বেহেশত
কে বেহেশতে আর কে দোজখে যাবে সেটা ঠিক করার দায়িত্ব আমাদের নয়: শেখ হাসিনা
কেউ যাতে ইসলামের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে না পারে সেজন্য আলেম-ওলামাসহ সকল ধর্মপ্রাণ মানুষকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা নিশ্চিত করি যে আমাদের পবিত্র ধর্ম বিভিন্ন উপায়ে কলঙ্কিত না হয়। আলেম, ওলামা এবং ধর্মীয় চিন্তাশীল ব্যক্তিদের অবশ্যই এই বিষয়ে নজর রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগদানের চতুর্থ পর্বে সারাদেশে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে একথা বলেন।
তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম, যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে লিপ্ত তারা শান্তির ধর্মের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
তিনি বলেন, ‘তারা ভুল পথে আছে। আমাদের সকলকে এই বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেষ বিচার মহান আল্লাহই করবেন।
আরও পড়ুন: সারাদেশে আরও ৫০ মডেল মসজিদের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কে ইসলামে বিশ্বাস করে আর কে না, আমরা তা ঠিক করতে পারি না। এটা খুবই দুঃখজনক যে মাঝে মাঝে আমরা কিছু লোককে অকারণে অন্য ধর্ম বা ইসলামের বিভিন্ন মাজহাবকে(সম্প্রদায়) অবমূল্যায়ন করার চেষ্টা করতে দেখি।’
তিনি বলেন, এটা ইসলামের শিক্ষা ও মহানবী (সা.)-এর আদর্শের পরিপন্থী। ‘এই ধরনের মনোভাব গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহ প্রত্যেকের এবং সবকিছুর বিচার করবেন... আল্লাহ ঠিক করবেন কে বেহেশতে যাবে আর কে জাহান্নামে যাবে।
প্রত্যেকে নিজ নিজ ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান পালন করবে এবং বাংলাদেশের সংবিধানে তাবলা আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মানুষ হত্যা করে কেউ বেহেশতে যেতে পারে না। নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করলে একজনকে দোজখের আগুনে নামিয়ে দেবে... জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।’
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই রক্ত দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সবাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে তাদের ধর্মীয় আচার পালন করবে। আমরা আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে দেশ চালাই। প্রত্যেকের সমান অধিকার রয়েছে এবং আমরা তা বিশ্বাস করি।’
জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদকে সমাজের হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো তিনি আলেম, ওলামা এবং খতিবদেরকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান, কারণ কখনও কখনও স্বার্থান্বেষী মহল কোমলমতি শিশুদেরকে ভুল পথে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা শিশুদের সন্ত্রাসবাদে জড়াতে দিতে পারি না। ইসলামের শান্তি ও মূল্যবোধের বার্তা অবশ্যই তাদের মধ্যে নিহিত থাকতে হবে।’
গুজব, দুর্নীতি, দুর্বলদের দমন-পীড়ন সম্পর্কেও তিনি সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জুমার নামাজের সময় বিশেষ খুৎবা দেওয়ার জন্য ইমামদের অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
আরও পড়ুন: মুজিবনগর দিবস: বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
১ বছর আগে
এটা জনগণের সঙ্গে তামাশা, মোমেনের মন্তব্য নিয়ে বিএনপি
বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ সুখে আছে, বেহেস্তে আছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের এমন উক্তি জনগণের সঙ্গে তামাশা বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশের মানুষ যখন প্রতি মুহূর্তে ভোগান্তি পোহাচ্ছে, কষ্ট করছে, সেই সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, (মানুষ) বেহেশতে আছে, এটা হাস্যকর।’
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগেও এমন কিছু হাস্যকর মন্তব্য করেছেন। কিন্তু জনগণের সঙ্গে এরকম পরিহাস করার কোনো অধিকার উনার নেই।’
তিনি বলেন, আমি দুঃখিত ব্যক্তিগত পর্যায়ে কথা বলছি। ইদানীং উনার (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) চেহারার মধ্যে যেটা ফুটে উঠেছে…ক্ষিপ্ত হয়েছেন; বেশিরভাগ মন্ত্রীদের যেটা হয়েছে…প্রচুর লুটপাট হচ্ছে। সেই লুটপাটের কারণে তারা জনগণের সঙ্গে পরিহাস, তামাশা শুরু করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সিলেটে সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ব মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের মানুষ অন্য অনেক দেশের তুলনায় সুখে আছে, বেহেশতে আছে।
পড়ুন: বোয়ালখালীতে ছাত্র ইউনিয়নের মানববন্ধনে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০
জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জিএম কাদেরের
২ বছর আগে