার বাসভবনে গিয়ে রানির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: বাকিংহাম প্যালেসে রানির মরদেহ
রানির প্রতি শোক জানাতে ব্রিটিশ হাইকমিশনে প্রধানমন্ত্রী
রানির জন্য শোক বই খুলছে ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন
২ বছর আগে
জ্ঞান অর্জন করা কঠিন কিন্তু এর ফল মিষ্টি: ড. মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জ্ঞান অর্জন করা কঠিন কিন্তু এর ফল খুব মিষ্টি। তাই নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান চর্চার পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে লাইব্রেরির বড় অভাব, এক্ষেত্রে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার গণগ্রন্থাগারটি এলাকায় জ্ঞানের আলো ছড়াবে।
শুক্রবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সদরখলা এলাকায় দক্ষিণ সুরমা গণগ্রন্থাগারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষিণ সুরমা গণগ্রন্থাগারের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ, বইয়ের সংগ্রহ বৃদ্ধি করাসহ ডিজিটাল ফরম্যাটে বই সংরক্ষণের পরামর্শ দেন এবং প্রয়োজনে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: সফলতার জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা থাকা প্রয়োজন: ড. মোমেন
ড. মোমেন বলেন, সিলেটের উন্নয়ন তথা বাংলাদেশের উন্নয়নে গণগ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলাম আজীবন কাজ করে গেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে তার অনেক অবদান রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে নুরুল ইসলাম তার বন্ধু প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছেন। বিশেষ করে দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ও প্রবাসীদের দাবি আদায়ে কাজ করেছেন নুরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনা সারাবিশ্বে তুলে ধরতে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, দক্ষিণ সুরমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত লায়লা নীরা ও সীমান্তিক’র প্রতিষ্ঠাতা ড. আহমদ আল কবির।
দক্ষিণ সুরমা গণগ্রন্থাগার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম নুরুল ইসলামের সহধর্মিণী নার্গিস ইসলামের সভাপতিত্বে ও নূরুল ইসলামের মেয়ে মনজেরীন রশিদের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ।
২ বছর আগে